আসমানীরেদেখতে যদি তোমরা সবেচাও,
রহিমদ্দিরছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়িতো নয় পাখির বাসাভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানিবৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়েপানি।
একটুখানিহাওয়া দিলেই ঘর নড়বড়করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকেবছর ভরে।
পেটটিভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষীদিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টিতাহার মুখটি হতে হাসিরপ্রদীপ-রাশি
থাপড়েতেনিবিয়ে দেছে দারুণ অভাবআসি।
পরনে তার শতেক তালিরশতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালিতার গা বরণের করছেউপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতেনাই কৌতুক-হাসি,
সেখানদিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশিরাশি।
বাঁশিরমতো সুরটি গলায় ক্ষয়হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয়যে সে-সুর গানেরসুরে বেঁধে।
আসমানীদেরবাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুরভরে
ব্যাঙেরছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ারমশক সেথা বিষ গুলিছেজলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়াআসমানীদের চলে।
পেটটিতাহার দুলছে পিলেয়, নিতুইযে জ্বর তার,
বৈদ্যডেকে ওষুধ করে পয়সানাহি আর।
: