শারিফা= হ্যালো, মিঃ বান্দর শয়তান
রবিন= আয় হায়, একসাথে এতগুলা টাইটেল হজম করতে পারমু??
শারিফা= আপনে হজম করতে পারবেন না, পৃথিবীতে এমন কিছু আছে নাকি! সারাদিনইত খালি খাই খাই করেন
রবিন= কি!! আমি সারাদিন খাই খাই করি??
শারিফা= হুম করেন, সারাদিন খালি বাচ্চাদের মত খাই খাই করেন।
রবিন= আমি বাচ্চা???
শারিফা= হুম একটা কিউট বাচ্চা
রবিন= তাহলে কোলে নাও,
শারিফা= হাতিকে কি কেও কোলে নেয়!! পাগল, তার ছিরা।
রবিন= কি ব্যাপার!! আজকে আমারে বিশেষণের উপরে বিশেষণ দিয়া দিয়া বিশেষায়িত করতাছো।
শারিফা= আপনে তো বিশেষ ব্যাক্তি, তাই
রবিন= ঠিক ঠিক, তাই আজকে তোমারে একটা বিশেষ নিউজ দিব।
শারিফা= কি নিউজ??
রবিন= আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে, আমার জন্য একটা মেয়ে দেখছে।
শারিফা= সত্যি??
রবিন= হুম, কিন্তু আমি না করে দিছি, মেয়েটা আমার পছন্দ না।
শারিফা= কেন??
রবিন= মেয়েটার পিছনে অনেকগুলা ছেলে ঘুরে, অনেক ছেলেই মেয়েটাকে পছন্দ করে, এতো ছেলের মধ্যে ও নিশ্চয় কাউকে না কাউকে পছন্দ করে। তার উপরে মেয়েটা আমাকে বড় ভাইয়ের মত ট্রিট করে। তাই নানায় অন্য মেয়ে দেখা শুরু করছে। মানে এক কথায় আমার বিয়ের তড়িঘড়ি চলছে।
শারিফা= বুঝলাম, আপনে বিয়ে করবেন
রবিন= হুম, ভালো বুঝছ। এখন রাখি। বায়
শারিফা= ঠিকআছে, বায়।
.
.
রবিন কে শারিফা ফ্রেন্ডই মনে করতো, কিন্তু রবিনের বিয়ের কথা শুনে কেমন জানি ওর বুকের ভিতর হামারপেটা শুরু করল, নিঃশ্বাস কেমন ভারী হতে লাগলো, হঠাত করে বুক বেথ্যা করতে শুরু করলো। পরিবারের কোন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যখন কোথাও বেড়াতে যায় তখন যেমন বাড়িটা খালি খালি লাগে, ওর কাছেও ঠিক তেমন ই লাগতে শুরু করল। মনে হচ্ছে নিজের সবচেয়ে আপন কেও দূরে সরে যাবার চেষ্টা করছে। শারিফা আর রবিন সব সময় এক সাথেই চলা ফেরা করে, দুষ্টামি করে, প্রতিদিন দেখা না হলেও ফেইসবুকে প্রত্যেকটা ঘণ্টা কানেক্ট থাকে। কিন্তু রবিনের বিয়ে শারিফা কোনভাবেই মানতে পারছে না। এতো দিনে বুঝতে পেরেছে সে রবিন কে ভালোবাসে।
.
শারিফার খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম। কারো সাথে বেশি কথা বলে না। সারাটা দিন বিছানায় শুয়ে কেদে কেঁদে পার করেছে।
.
.
পরের দিন
রবিন= এই শারিফা তোমার খবর কি??
শারিফা= আমার খবর বাদ দেন, আপনার বিয়ের খবর কি??
রবিন= কার বিয়া??
শারিফা= আপনে না গতকাল বললেন আপনার বিয়ের কথা চলছে।
রবিন= ও...... ঐটা!! ঐটা তো আমি এমনেই বলছি
শারিফা= এমনেই বলছেন মানে???
রবিন= মানে চাপা মারছি
শারিফা= কি? চাপা মারছেন?
রবিন= হুম। চাপা মারছি।
শারফা চোখে মুখে এক গুচ্ছ রাজ্য জয়ের হাসি নিয়ে আবারও জিজ্ঞেস করল= সত্যি????
রবিন= আরে হ্যাঁ চাপা।
শারিফা= কি শয়তানরে, বান্দর একটা, চাপাবাজ। আমিতো ভাবছি সত্যি সত্যি। আমিও একটা চাপা মারি??
রবিন= হুম মারো
শারিফা= আমার একটা বয়ফ্রেন্ড আছে, আমার মতই নম্র-ভদ্র আর অল্প দুষ্ট
রবিন= নাম কি??
শারিফা= নাম সিক্রেট, বলা যাবে না
রবিন= কথা টা সত্য হিসেবে মানলাম
শারিফা= কেন সত্য মানলেন? আমি বলছি না এটা চাপা।
রবিন= আমার ইচ্ছা, তাই সত্য মানছি
শারিফা= কেন, আপনে মানবেন??
রবিন= আরে এই সব বাদ দেও, তোমাকে আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো।
শারিফা= কি কথা??
রবিন= I LOVE YOU ………………………………………
………
……………………………………… ………
……………………………………… …………
………………………………………
……………………………………… …
……………………………………… …
……………………………………… …
……………………………………… …
………………………………. মুভিটা দেখছ?? 😆😆
.
.
শারিফা ইতিমদ্ধ্যে বিষয়টা ভালোই বুঝতে পারছে যে সে রবিনকে ভালোবাসে। কিন্তু হঠাত করে প্রপোজ করাটা সে কোন ভাবেই আশা করে নি। সে কোন কিছুই ভাবতে পারছে না। অতিআবেগ আর উত্তেজনায় সে কাঁপতে থাকে। সে কি এখনই উত্তর দিবে “আমিও তোমাকে ভালবাসি” নাকি লজ্জায় চুপ করে থাকবে, কোন কিছুই স্থির করতে পারছেনা, ঠিক সেই মুহূর্তেই রবিন বলে উঠে “মুভিটা দেখছ??” । সাথে সাথে শারিফার মুখটা ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল, সর্বদা হাসজ্জল চেহারাটা কেমন জানি মলিন হয়ে গেল। শারিফা বুঝতে পেরেছে এটা কোন লাভ প্রপোজাল নয়, একটা দুষ্টামি। ভালোবাসার মানুষ প্রপজ করবে এটা পৃথিবীর সব মেয়ের প্রত্যাশা, কিন্তু এমন ঠাট্টা কেওই প্রত্যাশা করে না। শারিফা অনেক কষ্টে নিজের কান্না ধরে রেখে বলতে শুরু করে= শয়তান, বান্দর, আমিতো ভাবছি সত্যি সত্যি প্রপজ করছেন। কি শয়তান রে।
রবিন= হাহাহা,
শারিফা= একটা কথা বলবো
রবিন= কি কথা??
শারিফা= ফেইসবুকে একটা ছেলে আমাকে প্রপজ করেছে।
রবিন= তারপর
শারিফা= আমি নিষেধ করে দিছি
রবিন= ভালো করছ
শারিফা= কিন্তু ছেলেটা বারবার বিরক্ত করতেছে
রবিন= ছেলেটাকে ব্লক করে দাও
শারিফা= ঠিক আছে, ব্লক করে দিব। এখন যাই
রবিন= ঠিক আছে, যাও
.
.
শারিফার কথা শুনে রবিন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ল, শারিফাকে হারানোর ভয় ওর মধ্যে জেঁকে বসেছে। ভাবছে কি করা যায়। রবিন শারিফাকে আগে থেকেই পছন্দ করে কিন্তু কখন বলেনি। কিচ্ছুক্ষণ ভেবেই সিদ্ধান্ত নিল কাল সকালে কলেজে যাওয়ার আগে শারিফাকে ফেইসবুকে ম্যাসেজ দিয়ে প্রপজ করবে। পরক্ষনেই ভাবল এখনই ম্যাসেজ দিয়ে প্রপজ করি। কিন্তু ম্যাসেজ দিতে গিয়ে রবিনের ‘I LOVE YOU’ লেখার ও সাহস হয়না। বার বার লেখে আবার ভয়ে ভয়ে মুছে ফেলে। আসলে প্রপজ করা খুব কঠিন কাজ, এই কারণে মেয়েরা এই কাজ টা করতে পারেনা। অবশেষে রবিন ভাবল ‘I LOVE YOU’ লেখা একটা পিকচার সেন্ড করে দেই। গুগল থেকে একটা পিকচার ডাউনলোড করে শারিফার ইনবক্সে সেন্ড করে দেয়
.
পিকচার টা সেন্ড করার পর থেকে রবিনের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। শারিফা যদি প্রত্যাখ্যান করে, যদি কষ্ট পায়। শারিফাকে হারানোর ভয়ে রবিনের চোখের ঘুমে উবে গেছে। সারারাত এপাস ওপাস করে সকাল বেলা কলেজে চলে যায়। কিন্তু সেখানেও শান্তি নাই, দুশ্চিন্তায় কোথাও এক সেকেন্ড নির্ভাবনায় বসতেও পারছে না। ভয়ে ফেসবুকেও লগিন দেয়ার সাহস হয়না। প্রায় দুপুরের সময় ভয়ে ভয়ে ফেইসবুকে লগিন দেয়= সাথে সাথে শারিফার মেস্যাজ আসে= পিকচার টা নাইছ, পেন্সিল টাও নাইছ, কালারও নাইছ, লেখা টাও নাইছ।
রবিন= তোমাকে আমি এগুলো দেখতে বলছি! যা লেখা আছে তার উত্তর দাও।
শারিফা= সরি, আমি এসব নিয়ে কখনো ভাবি নাই, আমার রিলেশনে যাবার ইচ্ছা নাই। প্লীজ ডোন্ট মাইন্ড,
রবিন= আমি মাইন্ড করি নাই, সরাসরি উত্তর দেয়ার জন্য থ্যাংকস
শারিফা= সত্যি আপনে মাইন্ড করেন নাই??
রবিন= নাহ, মোটেই না
শারিফা= তাহলে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে
রবিন= হাহাহা
😍😍
রবিন বুঝতে পেরেছে শারিফা লজ্জা আর ভয়ে সরাসরি উত্তর দিতে পারেনি। কিন্তু তাতে কি!! ভালোবাসার শুরু একভাবে হলেই হোল।
রবিন= আয় হায়, একসাথে এতগুলা টাইটেল হজম করতে পারমু??
শারিফা= আপনে হজম করতে পারবেন না, পৃথিবীতে এমন কিছু আছে নাকি! সারাদিনইত খালি খাই খাই করেন
রবিন= কি!! আমি সারাদিন খাই খাই করি??
শারিফা= হুম করেন, সারাদিন খালি বাচ্চাদের মত খাই খাই করেন।
রবিন= আমি বাচ্চা???
শারিফা= হুম একটা কিউট বাচ্চা
রবিন= তাহলে কোলে নাও,
শারিফা= হাতিকে কি কেও কোলে নেয়!! পাগল, তার ছিরা।
রবিন= কি ব্যাপার!! আজকে আমারে বিশেষণের উপরে বিশেষণ দিয়া দিয়া বিশেষায়িত করতাছো।
শারিফা= আপনে তো বিশেষ ব্যাক্তি, তাই
রবিন= ঠিক ঠিক, তাই আজকে তোমারে একটা বিশেষ নিউজ দিব।
শারিফা= কি নিউজ??
রবিন= আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে, আমার জন্য একটা মেয়ে দেখছে।
শারিফা= সত্যি??
রবিন= হুম, কিন্তু আমি না করে দিছি, মেয়েটা আমার পছন্দ না।
শারিফা= কেন??
রবিন= মেয়েটার পিছনে অনেকগুলা ছেলে ঘুরে, অনেক ছেলেই মেয়েটাকে পছন্দ করে, এতো ছেলের মধ্যে ও নিশ্চয় কাউকে না কাউকে পছন্দ করে। তার উপরে মেয়েটা আমাকে বড় ভাইয়ের মত ট্রিট করে। তাই নানায় অন্য মেয়ে দেখা শুরু করছে। মানে এক কথায় আমার বিয়ের তড়িঘড়ি চলছে।
শারিফা= বুঝলাম, আপনে বিয়ে করবেন
রবিন= হুম, ভালো বুঝছ। এখন রাখি। বায়
শারিফা= ঠিকআছে, বায়।
.
.
রবিন কে শারিফা ফ্রেন্ডই মনে করতো, কিন্তু রবিনের বিয়ের কথা শুনে কেমন জানি ওর বুকের ভিতর হামারপেটা শুরু করল, নিঃশ্বাস কেমন ভারী হতে লাগলো, হঠাত করে বুক বেথ্যা করতে শুরু করলো। পরিবারের কোন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যখন কোথাও বেড়াতে যায় তখন যেমন বাড়িটা খালি খালি লাগে, ওর কাছেও ঠিক তেমন ই লাগতে শুরু করল। মনে হচ্ছে নিজের সবচেয়ে আপন কেও দূরে সরে যাবার চেষ্টা করছে। শারিফা আর রবিন সব সময় এক সাথেই চলা ফেরা করে, দুষ্টামি করে, প্রতিদিন দেখা না হলেও ফেইসবুকে প্রত্যেকটা ঘণ্টা কানেক্ট থাকে। কিন্তু রবিনের বিয়ে শারিফা কোনভাবেই মানতে পারছে না। এতো দিনে বুঝতে পেরেছে সে রবিন কে ভালোবাসে।
.
শারিফার খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম। কারো সাথে বেশি কথা বলে না। সারাটা দিন বিছানায় শুয়ে কেদে কেঁদে পার করেছে।
.
.
পরের দিন
রবিন= এই শারিফা তোমার খবর কি??
শারিফা= আমার খবর বাদ দেন, আপনার বিয়ের খবর কি??
রবিন= কার বিয়া??
শারিফা= আপনে না গতকাল বললেন আপনার বিয়ের কথা চলছে।
রবিন= ও...... ঐটা!! ঐটা তো আমি এমনেই বলছি
শারিফা= এমনেই বলছেন মানে???
রবিন= মানে চাপা মারছি
শারিফা= কি? চাপা মারছেন?
রবিন= হুম। চাপা মারছি।
শারফা চোখে মুখে এক গুচ্ছ রাজ্য জয়ের হাসি নিয়ে আবারও জিজ্ঞেস করল= সত্যি????
রবিন= আরে হ্যাঁ চাপা।
শারিফা= কি শয়তানরে, বান্দর একটা, চাপাবাজ। আমিতো ভাবছি সত্যি সত্যি। আমিও একটা চাপা মারি??
রবিন= হুম মারো
শারিফা= আমার একটা বয়ফ্রেন্ড আছে, আমার মতই নম্র-ভদ্র আর অল্প দুষ্ট
রবিন= নাম কি??
শারিফা= নাম সিক্রেট, বলা যাবে না
রবিন= কথা টা সত্য হিসেবে মানলাম
শারিফা= কেন সত্য মানলেন? আমি বলছি না এটা চাপা।
রবিন= আমার ইচ্ছা, তাই সত্য মানছি
শারিফা= কেন, আপনে মানবেন??
রবিন= আরে এই সব বাদ দেও, তোমাকে আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো।
শারিফা= কি কথা??
রবিন= I LOVE YOU ………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………………
………………………………. মুভিটা দেখছ?? 😆😆
.
.
শারিফা ইতিমদ্ধ্যে বিষয়টা ভালোই বুঝতে পারছে যে সে রবিনকে ভালোবাসে। কিন্তু হঠাত করে প্রপোজ করাটা সে কোন ভাবেই আশা করে নি। সে কোন কিছুই ভাবতে পারছে না। অতিআবেগ আর উত্তেজনায় সে কাঁপতে থাকে। সে কি এখনই উত্তর দিবে “আমিও তোমাকে ভালবাসি” নাকি লজ্জায় চুপ করে থাকবে, কোন কিছুই স্থির করতে পারছেনা, ঠিক সেই মুহূর্তেই রবিন বলে উঠে “মুভিটা দেখছ??” । সাথে সাথে শারিফার মুখটা ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল, সর্বদা হাসজ্জল চেহারাটা কেমন জানি মলিন হয়ে গেল। শারিফা বুঝতে পেরেছে এটা কোন লাভ প্রপোজাল নয়, একটা দুষ্টামি। ভালোবাসার মানুষ প্রপজ করবে এটা পৃথিবীর সব মেয়ের প্রত্যাশা, কিন্তু এমন ঠাট্টা কেওই প্রত্যাশা করে না। শারিফা অনেক কষ্টে নিজের কান্না ধরে রেখে বলতে শুরু করে= শয়তান, বান্দর, আমিতো ভাবছি সত্যি সত্যি প্রপজ করছেন। কি শয়তান রে।
রবিন= হাহাহা,
শারিফা= একটা কথা বলবো
রবিন= কি কথা??
শারিফা= ফেইসবুকে একটা ছেলে আমাকে প্রপজ করেছে।
রবিন= তারপর
শারিফা= আমি নিষেধ করে দিছি
রবিন= ভালো করছ
শারিফা= কিন্তু ছেলেটা বারবার বিরক্ত করতেছে
রবিন= ছেলেটাকে ব্লক করে দাও
শারিফা= ঠিক আছে, ব্লক করে দিব। এখন যাই
রবিন= ঠিক আছে, যাও
.
.
শারিফার কথা শুনে রবিন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ল, শারিফাকে হারানোর ভয় ওর মধ্যে জেঁকে বসেছে। ভাবছে কি করা যায়। রবিন শারিফাকে আগে থেকেই পছন্দ করে কিন্তু কখন বলেনি। কিচ্ছুক্ষণ ভেবেই সিদ্ধান্ত নিল কাল সকালে কলেজে যাওয়ার আগে শারিফাকে ফেইসবুকে ম্যাসেজ দিয়ে প্রপজ করবে। পরক্ষনেই ভাবল এখনই ম্যাসেজ দিয়ে প্রপজ করি। কিন্তু ম্যাসেজ দিতে গিয়ে রবিনের ‘I LOVE YOU’ লেখার ও সাহস হয়না। বার বার লেখে আবার ভয়ে ভয়ে মুছে ফেলে। আসলে প্রপজ করা খুব কঠিন কাজ, এই কারণে মেয়েরা এই কাজ টা করতে পারেনা। অবশেষে রবিন ভাবল ‘I LOVE YOU’ লেখা একটা পিকচার সেন্ড করে দেই। গুগল থেকে একটা পিকচার ডাউনলোড করে শারিফার ইনবক্সে সেন্ড করে দেয়
.
পিকচার টা সেন্ড করার পর থেকে রবিনের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। শারিফা যদি প্রত্যাখ্যান করে, যদি কষ্ট পায়। শারিফাকে হারানোর ভয়ে রবিনের চোখের ঘুমে উবে গেছে। সারারাত এপাস ওপাস করে সকাল বেলা কলেজে চলে যায়। কিন্তু সেখানেও শান্তি নাই, দুশ্চিন্তায় কোথাও এক সেকেন্ড নির্ভাবনায় বসতেও পারছে না। ভয়ে ফেসবুকেও লগিন দেয়ার সাহস হয়না। প্রায় দুপুরের সময় ভয়ে ভয়ে ফেইসবুকে লগিন দেয়= সাথে সাথে শারিফার মেস্যাজ আসে= পিকচার টা নাইছ, পেন্সিল টাও নাইছ, কালারও নাইছ, লেখা টাও নাইছ।
রবিন= তোমাকে আমি এগুলো দেখতে বলছি! যা লেখা আছে তার উত্তর দাও।
শারিফা= সরি, আমি এসব নিয়ে কখনো ভাবি নাই, আমার রিলেশনে যাবার ইচ্ছা নাই। প্লীজ ডোন্ট মাইন্ড,
রবিন= আমি মাইন্ড করি নাই, সরাসরি উত্তর দেয়ার জন্য থ্যাংকস
শারিফা= সত্যি আপনে মাইন্ড করেন নাই??
রবিন= নাহ, মোটেই না
শারিফা= তাহলে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে
রবিন= হাহাহা
😍😍
রবিন বুঝতে পেরেছে শারিফা লজ্জা আর ভয়ে সরাসরি উত্তর দিতে পারেনি। কিন্তু তাতে কি!! ভালোবাসার শুরু একভাবে হলেই হোল।
written by হাসানুর রহমান
: