দূর থেকে,,,,,,বহুদূর

Post a Comment

দূর থেকে,,,,,,,,বহুদূর

ইশরা দেখলো প্রতিদিনের মতো আজও ছেলেটি সেই গাছটার পিছন থেকে অপলক ভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,,,,,,
মেজাজ টা চরম খারাপ হয়ে যায় ইশরার
রাগে গজগজ করতে করতে ছেলেটির কাছে যায় তারপর,,,,,,,,,
--আপনি আজও এখানে দাড়িয়ে আছেন? (ইশরা)
--.............. নিশ্চুপ (অভ্র)
--কি হলো কথা বলেন না কেন?
আমাকে ফলো কেন করেন?
বলেন 
প্রতিদিন দেখি এখানে দাড়িয়ে ভ্যাবলার মতো আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন,,,,,,,, কেন?
--..............নিশ্চুপ (অভ্র)
-- কি হলো বোবা নাকি
কথা বলতে পারেন না? ( ইশরা রেগে)
-- আমি আপনাকে ভালোবাসি (অভ্র.... মাথাটা নিচু করে)
-- হাহাহা ভালোবাসেন
তা কতটা ভালোবাসেন জানতে পারি কি?(ইশরা)
-- অতটা ভালোবাসি....... যতটা বাসলে কখনোই আপনি কষ্ট পাবেন না (অভ্র)
-- আমার জন্য কি করতে পারবেন? (ইশরা)
-- জীবনটা মা আর বাবার দেয়া...... তাই জীবনটা দেয়া ছাড়া সব করতে পারব (অভ্র)
-- সত্যি তো? (ইশরা)
-- হ্যা (অভ্র)
--আচ্ছা....... 
আপনি যদি সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকেন তো আল্লাহর দোহাই লাগি আর কোন দিন আমার পিছু নিয়েন না
আর কোন দিন যেন আপনাকে আমার দেখতে না হয় (ইশরা)
--এই ডায়রি টা রাখুন
( অভ্র ইশরার হাতে ডায়রিটা দেয়)
ভালো থাকবেন..... নিজের খেয়াল রাখবেন কেমন আর কাজল দিলে আপনাকে খুব সুন্দর লাগে পারলে চোখে কাজল দিয়েন
আর এই কয়টা দিন আপনাকে খুব বিরক্ত করেছি
যদি পারেন তো মাফ করে দিয়েন
শেষ বারের মতো একটা কথা বলবো রাগ করবেন না তো? (অভ্র)
-- যদি শেষ বারের মতো হয় তো রাগ করবো না (ইশরা)
-- বড্ড ভালোবাসি আপনাকে
ভালো থাকবেন 
আল্লাহ হাফেজ
বলেই অভ্র পিছু ফিরে চলে যায়
আর ইশরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে ভাবে
--যাক আজ ছেলেটাকে কিছু বলতে পেরেছি
সেই কবে থেকে শুধু ভ্যাবলার মত চেয়েই থাকতো মেজাজ টা জ্বলে যেত
এসব ভাবতে ভাবতেই বাসায় চলে আসে ইশরা
অভ্রর দেয়া ডায়রিটা ছুঁড়ে স্টোর রুমে ফেলে দেয়
দেবে না কেন?
অভ্রর জন্য ইশরার মনে করুণাও জন্ম নেয়নি যে
পরেরদিন ভার্সিটি থেকে আসার পথে সেই গাছটার নিচে তাকায় ইশরা
নাহ্ ছেলেটা আজ আসেনি
ইশরার খুব ভালো লাগে আর মনে মনে ভাবে 
যাকগে আপদটা আজ আর আসেনি 
খুশি মনে বাসায় চলে আসে ইশরা
এরপর কয়েকটা দিন...... মাস চলে যায়
ইশরা আর কখনোই সেই ছেলেটিকে ঐ গাছটার নিচে দেখেনি
সময়ের সাথে সাথে ইশরা ছেলেটার কথা ভুলে যায়
ভার্সিটির স্মার্ট ছেলে রাজের সাথে রিলেশনে জড়ায় ইশরা
এরপর থেকে ইশরার ভুল করেও মনে পড়েনা কেউ একজন ওকে ভালোবাসতো
একটা একটা করে দিন চলে যায়
ইশরার সাথে রাজের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে,,,,,,,,,,,, সাথে বাড়তে থাকে চাহিদা
একটু ভালোবাসো কথাটি দিয়ে রিলেশন শুরু হলেও এখন এর একথা খাটে না
ঠোটের স্পর্শ শরীরের বিভিন্ন ভাজে নিজেকে হারিয়ে দেয়া,,,,
সব শেষে ভালোবাসার টানে ইশরা নিজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ স্বতিত্ব উপহার দেয়
এরপর সম্পর্ক আগের থেকে আরো গভীর হয় দুজনের চাওয়া পাওয়াটা বাড়তেই থাকে
ইশরা এখন রাজকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা
দিন যায় একটু একটু করে এত মধুর ভালোবাসা পানসে হতে থাকে
একটু একটু করে ইগনোর করতে করতে এক সময় ইশরার সাথে ব্রেকআপটা করেই ফেলে রাজ
কয়েকটা দিন খুব কান্না করে ইশরা
নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে ফেলে
হঠাৎ করেই মনের কোণে উঁকি দেয় কোন একদিন একটা ছেলে ইশরাকে দূর থেকে ভ্যাবলার মত করে দেখতো 
খুব বিরক্ত লাগতো তার ন্যাকামো ভেবেই,,,,,,,,,,
সেদিন ছেলেটাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম যাওয়ার আগে একটা ডায়রি দিয়েছিল
ডায়রিটার কথা মনে পড়তেই ইশরা স্টোর রুমে চলে যায়,,,,,,,,,,, গিয়ে দেখে সেদিন যেভাবে ছুঁড়ে ফেলেছিল ঠিক তেমনই আছে শুধু ধুলো জমে গেছে মলাটে,,,,,,,,
অতি যত্নে ধুলো পরিষ্কার করে ডায়রিটা ঘরে নিয়ে আসে ইশরা 
ডায়রিটা খুলতেই ইশরার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে কেন তা জানেনা ইশরা?
সেখানে খুব সুন্দর করে লেখা
জানিনা ভালোবাসা কি,,,,, জানিনা কি ভাবে ভালোবাসে,,,,,,,,, শুধু জানি আপনাকে দেখার পর থেকে আমার আপনাকে নিয়ে ভাবতে ভালোলাগে,,,,,,, আপনাকে দেখতে ভালোলাগে
তাইতো প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি
আপনার কাজল কালো চোখ আর খোলা চুলে ভিষণ মানায়
আপনার মুখ দেখেই বুঝি আমার তাকিয়ে থাকাতে আপনি বিরক্ত হন তবুও আসি এক পলক দেখতে
কি করবো বলেন 
না দেখলে বড্ড খারাপ লাগে
আমি সত্যি জানিনা কেমন করে ভালোবাসে
তবে এতটুকু বলতে পারি যাকে কখনো কষ্ট দেয়া যায়না,,,,,, যাকে ছাড়া ভালো থাকা যায়না তার জন্য মনের অনুভূতিটাই ভালোবাসা
আমারনা খুব ইচ্ছা আপনাকে আপন করে নেয়ার কথা দিচ্ছি যদি আপন করে পাই তো কখনোই কষ্ট দেবোনা 
খুব ভালোবাসবো খুব,,,,,,, খুব,,,,,,,,,,
ইশরা কান্না শুরু করে দিলো,,,,,,,,,,
আর কিছুই লেখা নেই ডায়রিতে
খুব আফসোস লাগছে ইশরার
সেদিন ছেলেটাকে না বুঝেই কত কিছু বলে দিয়েছি আমাকে ছেলেটা কত ভালোবাসতো
তাইতো শুধু আমার সুখের জন্য আর আসেনি সামনে
ইশরা বাসা থেকে বেড়িয়ে সেই গাছটার কাছে আসল নাহ্ ছেলেটা আজো আসেনি
ছেলেটা আসতো,,,,,,,,, কিন্তু সে যে ভালোবাসার প্রমাণ দিচ্ছে
৪ বছর পার হয়ে গেছে,,,,,,,,,,,
ইশরা আজো প্রতিদিন সেই গাছটার কাছে আসে আর ভাবে এই বুঝি ছেলেটা তাকিয়ে আছে
তবে নাহ্ ছেলেটা আর আসেনা
আর আসবেও না
এক বুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরে ইশরা
এখন ইশরা উপলব্ধি করতে পারছে ছেলেটা কতটা ভালোবাসতো তাকে
যে কারণে হাসি মুখে নিজের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে দূরে চলে গেছে
অভ্রর মত এমন অনেক অনেক ছেলে আছে যারা শুধু একটু ভালোবাসা চায়,,,,,,,, প্রিয় মানুষটাকে পাশে চায়,,,,,, তার সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চায়
তবে ইশরার মত মেয়েরা এমন অভ্রকে ভ্যাবলা ভাবে,,,,,, ভাবে ন্যাকামো
মোহে পড়ে ভদ্র নামের বাজে ছেলের সাথে নিজেকে জড়ায় আর যার শেষ পরিণতি হয় নিজের জীবনটা নষ্ট করা
যখন বুঝতে পারে পবিত্র ভালোবাসাটা হারিয়ে ফেলেছি তখন আফসোস করে,,,,,,,,,
কিন্তু হায় তখন অনেক অনেক দেরি হয়ে যায়
ভালোবাসাটা তখন একটু একটু করে হারিয়ে যায় ঘন কুয়ারার মাঝে,,,,


ভালোলাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন..এখানে নিয়মিত ভালোবাসার গল্প ও অন্যান্য গল্প পোষ্ট করা হয়.. আপনাদের গল্পটি কেমন লাগলো  তা কমেন্ট করে জানাবেন...আপনাদের মতামতের আশায় থাকবো...







Key Words:
bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2018, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2017, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3, বাংলা ভূতের গল্প, ভুত, ভয়ানক ভূতের গল্প ২০১৮, bangla vuter golpo

Related Posts

: