গর্ভবতী হতে চাইলে কি কি করতে হবে ?

Post a Comment
গর্ভধারণের

১.গর্ভধারণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
আপনার এখনই কোন ডাক্তারের প্রয়োজন
পড়ছেনা। কিন্তু তবুও গর্ভধারণ
পূর্ববর্তী শারীরিক পরীক্ষার জন্য
আপনার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুণ।
আপনার ডাক্তার আপনার এবং আপনার
পরিবারের মেডিক্যাল ইতিহাস
পর্যালোচনা করবেন।
আপনার ডাক্তার আপনার সাথে খাদ্য
তালিকা, ওজন, ব্যায়াম এবং যেকোন
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস (যেমন ধূমপান, মদ্যপান,
মাদক সেবন) এর
ব্যাপারে কথা বলতে পারেন;
মাল্টিভিটামিন সেবনের পরামর্শ
দিতে পারেন; আপনার
সবগুলো টিকা গ্রহণ করেছেন
কিনা তা নিশ্চিত করবেন; শিশুদের
রোগ জলবসন্ত ও
রুবেলা প্রতিরোধে আপনার শরীর কতটুকু
প্রস্তুত তা পরীক্ষা করবেন। এবং আপনার
যদি কিছু জানার থাকে তা বলবেন।
২. ভিটামিন এ যুক্ত খাবার গ্রহন করুন
ভিটামিন এ সেবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভ
ধারণের একমাস পূর্ব থেকে গর্ভধারণ
পরবর্তী তিন মাস প্রতিদিন ভিটামিন এ
গ্রহণের মাধ্যমে অসুস্থ ও অস্বাভাবিক
শিশুর জন্মের সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৭০
শতাংশ কমাতে পারেন। ফলিক এসিড
গ্রহণ অন্যান্য জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধেও
সহায়তা করেন।
আপনি ফার্মেসী থেকে কিনে মাল্টিভিটামিন
সেবন করতে পারেন। মাল্টিভিটামিন
এর লেবেল পরীক্ষা করে দেখুন
এগুলোতে ভিটামিন এ রয়েছে কিনা।
৩. মদ্যপান, ধুমপান এবং মাদক সেবন
পরিহার করুন
আপনি যদি ধুমপায়ী অথবা মাদকসেবী হন
তবে এখনই সময় এসব পরিহার করুন ।
অসংখ্যা গবেষণায়
দেখা গেছে যে ধুমপান অথবা মাদক
সেবন গর্ভপাত, অসুস্থ শিশুর জন্ম এবং কম
ওজনের শিশুর জন্মের অন্যতম কারণ।
মনে রাখবেন কিছু মাদকের ক্ষতিকর
প্রভাব আপনার শরীরের
মধ্যে থেকে যেতে পারে যদিও আপাত
দৃষ্টিতে তা দেখা যাচ্ছে না ।
মদ্যপানের অভ্যাস গর্ভধারণের পথের
বাধার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে, তাই
মদ্যপান কমানোর পরিকল্পনা হবে যখন
আপনি সন্তান নেবার কথা ভাবছেন।
আপনার মাসিকের শেষ দুই সপ্তাহ সম্পূর্ণ
মদ্যপানের অভ্যাস পরিহার করুন কারণ
আপনি এর মাঝে গর্ভধারণ
করে ফেলতে পারেন। গর্ভাবস্থায়
মদ্যপান আপনার শিশুর স্বাভাবিক
বিকাশে জ্ন্মগত ত্রুটির কারণ
হতে পারে এবং আরো অসংখ্য সমস্যার
কারণ হতে পারে ।
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে পরিত্রান
পাওয়া খুবই কঠিন হতে পারে। এসব বিষয়
নিয়ে কথা বলতে আপনার
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর
সাথে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করবেন
না। তিনি আপনাকে ধুমপান
ছাড়তে বিভিন্ন পন্থার
কথা বলতে পারেন অথবা মাদক
থেকে মুক্তি পেতে কোন
প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার পরামর্শ
দিতে পারে।
৪. নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
আপনার ফ্রিজ স্বাস্থ্যকর খাবারে পূর্ণ
রাখুন। আপনাকে এখনই দুইজনের খাবারের
কথা ভাবতে হচ্ছে না, কিন্তু
আপনি যদি এখনই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ শুরু
করেন তাহলে আপনার শরীর সেইসব
পুষ্টি সংরক্ষণ করবে যা একটি স্বাস্থ্যকর
গর্ভাবস্থার জন্য অপরিহার্য।
প্রতিদিন কমপক্ষে ২ কাপ ফল এবং ১/২
কাপ শাক সবজী খাবার চেষ্টার করুন। এর
সাথে প্রচুর খাবার
যেগুলোতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার
ক্যালসিয়াম- যেমন দুধ, ক্যালসিয়াম,
কমলালেবুর জুস এবং দই। বিভিন্ন ধরনের
প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে, যেমন
শিম, মটরশুটি, বাদাম, সয়াবিন, মুরগির
মাংস এবং মাংস ।
৫. আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
আপনার গর্ভকালীন সময় অনেক সহজ
হতে পারে যদি আপনার ওজন ঠিক
থাকে হয়। কম অথবা অধিক শারীরিক ওজন
কিছু নারীর জন্য গর্ভধারণ করা কঠিন
হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মত
শরীরচর্চা প্রোগ্রামে থাকবে ৩০
মিনিট বা তার থেকে বেশী পরিমিত
ব্যায়াম। তা হতে পারে হাটা,
অথবা অন্যান্য কিছু। শরীরের
নমনীয়তাবাড়াতে স্ট্রেচিং প্রাক্টিস
করুন। নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যান।
যদি গর্ভকালীন কোন
জটিলতা ধরা পরে তা হলে এসব ব্যায়াম
থেকে বিরত থাকুন.
আপনি যদি ব্যায়াম করতে না চান,
তাহলে আপনাকে একটি শরীরচর্চার
রুটিনের
মাধ্যমে ধীরে ধীরে আগাতে হবে।
আপনি শুরু করতে পারেন খুবই সাধারণ
কিছুর মধ্য দিয়ে। প্রতিদিন ২০ মিনিট
হাটার পরিকল্পনা মন্দ হয়না। আপনার
নিয়মিত
কাজে আরো বেশী সক্রিয়তা নিয়ে আসুন।
লিফট এর পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন
অথবা আপনার গাড়ীটা অফিস
থেকে একটু দূরে পার্ক করে বাকি পথটুকু
হেটে আসুন।

Related Posts

: