গায়েবের পুঞ্জি বনাম কুমীন বিজ্ঞানীদের কেরামত
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
খগেনিজমের কুমীন অনুসারীরা বিজ্ঞান বিজ্ঞান বিজ্ঞান মারেফতের জিকির করতে করতে এমন পরিবেশ তৈরি করেছে যেন কোন হৈচৈই এর হিরিক কিন্তু আসলে তারা জানে না পরিবেশের হৈচৈ থামানোর জন্য আরেক বসের নাম ইসলাম । ইসলাম এমন এক আদর্শের দিকে মানুষকে ডাকে যেখানে থাকবে সভ্যতা এবং শালীনতা।
ইসলাম নাস্তিক ধর্মের মত অশ্লীলতাকে প্রমোট করে না এই কারনেই তো খগেন কুমীনরা ইসলাম নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বানিয়ে বানিয়ে এমন কি ইসলামের দলিল প্রমান দিয়েও এখন নতুন স্টাইলে ভণ্ডামি শুরু করেছে এই অন্ধ বিশ্বাসীরা । আপনাকে কুরআনের আয়াত দেখাবে সত্য , আপনাকে হাদিস দেখাবে সত্য এমন কি তাফসীরও দেখাবে সত্য কিন্তু ব্যাখ্যাটা করবে নিজের নোংরা খগেনিজম থেকে সেটা সম্পূর্ণ ভুল । এমন ব্যাখ্যা করবে যেটা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না এমন কি ইসলাম কখনো ঐ ব্যাখ্যাকে সঠিক বলে মনে করবে না কারন ঐ নাস্তিক ধর্মের ব্যাখ্যা পুরাই গোঁজামিল আর খগেনদের অন্ধ বিশ্বাসের উপর দাড়িয়ে আপনাকে সিনেমা দেখাবে যদিও সেগুলা জ্ঞানী মুসলিমদের কাছে ফ্লপ খেয়েছে, খাচ্ছে এবং খাবে ।
কুমীন খগেনরা দাবি করেন বিজ্ঞানের কেরামতে আমরা আজকে সব জেনে গেছি যা ইসলামকে ভুল হিসেবে নির্ণয় করা যায় ! আসলেই কি তাই ! চলুন তাদের কিছু নতুন মজার হাস্যকর অভিযোগ দেখে আসি ! শেষ পর্যন্ত পড়ুন নিজেই মজা পাবেন আর ঢেলে ঢেলে চা খাবেন মনের আনন্দে - কথা কি ক্লিয়ার নাকি ভ্যাজাল আছে ?
আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। (১)
রাসুল (সা) বলেছেনঃ গায়েবের পুঞ্জি হল পাঁচটি যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না । ১/ কেউই জানে না , আগামীকাল কি ঘটবে । ২/ কেউই জানে না যে মায়ের গর্ভে কি আছে । ৩/ কেউই জানে না যে আগামীকাল সে কি অর্জন করবে । ৪/ কেউই জানে না যে সে কোথায় মারা যাবে । ৫/ কেউই জানে না যে কখন বৃষ্টি হবে ।(২)
উপরের দুটি তথ্য তুলে ধরে খগেন কুমীনরা বলেন যে উপরের তথ্যে ভুল কথা বলা হয়েছে কারনঃ
+ আমরা জানি আগামীকাল কি ঘটবে । কারন আগামীকাল আমি সকালে ঘুম থেকে উঠব এরপরে নাস্তা করব এরপরে অফিসে যাব , আমি তো সব জানি সুতরাং হাদিসের ১ নং কথা আমি জেনে গেলাম যেখানে হাদিস বলছে আমি জানব না ।
+ আলট্রাসনোগ্রাফি এর মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় সুতরাং হাদিসের ২ নং কথাও আমরা জেনে গেলাম ।
+ আমি জানি আমি কি অর্জন করব আমি ভাল ভাবে পরিশ্রম করলে আমি ভাল ফলাফল পাব - এটি হাদিসের বিপরীত হয়ে গেল ।
+ অনেকেই জানেন সে যে কখন মারা যাবে । যেমন দরজায় তালা মেরে বন্ধ ঘরে বিষ খেয়ে দেখুন , আপনিও জানবেন কখন আপনি মারা যাবেন ।
+ কাল বৃষ্টি হবে কিনা - স্যাটেলাইট দিয়ে বের করা আবহাওয়া রিপোর্ট আজকে দেখে নিন । স্যাটেলাইট যত উন্নতমানের রিপোর্ট তত নির্ভুল।
+ শুধু আল্লাহ না মানুষও সব জানে সুতরাং হাদিসের দাবি সত্য হল না ।
আপনারা প্রয়োজন হলে আবার মনোযোগ দিয়ে উপরের অভিযোগ সমূহ পড়ুন । এখন আমরা ধিরে ধিরে উপরের হাস্যকর অভিযোগের জবাব দিয়ে প্রমান করব উপরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বরং কুরআন এবং বিশুদ্ধ হাদিসেই বাস্তব সত্য কথা দেয়া আছে ।
🚫 = (আমরা জানি আগামীকাল কি ঘটবে । কারন আগামীকাল আমি সকালে ঘুম থেকে উঠব এরপরে নাস্তা করব এরপরে অফিসে যাব , আমি তো সব জানি সুতরাং হাদিসের ১ নং কথা আমি জেনে গেলাম যেখানে হাদিস বলছে আমি জানব না ) =
✅ খগেন দাদা আপনি যে ঘুমের মধ্যে মৃত্যুবরন করবেন না - এই গ্যারান্টি আপনাকে কোন কুমীন কলা বিজ্ঞানী দিয়েছে ? দুনিয়াতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ঘুমের মধ্যেই মৃত্যুবরন করেন তাদের আর সকাল দেখার সৌভাগ্য হয় না । আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা সকালের নাস্তা খেতে গিয়েও মারা জান , গলায় খাবার আটকে মারা গিয়েছেন এমন মানুষও অনেক আছে ।
সুতরাং আপনার সাথে এইরকম যে হবে না এর কোন গ্যারান্টি নাই দাদা । এমন মানুষ আছেন যারা দশ তালা বাড়ি বানিয়েছেন এমনকি কালকেই বাড়িতে উঠবেন কিন্তু আর সেই বাড়িতে তার বসবাস করা হয় না কারন আগের রাতেই তিনি স্টক করে মারা গিয়েছেন । সুতরাং আপনি যদি আসলেই আপনার মোতাবেক সকালে উঠে নাস্তা এরপরে অফিসে যেতে পারেন এর মানে আপনার সৌভাগ্য যে আপনি এখনো সুস্থ আছেন । কিন্তু আপনি গ্যারান্টি দিতেই পারবেন না যে আপনি কালকে যা যা চিন্তা করবেন তাই ঘটবে । কিন্তু আল্লাহ জানেন আপনি কি কি করবেন , কই যাবেন , কি খাবেন , ইত্যাদি ইত্যাদি । আল্লাহ সব জানেন । আমরাই জানি না ।
সুতরাং হাদিসের যা বলা হয়েছে নিঃসন্দেহ সেটি সত্য বরং আপনার অভিযোগ মিথ্যা ।
🚫=(আলট্রাসনোগ্রাফি এর মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় সুতরাং হাদিসের ২ নং কথাও আমরা জেনে গেলাম, যেটা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানার কথা না)=
✅ এখানে খগেন দাদায় আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছেন । কারন গর্ভের সন্তানের বয়স ২০-২২ সপ্তাহ হলেই এ আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তান ছেলে না মেয়ে জানা যায়। তবে ২৬ সপ্তাহের পরে স্পষ্ট ভাবে জানা যায় সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে কিন্তু এর আগে ছেলে হবে নাকি মেয়ে কিছুই সনাক্ত করা যায় না ।(৩)
আমার প্রশ্ন হল ২৬ সপ্তাহের আগে কখনোই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা পসিবল না । ডাক্তার সাহেবরা সন্তানের অস্তিত্ব দেখেই ফলাফল জানায় কিন্তু এর আগে সন্তান এর লিঙ্গ কি হবে এটি তারা বলতে না পারলেও আল্লাহ ঠিকই জানেন সন্তান আসলে কি হবে ছেলে নাকি মেয়ে । সুতরাং এখানে আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা কথা একেবারেই অযৌক্তিক কারন বাচ্চা যখন অস্তিত্বে আসে ডাক্তার শুধু তখনই পরীক্ষা করে দেখে ফলাফল জানায় এর আগে ডাক্তার কিছুই জানাতে পারে না সেটা আল্লাহই জানেন ।
মুজাহিদ (রহ) বলেন যে একজন গ্রামবাসী (বেদুঈন) নবী (সা) এর নিকট এসে বলে আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়েছে বলুন তো তার কি সন্তান হবে ? আমাদের শহরে দুর্ভিক্ষ পড়েছে বলুন তো বৃষ্টি কখন হবে ? আমি কখন জন্মগ্রহন করেছি তা তো আমি জানি এখন বলুন তো আমি কখন মৃত্যুমুখে পতিত হবো ? তার এসব প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তা"লা এই আয়াত (সুরা লোকমান আয়াত ৩৪) অবতীর্ণ করেন যে তিনি (নবী) এগুলোর খবর রাখেন না ।
মুজাহিদ (রহ) বলেন যে এগুলোই হল গায়েবের চাবি যেগুলো সম্পর্কে আল্লাহ বলেন যে গায়েবের চাবিকাঠি আল্লাহর নিকটই রয়েছে । (৪)
এই তথ্য দ্বারা খগেন সমাজ দাবি করতে চান এখানে উল্লেক আছে যে সন্তান কি হবে সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে কিন্তু আমরা তো পরীক্ষা করে জেনেই গিয়েছি । মজার ব্যাপার হল হাদিসে কিন্তু পরিস্কার করে বলা হয়েছে যে "গায়েব পুঞ্জি" মানে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান । অর্থাৎ যেহেতু ২৬ সপ্তাহে বাচ্চার অস্তিত্ব গঠন দেখে ডাক্তার বলতে পারছে যে সে ছেলে হবে নাকি মেয়ে - খেয়াল করুন এটি কিন্তু অদৃশ্য অথবা গায়েব না এটি কিন্তু দৃশ্যমান অথচ হাদিসে অদৃশ্য পুঞ্জির কথা বলা হয়েছে মানে আমরা যেটা দেখতে পারি না । যেহেতু আমরা ২৬ সপ্তাহ আগে বাচ্চার কিছুই নির্ণয় করতে পারি না সনাক্ত করতে পারি না তাই এটি হল অদৃশ্য আর সুতরাং এই গায়েবের বা অদৃশ্যর জ্ঞান আল্লাহরই আছে, আমাদের নাই।
=🚫 আমি জানি আমি কি অর্জন করব আমি ভাল ভাবে পরিশ্রম করলে আমি ভাল ফলাফল পাব এটি হাদিসের বিপরীত হয়ে গেল )
✅ জনাব আপনি কি কি সাফল্য পেয়েছেন যদি দু একটি উদাহরন দিতেন ভাল হত । ধরুন আপনার সামনের মাসে পরীক্ষা , পরীক্ষার রুটিন আপনি হাতে পেলেন । আপনি খুব ভাল প্রস্তুতি নিলেন এবং কোঠর পরিশ্রমও করলেন । পরীক্ষার হলেও গেলেন । কিন্তু দেখলেন যে আপনি প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানের আর আজকে পরীক্ষা হল গনিতের , কারন আপনি এতই আপনার বিজ্ঞান নিয়ে বিভর ছিলেন যে আপনার যে পরিক্ষার রুটিন পরিবর্তন হয়েছে সেটি আপনি জানতেও পারলেন না । - এখন খেয়াল করুন আপনি কিন্তু অনেক শ্রম দিলেন কিন্তু গনিতের জন্য ভাল প্রস্তুতি না নেওয়ার ফলে , পরীক্ষা দিতে পারবেন কিন্তু নাম্বার কম আসবে ।
আরেকটি উদাহরন খেয়াল করুন । এক সপ্তাহ পরে আপনার চাকরির ইন্টারভিউ। এখন আপনি আপনার চাকরির জন্য অনেক কোঠর পরিশ্রম করলেন , আপনি আপনার চাকরির জন্য অফিসের দিকে রওয়ানা হলেন হটাত আপনি! বাস এসে আপনাকে এমন এক ধাক্কা দিল যে আপনি মৃত্যু বরন করলেন । এই বাস্তব উদাহরন থেকে পরিস্কার বুঝাই যাচ্ছে যে কোঠর পরিশ্রম করলেই যে সফলতা আপনার সাথে এসে প্রেম করবে বিষয়টি সেটা নয় । তবে হ্যাঁ মানুষের উচিত ভাল কাজে পরিশ্রম করা । কিন্তু আল্লাহ সব জানেন যে আপনি পরিশ্রম করে আসলেও সফল হবেন নাকি ব্যার্থ্য হবেন ।
তাই হাদিসে যেটা আছে হুবহু সত্য প্রমানিত হল । আপনার অভিযোগ ভুল প্রমানিত হল ।
🚫=(অনেকেই জানেন সে যে কখন মারা যাবে । যেমন দরজায় তালা মেরে বন্ধ ঘরে বিষ খেয়ে দেখুন , আপনিও জানবেন কখন আপনি মারা যাবেন)=
✅ খগেন দাদা ধরে নিলাম আপনার যুক্তি ঠিক আছে কিন্তু আপনি যখন ঘরে দরজা লাগিয়ে বিষ খাচ্ছিলেন তখন আমি আপনাকে দেখি ফেলি ফলে আমি নায়কের মত😁 আপনার কম দামি প্লাস্টিকের দরজায় এমন এক লাথি মেরে ভেঙ্গে ফেলি এবং আপনাকে আমি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আপনাকে আমি বাঁচাতে সক্ষম হই । এখন আপনি আমাকে বলুন আপনি তো বিষ খেয়ে মরে যেতে গিয়েছিলেন কিন্তু আমি যে আপনাকে বাঁচিয়ে ফেললাম এটি কিন্তু আপনি জানতেন না কিন্তু আল্লাহ জানতেন যে আমি আপনাকে রক্ষা করব । সুতরাং বুঝতেই পেরেছেন হাদিসে যা আছে সেটিও সত্য । আরও কিছু বাস্তব প্রমান দেই
বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখঃ ১০ মে ২০১৮ , ব্রহস্পতিবার - এই পত্রিকায় " মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও বেঁচে যাওয়া মানুষরা" এই শিরোনামে কিছু বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যারা সরাসরি মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছে । (৫)
অ্যান গ্রিন নামক এক মহিলা তিনি এক বাড়িতে কাজ করতেন । একদিন বাড়ির মালিকের নাতির কুদৃষ্টি পড়ে অ্যান গ্রিনের ওপর । সেই বাসায় মালিকের নাতি দ্বারা সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে । কিন্তু তার বাচ্চাটি মারা যায় । কেউ জেনে গেলে মানসম্মান যাবে তাই সে বাচ্চাটিকে লুকিয়ে রাখতে যায় । সে ধরা পড়ে যান । শিশু হত্যার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং ফাসির আদেশ দেয়া হয় । অতপর শাস্তি কার্যকর করা হলে অ্যান গ্রিনের লাশ নিচে আনা হয় , ডাক্তাররা তাকে পরিক্ষা করতে গেলে অবাক হন কারন তখনো তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল । অতপর ডাক্তাররা তাকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা করেন ফলে অ্যান গ্রিন তার চেতনা ফিরে পান । পুরোপুরি সুস্থ হন । মৃত্যু থেকে ফিরে আসায় সবাই ভাবল অ্যান গ্রিন নিশ্চিত ভাবে স্রষ্টার কাছে নির্দোষ তাই তারাও তাকে ক্ষমা করে দিল।
জোলায়খা কাদখোদা নামের ২০ বছর বয়সী এক নারী ব্যভিচারের অপরাধে আদালত তাকে পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তির আদেশ দেন । ফলে তাকে মাটির মধ্যে গর্ত করে তার অর্ধেক শরীর প্রবেশ করিয়ে সকলেই তাকে পাথর মারতে থাকে । যখন সবার মনে হয়েছে সে মারা গেছে তখন তার কাছে গিয়ে দেখে সে মারা যায় নি । পড়ে তাকে চিকিৎসা করা হয় এবং তৎকালীন প্রশাসন তাকে রাজক্ষমা ঘোষণা করে দেয় ।
মেক্সিকান বিপ্লবে ওয়েনসেসলাও মোগুয়েলের ভূমিকা থাকার জন্য, কোন বিচার ছাড়াই তাকে মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেয়া হয়েছিল । ফলে তাকে ৯ টি গুলি করে হয় কাছে থেকেও গুলি করা হয় কিন্তু তারপরেও সে মারা যায়নি কারন কোন গুলিই তার শরীরের এমন কোন অঙ্গ ভেদ করেনি যার ফলে সে মারা যেতে পারে । এই বিস্ময়কর ঘটনা তৎকালীন খুবই অবাক করেছিল সবাইকে ।
এরকম অনেক বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে যেমন বৈদ্যুতিক চেয়ারেও ব্যার্থ হয় মৃত্যু ঘটাতে, তিন তিনবার ফাসির কার্যক্রম থেকে বেঁচে যান জোসেফ ইত্যাদি । সুতরাং কে কখন কিভাবে মৃত্যুবরন করবে সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানেন না । হাদিসে ও কুরআনে একেবারেই সঠিক সত্য কথাই বলা হয়েছে ।
🚫=(কাল বৃষ্টি হবে কিনা - স্যাটেলাইট দিয়ে বের করা আবহাওয়া রিপোর্ট আজকে দেখে নিন । স্যাটেলাইট যত উন্নতমানের রিপোর্ট তত নির্ভুল)=
✅ এখানেও জালিয়াতি করা হয়েছে । স্যাটেলাইট দিয়ে সম্পূর্ণ একেবারে গ্যারান্টি দিয়ে কখনোই বলা হয় না যে আজকে এখনি বৃষ্টি হবে আপনারা ছাতা নিয়ে হাঁটবেন , এখনি রেইনকোর্ট পরে বের হবেন ! আসলে আবহাওয়ার বার্তা বাহক হিসেবে যারা কাজ করেন তারা বলেন যে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে পরিবেশের অবস্থা এমন সুতরাং আজকে বৃষ্টি হতে পারে । তারা বলেন না যে আজকেই এখনই বৃষ্টি হবে তারা বলেন হতে পারে ।
অনেক সময় দেখা যায় প্রচুর মেঘ আকাশে, আমরা ধরে নেই যে আজকে প্রচুর বৃষ্টি হবে কিন্তু একটু পরেই দেখা যায় মেঘ সরে গিয়ে হটাত রোদ এসেছে এরকম প্রাই হয় । আবহাওয়ার বার্তাবাহকরা অনেক সময় বলেন যে টানা সাত দিন বৃষ্টি হবে । তাই আগেই সবাই সতর্ক হন । কিন্তু দেখা যায় ২ দিন প্রচুর বৃষ্টি হলেও বাকি দিন গুলোতে বৃষ্টির অস্তিত্বও নাই । সুতরাং স্যাটেলাইট দিয়ে গ্যারান্টি সহ বৃষ্টির সময় নির্ণয় করা পসিবল না হলেও অনুমান করা যায় শুধু । আল্লাহ জানেন কখন কোথায়, কোন সময় , কতটুকু বৃষ্টি হবে , তাই হাদিসে যা আছে সেটাই পুরাপুরি সত্য । কোন সন্দেহ নাই । আল্লাহ ছাড়া কেউই এটি হুবহু নির্ণয় করতে পারবে না ।
উপরের সমস্ত তথ্য যুক্তি প্রমান অভিযোগ খণ্ডন ইত্যাদি করার শেষে আমরা কিছু দাবী করছি এবং কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিঃ
১/ হাদিসে বলা হয়েছে গায়েবের পুঞ্জি মানে অদৃশ্য বিষয় সমূহ ।
২/ মানুষ যা নির্ণয় করতে পারে সেগুলা দৃশ্যমান তাই হাদিসে এই দৃশ্যমান বস্তুর কথা বলা হয় নাই বরং অদৃশ্যমান বিষয়ের কথা বলা হয়েছে
৩/ মানুষ কখনোই জানতে পারে না যে আগামীকাল কি হবে , অনুমান আর গ্যারান্টি সহ জানা এক বিষয় না ।
৪/ মানুষ কখনোই জানতে পারে না যে মায়ের পেটে কি আছে কিন্তু ২৬ সপ্তাহ পরে যখন বাচ্চার অস্তিত্ব দেখা যায় তখন পরীক্ষা করে ডাক্তার ফলাফল জানান কিন্তু আল্লাহ এর আগেও জানেন এবং ভবিষ্যৎও জানেন ।
৫/ মানুষ কখনোই জানতে পারে না যে আগামীকাল আসলেও বৃষ্টি হবে কিনা , তবে অনুমান করতে পারে , অনুমান আর গ্যারান্টি এক বিষয় না ।
৬/ মানুষ কখনো জানে না যে সে কোথায় কিভাবে মৃত্যুবরন করবে - আল্লাহই ভাল জানেন । অনেকেই ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়েও বেঁচে থাকে আবার কেউ যুবক হটাত স্টক করেও মৃত্যুবরন করে তাই আল্লাহই সব জানেন ।
৭/ আপনি কি স্যাটেলাইট দিয়ে পরিমাপ করতে পারবেন যে এই মুহূর্তে কোথায়, কখন কোন সময়ে এবং কয় কোটি ফোটার বৃষ্টি পরবে ?
৮/ আপনি কি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করার দুই দিন পরেই নির্ণয় করতে পারবেন যে সে ছেলে হবে নাকি মেয়ে ? সে কেমন হবে ? তার চরিত্র কেমন হবে ? সে সুন্দর হবে নাকি অসুন্দর ? তার শেষ পরিনতি কি হবে ?
৯/ আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন যে আপনি কালকে যা যা বলবেন তাই হবেই এর হেরফের হবেই না ?
১০/ আপনি আগামী এক মাসের মধ্যে কি অর্জন করবেন এটি কি আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবেন ?
১১/ আপনি আগামী পাঁচ বছরে কোথায় মারা যাবেন সেটি কি জানেন ?
✳রেফারেন্স সমাচারঃ✳
১/ সুরা লুকমান ৩১:৩৪ ।
২/ ই,ফাঃ সহিহ বুখারি, ২/২৫৩ , হাদিসঃ ৯৮২ , সহিহ হাদিস ।
৩/ একজন বাচ্চার অস্তিত্ব কোন সময়ে নির্ণয় করা যায়ঃ
৪/ তাফসীরে ইবনে কাসির ১৫ খণ্ড , পৃষ্ঠা ৭০৩ , ৭০৪ ।
৫/ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখঃ ১০ মে ২০১৮ , ব্রহস্পতিবার ।
: