দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসার গল্প

Post a Comment

দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসার গল্প


চমৎকার একটা মুড নিয়ে বসে আছি কলেজ মাঠের একটা গাছের নিচে। দেখলাম তারাননুম আসছে। ভাবলাম পাশে এসে বসবে তাই একটু সরে জায়গা করে দিলাম। বাট তারাননুম এসেই বলা নেই কওয়া নেই ঠাস করে বামগালে একটা চড় বসিয়ে দিলো।
-কিরে মারলি কেনো?
কি আজব।চুপ করে আছে কেন তারান?কি হয়েছে? মুখ তো স্কার্ফে ঢাকা। রেগে আছে নাকি দুঃখে আছে নাকি আনন্দে আছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
-ওই হারামি কথা বল....মারলি কেন?
মহারাণী আমার পাশে বসে ব্যাগ থেকে নোট বের করে পড়তে আরম্ভ করলো। এই মুহূর্তে আমার উচিত তারানকে দুটা চড় দিয়ে জিজ্ঞেস করা ও আমাকে মারল কেনো!!কিন্তু না ওকে মারা যাবে না।ওকে দুটা মারলে ও পরে আরো দশটা মারবে!মোবাইলটা বের করে ফেসবুকে ঢুকলাম। তারান বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাকে জিজ্ঞেস করলো
-হ্যা মি. রাকিব আপনি যেনো কি বলছিলেন?
মুখটা বেশ কাচুমাচু করে বললাম
-আমাকে মারলেন কেনো আপনি?
- এমনি মেরেছি।দূর থেকে দেখলাম তোর গাল চকচক করছে তাই একটু মারলাম।কিছু মনে করিস না ওকে!
-এ্যাহহ.
আর কিছু বললাম না। তারানকে আমি আজো ঠিক বুঝতে পারলাম না। কোনো মেয়ের সাথে ত্রিশমিনিট কথা বললেই বুঝতে পারি সে কোনো টাইপের।কিন্তু তারানের সাথে আজ দেড়বছর আছি অথচ তাকে আজো বুঝলাম না। সবই কপাল।
-রাকিব কি ভাবছিস?
-কিছু না।
-আজকে আমি একটু শপিং এ যাব
-তা আমি কি করব?
-কি আবার করবি আমার সাথে যাবি।
-পারব না।
-ওকে যাস না।
মুখ দেখতে না পারলেও আমি স্পষ্ট বুঝলাম তারান এটা বলে মুখ ঘুরিয়েছে। ওর সাথে শপিংএ আমাকেই যেতে হবে। আমি আজ না গেলে পরে ও আমার উপর বেশ রিভেঞ্জ নিবে এটার জন্য!
শপিংমলে আসলেই আমার মনটা বেশ দারুণ দারুণ লাগে। চারিদিকে সুন্দর সুন্দর রমণী।কাউকে পেত্নী,কাউকে বেশি পেত্নী, কাউকে অনেক বেশি পেত্নী আবার কাউকে বিশ্রী পেত্নীর মতন লাগে। শুধু পেত্নীগুলারে একটু ভালো লাগে দেখতে। ওই তো একটা বেশি পেত্নী আসছে। আমি বেশ হিরো লুক নিয়ে তাদের ক্রস করলাম।মেয়েটা কেমন যেনো মেয়েলুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো।যাক গে
-রাকিব চল ওই দোকানটাই যাব।
-চল...
ব্যাপারটা বুঝি না মেয়েরা দোকানে গেলে দোকানদারকে এমন ভাবে ভাইয়া ডাকে মনে হয় সে যেন তার কত জন্মের ভাই..! আমি আর তারান দুইটা মেয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে আছি।মেয়ে দুইটা যথারীতি দোকানদারকে গদগদ হয়ে ভাইয়া ডাকছে। আমার অস্বস্তি হচ্ছে। মেয়ে দুইটা চলে যাওয়ার পর তারান দোকানদারকে গিয়ে বললো
-আঙকেল আমাকে কিছু কানের দুল দেখান তো!!
তারানের কথা শুনে আমি মেয়েদের মত ফিক করে হেসে দিলাম।তারান আমার দিকে মুখটা ঘুরিয়ে আবার দোকানদারের দিকে তাকালো। মনের সুখে কানের দুল দেখছে।
-রাকিব দেখতো এর মধ্যে কোনটা ভাল্লাগছে?
-নীলটা...
-উফ তুই জানিস না নীল রং আমার ভাল্লাগেনা।
-ওহ।তাহলে সবুজটা নে...
-দেখি কেমন লাগে..
তারান দুইহাতে দুল নিয়ে আমার দুকানে ধরলো। ইশ তারান আমাকে মেয়ে ভাবে নাকি।এভাবে ইনসাল্ট?তোকে পরে দেখে নেব তারান..একদিন তোকে হোসিয়ারির দোকানে নিয়ে গিয়ে আমার জাঙ্গি* তোর গায়ে ধরে দেখব। মুহাহাহা
-আঙকেল এইটা নিব। প্রাইস বলেন।
দোকানদারকে আঙকেল বলায় দোকানদার বেশ ক্ষেপেছে মনে হচ্ছে। মনে হয় না তারান দুল কিনে সুবিধা করতে পারবে।দোকানদার ভাই বেশ বিরক্তি সহকারে বললো
-২২০টাকা।
তারান ব্যাগ থেকে টাকা বের করে বললো
-নিন ২০০টাকা। দুলটা প্যাক করে দিন।
দোকানদার আর কিছু না বলে তারানকে ওটা প্যাক করে দিলো।তারান আমাকে বললো
-রাকিব আজ সোজা বাসায় যাব বুঝলি।
-বুঝলাম।
-ভালো করেছিস।তুই আমার ব্যাগটা আমার বাসায় পৌঁছে দিস আমি একটু মিমদের বাড়ি যাব। আজ অনেক বই এনেছি তাই ব্যাগটা বেশ ভারি !টানতে পারছি না আর।আচ্ছা গেলাম..
-এই তারান শোন।তুই না বললি সোজা বাড়ি যাবি!তারান এই তারান...
তারান চলে গেলো।আমি ওর সাইডব্যাড হাতে নিয়ে শপিংমলের গেটে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। টেনশনে গা দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো। আমার সামান্য ভয় লাগছে। মেয়েদের ব্যাগ আমার হাতে এটা যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে আমার সব শেষ। অন্যদিন হেটে বাসায় যাই কিন্তু আজ একটা অটো নিলাম।সারারাস্তা ঝামেলামুক্ত আসলাম।নেমে টাকা দিচ্ছি তখনই আমাদের বিল্ডিংএর এক ছোট ভাই আমাকে বললো
-কি ব্যাপার ভাইয়া তারাননুম আপুর ব্যাগ আপনার হাতে কেনো??
মুহূর্তেই মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।বেশ স্বাভাবিক স্বরে বললাম
-ও একটু বাইরে গেছে।আমি বাসায় আসলাম তাই ওর ব্যাগটা আমাকে নিয়ে আসতে বলেছে।ব্যস এটুকুই!
ছোটভাই কথাটা গিললো বলে মনে হলো না।রহস্যজনক একটা হাসি দিয়ে ঠিক আছে বলে চলে গেলো।
তিনতলায় উঠে তারানদের দরজায় নক করলাম। এইসময় তারানের বাবা বাসায় চলে আসেন। নক করলে তিনিই দরজা খুলেন।আজও তিনিই দরজা খুলে মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললো
-মেয়েটা তোমাকে জ্বালিয়ে খাচ্ছে দেখছি। তারান হয়েছে ঠিক ওর মায়ের মতন। এক্কেবারে....
ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো
-আমাকে কিছু বলছ নাকি তারানের বাবা??
আঙকেল আমার দিকে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো
-না না না তোমাকে কিছু বলি নি। রাকিব এসেছে তার সাথে কথা বলছিলাম।
তারানদের বাসা থেকে সোজা আমাদের বাসার দরজায় এসে নক করলাম। তারানদের বাসা তিনতলাতে আর আমাদেরটা চারতলাতে।আম্মু দরজা খুলতেই সোজা আমার রুমে গিয়ে গা এলিয়ে দিলাম।তারানের সাথে আর কথা বলব না।এমন না যে আমি ওকে প্রপোজ করেছি বাট ও আমাকে বেশ পাকাচ্ছে!ধুতত....
একটু ঘুমিয়েছিলাম।কারো নিঃশ্বাসের গরম বাতাসে ঘুম ভেঙে গেলো।তাকিয়ে দেখি তারান আমার গালে কি যেনো দেখছে।ওর চোখ এতত কাছে যেনো আমার গালে ঢুকে যাবে এমন অবস্থা!মারলাম এক ধাক্কা..
-ওই তারান ওই তুই আমার গালে কি দেখিস?
-উফ এত জোরে কেউ ধাক্কা মারে নাকি!
-কি দেখছিলি বল
-তোর খোচা খোচা দাড়ি দেখছিলাম।এটা কেমন স্টাইলে উঠেছে কে জানে।মাঝখানে কেমন ফাকা।এটাই দেখছিলাম আরকি!
মুখটা বাকিয়ে তারানকে বললাম
-এখন যা আমি ঘুমাব!
-কিসের ঘুম? এখন ঘুমাস আর সারারাত ফেসবুকে লুতুপুতু চ্যাট করিস।
-তোর কি? এখন ভাগ...
-ওকে।বাট তুই আব্বাকে কি বলেছিস? আমি তোকে জ্বালিয়ে মারছি?
-কিহহহ এটা কখন বলেছি??
-আব্বা বললো ব্যাগ দেওয়ার সময় নাকি এটা বলেছিস।যাইহোক গেলাম।
হায়রে এখন দেখি বাপ মেয়ে দুটাই আমাকে জ্বালিয়ে মারছে।ওর সাথে আর কথা বলব না আমি।
.
পরদিন কলেজে যাওয়ার সময় দেখলাম তারানও বের হয়েছে।আমি একবার ওর দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে আসলাম।সারাদিনে একটা কথাও বললাম না।তারান আমার দিকে আসলেই আমি উল্টা দিকে দৌড়। ডাকলেও থামছি না অবশ্য একবারের বেশি ডাকেও নি। তারান একটা যাচ্ছেতাই মেয়ে।হেট হার।
.
গত দুইদিন তারানকে পাত্তা দিই নি।বাসায় আসলেও পাত্তা দিই নি।এতে মনে হচ্ছে না তারানের কোনো অসুবিধা হচ্ছে ও দিব্যি ওর কাজ করে যাচ্ছে।বাট সমস্যা হচ্ছে আমার।ওর সাথে কথা না বলে আমারই কেমন খালি খালি লাগছে।
এখন তারান আমার পিসির সামনে বসে কি যেনো দেখছে।আমি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছি।তারানের হাবভাব দেখলে মনে হয় এটা আমার না ওর রুম।আমি যে এত রাগ করে আছি এদিকে ওর কোনো কেয়ার ই......
-এই রাকিব শোন...
উফ ভাবতে গেলেও তারান ডিস্টার্ব করে।ওকে উত্তর দিব না।
-শোন না রাকিব....
হ্যাহ ডেকে ডেকে মরে যা তাও উত্তর নিব না।
-রাকিব আমি তোকে ভালোবাসি....
এ্যাহহ কি শুনলাম এইটা।ঠিক নাকি ভুল? তারান তো কখনো ফাইজলামি করে না।তার মানে কি সত্যিই???
-আচ্ছা শোন...আমি তোকে ভালোবাসি তো এইবার থেকে যেনো ওই নিধীর সাথে তোকে আর কথা বলতে না দেখি!ফেসবুকে তো ওকে নিয়ে খুব স্ট্যাটাস দিস। এখন গেলাম...
নিধী মেয়েটাকে ইদানীং খুব ভালো লাগে আমার।ভাব জমানোর চেষ্টা করছি আরকি।তারানকে আমি ভালোবাসতে পারি না।কারণ তাকে আমার বন্ধু হিসেবেই মানায় জিএফ হিসেবে তারান পুরাই জঘন্য। কিন্তু ও যে আমায় ভালোবাসি বললো!বাট ওকে আমি কখনোই ভালোবাসব না।
.
আরো দুইদিন তারানকে পাত্তা দিলাম না।তাতে ওর কোনো সমস্যা হয়নি।যেমন ছিলো তেমনি আছে।নিধীর সাথে আজ যেভাবেই হোক কথা বলব।ওই তো নিধী বকুলতলায় বসে আছে।
-হাই রাকিব।কেমন আছ?
-ভালোই। তুমি কেমন আছ?
-চলছে।তা এদিকে কোথায় আসলে?
-তোমার কাছেই আসলাম।
-আমার কাছে!!কি দরকার?
-না মানে এমনি...
-ও
-হুম।
আমি আর কোনো কথা খুজে পাচ্ছি না বলার জন্য। নিধীও কিছু বলছে না।অবশ্য বেশি কথা বলা মেয়ে আমার পছন্দও না।
-আমি আজ তাহলে যাই।পরে কথা হবে।
নিধী আমাকে রেখে চলে গেলো।আমি তখনও ওখানেই বসে আছি।একটু পর বাসায় যাব।
.
তারানের সাথে তেমন সম্পর্কই বহাল আছে।পাত্তা না দেওয়া সম্পর্ক।
-রাকিব শোন!
এখানে তারান আসলো কোথা থেকে?যাইহোক কথা বলব না।
-নিধীর সাথে তুই আর কথা বলবি না।এলাকার বড়ভাই ওকে পছন্দ করে।জানিস না নিধীর জন্য তিনি সব খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছে।সে তোকে ফলো না করলেও তার কয়েকটা বন্ধু তোকে ফলো করছে।তুই এভাবে নিধীর পিছে লাগলে তোর সমস্যা হতে পারে।তাই...
তারানের কথা পুরোটা না শুনেই চলে আসলাম। আমাকে ভয় দেখানোর জন্য ওমন বলছে আমি সিউর!
.
গত দুইদিন তারানের তেমন কোনো দেখা পাইনি।এমনই হয় কাউকে পাত্তা না দিলেই সে তাকে ভুলে অন্যজনকে ভালোবাসে।তারানও হয়তো অন্য কাউকে ভালোবাসছে। ওকে ব্যাপার না। ওহ নিধী তো আমাকে বিকাল পাঁচটায় ডেকেছে।আজ ওকে মনের কথা বলবই।
-রাকিব তুমি কি আমাকে পছন্দ করো?
নিধীর কথাতে আমি একটুও বিচলিত না হয়ে উত্তর দিলাম
-হ্যা করি।ভালোও বাসি।
-কিন্তু এটা কখনই সম্ভব না।তুমি আমাকে পছন্দ করা বন্ধ করো। একজন আমাকে ভালোবাসে।হয়ত একটু বেশিই ভালোবাসে।সে আমার ভালোবাসা পাবার জন্য নিজেকে খারাপ থেকে ভালো করার চেষ্টা করছে।
-তুমিও তাকে ভালোবাসো?
-না
-তাহলে আমাকে ভালোবাসতে কি সমস্যা!!
-সমস্যা কারণ আমি তার ভালোবাসাকে সম্মান করি।আমি চাইনা সে ভালো হয়ে আমার কাছে এসে কষ্ট পাক।কেউ আমার জন্য নিজেকে বদলাতে গেছে আর আমি অপেক্ষা না করে যদি নিজেই বদলে যাই তাহলে নিজেকে মাফ করব কিকরে।এভাবে আমাকে আর ফলো করো না তোমার নিজেরই সমস্যা হতে পারে!
এগুলা বলেই নিধী চলে গেলো।আমি ঠাই সেখানেই বসে রইলাম।তারানকে একটু একটু মিস করছি।নিধীকে যে ভালোবাসে নিধী তাকে ভালোবাসে না কিন্তু তাও তার ভালোবাসাকে কত সম্মান করে। আর আমি!!! তারানকে এভাবে ইগনোর করছি!হায় আল্লাহ...
উদাস ভঙ্গিতে বাসার দিকে রওনা দিলাম।ততটাও ভালো লাগছে না তারানের সাথে আজ কথা বলতে হবে!হঠাৎ তিনটা ছেলে এসে আমার গায়ে এদিক ওদিক মারতে আরম্ভ করলো।কিছু বলার আগেই আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে শুরু করলো।একপর্যায়ে আমাকে বললো
-নিধী ভাবীর আশেপাশে আর যেন না দেখি!
এই একটা বাক্য বলেই ওরা চলে গেলো।আমার গায়ে তেমন একটা লাগে নি বাট কেনো জানি ঠোঁট কেটে রক্ত পড়ছে।ওখান থেকে উঠে বাসার দোতলা পর্যন্ত উঠতেই আমার মাথা চক্কর দেওয়া আরম্ভ হলো।অনেক কষ্টে তারানদের দরজার কাছে এসেই পড়ে গেলাম।মনে হয় অজ্ঞান হয়েছি।
.
ঘুম ভাঙলো কারো নিঃশ্বাসের গরম বাতাসে। চোখ খুলে দেখি তারান আমার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে ঠোঁটের মধ্যে ঢুকে যাবে।আমি ওকে ধাক্কা দিতেই আওওওও করে শব্দ করে উঠলাম।তখন ব্যথা টের না পেলেও এখন হাড়ে হাড়ে ব্যথা টের পেলাম।ওমনি তারান বলে উঠলো
-দেখছিলাম ঠোঁটের কোন জায়গা কেটেছে।দরজার বাইরে যখন পড়ে ছিলি তখন ভাবলাম তোকে মনে হয় ছিনতাইকারী ধরেছিলো। পরে দেখলাম মোবাইল মানিব্যাগ ঠিকই আছে।তারপর মনে হলো নিধীর জন্য এমন হতে পারে।তোকে চাকুটাকু মেরেছে কিনা দেখলাম।কোথাও রক্ত পাইনি বাট ঠোঁট লাল রক্তে টুকটুক করছিলো।হে হে তোকে লিপস্টিক দিয়ে দিলে ভালোই লাগবে।
মনে মনে ভাবলাম তারানকে কিছু বলব তখনই দেখি আম্মু আসলো।
-ফলগুলা খা। এই তারান তুমি ওকে সবগুলা খাওয়াবে ঠিক আছে!!আমি ওষুধ নিয়ে আসি।
-জ্বী....
আম্মুর উপর রাগ হলো।আমাকে বললে আমি কি খেতাম না নাকি।একটা আপেল নিতে যাব তখনই তারান প্লেটটা হাতে নিয়ে পাঁচটা ফলেই একটা করে কামড় বসিয়ে দিয়ে আমার দিকে প্লেটটা এগিয়ে দিলো।
-নে এবার খা...
-ইয়াক.....
-সবগুলা না খেলে বলব তুই এমন এক কামড় দিয়ে সবগুলা রেখে দিছিস।এখন গেলাম।হিহি...
বাধ্য হয়ে দুইটা আপেল খেলাম।আম্মু এসে ওষুধ খাইয়ে বকা আরম্ভ করে দিলো।এভাবে আপেল কামড়ানো দেখে।শরীর ব্যথা না হলে আম্মু মনে হয় চড় বসিয়ে দিত।সব ওই তারানের দোষ...ওর সাথে কথা বলব না।
.
ফোন বাজার শব্দে ঘুম ভাঙলো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দুইটা বারো।ফোনে দিকে তাকিয়ে দেখি তারান ফোন দিছে।ফোন দিছে কি জন্যে।যত্তসব।রিসিভ করে হ্যালো বলতে যাব তখনই
-থাক কথা বলার দরকার নেই।ছাদে আয়।
কল কেটে গেছে।বিছানা ছেড়ে উঠলাম।তেমনটা আর ব্যথা নেই গায়ে।গেঞ্জিটা গায়ে দিয়ে ছাদে গেলাম।তারান বসে আছে পা নিচে ঝুলিয়ে।আমিও ওর পাশে গিয়ে পা ঝুলিয়ে বসে পড়লাম।আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি চাঁদের অর্ধেক।মানে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আরকি।তারান কিছুক্ষণ পর আমার ঘাড়ে মাথা রেখে বললো
-তোকে না বলে একটা কাজ করে ফেলেছি।
আমার জানতে ইচ্ছে হলো কি করেছিস! কিন্তু ওর সাথে কথা বলব না আমি।তাই জিজ্ঞেস করলাম না।
-তোর ঠোঁট কেটে লাল টুকটুকে হয়ে গিয়েছিলো।হঠাৎ করে কি মনে হলো তোর লিপে কিস দিয়ে ফেলেছিলাম তখনই কিছু রক্ত আমার ঠোঁটে লেগে যাওয়ার কারণে আমি সেটা খেয়ে ফেলেছি।
আমি তখনই অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে করলাম
-কিহহহহহহহহহহহ...........
তারান বেশ হাসিহাসি চেহারা নিয়ে বললো
-কি আবার....ভালোবাসিহহহহহহহহহ
আমি চোখদুটো আরো বড় করে তারানের মাথায় হালকা টোকা নিয়ে পাগলি একটা বলেই হো হো করে হেসে উঠলাম।


ভালোলাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন..এখানে নিয়মিত ভালোবাসার গল্প ও অন্যান্য গল্প পোষ্ট করা হয়.. আপনাদের গল্পটি কেমন লাগলো  তা কমেন্ট করে জানাবেন...আপনাদের মতামতের আশায় থাকবো...







Key Words:
bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2018, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2017, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3, বাংলা ভূতের গল্প, ভুত, ভয়ানক ভূতের গল্প ২০১৮, bangla vuter golpo

Related Posts

: