নাস্তিক্যধর্মে তাসাউফতত্ত্ব

Post a Comment


ℹ️বিষয়ঃ নাস্তিক্যধর্মে তাসাউফতত্ত্ব
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী
আত্মশুদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক মানবের জন্য । নিজেকে পরিশুদ্ধ করা, নিজেকে পবিত্র করা অথবা একজন মানবিক মানুষে নিজেকে তৈরি করাই হল আত্মশুদ্ধি । ইসলামের জীবন বিধান আমাদেরকে আত্মশুদ্ধি করতে বলে খুব মজবুত করেই । আপনাকে একজন ভাল মানুষ হতে শিক্ষা দিতে চায় ইসলাম ।
সূরা বাকারা ২:৪৪ = ভাল কাজ নিজে করো এবং অন্যদের করতে বলো ।
সূরা বাকারা ২:৬০ = পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না ।
সুরা নিসা ৪:৫৮ = মানুষের সাথে ন্যায় বিচার করো ।
সূরা নিসা ৪:১৩৫ = ন্যায়ের উপর অটল থাকো ।
সূরা ফুরকান ২৫:৬৩ = নম্রভাবে দুনিয়াতে চলাচল করো ।
সূরা মাউন ১০৭:৩ = অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেও ।
এরকম হাজারো তথ্য আমি পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে পারি যা ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় । পাঠক এই লাইন সমূহ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । সত্য কথা বলা , অহংকার না করা , বড়দের সম্মান করা , ছোটদের স্নেহ করা , পিতা মাতার সেবা করা , মানুষকে সম্মান করা , ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া , আত্মীয়তা বজার রাখা ইত্যাদি যত ভাল কাজ আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি , আসলে এসব কর্ম কি নাস্তিক্যধর্ম ডিল করে কিনা সেটাই একটি বিশা....ল সংশয়বাদীতা তৈরি করে আমার মনে । কারন আমরা যদি নাস্তিক্যধর্ম প্রচারকদের ফতোয়া অথবা তাদের কিতাব সমূহ অধ্যায়ন করি তাহলে আমরা এই ফলাফলে আসতে বাধ্য হই যে নাস্তিক্যধর্ম আসলে একজন মানুষকে ভাল হতে দিতে চায় না। আপনারা যারা ইতিহাস পড়েন তারা খুব ভাল করেই এটাও জানেন যে বিখ্যাত নাস্তিক্যধর্ম প্রচারকগণ যেমন লেনিন, মাও সেতুং, স্টেলিং তাদের বর্বরতা কত নিষ্ঠুর ছিল । অত দূরে কেন যাবেন বর্তমানের নাস্তিক্যধর্মর দেশ চীনেই দেখুন কি বর্বর , সেখানকার নাস্তিকরা মুসলিমদের নির্যাতন করছে । সমকামীদের মুখে মানবতার কথা মানায় না এটি তো আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যদি আপনি সভ্য এবং সুশীল চিন্তার অধিকারী হতে পারেন !
বিখ্যাত নাস্তিক্যধর্ম প্রচারক হুমায়ূন আজাদ সাহেবের ফতোয়াঃ => "আমার অবিশ্বাস" ১৭ পৃষ্ঠা = তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক , আইনস্টাইন নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ।
নাস্তিক্যধর্ম আপনাকে শিক্ষা দেয় যে সব কিছুই অর্থহীন , নিরর্থক এবং ভিত্তিহীন কারন সব কিছুই দুর্ঘটনার ফসল যার সমাপ্তি মৃত্যুতে । এখানে মানবতার যেমন স্থান নেই তেমনি নেই কোন সত্যর সন্ধান , হ্যাঁ শুধুই আছে অন্ধকার কারন সব কিছুর ফলাফল ঐ যে মৃত্যু অর্থাৎ বিনাশ । আপনি কখনোই বিশ্বাস করতে পারবেন না যে আপনি একজন ভাল মানুষ হতে পারবেন কারন বিশ্বাস মানেই নাস্তিক্যধর্মে ভাইরাস । আপনি কখনোই বিশ্বাস করতে পারবেন না যে আপনি যে নাস্তিক্যধর্ম বিশ্বাস করেন সেটি সত্য কারন বিশ্বাস মানেই ভাইরাস । কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না ? এখনই হবে । আপনাদের পীর সাহেব ওরফে হুমায়ূন আজাদ সাহেব তার কিতাবের তথা 'আমার অবিশ্বাস' ২২ নং পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ বিশ্বাস কয়েক হাজার বছর ধরে দেখা দিয়েছে মহামারীরূপে, পৃথিবীর দীর্ঘস্থায়ী মহামারীর নাম বিশ্বাস ।
আমার চিন্তাশীল পাঠক আপনাদের কি এখনো কি বুঝতে বাকি আছে যে জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ বুদ্ধি সেখানেই আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব ?
নাস্তিক্যধর্মের সিমানা এতটুকুই যে আপনি স্রষ্টায় অবিশ্বাস করবেন । ব্যাস এখানেই স্টপ । এখন কোন মানুষ কি বলেছে নাকি বলেনি সেটি নিয়ে এই ধর্ম ডিল করে না এমনকি আমার এই কথাকেও ডিল করে না ! আপনি এই সমস্যার সমাধান সেই ধর্মে চাইলে নিজেও ঝামেলায় উঠে যাবেন কারন এই ধর্মে শুধুই শুন্যতা যদি এই কথাটিও শুন্য এবং নিরর্থক !
ধরুন কোন এক মানুষ সে ভাল হতে চায় কিন্তু তার নাস্তিক্যধর্ম তাকে ভাল মানুষ হতে বলে না কারন "সব কিছুই" তাকে যুক্তি এবং প্রশ্ন দিয়েই শুরু করতে হবে যদি যুক্তি আর প্রশ্ন করে সঠিক উত্তর না আসে তাহলে সে কখনোই সেই বিষয় মানতে পারবে না এমনকি সেটি চিরন্তন সত্যই হক না কেন ! কি অবাক হচ্ছেন ? অবাক হবেন না । আমি সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি ।
ধরুন আপনার নাম "মুফতি মাসুদ" এখন আপনি একজন ভাল মানুষ হতে চান কিন্তু পারবেন না কারন সব কিছুই অর্থহীন এবং দুর্ঘটনার ফসল । আরও মজার ব্যাপার হল আপনাকে "ভাল-মন্দ" এই সিস্টেমটিকেই যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে হবে এবং প্রশ্ন করতে হবে এরপরেই আপনি মানবেন কি মানবেন না সেটি আপনার বিষয়। আর যেই উত্তরই প্রকাশ হক না কেন সেটিও অর্থহীন কারন আপনার নাস্তিক্যধর্মের আকিদা হচ্ছে মৃত্যু তাই সব অর্থহীন । এই মুহূর্তে একটি কথা মাথায় রাখুন নাস্তিক্যধর্মে বিশ্বাস মানেই ভাইরাস ও মহামারী ।
🔵> যুক্তি আর প্রশ্নের পাথরের সম্মুখীন = (ভাল-মন্দ)🛡
এই দুনিয়া তো নিরর্থক আর অর্থহীন তাই আপনি ভাল অথবা মন্দ যাই হন না কেন সবই ভিত্তিহীন । ভাল মন্দের নৈতিকতা কে নির্ণয় করবে ? যদি কোন মানুষ নির্ণয় করে তাহলে সেটি আপনি মানতে বাধ্য কেন ? আপনি তো নাস্তিক । যদি আপনি কারো বর্ণিত কথাই মানতে বাধ্য হন তাহলে আপনি মুক্তমনা হলেনই বা কিভাবে ? নিজে কিভাবে ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলেন ? এই বিশ্বাস ভাইরাস হবে না কেন ? নাস্তিক্যধর্ম আকিদা মতে কেউই কাউকে পথ দেখাতে পারবে না ।
নাস্তিক্যধর্ম প্রচারক হুমায়ূন আজাদ সাহেব তার বিখ্যাত কিতাব 'আমার অবিশ্বাস' ২০ নং পৃষ্ঠায় স্বীকার করেছেনঃ কোনো পূর্বনির্ধারিত পথ নেই মানুষের জন্যে । কোনো গ্রন্থ পথ দেখাতে পারে না , কোনো মহাপুরুষ বা প্রবর্তক তার জন্যে পথ প্রস্তুত করতে পারেন না, ওই মহাপুরুষেরা তৈরি করেছেন নিজেদের পথ, অন্যদের নয় । প্রত্যেককে খুঁজে বের করতে হয় নিজেদের পথ, তৈরি করতে হয় নিজেদের রাস্তা, অনেকের পথ আমাকে আলোড়িত করেছে, অনেক গ্রন্থ আমাকে আলো দিয়েছে, কিন্তু আমি ওইসব পথে চলি নি, ওই আলোতে পথ দেখি নি ।
সুতরাং আপনি যে ভাল হবেন সেটি কিভাবে হবেন ? কার নির্দেশে ভাল হবেন এবং কেন ? কারন যেই আপনাকে ভাল বলুক অথবা খারাপ আপনি কখনোই তার পথে চলতে বাধ্য না কারন আপনার আকিদা বিশ্বাস আপনাকে সেটি মানতে এলাও করে না কারন আপনি মুক্তমনা নাস্তিক । আপনাকে আপনার নিজের পথেই চলতে হবে কিন্তু কিভাবে চলবেন এই সমাধান আপনার নাস্তিক্যধর্ম আপনাকে প্রদান করেনি। এমন এক অক্ষম বিশ্বাস নিয়ে আপনারা এখনো দাবি করেন যে নাস্তিক্যবাদ মানব ধর্ম ! একটি গাধা আর আপনাদের মাঝে তো কিছু পার্থক্য থাকা উচিৎ ছিল !
রাষ্ট্র , সমাজ , পরিবার , দল , সম্পর্ক ইত্যাদি কিভাবে সুন্দর হবে, কেন সুন্দর হবে নাস্তিক্যধর্মর আলোকে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন ? কি দিয়ে নির্ণয় হবে এই সুন্দর বিধান এবং কেন ? সত্য কথা বলা কেন ভাল ? মিথ্যা বলা কেন খারাপ ? কেন অহংকার করা খারাপ ? কেন মানবতা উত্তম ? কেন একজন মানুষ অন্য মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক করবে ? এই "কেন"র উত্তর কে নির্ণয় করবে এবং কি দিয়ে নির্ণয় করবে ? সে যেই সিস্টেমে নির্ণয় করবে সেই একই সিস্টেমে যদি অন্য কেউ সেটার বিপরীত বলে তাহলে কি সেটাই সত্য বলে ধরা হবে ? যদি সেটি সত্য না হয় তাহলে আগে যে সিস্টেম দিয়েছে সেটি কিভাবে সত্যর মাপকাঠি হবে ?
"ভাল হতে হবে" এটি তো যুক্তি দিয়ে তৈরি করা যায় না কারন এটি স্রেফ একটি বিশ্বাস । মা তার সন্তানকে ভালবাসে এটি তো বিশ্বাসের কারনে ভালবাসে যে এই ছেলে একদিন তার সেবা করবে কিন্তু এই আশা স্রেফ একটি বিশ্বাস । বড়দের সম্মান করতে হবে আমাদের ছোটবেলা এসব শিখানো হত কিন্তু এটিও স্রেফ একটি বিশ্বাস । একজন বন্ধু আরেকজন বন্ধুকে বিশ্বাস করে । একজন বাবা তার ছেলেকে বিশ্বাস করে । একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বিশ্বাস করে । নানা তার নাতিকে বিশ্বাস করে । ভাই তার ভাইকে বিশ্বাস করে । বোন তার বোনকে বিশ্বাস করে । এটির পিছনে একটি যৌক্তিক কারন কেউই দেখাতে পারবে না নাস্তিক্যধর্ম দিয়ে । চেষ্টা করলেও পারবে না কারন নাস্তিক্যধর্ম এসব ডিল করে না । এসব বিশ্বাস তো মহামারী বা ভাইরাস । পাঠক খেয়াল করুন এত সুন্দর পবিত্র সম্পর্ক অথচ বিশ্বের মুক্তির পথ নাস্তিক্যধর্ম সমাধান দিতে পারছে না ! ভাবা যায় ! আমার সংশয়বাদী মনে একটি প্রশ্ন উকি দেয়, যদি এই সুন্দর দুনিয়ার সবাই নাস্তিক্যধর্ম অনুসারী অথবা বিশ্বাসী হয়ে যায় তাহলে এই মানবসভ্যতা ধ্বংস হতে কত মিনিট লাগবে ? প্রশ্নের গভীরতা বুঝতে উপর থেকে লেখাটি আবার পড়া শেষ করাই উত্তম তবে নিচের তথ্য সমূহ জানা আপনার অধিকার । আপনার অধিকার আপনাকে ফিরিয়ে দিতে ইসলাম আমাকে শিক্ষা দেয় ।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত আলোচিত গ্রন্থ "The Black of Communism" থেকে জানা যায় নাস্তিকতা সমাজতন্ত্র ভিত্তিক সরকার কেবল বিংশ শতকেই ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ।
কার্ল মার্কসের নির্বাচিত রচনাবলি, ৫৩৬ পৃষ্ঠা, Economics Of Islam, page 80, ইসলাম এবং কমিউনিজম, ১৩৪ পৃষ্ঠা এবং The World on the brink of the Abyss গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছেঃ কমিউনিজম স্বীকার না করার অপরাধে, কমিউনিস্টরা ১৮৬০০০০ জন মানুষকে হত্যা করেছে । এর মধ্যে ২৮ জন বিশপ, ১২০০ জন পাদরি, ৬০০০ জন শিক্ষক, ৮৮০০ জন ডাক্তার, ১৯২০০০ জন শ্রমিক , ৮১৫০০০ জন কৃষক ইত্যাদি ।
অধ্যাপক ড হাসান জামান তাঁর "কমিউনিস্ট শাসনে ইসলাম" ৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ চিনে মুসলিমদের অবস্থা খুবই শোচনীয় । কমিউনিস্ট শাসনে এর কোন পরিবর্তন হয়নি । "তারা মুসলমান হলেন কেন" - এই বলে মুসলমানদের আক্রমণ করত কমিউনিস্ট নাস্তিকরা।
বেইলর ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ববিদ্যার সহকারী অধ্যাপক পল ফ্রয়েস "Journal for the scientific study of religion.vol 43.issue 1.page 35 (2004) - এ লিখেন সোভিয়েত ইউনয়নের নাস্তিকেরা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়েছে । সমাজতান্ত্রিক এই দলটি ধ্বংস করেছে অগণিত চার্চ, মসজিদ ও মন্দির , হত্যা করেছে অসংখ্য ধর্মগুরুকে । স্কুলে ও মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মবিরোধী পোপাগান্ডার বন্যা বইয়ে দিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার নামে বিশ্বাস ব্যাবস্থার প্রচলন করেছে , যা পূর্ণ ছিল নানা নাস্তিকীয় আচার, ধর্মত্যাগকারীগন ও দুনিয়াবি মুক্তির প্রতিজ্ঞার দ্বারা ।
ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭০, ১৭১ পৃষ্ঠায় "The Independent.9 December.2015" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ আলবেনিয়ার শাসক মুরতাদ নাস্তিক আনোয়ার হোজ্জা ইউরোপের একমাত্র মুসলিম দেশ আলবেনিয়ার শাসক খমতায় আরোহণ করে বিশ্বের প্রথম নাস্তিক দেশ হিসেবে আলবেনিয়াকে সরকারী ভাবে ঘোষণা দেন । তার সরকার স্কুলে নাস্তিকতার প্রচারের উদ্যোগ গ্রহন করে । নাস্তিকতাকে অফিশিয়াল পলিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।নাস্তিকতা ও সমাজতন্ত্রের বিস্তারে নির্বিচারে কারাবন্দী, হত্যা ও নির্বাসনে পাঠানো হয় । মসজিদ , গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তার আদেশে বন্ধ করে দেয়া হয় । ৪১ বছর শাসন শেষে কারাবন্দী ও হত্যার সংখ্যা প্রায় লাখ ছাড়িয়েছে ।
নিজের সুস্থ বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন সে এখনো নাস্তিক্যধর্মের অনুসারী থাকতে চায় কিনা ? একজন সুস্থ মানুষ কি কখনোই এই নাস্তিক্যধর্মে বিশ্বাস আনতে পারে ? দুর্বল সস্তা যুক্তি মুখস্ত করা অনলাইনের নাস্তিক সমকামীরা আপনাকে এসব তথ্য কখনোই জানতে দিতে চাইবে না কারন তারা খুব ভাল করেই জানে যে এসব লুকানো তথ্য কোন সত্য সন্ধানী জেনে গেলে সে আর যাই গ্রহন করুন নাস্তিক্যধর্ম কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস করে গ্রহন করে মানতে চাইবেই না ।
নাস্তিক্যধর্মে তো মুক্তির তো কোন সম্ভাবনাই নেই, আপনি মানেন আর নাই মানেন আপনাকে এই কথা স্বীকার করতেই হবে । এখন আসুন ইসলাম আমাদেরকে কত সুন্দর আদর্শ শিক্ষা দেয় সেটাই জানবো কারন ইসলাম পুরো মানব জাতির জীবন নিয়েই ডিল করে না শুধু বরং মানবিক সমাধান দেয়। নাস্তিক্যধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীদের একটি দাবি সব সময় করে থাকে যে ইসলাম নাকি বর্বর এবং অমানবিক । মরহুম নাস্তিকদের পীর কার্ল মার্ক্স সাহেবের একটি প্রখ্যাত ফতোয়া আছে যে "ধর্ম হল আফিমের মত" । শুধু এনিই নন বরং ইসলামকে খারাপ বলা হয় এরপক্ষে সকল নাস্তিকদেরই ইজমা আছে। আবার নাস্তিক্যবাদ হল ইসলামের বিপরীত এই টাইপের ফতোয়া কিছু সস্তা নাস্তিকদের বলতে শোনা যায় । এখন আসুন ইসলাম মানেই যেহেতু খারাপ তাই ইসলামের সব বিষয়কেই নাস্তিকদের খারাপ বলেই বিশ্বাস করতে হবে যদিও বিশ্বাস মানেই নাস্তিক্যধর্মে ভাইরাস।
🤔নাস্তিক্যধর্মে ইসলাম হল অমানবিক তাই ইসলাম যা যা করতে বলে নাস্তিক্যধর্ম তার বিপরীত কাজ করতে আদেশ করেঃ
> সুরা বাকারা ২:১১০ = তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে নামাজ পড়া বর্বর কাজ ।
> সুরা ইখলাস ১১২:১ = আল্লাহ একমাত্র স্রষ্টা ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে স্রস্টায় অবিশ্বাস করা হয় ।
> সূরা বাকারা ২:১৮৩ = রোজা অবশ্যই রাখতে হবে ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে রোজা রাখতে নিষেধ করে ।
ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিস ২০, সহিহ হাদিস = হজ করা ফরজ ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে হজ করতে নিষেধ করে ।
> সুরা বাকারা ২:৪২ = তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিলিয়ে দিও না এবং জেনে শুনে সত্যকে লুকিও না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে সত্যকে মিথ্যার সাথে গুলাতে হবে এবং সত্যকে অবশ্যই গোপন করতে হবে।
> সুরা বাকারা ২:৪৪ = ভাল কাজ নিজে করো এবং অন্যদের করতে বলো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে ভাল কাজ নিজেও করা যাবে না এবং অন্যদেরকেও করতে বলা যাবে না ।
> সুরা বাকারা ২:৬০ = পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে অশান্তি সৃষ্টি করতে হবে ।
> সুরা বাকারা ২:১৭৭ = সব ধরনের মানুষকে দান করো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে কাউকেই কিছু দান করা যাবে না ।
> সুরা বাকারা ২:১৮৮ = অন্যায়ভাবে একে অন্যের সম্পদ খেয়ো না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে অবৈধ সিস্টেমে অন্যের সম্পদ ভক্ষন করা জায়েজ ।
> সুরা বাকারা ২:২৭৫ = সুদ খেয়ো না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে সুদ খাওয়া বৈধ ।
> সুরা বাকারা ২:২৮৩ = আমানত রক্ষা করো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে আমানত রক্ষা করা নিষেধ ।
> সুরা আল ইমরান ৩:১৫৯ = কড়া ভাষায় ব্যাবহার করো না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে গালাগালি করতে হবে ।
> সুরা নিসা ৪:৫৮ = মানুষের সাথে ন্যায় বিচার করো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে কোন মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করা যাবে না ।
> সুরা মায়দা ৫:৯০ মদ , জুয়া থেকে দূরে থাকো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে মদ, গাজা, ইয়াবা , জুয়া সব বৈধ ।
> সুরা বনী ইসরাইল ১৭:২৩ = পিতা মাতার সাথে ভাল ব্যাবহার করো ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে পিতা মাতার সাথে কখনোই ভাল ব্যাবহার করা যাবে না ।
> সুরা আনকাবুত ২৯:২৯ = সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে সব ধরনের পুরুষের সাথে সমকাম বৈধ ।
> সুরা দুহা ৯৩:১০ = ভিক্ষুকদের ধমক দিও না ।
🛑= নাস্তিক্যধর্মে ভিক্ষুকদের ধমক দিতে হবে ।

Related Posts

: