লিখেছেন - Chandro Bindu
ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পরছে।যেন আকাশের সব অভিমান অশ্রু হয়ে ঝরে যাচ্ছে।বৃষ্টি দেখলেই মন ভাল হয়ে যায় তার।বৃষ্টি দেখে,বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা অনুভব করে ।আজ অনেকদিন পর স্মৃতির ছেড়া পাতাগুলো খুব উল্টাতে ইচ্ছা হল হিমাদ্রির
হিমাদ্রি আর আদৃতার বন্ধুত্ব শুরু হয় ভার্সিটিতে। একি ক্লাসে পড়ে তারা।হিমাদ্রি সবসময় খুব চুপচাপ থাকে। কারোর সাথেই তেমন কথা বলে না।তাই বন্ধু বলতে তার কেও নেই।সবসময় একা থাকে,নিজের সাথে কথা বলেই সময় কাটায় যেন,একাকীত্ব তার একমাত্র বন্ধু।শূন্যতা যখন তকে গ্রাস করে ফেলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় আদৃতা।তখন থেকে শুরু হয় হিমাদ্রির জীবনের নতুন অধ্যায়।
খুব চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে আদ্রিতা।সারাক্ষন কিছু না কিছু করছেই।দুষ্টুমি ফাজলামিতে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।আর ওদের মধ্যে খুনসুটিতো লেগেই আছে।প্রতিদিন ঝগড়া করে একে অপরকে মানানো তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস।
এভাবে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে হিমাদ্রি,যেন তার অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন জীবনটা কেও ভোরের শুভ্র আলোয় ভরিয়ে দিয়েছে। যে ছেলের কাছে শূন্যতা আর একাকীত্বই ছিল তার জীবনে চলার পথের সঙ্গী,আজ সে আর একা নেই।অনেক বন্ধু তার যারা সবসময় তার সাথে থাকবে,তাকে আগলে রাখবে। তবে মা-বাবার পর তার সবচেয়ে আপন একজনই,আদৃতা।যতযাই হোক না কেন সে আদৃতাকে হারাতে চায় না।তাই তো যেই ঝগড়া শুরু করুক না কেন হিমাদ্রি আগে সরি বলবে। আদৃতার মুখে হাসি দেখার জন্য সে সবকিছু করতে পারে।
সেদিনও ঠিক এভাবেই বৃষ্টি পরছিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভার্সিটির বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছিলো সে।হঠাৎ একটি মেয়ে দৌড়ে এসে তার পাশে দাঁড়াল।তাকাতেই মনে হল মেয়েটি যেন বর্ষাস্নাত কদম ফুল।মেয়েটির টানাটানা চোখ আর মায়াকাড়া চেহারা মন কেড়ে নিয়েছে তার।অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেয়েটির দিকে।হিমাদ্রি বলে ডাকতেই চমকে উঠল সে
-কিরে হিমাদ্রি ঠিক আছিস তো?
-অহ!তুই??কখন এলি?
-কখন এলি মানে?এতক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে ডাকছি আর তুই আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছিস
-নাহ!এমনি
-অহ!তাই বল।আচ্ছা ক্লাস না করে এভাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলে হবে?চল ক্লাসে যাই।
-নারে আজ আর ক্লাস করব না।তুই যা।আমি যাই আজকে
বলে হাঁটতে শুরু করল। ওদিকে আদৃতা ডেকেই চলেছে,কিন্তু আজকে কেন জানি সাড়া দিতে ইচ্ছে হল না।
আদৃতাকে নিয়ে আজ সারাক্ষণ ভাবল হিমাদ্রি। নাহ!কোন কাজেই মন বসাতে পারছে না সে।কিন্তু কি অদ্ভুত! যতবার সে মেয়েটির কথা ভাবছে মনে কিরকম যেন অনুভূতি হচ্ছে যা কখনো আগে অনুভব হয়নি।তবে কি আমি প্রেমে পরেছি? যে ছেলে প্রেম ভালবাসা থেকে একশ হাত দূরে থাকে সে কি একটু একটু করে ভালবাসতে শিখে গেল??চিন্তার সাগরে ডুবে থাকতে থাকতে রাত পার হয়ে কখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে খেয়াল করে নি হিমাদ্রি।অনেক চিন্তার পর ভাবল না এভাবে বসে থাকলে তো হবে না,পাগলীটাকে জানাতে হবে যে তাকে কত ভালবাসে। আদৃতাকে ছাড়া তার জীবনটাই তো অচল।ভাবতেই আনন্দ লাগছে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধুকে সে এত ভালবাসে।যে অনুভূতিকে সে বন্ধুত্ব বলে মনে করত আসলে সেটা ছিল তার ভালবাসা।এমন সময় হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠল।ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই দেখল আদৃতার নাম
-এই শোন তোকে একটা জরুরি বলব।এখনি ভার্সিটি চলে আয়।
-আচ্ছা আসছি।
তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল হিমাদ্রি।এক ঘণ্টা হয়ে গেল আদৃতার দেখা নেই।নাহ মেয়েটা আর ঠিক হল না।অপেক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছেই না। কখন যে তাকে মনের কথাগুলো বলতে পারব!
-এই হিমাদ্রি।সরি অনেক দেরি করে ফেললাম।
-তুই তো দেরি করবি।এ আর নতুন কি?
-আচ্ছা প্লিজ রাগ করিস না। তোকে একটা কথা বলব।
-কি বলবি তাড়াতাড়ি বল কারণ আমিও তোকে একটা জরুরি কথা বলব।
-তোকে বলা হয় নি।রাতুল আমাকে গতকাল রাতে প্রপোজ করেছে।কিন্তু আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।তাই ওকে বলেছি হিমাদ্রি যা বলবে আমি তাই করব।
-তাই নাকি?আমি যদি না বলি তখন?
-তাহলে না বলে দিব।কারন আমি জানি তুই আমাকে সবার থেকে ভাল বুঝিস আর সবসময় আমার ভাল চাইবি।
-তুই কি রাতুলকে পছন্দ করিস?
-আমি জানি না হিমাদ্রি।
-আমি যা বুঝার বুঝে গিয়েছি।রাতুল অনেক ভাল ছেলে। তোকে কখনও কষ্ট দিবে না।আর যদি ওর কারণে যদি তোর চোখে এক ফোঁটাও জল আসে,তাহলে আমাকে বলবি ওর খবর করে দিব।
-কি যে বলিস না।বলেই হেসে ফেলল আদৃতা।
-আচ্ছা পাগলী আমি যাই। তুই আর তোর পাগল অনেক সুখে থাক।
-যাই মানে? তুই না কি জরুরি কথা বলবি?
-নাহ কিছু কথা অজানা থাকাই ভাল।বলেই চলে গেল সে।কারণ যেখানে সুখ থাকে সেখানে শূন্যতাকে থাকতে নেই।
অনেকদিন পর পাগলীটার কথা মনে করে চোখ ভিজে উঠল হিমাদ্রির।। জীবনের কাছে হয়ত একটু বেশিই চেয়ে ফেলেছিলাম আমি । সবাই তো জীবনে সব কিছু পায় না। আমি না হয় তোর স্মৃতি আর কিছু শুন্যতা নিয়েই জীবনটা কাটিয়ে দিব। আসলে কি জানিস? যাদের নিজেদের ইচ্ছাগুলো অপূর্ণ থাকে অন্যের পূর্ণতায় তারা সুখ খুঁজে নেয় ।
পুনশ্চঃ যদি গল্পে কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পরছে।যেন আকাশের সব অভিমান অশ্রু হয়ে ঝরে যাচ্ছে।বৃষ্টি দেখলেই মন ভাল হয়ে যায় তার।বৃষ্টি দেখে,বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা অনুভব করে ।আজ অনেকদিন পর স্মৃতির ছেড়া পাতাগুলো খুব উল্টাতে ইচ্ছা হল হিমাদ্রির
হিমাদ্রি আর আদৃতার বন্ধুত্ব শুরু হয় ভার্সিটিতে। একি ক্লাসে পড়ে তারা।হিমাদ্রি সবসময় খুব চুপচাপ থাকে। কারোর সাথেই তেমন কথা বলে না।তাই বন্ধু বলতে তার কেও নেই।সবসময় একা থাকে,নিজের সাথে কথা বলেই সময় কাটায় যেন,একাকীত্ব তার একমাত্র বন্ধু।শূন্যতা যখন তকে গ্রাস করে ফেলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় আদৃতা।তখন থেকে শুরু হয় হিমাদ্রির জীবনের নতুন অধ্যায়।
খুব চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে আদ্রিতা।সারাক্ষন কিছু না কিছু করছেই।দুষ্টুমি ফাজলামিতে সবাইকে মাতিয়ে রাখে।আর ওদের মধ্যে খুনসুটিতো লেগেই আছে।প্রতিদিন ঝগড়া করে একে অপরকে মানানো তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস।
এভাবে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে হিমাদ্রি,যেন তার অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন জীবনটা কেও ভোরের শুভ্র আলোয় ভরিয়ে দিয়েছে। যে ছেলের কাছে শূন্যতা আর একাকীত্বই ছিল তার জীবনে চলার পথের সঙ্গী,আজ সে আর একা নেই।অনেক বন্ধু তার যারা সবসময় তার সাথে থাকবে,তাকে আগলে রাখবে। তবে মা-বাবার পর তার সবচেয়ে আপন একজনই,আদৃতা।যতযাই হোক না কেন সে আদৃতাকে হারাতে চায় না।তাই তো যেই ঝগড়া শুরু করুক না কেন হিমাদ্রি আগে সরি বলবে। আদৃতার মুখে হাসি দেখার জন্য সে সবকিছু করতে পারে।
সেদিনও ঠিক এভাবেই বৃষ্টি পরছিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভার্সিটির বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছিলো সে।হঠাৎ একটি মেয়ে দৌড়ে এসে তার পাশে দাঁড়াল।তাকাতেই মনে হল মেয়েটি যেন বর্ষাস্নাত কদম ফুল।মেয়েটির টানাটানা চোখ আর মায়াকাড়া চেহারা মন কেড়ে নিয়েছে তার।অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেয়েটির দিকে।হিমাদ্রি বলে ডাকতেই চমকে উঠল সে
-কিরে হিমাদ্রি ঠিক আছিস তো?
-অহ!তুই??কখন এলি?
-কখন এলি মানে?এতক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে ডাকছি আর তুই আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছিস
-নাহ!এমনি
-অহ!তাই বল।আচ্ছা ক্লাস না করে এভাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলে হবে?চল ক্লাসে যাই।
-নারে আজ আর ক্লাস করব না।তুই যা।আমি যাই আজকে
বলে হাঁটতে শুরু করল। ওদিকে আদৃতা ডেকেই চলেছে,কিন্তু আজকে কেন জানি সাড়া দিতে ইচ্ছে হল না।
আদৃতাকে নিয়ে আজ সারাক্ষণ ভাবল হিমাদ্রি। নাহ!কোন কাজেই মন বসাতে পারছে না সে।কিন্তু কি অদ্ভুত! যতবার সে মেয়েটির কথা ভাবছে মনে কিরকম যেন অনুভূতি হচ্ছে যা কখনো আগে অনুভব হয়নি।তবে কি আমি প্রেমে পরেছি? যে ছেলে প্রেম ভালবাসা থেকে একশ হাত দূরে থাকে সে কি একটু একটু করে ভালবাসতে শিখে গেল??চিন্তার সাগরে ডুবে থাকতে থাকতে রাত পার হয়ে কখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে খেয়াল করে নি হিমাদ্রি।অনেক চিন্তার পর ভাবল না এভাবে বসে থাকলে তো হবে না,পাগলীটাকে জানাতে হবে যে তাকে কত ভালবাসে। আদৃতাকে ছাড়া তার জীবনটাই তো অচল।ভাবতেই আনন্দ লাগছে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধুকে সে এত ভালবাসে।যে অনুভূতিকে সে বন্ধুত্ব বলে মনে করত আসলে সেটা ছিল তার ভালবাসা।এমন সময় হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠল।ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই দেখল আদৃতার নাম
-এই শোন তোকে একটা জরুরি বলব।এখনি ভার্সিটি চলে আয়।
-আচ্ছা আসছি।
তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল হিমাদ্রি।এক ঘণ্টা হয়ে গেল আদৃতার দেখা নেই।নাহ মেয়েটা আর ঠিক হল না।অপেক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছেই না। কখন যে তাকে মনের কথাগুলো বলতে পারব!
-এই হিমাদ্রি।সরি অনেক দেরি করে ফেললাম।
-তুই তো দেরি করবি।এ আর নতুন কি?
-আচ্ছা প্লিজ রাগ করিস না। তোকে একটা কথা বলব।
-কি বলবি তাড়াতাড়ি বল কারণ আমিও তোকে একটা জরুরি কথা বলব।
-তোকে বলা হয় নি।রাতুল আমাকে গতকাল রাতে প্রপোজ করেছে।কিন্তু আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।তাই ওকে বলেছি হিমাদ্রি যা বলবে আমি তাই করব।
-তাই নাকি?আমি যদি না বলি তখন?
-তাহলে না বলে দিব।কারন আমি জানি তুই আমাকে সবার থেকে ভাল বুঝিস আর সবসময় আমার ভাল চাইবি।
-তুই কি রাতুলকে পছন্দ করিস?
-আমি জানি না হিমাদ্রি।
-আমি যা বুঝার বুঝে গিয়েছি।রাতুল অনেক ভাল ছেলে। তোকে কখনও কষ্ট দিবে না।আর যদি ওর কারণে যদি তোর চোখে এক ফোঁটাও জল আসে,তাহলে আমাকে বলবি ওর খবর করে দিব।
-কি যে বলিস না।বলেই হেসে ফেলল আদৃতা।
-আচ্ছা পাগলী আমি যাই। তুই আর তোর পাগল অনেক সুখে থাক।
-যাই মানে? তুই না কি জরুরি কথা বলবি?
-নাহ কিছু কথা অজানা থাকাই ভাল।বলেই চলে গেল সে।কারণ যেখানে সুখ থাকে সেখানে শূন্যতাকে থাকতে নেই।
অনেকদিন পর পাগলীটার কথা মনে করে চোখ ভিজে উঠল হিমাদ্রির।। জীবনের কাছে হয়ত একটু বেশিই চেয়ে ফেলেছিলাম আমি । সবাই তো জীবনে সব কিছু পায় না। আমি না হয় তোর স্মৃতি আর কিছু শুন্যতা নিয়েই জীবনটা কাটিয়ে দিব। আসলে কি জানিস? যাদের নিজেদের ইচ্ছাগুলো অপূর্ণ থাকে অন্যের পূর্ণতায় তারা সুখ খুঁজে নেয় ।
পুনশ্চঃ যদি গল্পে কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
: