ঈগল বা বাজ পাখি এক সময় আর আগের মতো শিকার ধরতে পারে না, কারণ নখ বড় হয়ে বাকা অকেজো হয়ে যায়, ঠোঁটের অগ্রভাগ বেঁকে যায়,
পাখার আকৃতি ওজন বেড়ে যায়!
তখন ধুঁকে ধুঁকে মরা ছাড়া উপায় থাকে না! কিন্তু ঈগল
হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়, সে নিজেকে কিছুটা
আড়াল করে!
অন্ধকার পাহাড়ে আশ্রয় নেয়! অপেক্ষাকৃত দূর্বল এবং
ভিন্ন স্বাদের খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়! সাপ, ব্যাঙ্গ,
কীটপতঙ্গ খায়!
তারপর ঠোঁট দিয়ে পাখাগুলো ঠুকরে ঠুকরে ছিঁড়ে ফেলে!
তারপর ঠুকরে ঠুকরে পাথরের সাথে ভেঙ্গে ফেলে
পায়ের নখ!
সবশেষে ঠোঁট ও ভেঙ্গে ফেলে!
এটা মোটেও সহজ কাজ নয়, তিব্র ব্যাথা হয়! ফুলে যায়, রক্তাক্ত হয়।
এই দীর্ঘ সময় সে অনাহারে অর্ধাহারে কাটায়!
তারপর আবার নতুন করে পাখা গজায়, ঠোট উঠে, নখ
আগের মতো ধারালো তীক্ষ্ণ হয়!
আর এভাবেই সে আগের মতোই স্বগর্বে উড়ে বেড়ায়,
শিকার করে আরো কয়েক যুগ।
পিঁপড়ে মৌমাছি সারাদিন কাজ করে! না তাদের
আমাদের মতো ব্যাংক, হোটেল, ইমারত নেই।
নেই ক্রেডিট কার্ড, গাড়ী, উড়োজাহাজ।
কিন্তু তাদের আছে জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং
জরুরী হিসেব। তারা প্রথমত নিজেদের টিকিয়ে রাখতে
ঘর বা আস্তানা বানায়!
তারপর গড়ে তুলে " ফুড ব্যাংক"!! এই ব্যাংক দেখাশুনা করে তাদের নেতা! যাকে আমরা রাণী বলে জানি।
কেউ কারো ভোল্ট থেকে খাবার খায় না!
শুষ্ক মৌসুমে বা অতিবৃষ্টি তে জমানো খাবার কাজে
লাগে।
এঁদের কেউ আহত হলে অন্যরা টেনে আস্তানায় নিয়ে
যায়।
ঠিক এইভাবে ক্ষুদ্র পিপীলিকা থেকে ধরে বৃহৎ হাতি
পর্যন্ত সবাই দলবেঁধে নিজেদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করে, নিজেদের টিকিয়ে রাখে!
প্রকৃতির এই শিক্ষা যদি মানুষ কখনো সম্পূর্ণ ভাবে
আয়ত্ব করতো, তবে বিপদে আপদে ভেঙ্গে পড়তো না,
সাহস হারাতো না!
আমরা অনেকেই হেরে গেলে হতাশ হয়, আত্নহত্যার পথ
বেছে নেয়।
চুল পেকে গেছে, নিজেকে বৃদ্ধ মনে করে হাত পা
গুটিয়ে ধুকতে থাকি! ডায়াবেটিস শরিরে বাসা বাধায়।
এটা আমাদের আলসেমি, মূর্খামি ছাড়া কিছুই না।
নিজের জন্য না হলেও সন্তানের জন্য বাচুন, মা বাবার
বৃদ্ধ বয়সে সাথী হোন।
সেটা ও সম্ভব না হলে গাছ লাগান! অক্সিজেনের অভাব
পূরণ করুন।
: