বাহিরে প্রচণ্ড বৃষ্টি।বিদ্যুৎও
"নিধী..নিধী" বলে দুবার ডাক দিলাম।
কোনো সাড়া শব্দ করছেনা।অতঃপর রেগে ওর কাছে গেলাম।বালিকা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে। ঝিরঝির বাতাসে মাঝে মধ্যে চুল গুলো উড়ে যাচ্ছে।যা দেখে মনে এক নেশা জাগ্রত হলো।
সোজা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। নিধী নিশ্চুপ। কোনো নড়াচড়া না করে মূর্তি ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।
সরকারি সুযোগসুবিধা পেয়ে ঘাড়ের কাছ থেকে আলতো ভাবে চুল গুলো সরিয়ে ঠোঁটের স্পর্শ দিলাম।
সাথে সাথে শুরু হয়ে গেলো......
- কি...পাইছোটা কি আমায়? যখন ইচ্ছা রাগ করবা যখন ইচ্ছা আদর করবা।খেলার পুতুল নাকি আমি?
- সকালের ব্যাপার এখনো মনে আছে?
- ওওও..রাগ করবা আর আমি ভুলে যাবো?
- আচ্ছা,সরি।
- সারাদিন কোথায় ছিলো তোমার সরি?
- ভাবলাম....
- ভাবলা আমি নিজে থেকে তোমার কাছে আসবো! হাহ্, এতো বেহায়া না ওকে।
- উল্টা ভাবছো কেনো সোনা?
- ওরে বাবা,এখন দেখি মুখ দিয়ে সোনা ডাক বের হচ্ছে। ঝাড়ি দেওয়ার সময় বুঝি মনে ছিলোনা?
- আর ঝাড়ি দিবোনা, সত্যি জানু।
- রাখো তোমার সোনা জানু। আমি তোমার কেউ না তুমিও আমার কেউ না।
- এতো রাগ করলে হয়? বাহিরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, চলোনা একটু ভিজি।
- হুহ্।
- আমার কিউটি, চলোনা প্লিজ।
- যাও যাও।
- তোমায় ছাড়া কোথায় যাবো?
- যেখানে ইচ্ছা।
- আমি চলে গেলে তোমার কি হবে?
- সেটা দিয়ে তুমি কি করবা। পারোতো শুধু রাগ করতে।
- উঁহু,আরো একটা জিনিস পারি।
- কি?
- প্রেক্টিকেল দেখাই।
নিধী জবাব না দিয়ে জানালা বরাবর বাহিরে তাকালো। এটা হয়তো আদর পাওয়ার ইঙ্গিত।তাই কোমড়টা জড়িয়ে ধরে একদম বুকের সাথে মিশিয়ে ফেললাম।বালিকা নিশ্চুপ। ওর গরম নিশ্বাস কাঁধে এসে স্পর্শ করছে।মুহূর্তটা দ্বিগুণ রোমান্টিক করে তুলে বাহিরে জোরদার বিদ্যুৎ চমকালো। বেড়ে গেলো ঝড়ের মাত্রা।
- নিধী।
- হুম।
- খুব কষ্ট দিয়েছি আজ?
- হুম।
- চলো ছাদে গিয়ে পবিত্র পানিতে দুজন এক সাথে ভিজে তোমায় আদর করে সব কষ্ট মুছে দিই।
- আমার যে ভয় করে।
- আমি আছিতো।
- তুমিতো শুধু রাগ করো।
- আদর কি কম করি?
- হুম,একটুও আদর করোনা।
- এখন করে দিই?
- জানিনা।
অতঃপর নিধীকে কোলে তুলে ছাদে নিয়ে গেলাম। অঝর বৃষ্টি ঝরে চলেছে। যা দেখে বালিকা খুশি। বাচ্চাদের ন্যায় মলিন চমক ভর করেছে তাঁর মুখে।যা মনে একটাই কবিতা সৃষ্টি করলো-
"তুমি রাগিণী,তুমি অভিমানী,
তুমি সবার সেরা।
তোমায় ঘিরে আমার খুশি,
জীবনে বাঁচা মরা।
যেথায় যাবো,তোমারে চাই,
স্বর্গ হোক বা নরকে।
বাসবো ভালো হাজার জনম,
ডুববো প্রেম সাগরে।"
.......…......< সমাপ্ত>……………
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক ম্যাজিশিয়ান)
"নিধী..নিধী" বলে দুবার ডাক দিলাম।
কোনো সাড়া শব্দ করছেনা।অতঃপর রেগে ওর কাছে গেলাম।বালিকা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে। ঝিরঝির বাতাসে মাঝে মধ্যে চুল গুলো উড়ে যাচ্ছে।যা দেখে মনে এক নেশা জাগ্রত হলো।
সোজা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। নিধী নিশ্চুপ। কোনো নড়াচড়া না করে মূর্তি ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।
সরকারি সুযোগসুবিধা পেয়ে ঘাড়ের কাছ থেকে আলতো ভাবে চুল গুলো সরিয়ে ঠোঁটের স্পর্শ দিলাম।
সাথে সাথে শুরু হয়ে গেলো......
- কি...পাইছোটা কি আমায়? যখন ইচ্ছা রাগ করবা যখন ইচ্ছা আদর করবা।খেলার পুতুল নাকি আমি?
- সকালের ব্যাপার এখনো মনে আছে?
- ওওও..রাগ করবা আর আমি ভুলে যাবো?
- আচ্ছা,সরি।
- সারাদিন কোথায় ছিলো তোমার সরি?
- ভাবলাম....
- ভাবলা আমি নিজে থেকে তোমার কাছে আসবো! হাহ্, এতো বেহায়া না ওকে।
- উল্টা ভাবছো কেনো সোনা?
- ওরে বাবা,এখন দেখি মুখ দিয়ে সোনা ডাক বের হচ্ছে। ঝাড়ি দেওয়ার সময় বুঝি মনে ছিলোনা?
- আর ঝাড়ি দিবোনা, সত্যি জানু।
- রাখো তোমার সোনা জানু। আমি তোমার কেউ না তুমিও আমার কেউ না।
- এতো রাগ করলে হয়? বাহিরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, চলোনা একটু ভিজি।
- হুহ্।
- আমার কিউটি, চলোনা প্লিজ।
- যাও যাও।
- তোমায় ছাড়া কোথায় যাবো?
- যেখানে ইচ্ছা।
- আমি চলে গেলে তোমার কি হবে?
- সেটা দিয়ে তুমি কি করবা। পারোতো শুধু রাগ করতে।
- উঁহু,আরো একটা জিনিস পারি।
- কি?
- প্রেক্টিকেল দেখাই।
নিধী জবাব না দিয়ে জানালা বরাবর বাহিরে তাকালো। এটা হয়তো আদর পাওয়ার ইঙ্গিত।তাই কোমড়টা জড়িয়ে ধরে একদম বুকের সাথে মিশিয়ে ফেললাম।বালিকা নিশ্চুপ। ওর গরম নিশ্বাস কাঁধে এসে স্পর্শ করছে।মুহূর্তটা দ্বিগুণ রোমান্টিক করে তুলে বাহিরে জোরদার বিদ্যুৎ চমকালো। বেড়ে গেলো ঝড়ের মাত্রা।
- নিধী।
- হুম।
- খুব কষ্ট দিয়েছি আজ?
- হুম।
- চলো ছাদে গিয়ে পবিত্র পানিতে দুজন এক সাথে ভিজে তোমায় আদর করে সব কষ্ট মুছে দিই।
- আমার যে ভয় করে।
- আমি আছিতো।
- তুমিতো শুধু রাগ করো।
- আদর কি কম করি?
- হুম,একটুও আদর করোনা।
- এখন করে দিই?
- জানিনা।
অতঃপর নিধীকে কোলে তুলে ছাদে নিয়ে গেলাম। অঝর বৃষ্টি ঝরে চলেছে। যা দেখে বালিকা খুশি। বাচ্চাদের ন্যায় মলিন চমক ভর করেছে তাঁর মুখে।যা মনে একটাই কবিতা সৃষ্টি করলো-
"তুমি রাগিণী,তুমি অভিমানী,
তুমি সবার সেরা।
তোমায় ঘিরে আমার খুশি,
জীবনে বাঁচা মরা।
যেথায় যাবো,তোমারে চাই,
স্বর্গ হোক বা নরকে।
বাসবো ভালো হাজার জনম,
ডুববো প্রেম সাগরে।"
.......…......<
লেখক-গালিব হোসেন(রোমান্টিক
: