-'এই তন্নি মেয়েটা কে?' ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসলো রাগত মেয়েলি কন্ঠ!
-তন্নি! কোন তন্নি? হিমু পাল্টা প্রশ্ন করলো।
-আহারে! ন্যাকা চেন না? তোমার পিক-এ যে কিউট লিখে কমেন্ট করলো সেই তন্নি!!
-ও, সে তো আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড।
-তা তোমার পিকে কমেন্ট করলো কেন?
-সেটা আমি কিকরে জানব!
-আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না! তোমার আইডিতে কোনো মেয়ে ফ্রেন্ড রাখা চলবে না। তোমার ফেসবুকের পাসওর্য়াড দাও এখুনি।
অগত্যা হিমু তার পাওয়ার্ড নীলা কে দিয়ে দিল। নীলার সাথে হিমুর সম্পর্ক বহুদিনের। নীলা ভীষন জেদি মেয়ে। অল্পতেই অভিমান করে বসে।
একদিন তারা দুজন রাস্তার পাসে বসে ছিলো। একটা মেয়ে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো। হিমু জাস্ট একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়েছিলো।
ব্যস! তারপর আর কি, রাগ করে দুদিন হিমুর সাথে কথা বলে নি! হিমু বহু কষ্টে তার রাগ ভাঙাতে সহ্মম হয়।
নীলা কে বাগে আনতেও কিন্তু কম কষ্ট হয়নি হিমুর। দিনের পর দিন ওর পিছনে ঘুরেছে, ওর বারান্দার নিচে দাড়িয়েছে।
কিন্তু মুখ ফুটে ভালোবাসার কথা বলতে পারে নি।
গত ভ্যালেন্টাইন্স এর দিন অনেক সাহস সঞ্চয় করে নীলা কে প্রপোজ করে হিমু।
গত ভ্যালেন্টাইন্স এর দিন অনেক সাহস সঞ্চয় করে নীলা কে প্রপোজ করে হিমু।
নীলাও ওকে ফিরিয়ে দেয় নি। শহরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা ঘুরতে জায়নি। এমন কোনো দিন নেই দুজনে দেখা করেনি।
ক্যাম্পাসে সবাই ওদের এক নামে চেনে।
একদিন তারা দুজন ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল।
কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।
সামনে গিয়ে পড়লো তাদের ক্লাস টিচারের!
স্যার গম্ভীর মুখে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। তারপর ফিক করে হেসে দেয়। ওরা ভেবছিলো স্যার তাদের অনেক বকাঝকা করবে।
কিন্তু তিনি উল্টো উৎসাহ দিলেন। তার ভাষায় 'পেয়ার কিয়া তো ডারনা ক্যায়া?'
এখন বাজে রাত ১১:৫০।
এত রাতে হিমু অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছে।
এই ঘটনাগুলো ঘটেছিলো আজ থেকে ৫ বছর আগে।
নীলাকে হিমু জীবন সঙ্গী হিসেবে পায়নি। তার আগেই বিধাতা তাকে কেড়ে নিয়েছে।
এক নির্মম রোড এক্সিডেন্টে চির জীবনের জন্য তাকে হারিয়েছে হিমু।
পৃথিবীতে হয়তো সব প্রেমিক যুগলের মিলন হয় না। কারো কারো মিলন হয় পৃথীবি থেকে বহু দুরের এক জগতে........
: