মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম না নিলে হয়তো জীবনের মানে বুঝতে পারতাম না।
অনেক কিছুই আছে যা শুধু আমাদের মতো মধ্যবিত্তদেরই চিন্তা করতে হয় ।
যেমন :
১) আমাদের টুথ ব্রাশ সূর্যমুখী ফুল না হওয়া পর্যন্ত ওটা ইউজ করতেই থাকি।
২) আমরা শ্যাম্পুর বোতল শেষ হয়ে গেলে ফেলে দিই না , তাতে জল ঢেলে সপ্তাহ খানেক চালিয়ে দেই।
৩) টুথপেস্ট বা অন্য কোনও পেস্ট শেষ হলে সেটার কোনা কেটে টিপে টিপে বের করি। নিশ্চিন্তে সপ্তাহ খানেক কেটে যায়!
৪) টিভির রিমোট জোরে জোরে টিপি, চড় থাপ্পড় দিই, তবুও নতুন ব্যাটারি লাগানোর কথা মাথায় আসে না।
৫) আমাদের ঘরের দামি প্লেট বাটি গুলো সো-কেজ এ তুলে রাখা হয়, বাড়িতে অতিথি না আসা পর্যন্ত সেগুলো বের করা হয় না ।
৬) আমাদের বাসায় হরলিক্স-এর খালি বোতল ফেলে দেয়া হয় না, তাতে আচার বা অনান্য খাবার ভর্তি করে রাখা হয়।
৭) আমাদের ঘরে চার্জার লাইট বা ইনভারটার থাকে না তাই কারেন্ট চলে গেলে গরমের মাঝেও মোমবাতি বা হ্যারিকেনের আলোতে পড়তে হয় ।
৮) মোবাইলের ব্যাটারী পাওয়ার কম হয়ে গেলেও চার্জে ঢুকিয়ে দিয়ে সারাদিন ফেসবুক ইউজ করি তবুও নতুন ব্যাটারি কিনতে চাই না ।
৯)আর একটা ভিন্ন কার্য, আমরা মধ্যবিত্তরা বড় লোকদের মত নামি দামি রেস্টুরেন্টে চিকেন ফ্রাইড রাইস খেতে পারি না আবার রাস্তার পাশের ভাঙ্গা দোকানটা থেকে মাছি পড়ে থাকা চপ, সিঙ্গাড়া সাথে লিকার চাও খেতে পারি। যেই চা বড়লোকরা খেলে ওয়াক থু করতে করতে কাপটাই আছাড় মারবে।
১০) আমরা পরিবারের সকলের সাথে মিলেমিশে অল্প খাবার ভাগ করে খায়।
তারপরেও আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মনিয়ে যতটা ভালবাসা আর সুখ খুজে পাই তা ওই চার দেয়ালের মাঝে থাকা বড়
লোকরা হয়তো পায় না।
লোকরা হয়তো পায় না।
কারন আমরা হাঁসি ঠাট্টা, মজা করতে ভালোবাসি। আমরা সকলের সাথে এক ঘরে একসাথে থাকতে ভালোবাসি। এটাই আমাদের আনন্দ। এটাই আমাদের জীবন। আমরা মধ্যবিত্ত।
: