গাধাকে সৃষ্টি করার পরে সৃষ্টিকর্তা বললেন...
তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি! তোর মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবেনা! তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর!
গাধা বলল, এটা কি হল? এত কষ্ট করে আমি এত দীর্ঘদিন বাঁচতে চাই না! দয়া করে, আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন!
সৃষ্টিকর্তা বললেন যা, তাই দিলাম!
কুকুরকে বললেন, তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি! তোর আয়ু হবে ৩০ বছর!
শুনে, কুকুর ঈশ্বর কে বলল! দয়াকরে, একটু ছোট করে ঐটা ১৫ করুন! এতদিন বাঁচতে চাই না!
ঈশ্বর এইবারও রাজি হয়ে গেলেন!
এরপর উনি বানর কে বললেন , হে বানর, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে ওঠা! আর তামশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেয়া! তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর।
সে আবেগে কেঁদে ঈশ্বরকে বলল, দেবেনই যখন ১০ বছর দিন, আমি এত বড় জীবন দিয়ে কি করবো?
ঈশ্বর এইবার পুরুষ কে বলল, তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব.!!
সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ! তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর!
সে তো আনন্দে খুশিতে পাগল হয়ে গেছে কিন্তু এত মহৎ জীবন নিয়ে মাত্র ২০ বছর! কি লাভ?
সে কর জোড়ে প্রভুকে বলল...
প্রভু একটা কাজ করা যায় না? আপনি আমাকে গাধার ফেরত দেয়া ৩০ বছর, কুকুরের ১৫ বছর এবং বানরের ১০ বছর দিয়ে দিন!
আই ওয়ান্ট টু লিভ মাই লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট!
ঈশ্বর বললেন, আরে নিজের ভালো তো পাগোলেও বোঝে, তুই বুঝলি না! তবে যাহ, তুই যখন চাইছিস দিয়ে দিলাম!
সেই থেকে ছেলেরা, পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর!
পরের ৩০ বছর গাধারমত সংসারের বোঝা টানে!
তার পরের ১৫ বছর ছেলে মেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মত!
আর তার পরের দশ বছর বানরের মত, কখনো এক সন্তানের বাড়ীতে তো কখনো আরেক সন্তানের বাড়ীতে ঘুরে বেড়াতে হয় আর নাতি নাতনিদের বিনোদন দেয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।
: