তাদের নীতির দুর্বলতা

Post a Comment
বিষয়ঃ তাদের নীতির দুর্বলতা

লিখেছেনঃ এম ডি আলী

 নাস্তিক ধর্মের অনুসারী তথা সহিহ কুমীনদের গোঁজামিল পূর্ণ দাবি হলঃ

গোঁজামিল ১/ নীতি নৈতিকতা আকাশ থেকে এসে পড়ে না। আমরাই নীতি নৈতিকতার উৎস, আমরাই নীতি নৈতিকতা নির্ধারন করি।

যৌক্তিক জবাবঃ সব নীতি নৈতিকতা আপনারাই যদি ঠিক করেন তাহলে চোর তার স্ট্যান্ডের নীতিমালা ঠিক করবে এখানে চোরের অপরাধ কি ? এটার সমাধান আপনি কেন দেন নাই নাস্তিক নেতা সাহেব । ধরেন একজন মানুষ নাম তার আসিফ মহিউদ্দিন এখন তার একজন প্রেমিক আছেন । এক দিন লাইভ করতে গিয়ে দেখল তার প্রেমিক কানিজ এক ছেলের সাথে সেক্স করতে গিয়ে কানিজ নিজেই ধর্ষণের স্বীকার হল । আসিফ নামের লোকটি দ্রুত কানিজকে রক্ষা করার জন্য কানিজের কাছে গেল এবং কানিজকে যে ধর্ষণ করেছে সেই লোককে শক্ত করে ধরে বলল তুই কেন অপরাধ করেসিস ? তুই কেন আমার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেসিস ? উত্তর ঐ সলারিন নামের মানুষটি বলল আমি নিজেই আমার নিজের নীতিকথা ঠিক করেছি এখানে বাধা দেয়ার তুই কে আসিফ  ? কারন তুই নিজেই তো বলেছিসিস যে "নীতি নৈতিকতা আকাশ থেকে এসে পড়ে না। আমরাই নীতি নৈতিকতার উৎস, আমরাই নীতি নৈতিকতা নির্ধারন করি।" তাহলে নৈতিকতা আকাশ থেকে পড়ে না তাই আমি নিজেই আমার নিজের ইচ্ছা মত নৈতিকতা ঠিক করেছি , তুই আমার নৈতিকতায়, আমার স্বাধীনতায়, আমার ব্যাক্তিইচ্ছায় বাধা দেয়ার কে ??? কারন তর প্রেমিকার ক্ষতি হয়েছে বলে তুই যদি আমাক্র খারাপ বলিস তাহলে একই যুক্তিতে আমার কাছে ধর্ষণ করা মজা লেগেছে তাই আমি কেন অন্যায় করলাম ?

গোঁজামিল ২/ নাস্তিকরা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নৈতিকতার কথা বলে, যা সমাজের সকল মানুষকে সমান চোখে দেখে, ধর্ম পরিচয়ে কাউকে ছোট আবার কাউকে বড় করে দেখে না এবং সকল মানুষকে একে অপরের সহযোগী হতে অনুমোদন দেয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সমাজে সুবিধা ও কল্যাণ বৃদ্ধি করা এবং ক্ষতি ও দুঃখ দূর্দশা হ্রাস করা। সমাজের কোনো মানুষের কোনো কাজ বা আচরণ যদি এই উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তা অনৈতিক বলে গণ্য হবে আর যেসকল কাজ বা আচরণ এই উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যায় না সেসব কাজ বা আচরণ নৈতিক বলে গণ্য হবে।

যৌক্তিক জবাবঃ এই পয়েন্ট সম্পূর্ণ ফাঁকা আকাশে গুলি ছড়ার মত । দুধে যেই দোকানদার নিজেই পানি মিশায় সেই দোকানদার কি কখনো বলে যে সে ভ্যাজাল দেয় দুধে ? উত্তর হচ্ছে না । একই ভাবে নাস্তিকরা ২ নং পয়েন্টে যা দাবি করেছে সেটার কোন বাস্তব প্রমান অনলাইনের কোন নাস্তিক দেখাতে পারে নাই আর না পারবে ! তাই উপরের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ওরফে গোঁজামিল ।

গোঁজামিল ৩/ ধর্মবিশ্বাসীরা মনে করেন, মানুষ কেবল ঈশ্বর এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতি বিশ্বাস থেকেই মানুষ খুন করা থেকে বিরত থাকে। তারা মনে করেন, যেহেতু নাস্তিকরা ঈশ্বর এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে না সেহেতু নাস্তিকদের কাছে খুন করা খুবই স্বাভাবিক একটি কাজ, নাস্তিকরা ইচ্ছা করলেই খুন করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কেন খুন করি না? সবাই যদি চাইলেই সবাইকে খুন করে বেড়ায় তাহলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এই বিষয়টি বুঝাটা খুব সহজ যে, আমরা যদি একে অপরকে খুন করে বেড়াই তাহলে আমাদের সমাজ আর মানব সমাজ হয়ে থাকবে না। আমরা সবাই নিজেদের ভালো চাই, কেউ নিজের খারাপ চাই না। আমরা সবাই নিজেদের জন্য সুবিধা চাই, কেউ নিজের জন্য অসুবিধা চাই না। আর আমরা নিজেদের সুবিধার জন্যই এবং অসুবিধা থেকে দূরে থাকার জন্যই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করি, নিজেদের জন্যই আমরা সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে বাধ্য। তাই সমাজের সুবিধা সমাজের কল্যাণ নিজেরই সুবিধা নিজেরই কল্যাণ, সমাজের অসুবিধা সমাজের দুর্বিপাক নিজেরই অসুবিধা নিজেরই দুর্বিপাক। সমাজে যদি মানুষ মানুষকে খুন করে বেড়ায় তাহলে সমাজ বলেই আর কিছু থাকে না। তাই মানুষকে খুন করা বা এজাতীয় কাজ ‘খারাপ কাজ’ বলে নির্ধারিত।

যৌক্তিক জবাবঃ

* ইসলাম শুদু বিশ্বাসের উপর ভর করেই সব কিছু করে বিষয়টি এমন না , বিশ্বাস পাশাপাশি + বাস্তব প্রয়োগ + আইন = ফলাফল খুবই ভাল আসবে । ইসলাম বলে খুনি হল একজন পাপি এবং অপরাধী তাই তার শাস্তি হওয়া উচিৎ এবং তাকে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে সেটা দেখে বাকি খুনিয়া সাবধান হয়ে যায় তথা খুন করার অপরাধ থেকে পুরাপুরি ফিরে আসে । তাই উপরের প্রথম অংশের দাবি ভুল প্রমান হল।

*  "নাস্তিকরা ইচ্ছা করলেই খুন করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কেন খুন করি না?" নাস্তিকরা ইচ্ছা করলেই খুন করতে পারে এটি সত্য কারন তাদের কোন মাপকাঠি নাই , এদের থেকে সাবধান । আর কখনো আমাদের মনে এই প্রশ্ন আসে না যে তারা কেন খুন করে না ? এটি অযৌক্তিক । তারা আসলেও খুন করে সুযোগ পেলেই এই ভয়ংকর অপরাধ তারা করবে কারন তাদের বাপ দাদাদের ইতিহাস ঘাঁটলেই পরিষ্কার হয়ে যায় সব । লেলিন, কার্ল মার্ক্স এসব নাস্তিক ধর্মের নেতারা এবং কমিউনিজম তৎকালীন সকলেই প্রায় হাজার হাজার কোটি কোটি মানুষ খুন করেছিল । সুতরাং উপরের পরবর্তী সব অংশ ভুল প্রমাণিত হল নাস্তিকদের ।

গোঁজামিল ৪/ আরও সহজভাবে বুঝানোর জন্য বলা যায়, ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতে হেটে যাচ্ছেন এবং একজন চোর আপনার কান থেকে ফোন থাবা দিয়ে নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো। আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে, চোরটি যা করেছে তা একটি অপরাধ, অন্যায় কাজ এবং অবশ্যই খারাপ একটি কাজ। প্রশ্ন হলো, আপনি কেন তা বুঝতে পারবেন? তার কারণ এটি নয় যে কোনো এক গ্রন্থে লেখা আছে ‘চুরি করা খারাপ’। তার কারণ, আপনি জানেন, ফোন চুরি হওয়ার কারণে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কারণ, আপনি চান না আপনার নিজস্ব কোনো জিনিস আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কেড়ে নিক। আর তাই, চুরি করা বা এজাতীয় কাজ “ভুল বা অন্যায়” বলে বিবেচিত।

যৌক্তিক জবাবঃ এখানে ফোন ব্যাবহারকারীর কাছে ফোন চুরি করা অনৈতিক হলেও ঐ নাস্তিক ফোন চোরের কাছে কিন্তু ঠিকই নৈতিক এখানে কিভাবে সমাধান দিবেন আপনারা । কারো যদি ২ কোটি টাকা থাকে, আর কোন নাস্তিক যদি সেখান থেকে ২০০ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালাই তাহলে তা নাস্তিকের জন্য লাভজনক। এবং যার টাকা তার কোনো ক্ষতিই হয়নি। বরং নাস্তিকের লাভ হয়েছে। এটা তাহলে কিভাবে ক্ষতিকর? কারন ধর্মগ্রন্থ বলেছে যে এটা ক্ষতিকর। সমাধান করেন ?

 গোঁজামিল ৫/ আমরা রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলি। আমরা বাইক চালানোর সময় হেলমেট ব্যাবহার করি, আমরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য জেব্রা ক্রসিং ব্যাবহার করি অথবা ওভার ব্রিজ ব্যাবহার করি, আমরা প্রয়োজন মতো হর্ণ ব্যাবহার করি এবং আরও অন্যান্য নিয়মাবলি মেনে চলি। এখন কথা হলো, আমরা কেন এসব নিয়মাবলি মেনে চলি? আমরা কেন এসব নিয়মাবলি মেনে চলি সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যদি আমরা একটু ভাবি যে এসব নিয়মাবলি না মেনে চললে কি হবে বা হয়ে থাকে। আমরা যদি এসব নিয়মাবলি মেনে না চলি যা আমাদেরই সুবিধা সহজতর করতে সাহায্য করে এবং দূর্ঘটনা হ্রাস করে তাহলে আমাদের জীবন চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়বে। নিয়মনীতির অস্তিত্ব এজন্যই আছে যে তারা আমাদের অবস্থার উন্নতি করে, কেবল কোনো বইতে লেখা আছে বলে নয়।

যৌক্তিক জবাবঃ সমাজের এমন অনেক মানুষ আছে যারা ট্রাফিক আইন মেনে চলে না কারন তাদের কাছে এরসবের কোন মূল্যই নাই , আবার বাইক চালানোর সময় হেলমেট না পরা কিন্তু এখন একটি ফ্যাশন বটে ! , আর রাস্তা পারাপারের সময় ব্রিজ ব্যাবহার করলে তাদের সময় নষ্ট হয় কারন ব্রিজের উপরের উঠতে হয় সময় নষ্ট তাই ঐ টাইপের মানুষরা ব্রিজ ব্যাবহার করে না , এখন তারা দাবি করলো আমরা আমাদের নিজেদের সুবিধার জন্যই আইন কানুন মানি না এখন আপনি তাদের কি বলবেন কারন আপনার সুবিধা না হলেও তাদের কিন্তু ঠিকই সুবিধা আছে । সমাধান দিন ?
গোঁজামিল ৬/ কোনো অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। নীতিমালা নির্ধারণ করার জন্য ।

যৌক্তিক জবাবঃ অবশ্যই পরকালের অস্তিত্ব মেনে নেয়ার দরকার আছে । এবং নীতিমালা স্রস্টার থেকে নেয়াই যৌক্তিক কারন স্রস্টার উপরে কেউই নাই , স্রস্টা অসীম । তাই স্রষ্টাই নীতিমালা নির্ধারণ করার জন্য এনাফ । কোন মানুষ এখানে আপত্তি করতে পারবে না , নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসী ছাড়া ।

গোঁজামিল ৭/ সব কিছুই সব মানুষের মঙ্গলের জন্য । নৈতিকতার মাপকাঠিও সেটা ।

যৌক্তিক জবাবঃ চোর একজন মানুষ চুরি করলে তার মঙ্গল হয় তাই আপনার যুক্তি অনুযায়ী নাস্তিকরা চুরি করবে এবং চুরি করাও মহৎ কাজ কারন চুরি করে তাদের সুবিধা হচ্ছে ! বুদ্ধিমান হলে বুঝতেই পেরেছেন যে নৈতিকতার মাপকাঠি কখনো এটা হতে পারে না ।

সুতরাং মুল কথা হলঃ

= নাস্তিক ধর্ম একটি অসভ্য মাপকাঠির উপর ভর দিয়ে চলে ।

= চুরি করা খারাপ, মিথ্যা বলা খারাপ ইত্যাদি এসব কথা সব ইসলাম ধর্ম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে । নাস্তিক ধর্ম আসলে ইসলাম থেকে এসব কপি করেছে কিন্তু ক্রেডিট নিজেরা নিতে চায় , আমাদের কথা হল ইসলাম থেকে সব কপি করো তাহলে ইসলাম নিয়ে গালাগালি করে কেন নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করো ?

= নাস্তিক ধর্মের সাথে "ভাল"র কোন সম্পর্ক না থাকলেও খারাপ চরিত্র ব্যাপক । নাস্তিকরা এই গোপন রাখে যেন মানুষরা তাদের সম্পর্কে সত্য জেনে না যায় ।

= যেটা মানুষের জন্য সুবিধা এটাই নৈতিকতা এই কথাটাই ভুল ।

= একমাত্র স্রষ্টাই মানুষের জন্য নীতিনৈতিকতা ঠিক করে দিতে পারে আর কেউই না ।

= এক কুমিন আরেক কুমিনের মাপকাঠি অনুযায়ী কেন চলবে যেখানে দুইজনেই মুক্তমনার অজিফা পাঠ করে ?

= কুরআনে সুরা হজ ২২:৩০ = দূরে থাকো মিথ্যা কথা হতে । নাস্তিকরা বলে তারা নাকি সত্যবাদী প্রশ্ন হল কুরানের যদি সব ভুল হয় তাইলে এই আয়াত কেন তারা নিজেরাই বিশ্বাস করছে ? এখানে কি প্রমান হয় না যে আসলে নাস্তিক কুমিনরাই আসল মিথ্যাবাদী ।

                         এমন কিছু প্রশ্ন যা নাস্তিক ধর্মের কুমিনরা সমাধান করতে চায় নাঃ

১/ কোন নাস্তিক মা যদি তার নাস্তিক সন্তানের সাথে সেক্স করতে চায় উভয় সম্মতি নিয়ে - এটা কি নাস্তিক ধর্মে হালাল নাকি হারাল ? যদি বলেন অমানবিক তাহলে উক্ত নাস্তিক অনুসারীদের মুক্ত কর্মে আপনি বাধা দিয়ে কেন অমানবিক ফতোয়া দিলেন নাস্তিক ধর্মে ?

২/ কোন নাস্তিক ছেলে সন্তান যদি তার নাস্তিক বাবার সাথে সমকামী করে সম্মতিতে এটা কি জায়েজ  ?

৩/ ধরেন কোন এক নাস্তিক ধর্মের অনুসারী বলল আমার মুক্তমনে যা ইচ্ছা করব এমনকি কুকুরের সাথে সেক্স করব কারন আমার পূর্ব পুরুষ বানর ! এখানে আপনি (নাস্তিক) কি সমাধান দিবেন ?যাই সমাধান দেন কেন তার মতের বিপরীত কথা বলে তার বাক স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে কেন মানবতা বিরধি কাজ করলেন ?

৪/  ধরেন কোন নাস্তিক ধর্মের অনুসারী মা দাবি করল আমি পতিতাবৃত্তি করে পয়সা কামাবো - এখানে আপনি নাস্তিক সন্তান হয়ে কি করবেন ? আপনার মায়ের মুক্তমনা কর্মের বিরোধিতা করবেন নাকি তার স্বাধীনতায় তাকেই ভোগ করতে দিবেন ?

৫/ নাস্তিক ধর্মে নির্দিষ্ট কোন "যৌন নীতিমালা" নাই তাই উপরের কর্মকাণ্ড গুলা ভাল নাকি মন্ধ এইগুলা যাচাই করবেন কিভাবে ? তাদের নাস্তিকিও বিবেকে এইসব বৈধ এখন ?

৬/ বলতে পারেন বিজ্ঞান বলে নিজেদের মধ্যে সেক্স ভাল না তাইলে উপরের সব নাস্তিকদের ধরে নেন সম্মতিতেই আকাম সেরে দিল এখন , প্রয়োজনে কনডম ব্যাবহার করল ক্ষতি এরাতে এখন ? মুক্তমনা , মুক্তকাজ বলে কথা !


Related Posts

: