🧐বিষয়ঃ প্রমানের বৈপরীত্য ।
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
স্রষ্টার প্রমান নেই, স্রষ্টার প্রমান নেই যখন প্রশ্ন করা হয় আপনি আসলে কেমন প্রমান চাচ্ছেন কারন মুমিনরা একবার নয় বরং লক্ষবারের বেশি প্রমান দিয়েছে যে "স্রষ্টার আছেন" এখন প্রমান বলতে আপনি কেমন প্রমান চাইছেন ? এর কোন সঠিক অথবা স্বচ্ছ জবাব হিংসুকরা আমাদের সামনে পেশ করতে পারে না । আমরা যারা সভ্য মুমিন মুক্তমনারা আছি তারাই না শুধু বরং অনেক বিজ্ঞানীও স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করেছেন । আমার আজকের লেখাটি হল "প্রমান" বিষয় কেননা প্রমান নিজেই প্রমাণিত কিনা সেটাই এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে ।
আমাদেরকে সঠিক ভাবে নাস্তিক্যধর্ম জানতে দেয়া হয়নি বরং কিছু অসৎ মিথ্যুক নাস্তিক যারা এই নাস্তিক্যধর্মকে নিয়ে বিজনেস করছে অনলাইনে তারা আর যাই বলুক আমাদেরকে সঠিক এবং বিশুদ্ধ নাস্তিক্যধর্ম জানতে দিবে না এটা তো নিশ্চিত কারন একজন সাধারন চিন্তাশীল মানুষ যদি এর ভিতরের লুকানো সত্যতা জেনে যায়, বুঝে যায় তাহলে সে আর এই মতবাদে যে বিশ্বাস ধরে রাখতে পারবে না এটাও সূর্যের মতোই হাসা কথা ।
আমরা জানি সাধারনত কারো কোন দাবি সত্য সাব্যস্ত করার জন্য সে তথ্য, সত্য সাক্ষ্য, দাবির পক্ষে যুক্তি বা বিশ্বাসযোগ্য সমর্থক কিছু , সত্য বিশ্বাসযোগ্য নিদর্শন বা চিহ্ন, প্রত্যক্ষ নজির ইত্যাদি সবই প্রমানের অংশ অথবা সেসবের সম্মিলিত রুপকেই প্রমান বলে। কিন্তু নাস্তিক্যধর্ম এই সংজ্ঞা ডিল করে না কারন স্রষ্টাকে প্রমানের অভাবে বাতিল করে দেয়াকেই নাস্তিক্যবাদ বলা হয় আর একে ধারন করা হয় বলেই আমরা একে নাস্তিক্যধর্ম বলে সম্বোধন করে থাকি । ফুটবল খেলা যেমন মানুষের জীবন দিয়ে ডিল করে না ঠিক নাস্তিক্যধর্ম মানুষের জীবন নিয়ে ডিল করে না এমনকি "প্রমানের সংজ্ঞার নীতি সেট করার সময়ও" । কোন মানুষ কি করলো বা বলল ইত্যাদি নাস্তিক্যধর্ম ডিল করে না ঠিক একই যুক্তিতে প্রমান কাকে বলে এটার উত্তর কোন মানুষ কখনোই প্রদান করতে পারবে না কারন মানুষের কোন কিছু নিয়েই ডিল করা না নষ্টাকিজম ।
সুতরাং কোন তথাকথিত সস্তা নাস্তিক যদি আপনাকে বলে স্রষ্টার প্রমান দেন, আগে তাকে জিজ্ঞাসা করুন নাস্তিক্যধর্ম কি প্রমান নিয়ে ডিল করে ? এটার উত্তর সে এড়িয়ে যাবে আর না হয় সে গোঁজামিল দিবে কিন্তু বিশুদ্ধ উত্তর সে আপনাকে দিবে না কারন বিশুদ্ধ উত্তর হল নাস্তিক্যধর্ম প্রমান নিয়েই যেখানে ডিল করে না সেখানে স্রষ্টার অথবা যে কোন কিছুই হক না কেন সেটার প্রমান চাওয়া নিরর্থক ।
আমার এই মুক্তচিন্তার সাথে বিখ্যাত নাস্তিক্যধর্ম প্রচারক হুমায়ূন আজাদ সাহেব একমত । কারন তিনি তার বিখ্যাত কিতাব "আমার অবিশ্বাস" এর ১৭ নং পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক , আইনস্টাইন নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ।
যেহেতু মৃত্যুই শেষ ঠিকানা তাই প্রমান চাইলেই কি আর দিলেই বা কি আর সত্য বললেই বা কি মিথ্যা বললেই বা কি সবই শুন্য কারন শেষ পরিনতি মৃত্যু এটাই নাস্তিক্যধর্মের সহিহ আকিদা বিশ্বাস। হুমায়ূন সাহেব এই কথা যে স্বীকার করেছেন এটার জন্য তাকে "ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঝছে বাংলাদেশ" প্রথম পুরস্কার তাকে দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। । এই সত্য কথা অনলাইনের সস্তা বিদ্বেষীরা স্বীকার করতে চান না যা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
অন্য মতবাদ বিষয় মুক্তচিন্তা করা যাবে আর নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে মুক্তচিন্তা করা যাবে না এই ফতোয়া কে দিয়েছে শুনি ? মুক্তচিন্তা আমাকে নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করে । একজন নাস্তিক বিজ্ঞানীও কিন্তু বিজ্ঞানী আবার একজন আস্তিক বিজ্ঞানীও কিন্তু বিজ্ঞানী । উভয়ই বিজ্ঞানী, প্রশ্ন হল মুমিনরা না হয় ইসলামকে স্বীকার করে তাই তারা স্রষ্টার অস্তিত্বর পক্ষে বিজ্ঞানীদের গবেষণা সমূহকে মেনে নেয় তাই বলে কি নাস্তিক্যধর্মের কুমীনরাও এই সিস্টেম ফলো করবে ? আমার তো মনে হয় না।
তারা নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক বলে দাবি করে থাকেন তারা আসলে কোন সাইডের বিজ্ঞানমনস্ক এবং কেন সেটাও কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । আচ্ছা নাস্তিক্যধর্মে কি এমন কোন বিধান আছে যে আস্তিক বিজ্ঞানীরা সব ভুল তথ্য দেয় আর নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই হলেন আসল ফেরেশতা এমন কিছু ? তাই আমি প্রায়ই বলি যে বিজ্ঞানের মধ্যেও রাজনীতি আছে এখানে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা যে আস্তিক বিজ্ঞানীদের গবেষণা সত্য হলেও মূল্যায়ন করবে না সেটাই সত্য এবং বাস্তব লুকানো সত্য ।
যেসব বিজ্ঞানী বিবর্তন বিরোধী অথবা বিবর্তন যে একটি মিথ্যা ভুলে ভরা ধারনা প্রমান করেছেন - এরকম বিজ্ঞানীদের গবেষণা সত্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের গবেষণা যেন বাইরে বের না হয় এরকম ব্যবস্থা করা হয় । এ বিষয় ইউটিউবে Expelled: No intelligence allowed লিখে সার্চ দিলেই সেই ডকুমেন্টারি দেখতে পাবেন । এই বিষয় বিখ্যাত জীবাশ্মবিদ "গুনটার বেকলির" সাথে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা প্রাধান্য পায় । তিনি জার্মানির ষ্টেটগার্ডে অবস্থিত ষ্টেট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিষ্ট্রি - তে কিউরেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন গুনটার বেকলি ফসিল ড্রাগন ফ্লাই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ । তিনি অনেকগুলো ফসিল ড্রাগন ফ্লাই প্রজাতি আবিষ্কার করেন এবং তার নামে একাধিক প্রজাতির নামকরনও করা হয় । তিনি ছিলেন বিবর্তনবাদী এবং ঐ মিউজিয়ামে বিবর্তন সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেন । কিন্তু গত কয়েক বছর তিনি তার পড়ালেখার আলোকে বিবর্তনবাদের কথিত প্রমানাদির ওপর সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছান যে, এলোপাতাড়ি বিবর্তন এর প্রস্তাবিত কোন পদ্ধতিই প্রজাতির বিবর্তন প্রমানের জন্য যথেষ্ট না । প্রথম প্রথম তিনি তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি গোপন রাখলেও গত বছর তা প্রকাশ করেন । যার ফল তাকে মিউজিয়ামের কিউরেটর পদ থেকে কোন উপযুক্ত কারন প্রদর্শন না করেই অপসারণ করা হয় । উইকিপিডিয়ার মত তথাকথিত নিরপেক্ষ অনলাইন বিশ্বকোষ থেকে তার পেজটি এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয় যেন জীবাশ্মবিদ্যায় তার কোন অবদানই নাই ।
অ্যামেরিকান অণুজীব বিজ্ঞানী "জোনাথন ওয়েলস" ২০০০ সালে প্রকাশিত তার কিতাব "Icons of Evolution" page 235-236 তিনি লিখেছেনঃ গোঁড়া ডারউনবাদীরা প্রথমে ডারউনের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা চাপিয়ে দিয়ে ঘোষণা করে যে বিজ্ঞানচর্চার এটাই একমাত্র রাস্তা। তখন সমালোচনাকারীরা হয়ে পড়ে অবৈজ্ঞানিক । সমালোচনা নিবন্ধ সমূহ গোঁড়াবাদী বিজ্ঞান- সাময়িকীগুলো প্রত্যাখ্যান করে। সরকারী সংস্থাগুলো সমালোচকদের অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানায় । সবশেষে সমালোচকদের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় থেকে বহিস্কার করা হয় । এভাবেই ডারউনবাদী মতবাদের বিপক্ষে সকল প্রমান আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে যায় অথবা প্রমানগুলোকে গায়েব করা হয় বিশেষায়িত প্রকাশনা গুলোতে , যার সন্ধান পায় কেবল অতি কৌতূহলী উদ্দীপক গবেষকরাই । আর যখনই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং প্রমানগুলো গায়েব করে দেয়া হয় । ঠিক তখনই ডারউনবাদীরা প্রচার করে বেড়ায় যে, বিবর্তনবাদের বিপক্ষে বৈজ্ঞানিক বিতর্ক আছে কিন্তু কোন প্রমান মজুদ নেই ।
মজার একটি তথ্য দেই আমার চিন্তাশীল পাঠকদের । বুঝার চেষ্টা করুন । নাস্তিক্যবাদের বাউন্ডারি কতটুকু জানেন ? "স্রষ্টা নেই" এই দুটি শব্দ উচ্চারন ছাড়া নাস্তিক্যধর্ম আর কিছুই বলার ক্ষমতা রাখে না । সহজে বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দেই অনেক সময় হিংসুকরা একটি দুর্বল সস্তা যুক্তি দেয় যেমন ঈশ্বর আসলে অলীক, আসলে ঈশ্বরের ধারনা মানুষই সৃষ্টি করেছে , আসলে ঈশ্বর বলে কেউই নেই সুতরাং ঈশ্বর বাতিল । তাহলে একই সিস্টেমে নাস্তিক্য যুক্তিতে নাস্তিক্যধর্মও বাতিল কারন নাস্তিক্যধর্ম মানুষই সৃষ্টি করেছে । পাঠক খেয়াল করুন নাস্তিকদের দুটি যুক্তিই কিন্তু পরস্পর বিরোধী এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই সমাধান কি নাস্তিক্যধর্ম দিতে পারবে ? এই একটি প্রশ্নই নাস্তিক্যধর্ম ত্যাগ করার জন্য এনাফ যদি কেউ সুস্থ মুক্তচিন্তা করতে পারে তবে ।
🤔নাস্তিকতাই মানব মুক্তির ধর্ম তাহলে আমার মুক্তমনা প্রশ্নের উত্তর এর আলোকেই আশা করছিঃ
1⃣ "প্রমান স্বয়ং" "কোন প্রমান" দ্বারা প্রমানিত ?
2⃣ প্রমান কাকে বলে এর জবাবের নীতি কে ঠিক করবে এবং কেন ও কি দিয়ে ঠিক করবে ?
3⃣ নাস্তিক্যধর্ম শুধু "স্রষ্টা নেই" এতটুকুই শেষ তাহলে কিভাবে "প্রমান" নিয়ে এটি ডিল করে ?
4⃣ "প্রমান পেলেই স্রষ্টাকে মেনে নেয়া হবে" এই নীতি নাস্তিক্যধর্মের কথায় আছে কারন যেখানে নাস্তিক্যধর্ম অর্থই স্রষ্টা নেই সেখানে প্রমান পেলে মেনে নিবে এটি কি পরস্পর বৈপরীত্য নয়,কিভাবে?
5⃣ বিবর্তনের আকিদা বিশ্বাসের সুত্র মতে প্রমান কাকে বলে ? প্রাণীজগতের সবাই এক অর্থাৎ গাধা ও নাস্তিক টাইপ মানুষ উভয়ই সমান গাধার প্রমান লাগে না , সে সামনে যাই পায় তাই না বুঝেই মেনে নেই আর সে চায়ও না প্রমান তাহলে নাস্তিক মিথ্যুকরা কোন লজ্জায় মুখে প্রমান চায় ? প্রমান সত্য হক অথবা মিথ্যা, মৃত্যুই যখন শেষ ঠিকানা তাহলে প্রমান চেয়েই বা লাভ কি ?
6⃣ বিজ্ঞানের দুনিয়ায় আস্তিক বিজ্ঞানীদের কাছে নাস্তিক বিজ্ঞানীদের গবেষণা ভুল আবার নাস্তিক বিজ্ঞানীদের কাছে আস্তিক বিজ্ঞানীদের গবেষণা ভুল আসলে কে ভুল যেখানে সবাই বিজ্ঞানী এবং সকলেই মানুষ ? এ দুই টাইপের বিজ্ঞানী কিন্তু প্রমান, যুক্তিবিদ্যা, তথ্য , বস্তু ইত্যাদির মাধ্যমেই গবেষণা করে তাহলে কি তারা সবাই ভুল ? নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দেয় এই মাসালা নিয়ে ?
7⃣ প্রাচীন কালের সে সকল দার্শনিকদের নাম অথবা তাদের ছবি দাবি করা হয় আসলেই কি সেসব তাদেরই ছবি ? সেগুলোর প্রমান কি ? মুমিনরা না হয় সত্য সাক্ষ্যর উপর ভিত্তি করে সেসকল দার্শনিকদের অস্তিত্ব, তাদের গবেষণা অথবা তাদের চেহারা স্বীকার করে কিন্তু নাস্তিক্যধর্ম বিশ্বাস মতে কিভাবে তাদেরকে প্রমান করা যাবে ? কোন একজন মানুষের মুখের কথার উপর ভিত্তি করে তাদেরেক বিশ্বাস করা কি অন্ধ বিশ্বাস নয় ? আর যে কোন কিছুই বিশ্বাস করার মানেই হল ভাইরাস তাহলে নাস্তিক্যধর্ম কিভাবে মানুষের মুখের কথা বিশ্বাস করতে বলে ?
8⃣ অতিতকালের সমস্ত ইতিহাস কি বিশ্বাসযোগ্য নাস্তিক্যধর্ম মতে ? আগের যুগে যাইই হয়েছে অথবা হয়নি এসব কিভাবে একজন নাস্তিক বিশ্বাস করতে পারেন আমার বুঝে আসে না ? ইতিহাস শুধু মাত্র মানুষের লেখা অথবা মুখের কথা উপর ভিত্তি করেই মেনে নেয়া হয়। নাস্তিক্যধর্ম কিভাবে কিছু মানুষের মুখের কথার উপর বিশ্বাস রেখে সেগুলো বিশ্বাস করে ? নাস্তিক্যধর্ম কি এসব ডিল করে ? ইতিহাস সঠিক নাকি বেঠিক এসব কিভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে নাস্তিক্যধর্ম মতে ?
9⃣ বিদ্বেষী হিংসুকদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে কুরআন যে আল্লাহর বানী সেটার প্রমান কি ? নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে এই প্রশ্ন ভাল মানের প্রশ্ন। এই প্রশ্ন দিয়ে যেমন নাস্তিকরা কুরআন মানে না ঠিক এই প্রশ্ন দিয়েই প্রাচীন সকল বই বাতিল বলে গণ্য করা হবে যেমন "অরিজিন অফ স্পিসিস" কিতাব যে মরহুম চার্লস ডারউইন চাচ্চু লিখেছে সেটার প্রমান কি ? "দ্যা রিপাবলিক" কিতাব যে মরহুম প্লেটোই হুজুরেই লিখেছেন সেটার প্রমান কি ? মানুষের মুখের সামান্য দাবি করলেই কি আমরা সেই কিতাব বিশ্বাস করব ? এভাবে প্রাচীন সব কিতাব যে ঐ লেখকেরই কিতাব সেটার প্রমান নাস্তিক্যধর্ম কিভাবে আমাদেরকে বুঝাবে ?
🔟 এক প্রমান সর্বত্র গ্রহনযোগ্য কিনা ? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে সবাই তো যে কোন কিছুই দাবি করে আবার এটাও দাবি করতে পারে তারটাই সঠিক আবার অন্য কেউই একই সিস্টেমে, একই প্রমানে কোন কিছু প্রমান করে দাবি করতে পারে তারটাই সঠিক এখানে আসলে ভুল কে? ধরুন এক নাস্তিক নারী দাবি করলো আসিফ মহিউদ্দিন একজন ভয়ংকর ধর্ষক আবার সে নিজে দাবি করছে সে নিকৃষ্ট ধর্ষক নয় এখানে কোন নাস্তিক আসলে সঠিক তথ্য দিচ্ছে কারন দুইজনেই প্রমানের উপর অন্ধ বিশ্বাসী এখানে কে ভুল ? নাকি দুইজনেই সঠিক ? কিভাবে দুইজনেই সঠিক হয় ? সঠিক প্রমান আর ভুল প্রমান কি দিয়ে নির্ণয় করা হবে নাস্তিক্যধর্ম মতে?
1⃣1⃣ ধরুন কিছু ডাক্তারের কাছে সমকামীতা হল রোগ আবার কিছু ডাক্তারের কাছে রোগ না এখানে দুইজনেই ডাক্তার তাহলে সঠিক কে আর ভুল কে কারন তারা দুইজনের প্রমানের ভিত্তিতে দাবি করছে এখানে নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দেয় ?
1⃣2⃣ ধরুন একজন সমকামী দাবি করলো নাস্তিক্যধর্ম সত্য-মিথ্যা দিয়ে ডিল করে না এখন আমি হলাম সত্যবাদী এবং আমি দাবি করলাম নাস্তিক্যবাদই মানব ধর্ম । এখন সে নিজেকে সত্যবাদী দাবি করছে অথচ আগে বলেছে নাস্তিক্যধর্ম সত্য-মিথ্যা নিয়ে ডিল করে না তাহলে তার পরের দাবিটি কিভাবে সত্য অথবা মিথ্যা হয় ?
1⃣3⃣ মুমিনরা দাবি করে নাস্তিকরা মিথ্যুক । আচ্ছা ধরে নিলাম আমি নাস্তিক আর আমি মিথ্যুক এখন মুমিনরা সেটি প্রমান করুক । ওকে ফাইন । এখন সেই নাস্তিক প্রাণীটি যেহেতু ধরে নিয়েছে যে "নাস্তিকতা মিথ্যাবাদী" এখন তার দাবিটি সত্য হলে সে মিথ্যা বলছেন । মিথ্যাবাদী হলে তো মিথ্যাই বলবেন, নাকি? বিপরীতভাবে তার দাবি যদি মিথ্যা হয়, তাহলে তিনি মিথ্যা বলছেন না। সেক্ষেত্রে তিনি যা বলছেন, সত্য । নাস্তিক্যধর্ম এমন সমস্যা কি সমাধান দেয় এবং কেন?
1⃣4⃣ ধরুন নাস্তিকরা দাবি করছে "সকল নাস্তিকরাই সত্যবাদী"প্রশ্ন হল এই দাবি যে মিথ্যা নয় সেটার প্রমান কি ? দাবিটি "কোন সত্য" দ্বারা "সত্য" প্রমানিত নাকি মুখের কথা শুনেই বিশ্বাস করতে হবে আর বিশ্বাস মানেই তো ভাইরাস ?
1⃣5⃣ "প্রমান" এর মানদণ্ড কি ? কে ঠিক করবে এই মানদণ্ড ? ঠিক যে করবেন তাকে কি পুরো বিশ্বর মানুষ মানতে বাধ্য হবে ? একজন মানুষকে কিভাবে আরেকজন মানুষ অনুসরণ করতে পারে বিবর্তন আকিদা মতে কারন গাধাকে কিন্তু অন্য কোন প্রাণীই অনুসরণ করে না তাহলে একজন মানুষকে কেন অনুসরণ করতে হবে ? বিবর্তনের কি নিজস্ব নীতিমালা আছে নাকি ? সেটি কে ঠিক করবে এবং কেন ঠিক করবে, কি দিয়ে ঠিক করবে ?
1⃣6⃣ নাস্তিক্যধর্ম ভাষা নিয়ে ডিল করে কিনা ? কারন অক্ষর বা শব্দের উপরে বিশ্বাস না রাখলে কেউই ভাষা শিখতে পারবে না আর সকল নাস্তিকই যুক্তির উপরে বিশ্বাসী এখন "ক" এর পরে "খ" কেন হল এটার পিছনে যৌক্তিকতা কি ? কারো বলা সিস্টেমের উপর বিশ্বাস করেই কি বিশ্বাস করতে হবে "ক" এর পরে "খ"ই হবে এর বাইরে যাওয়া যাবে না তাহলে মুক্তমনা আকিদা এখানে বৈপরীত্য হচ্ছে না ? বাকস্বাধীনতা বাধা গ্রস্ত হচ্ছে না ? নাস্তিক্যধর্ম কোন প্রমানের আলোকে এই সমসসার সমাধান দেয় এবং কেন ?
1⃣7⃣ ধরুন একজন নাস্তিকদের নাম মাসুদ। তিনি সিদ্ধার্থ নামের এক ছেলেকে নিজের ছেলে বলে দাবি করে অথচ কোন প্রমান দেখায়নি । এখন সেই ছোট শিশুকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন সে । এটি কি অন্ধবিশ্বাস এবং মুক্তমনা চেতনা বিরোধী কাজের মধ্যে পড়ছে না ? কারন স্কুলে পড়লে অনেক নিয়ম কানুন মানতেই হবে নাইলে স্কুলের থেকে বের করে দিবে । আর শিক্ষককে বিশ্বাস না করলে কোন ছাত্র জ্ঞান অর্জন করতেই পারবে না আর বিশ্বাস করা তো নাস্তিক্যধর্মে ভাইরাস, মহামারী এবং জ্ঞান অর্জন করার অন্তরায় তাহলে এই ক্ষেত্রে কি সমাধান দিবে নাস্তিক্যধর্ম ? জ্ঞান নিজে কি জ্ঞানী ? শুন্য থেকে কিভাবে জ্ঞান অস্তিত্ব আসলো ? কেন আসলো ? কিভাবে আসলো ?
1⃣8⃣ নাস্তিকদের জীবনে কি কোন শিক্ষক ছিল ? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে সেই শিক্ষকের যোগ্যতা আগে নির্ণয় করে পরে তার থেকে শিক্ষা নিয়েছে নাস্তিকরা নাকি বিনা প্রমানে আগেই সেই শিক্ষককে অন্ধ বিশ্বাস করেছে ? একজন শিক্ষক যে সত্যিই বলছেন সেটি কিসের ভিত্তিতে নাস্তিকরা যাচাই করতো তখন ? কাগজ কলমে লেখা থাকলেই কি যোগ্য হিসেবে প্রমানিত হয়ে যাবে ? এই নীতির পিছনে নাস্তিক্য যৌক্তিকতা কি ?
1⃣9⃣ ধরা যাক, একটি চাল পড়ে আছে মাটিতে। কেউ নিশ্চয়ই একে চালের স্তুপ বলবে না। সেখানে আরেকটি চাল যোগ করা হলো। তারপরেও কি কেউ একে চালের স্তুপ বলবে? অবশ্যই না। এভাবে প্রতিবার একটা একটা করে চাল যোগ করা হোক। সাধারণভাবে মাত্র একটা চালের কম-বেশি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। N সংখ্যক চালকে একত্রে রাখা হলে যদি চালের স্তূপ না হয়, তাহলে একটা বাড়িয়ে N+1 সংখ্যক চাল নিয়েও স্তূপ হবে না। অনুরূপভাবেই, যদি N সংখ্যক চালের সমাবেশকে স্তূপ বলা যায়, তাহলে তার থেকে একটা চাল কমিয়ে N-1 করা হলেও স্তূপ হবে। একটা চালে কি আর ‘স্তূপ না’ থেকে ‘স্তূপ আছে’ তৈরি করতে পারে? অথচ চোখের সামনে হামেশাই যে তো চালের স্তূপ হতে দেখা যায় । এমন সমসসার ক্ষেত্রে নাস্তিক্যধর্ম কিসের মাধ্যমে যৌক্তিক সমাধান দিবে যা সকলেই বিশ্বাস করবে ?
2⃣0⃣ ধরা যাক, একটি ক্ষুধার্ত গাধার ঠিক দু'পাশে সমান দূরত্বে দুটি খড়ের স্তূপ। রূপ আর গন্ধেও স্তূপ দুটি একই রকম। গাধাটি দুটো স্তূপের কোনটা থেকে খাবে, বুঝতে পারবে না। সুতরাং অপেক্ষা করবে এবং অনাহারে মারা যাবে। বিষয়টা কি ভ্রান্তিপূর্ণ না? এখন এই ভ্রান্তিপূর্ণ মাসালা কিভাবে ব্যাখ্যা করবে নাস্তিক্যধর্ম ?
2⃣1⃣ ধরা যাক, শিক্ষক এসে ক্লাসে ঘোষণা করলেন, আগামি সপ্তাহের যেকোনো দিনে সারপ্রাইজ টেস্ট নেয়া হবে। ছাত্ররা তখন ভাবতে শুরু করলো টেস্টটা কখন হতে পারে আসলে। কিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ কোত্থেকে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে গেল। আশ্বাস দিল- সারপ্রাইজ টেস্ট হওয়া সম্ভব না। পরীক্ষা বৃহস্পতিবারে হতে পারবে না। কারণ সপ্তাহের শেষদিন পর্যন্ত যদি অপেক্ষা করা হয় তাহলে তা আর সারপ্রাইজ থাকবে না। বুধবার বিকালেই সবাই টের পেয়ে যাবে পরের দিন পরীক্ষা। আবার বুধবারেও পরীক্ষা নেয়া অসম্ভব। কারণ বৃহস্পতিবারকে বাদ দিলে তো মঙ্গলবার বিকালেই জানা হয়ে গেলো বুধবার পরীক্ষা। অর্থাৎ আর সারপ্রাইজ থাকলো না। একইভাবে মঙ্গল, সোম কিংবা রবিবারেও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না। ছাত্ররা সব হেসেখেলে বন্ধটা পার করলো। বইখাতার ধারেকাছেও গেলো না। তারপর সত্যি সত্যি তাদের অবাক করে দিয়ে বুধবার সারপ্রাইজ টেস্ট হয়ে গেল। কীভাবে সম্ভব? নাস্তিক্যধর্ম কি দিয়ে এই সমসসার সমাধান দিবে এবং কেন ? নাস্তিক্যধর্ম কি আসলেই মুক্তির পথ ? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে উপরের ঘটনার যৌক্তিক ব্যাখ্যা কি আর যদি উত্তর না হয় তাহলে তো নাস্তিক্যধর্ম মুক্তির পথ নয় এটাই তো প্রমান হচ্ছে না কিভাবে ?
2⃣2⃣ কোনো কারণ ছাড়াই আপনি একটি লটারির টিকেট কিনলেন। বিকেলে ড্র হবার আগে খবর শুনেছেন এক কোটি টিকেট বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ আপনার জেতার সম্ভাবনা এক কোটিতে একবার। ধরা যাক, র্যাফেল ড্রতে দূর্নীতি হয়নি এবং একটা টিকেট বিজয়ী হবেই। যদিও আপনি জিতে গেলে রীতিমত খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতেন। তবু নিজেকে যৌক্তিক দিকটা বুঝিয়ে হারবেন বলে মেনে নিলেন। একই যুক্তি দিয়েই সিদ্ধান্ত নিলে আপনার বন্ধু রাফি, ভাই আকিব এবং চাচা আফজাল সাহেবের কিনে রাখা টিকেটও হেরে যাবে। ওই বাসার মতি, পাশের পাড়ার মোজাম্মেলসহ সম্ভাবনার দাঁড়িপাল্লায় একে একে সবাই বাদ গেল। সম্ভাবনায় বাদ গেলো যাদের আপনি চেনেন না, তারাও। এককথায় যে টিকেটই বিক্রি করা হয়েছে, যৌক্তিকভাবে আপনি তার হেরে যাওয়াটাই সমর্থন করলেন। অর্থাৎ সব টিকেটই হেরে যাবে, কোনটিই জিতবে না। কিন্তু এ কথা সত্য যে কেউ না কেউ জিতবে। অর্থাৎ আপনি জানেন যে ভুল, তারপরেও এমন একটা কিছুতে সমর্থন রাখছেন। এটা কীভাবে হতে পারে? নাস্তিক্কধর্ম কি সমাধান দিচ্ছে এই বিষয়ে ?
2⃣3⃣ কথোপকথনে মগ্ন ছিলেন সক্রেটিস ও মিনো। বিষয় গুণ (Virtue)- এর যথার্থ প্রকৃতি অনুসন্ধান। মিনো একের পর এক দাবি উত্থাপন করছিল আর তার খুঁত ধরিয়ে নাকচ করে দিচ্ছিলেন সক্রেটিস। আবার সক্রেটিস নিজে দাবি করছিলেন যে, তিনি এর সঠিক উত্তর জানেন না। সুতরাং মিনো প্রশ্ন করলো- যদি তুমি না-ই গুণের মুখোমুখি হও, তবে একে চেনো কীভাবে? কেমনে ভাবো ‘গুণ কী’- এই প্রশ্নের একটা নির্দিষ্ট সঠিক উত্তর আছে, যদি না আগে থেকে তোমার কাছে এর উত্তর থাকে? অর্থাৎ যদি আগে থেকে জেনে না থাকে তাহলে সক্রেটিস নাকচ করছে কীভাবে? আর যদি জেনেই থাকে, তবে তো প্রশ্নের পর্বই অনর্থক। সক্রেটিসের জবাব ছিলো জ্ঞানের মৌলিক উপাদানই সঠিক উত্তর চিনিয়ে দিতে যথেষ্ট। পূর্ব অভিজ্ঞতা সেই কাজ করে। তার প্রমাণ একটা দাসকেও জ্যামিতিক সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তোলা যায়। যদিও তাকে জ্যামিতির জ্ঞান দেয়া না হয়। এর থেকে মিনোর সমস্যার আধুনিক একটা রূপ দাঁড় করানো যায়। নামমাত্র কিংবা কোনো রকম নির্দেশনা ছাড়া কীভাবে মানুষ সফলভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারে? নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দেয় ?
2⃣4⃣ ধরা যাক, আপনি মাহতাব। বসে আছেন একটা জানালা ছাড়া রুমে। হঠাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। মুষল ধারায় বৃষ্টি। আপনি আবহাওয়া বার্তা শোনেননি। সুতরাং বৃষ্টির হবার কথাটাও জানেন না। বৃষ্টি যে আদতে হচ্ছে, এটা আলবৎ বিশ্বাস করেন না। আপনার কাছের বন্ধু মাহদি। সে আপনার অবস্থাটা জানে বলে দাবি করতেই পারে- “এখন বৃষ্টি হচ্ছে, অথচ মাহতাব বিশ্বাস করে না”। কিন্তু আপনি যদি বলেন- “এখন বৃষ্টি হচ্ছে, অথচ আমি বিশ্বাস করি না”; নিঃসন্দেহে বন্ধু মাহদি মনে করবে আপনার মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বাক্যটা কেন অর্থহীন হলো? এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন জি. ই. মুর- “আমার ব্যাপারে সত্য কিছু বলা আমার জন্য অর্থহীন হবে কেন”? নাস্তিক্যধর্ম কি বলে এই ব্যাপারে ?
2⃣5⃣ সক্রেটিস বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা জিনিসই জানি। সেটা হচ্ছে আমি কিছুই জানি না।” এর অর্থ সক্রেটিস কি আসলেই কিছু জানেন না, নাকি একটা জিনিস, বা অনেক জিনিসই জানেন? সক্রেটিস এর অস্তিত্ব যে ছিল সেটারই বা প্রমান কি ? এসব প্রশ্নের কি উত্তর দেয় নাস্তিক্যধর্ম ?
2⃣6⃣ ধরুন একটি নাস্তিক পরিবারে স্ত্রী আর নিজ মায়ের সাথে এমন ঝগড়া হইসে নাস্তিকের নাস্তিক মা রাগ করে তার সন্তানকে বলেছে যে তুমি আর এই স্ত্রীর সাথে থাকতে পারবা না । প্রশ্ন হচ্ছে নাস্তিক ছেলেটি তার মায়ের কথা বিশ্বাস করবে নাকি স্ত্রীর কথা যে স্ত্রী বলেছে তোমার মাকে ত্যাগ করো নাহলে আমি অন্য ছেলের সাথে চলে যাব ? নাস্তিক ছেলেটি কোন প্রমানের ভিত্তিতে কার কথা বিশ্বাস করবে এবং কেন ? স্ত্রীর কথা বিশ্বাস করলে মাকে অস্বীকার করা হবে আবার মায়ের কথা বিশ্বাস করলে স্ত্রীর কথা অবিশ্বাস করা হবে এই ক্ষেত্রে নাস্তিক্যধর্ম কি সমাধান দিবে এবং কেন ও কিভাবে ?
2⃣7⃣ ধরুন দুইজন নাস্তিক আছেন । প্রথম নাস্তিক দ্বিতীয়জনকে ৫০ হাজার টাকা আমানত রাখলো বিশ্বাস করে । এখন সেই টাকা একদিন ফেরত চাইলে দ্বিতীয় নাস্তিক অস্বীকার করলো আর বলল তুমি আমাকে কিছুই দেউনি তোমার কাছে কোন প্রমান নেই যে তুমি আমাকে কিছু দিয়েছ। এখন প্রথম নাস্তিক কোন প্রমানের ভিত্তিতে দ্বিতীয়জনকে অপরাধী বলবে এবং কেন ? এই অপরাধের পিছনে যৌক্তিক কারন কি এবং এই কারনের কারনেই যে সেটি অপরাধ এটি সর্ব প্রথম কোন সৃষ্টি করেছেন ?
2⃣8⃣ মায়ের সাথে তার ছেলের সম্পর্ক, ভাইয়ের সাথে তার বোনের সম্পর্ক, স্বামীর সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক এভাবে ইত্যাদির সাথে ইত্যাদির সম্পর্ক । এসব সম্পর্ক কি বিশ্বাসযোগ্য নাস্তিক্যধর্ম মতে ? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বিশ্বাসের তো অস্তিত্বই প্রমান করা সম্ভব নয় যদি উত্তর না হয় তাহলে যেখানে এসব সম্পর্ক নাস্তিক্যধর্ম মতে ভিত্তিহীন সেখানে মানবতার অস্তিত্ব কিভাবে প্রমানশীল ?
2⃣9⃣ একজন জ্ঞানী মানুষের জ্ঞান সমাজের মাঝে ফুটে উঠে কোন প্রমানের ভিত্তিতে ? ধরুন জনাব "ক" একজন জ্ঞানী নারী এখন তার মৃত্যু হয়েছে তাহলে প্রশ্ন হল তার নিয়ে যাওয়া জ্ঞানের কি হবে ? সেটি কি ধ্বংস হয়ে যাবে নাকি সেটির অস্তিত্ব অসীম হবে এই সমস্যা কোন ভিত্তিতে প্রমান করে সমাধান দেয়া যাবে?
3⃣0⃣ প্রকৃতি কোন প্রমানের আলোকে মানুষকে একটি ব্রেন দিল ? শুন্য থেকেই ব্রেন দুটি হল না কেন সব মানুষের ? সমস্যা কোন প্রমান দ্বারা সমস্যা প্রমানিত ? মানুষের মৃত্যু হবেই এই নিয়ম কোন প্রমান দ্বারা প্রমানিত ? প্রকৃতি নিয়ম মানতে বাধ্য কেন , কেন নিয়ম মানতে তাকে বাধ্য করছে ?
3⃣1⃣ ধরুন একজন মানুষ কখনোই স্বপ্ন দেখেনি তাই বিশ্বাসও করে না এখন সে স্বপ্নের অস্তিত্বর প্রমান চাইলো নাস্তিক্যধর্মের কাছে এখন স্বপ্নর অস্তিত্ব কোন প্রমান দ্বারা বাস্তব সত্যি প্রমান করার সিদ্ধান্ত দিবে ? অনেকে বলে থাকেন স্বপ্ন হল তাই যা মানুষ চিন্তা করে কিন্তু এই ব্যাখ্যা যে সত্য সেটার প্রমান কি ? মানুষ তো এমনও অনেক কিছুই ঘুমে দেখে যা সে চিন্তাও করে না । একজন নাস্তিক ধরুন ২০০০ সালে যা যা স্বপ্ন দেখেছে অথবা চিন্তা করেছে তা কি প্রমান করে সত্য প্রমান করা যাবে ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ তাহলে প্রমান করে দেখাক । যদি উত্তর হয় না তাহলে কি সে স্বপ্ন যা দেখেছে তার অস্তিত্বই নেই ? নাস্তিক্যধর্ম এসব মাসালার কি সমাধান দিবে ?
3⃣2⃣ বিবর্তন কোন প্রমানের আলোকে বিবর্তিত হল এবং কেন হল, কিভাবে হল ? প্রাণী জগতের মধ্যে কি প্রমানের অস্তিত্ব বিদ্ধমান ? যদি থাকে তাহলে সেটি অস্তিত্ব কথায় ? যদি না থাকে তাহলে প্রাণীদের প্রমান লাগে না নাস্তিক নামের মানুষদের কেন প্রমান লাগবে যেহেতু বিবর্তনে সব সমান ?
3⃣3⃣ বিগব্যাং এর কারনেই যে মহাবিশ্ব হয়েছে প্রশ্ন হচ্ছে বিগব্যাং নিজে কোন প্রমানের আলোকে বিস্ফোরিত হয়েছে এবং কেন ? সেই প্রমান এর অস্তিত্ব কিভাবে সম্ভব ? দুর্ঘটনার জন্যই যদি এই মহাবিশ্ব হয় তাহলে মহাবিশ্ব বিষয় অথবা মহাবিশ্ব ভিতরে সব কিছুরই কেন প্রমান লাগবে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে ?
3⃣4⃣ দিন, সপ্তাহ , মাস, বছর এসবের অস্তিত্ব কিভাবে প্রমানিত ? মানুষ শুধুই এসব মুখে মুখে বলে আর খাতায় লিখে রাখে মুমিনরা না হয় এসব মেনে চলে তাই বলে কি নাস্তিকরাও কারন নাস্তিক্যধর্ম এসব তো প্রমান করতেই পারছে না এটার সমাধান কি ? সূর্য উঠে অস্ত যায় এই কারনেই দিন হয় এটার প্রমান কি ? সাত দিন হলেই এক সপ্তাহ হতে হবে কেন , এর পিছনে যৌক্তিক প্রমান কি ? ৩০ দিনে এক মাস হবে কেন এটার প্রমান কি ? ৩৬৫ দিনেই কেন ১ বছর হতে হবে ? এই নিয়ম সমূহ সর্ব প্রথম কারা ঠিক করেছিল এবং তারা কোন প্রমানের ভিত্তিতে এসব নিয়ম ঠিক করেছেন ? এসব নিয়মের পিছনে যৌক্তিক কারন কি ? নাস্তিক্যধর্মের আলোকে ব্যাখ্যা করুন ?
: