অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ?

Post a Comment
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ?

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

প্রশ্নঃ ৮/ নিচের আয়াত সমূহ থেকে প্রমান হচ্ছে যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ?

* সুরা মায়েদা ৫:৫১ = হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।

* সুরা ইমরান ৩:২৮ = মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।

* সুরা নিসা ৪:৮৯ = তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।

* সুরা নিসা ৪:১৩৯ = যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।

* সুরা নিসা ৪:১৪৪ = হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?

* সুরা মুমতাহিনা ৬০:১৩ = মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।

উত্তরঃ প্রথমে আমরা উপরের আয়াতেই মুল উদ্দেশ্য বর্ণনা করব এরপরে শেষে আমাদের দাবি উপস্থাপন করবঃ

= সুরা মায়েদা ৫:৫১ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদ, তাফসীরে ইবনে কাসিরে, ৪ খণ্ড, ৮৫১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, এখানে আল্লাহ্‌ ইসলামের শত্রু ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন । তিনি বলেছেন তারা কখনো তোমাদের বন্ধু হতে পারে না । কেননা তোমাদের ধর্মের প্রতি তাদের হিংসা ও শত্রুতা রয়েছে । হ্যাঁ, তারা নিজেরা একে অপরের বন্ধু বটে । সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে ।

= সুরা ইমরান ৩:২৮ এই আয়াতের জবাব পরিষ্কার ভাবে বিস্তারিত দেয়া আছে, সুরা ইমরান ৩:১১৮ = হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।

এবং সুরা ইমরান ৩:১১৯ = দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন।

এবং সুরা ইমরান ৩:১২০ = তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে।

আয়াত সমুহে পরিষ্কার হচ্ছে যে, যেহেতু অমুসলিমরা মুসলিমদের ভাল চায় না , মুসলিমদের ক্ষতিতে অমুসলিমরা খুশি হয়, ক্ষতি চায়, এবং মুসলিমদের ক্ষতি হলে অমুসলিমরা আনন্দিত হয় তাই আল্লাহ্‌ তাদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধু স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন ।

= সুরা নিসা ৪:৮৯ আয়াতেই পরিষ্কার বলা হচ্ছে যে কাফেররা চায় মুসলিমরাও তাদের সাথে কাফের হয়ে যাক তাই আল্লাহ্‌ তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন । তবে পরের আয়াতেই আবার আল্লাহ্‌ বলছেন তথা সুরা নিসা ৪:৯০ = কিন্তু যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে মিলিত হয় যে, তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে চুক্তি আছে অথবা তোমাদের কাছে এভাবে আসে যে, তাদের অন্তর তোমাদের সাথে এবং স্বজাতির সাথেও যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক। যদি আল্লাহ ইচ্ছে করতেন, তবে তোমাদের উপর তাদেরকে প্রবল করে দিতেন। ফলে তারা অবশ্যই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করত। অতঃপর যদি তারা তোমাদের থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে আল্লাহ তোমাদের কে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি। - এই আয়াত থেকে এটি বুঝা যাচ্ছে যে যদি অমুসলিমরা শান্তি চুক্তি করে তাহলে তাদের সাথে চুক্তি করা যাবে ।

= সুরা নিসা ৪:১৩৯ = এই আয়াতের ব্যাখ্যা , ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদ, তাফসীরে ইবনে কাসির, ৪ খণ্ড, ৫৯৮ পৃষ্ঠাঃ হযরত আলী (রা) এই আয়াত পাঠ করে ধর্মত্যাগীদের বলতেন তওবা করে নেও ? এরপরে আল্লাহ্‌ বলেন এই মুনাফিকদের অবস্থা এই যে শেষে তাদের অন্তরে মোহর লেগে যায় । তাই তারা মুমিনদের ছেড়ে কাফেরদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করে ।এই দিকে বাহ্যত মুমিনদের সাথে মিলামিশা করে ঐ দিকে কাফেরদের সাথে বসে মুমিনদের নিয়ে উপহাস মূলক কথা বলে বেশ আনন্দ উপভোগ করে । তাদেরকে বলে আমরা মুসলমানদের বোকা বানিয়ে দিয়েছি । আসলে আমরা তোমাদেরই সঙ্গী ।

- সুতরাং আয়াতটি মুনাফিক মুরতাদদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে যারা মুসলিমদের ছাড়া কাফেরদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করেছে । এবং মুসলিমদের নিয়ে হাঁসি তামাশা করেছেন ।

= সুরা নিসা ৪:১৪৪ এই আয়াতের ব্যাখ্যা , ডঃ মুজিবুর রহমান অনুবাদ, তাফসীরে ইবনে কাসিরের, ৪ খণ্ড , ৬০৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছেঃ কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে, তাদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা রাখতে, তাদের সাথে সর্বদা উঠাবসা করতে, মুসলিমদের গুপ্ত কথা তাদের নিকট প্রকাশ করতে, তাদের সাথে গোপন সম্পর বজায় রাখতে আল্লাহ্‌ মুসলিমদের নিষেধ করেছেন।

= সুরা মুমতাহিনা ৬০:১৩ সঠিক কথাই কুরআন বলেছে । আল্লাহ্‌ যে জাতির প্রতি অখুশি আমরা তাঁর বান্দা হয়ে কেন তাদের সাথে বন্ধুত্ব করব। উদাহরণ স্বরূপ ধরুন কোন এক দেশের প্রধান ঘোষণা দিল যে আমি মায়ানমারের সরকারের প্রতি অখুশি কোন মানবতাবাদী যেন তাদের সাথে বন্ধুত্ব না করে কারন তারা অন্যায়ভাবে মুসলিমদের হত্যা করেছেন । আচ্ছা এখানে কি আমরা মায়ানমারের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে ভুল করেছি? উত্তর হচ্ছে না । একই উত্তর কুরানের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌কে যারা অস্বীকার করে আবার মুসলিমদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, মুসলিমদের হত্যা করতে চায় তাদের সাথে আমরা কেন বন্ধুত্ব করব ?

= সুরা মায়েদা ৫:৫৭ = হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। - যেহেতু অমুসলিমরা ইসলাম নিয়তে হাঁসি তামাশা করে, উপহাস করে তাই এদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না ।

= সুরা আন’য়াম ৬:৭০ = তাদেরকে পরিত্যাগ করুন, যারা নিজেদের ধর্মকে ক্রীড়া ও কৌতুকরূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে। কোরআন দ্বারা তাদেরকে উপদেশ দিন, যাতে কেউ স্বীয় কর্মে এমন ভাবে গ্রেফতার না হয়ে যায় যে, আল্লাহ ব্যতীত তার কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী নেই এবং যদি তারা জগতের বিনিময়ও প্রদান কবে, তবু তাদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। একাই স্বীয় কর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদের জন্যে উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে-কুফরের কারণে।

আপনাকে নিয়ে , আপনার বাবা মাকে নিয়ে, আপনার দেশ নিয়ে যদি কেউ অন্যায় ভাবে হাঁসাহাঁসি করে, তামাশা করে, অপমান করে আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

সামাজিকতার খাতিরে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা,চলা ফেরা ইত্যাদি জায়েজঃ

* নবী মুহাম্মদ (সা) অমুসলিমদের সাথে রাষ্ট্রীয় শান্তি চুক্তি করেছেন যাকে আমরা "মদিনা সনদ" বলা হয় ।

* জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯৪৩, সহিহ হাদিসঃ মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-এর জন্য তার পরিবারে একটি ছাগল যবেহ করা হল। তিনি এসে বললেন, তোমরা কি আমাদের ইয়াহুদী প্রতিবেশীকে (গোশত) উপহার পাঠিয়েছ? আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রতিবেশীর অধিকার প্রসঙ্গে জিবরাঈল (আঃ) আমাকে অবিরত উপদেশ দিতে থাকেন। এমনকি আমার ধারণা হল যে, হয়ত শীঘ্রই প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবে। - এখানে ইহুদীদের প্রতিবেশি বলা হয়েছে ।

* সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২৫১৩, সহিহ হাদিসঃ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক ইয়াহুদী হতে কিছু খাদ্যদ্রব্য কিনেছিলেন এবং তার কাছে নিজের বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন।

* সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২৬৯২, সহিহ হাদিসঃ রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেছেন, সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।

* সুরা মুমতাহিনা ৬০:৮ = ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।

* সুরা মুমতাহিনা ৬০:৯ = আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।

* আল ইসাবা,৪/৩৪৭ এবং সীরাতুল মুস্তফা (সা),৩/৩০৬, আল্লামা ইদরীস কান্ধলবী (রহ): হযরত উমর (রা) বলেন সাফিয়ার এক দাসী হযরত উমর (রা) এর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলো যে, হযরত সাফিয়া ইহুদী সংস্কৃতি অনুকরনে শনিবারকে গুরুত্ব দেন এবং ইহুদীদের সাথে ভাল আচরণ করেন । হযরত উমর (রা) , হযরত সাফিয়া (রা) থেকে বিষয়টি জানতে চাইলেন। হযরত সাফিয়া (রা) জবাবে জানালেন! যখন আল্লাহ্‌ তা'লা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে শনিবারের পরিবর্তে শুক্রবার দান করেছেন তখন থেকে আমি শনিবারকে আর পছন্দ করি না । অন্যদিকে আমার কিছু ইহুদী আত্মীয় আছে । আমি তাদের আত্মীয়তার হক অনুযায়ী ভাল আচরণ করি । তিনি হযরত উমর (রা) কে এই জবাব জানিয়ে পাঠালেন অন্যদিকে সেই বাদীকে জিজ্ঞেস করলেন তোমাকে আমার বিরুদ্ধে এই কাজে কে উস্কে দিয়েছে ? সে সত্যি সত্যি জবাব দিল শয়তান আমাকে প্ররোচনা দিয়েছে । হযরত সাফিয়া (রা) বললেন ঠিক আছে । আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম । - খেয়াল করুন হযরত সাফিয়া (রা) ইহুদীদের সাথে আত্মীয়তার অধিকার হিসেবে ভাল ব্যাবহার করেছেন ।

সুতরাং অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে, কি যাবে না এর কারন হিসেবে আমরা জানতে পারলামঃ

১/ ইহুদী খৃষ্টান এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মুসলিমদের ক্ষতি করতে চান।ইসলামের ধ্বংস চায় ।

২/ মুসলিমদের দুক্ষে অমুসলিমরা খুশি হত , মুসলিমরা যদি তাদের সাথে ভাল ব্যাবহার করত এরপরেও অমুসলিমরা তাদের অমঙ্গল চাইত ।

৩/ কাফেররা ইসলাম নিয়ে হাঁসি তামাসা করত মুসলিমদের অপমান করত, নবী মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে ব্যাঙ বিদ্রূপ করত ।

৪/ কাফেররা চাইত মুসলিমরাও তাদের মত কাফের হয়ে যাক, তাদের মত পাথরের পূজা করুক ।

৫/ কাফেররা মুসলিম সেজে , মুসলিমদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত এবং আবার কাফেরদেড় দলে যোগ দিয়ে বলত আমরা মুসলিমদের ধোঁকা দিয়েছি আসলে আমরা কাফেরদের দলের লোক ।

৬/ যেসব অমুসলিমরা শান্তি প্রিয় , তাদের সাথে সামাজিকতার সম্পর্ক , চলাফেরা করা ইসলামে বৈধ ।

৭/ ইসলাম উগ্র অমুসলিমদের সাথে সব রকমের বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছে । ব্যাস ।

প্রশ্ন ছুড়ে দিলামঃ

১/ যারা সমাজের ক্ষতি চায় আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

২/ যারা আপনার পরিবার নিয়ে হাঁসি ঠাট্টা করে আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

৩/ যারা আপনাকে অপমান করে, আপনার দেশ নিয়ে অপমান করে আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

৪/ যারা আপনার খুশিতে, কষ্ট পায় আর আপনার দুক্ষে আনন্দিত হয় আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ত করবেন ?

৫/ আপনি কি ধর্ষকদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

৬/ যারা চায় আপনিও তাদের মত পাথর পূজা করেন এবং এর জন্য আপনাকে জবরদস্তী করে আপনি কি এদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন?

৭/ যারা দেশের আইন মানে না আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

৮/ যারা চোর, ডাকাত , লুইচ্চা আপনি কি এদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?

৯/ যারা আপনাকে ওয়াদা দিয়ে , কথা রাখে না আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবেন ?

১০/ যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে , মানুষকে ধোঁকা দেয় আপনি কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন ?




Related Posts

: