স্রস্টাকে অস্বীকার করার নাস্তিকদের সর্বশেষ যুক্তির ময়নাতদন্ত।

Post a Comment


 

🌐বিষয়ঃ স্রস্টাকে অস্বীকার করার নাস্তিকদের সর্বশেষ যুক্তির ময়নাতদন্ত।

✍লিখেছনঃ এম ডি আলী। 


যুক্তিতর্কের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে নাস্তিকরা বলেই ফেলে স্রস্টা যদি থাকে সে দুনিয়াতে আসে না কেন? মানুষকে দেখাক এ সেই একমাত্র স্রস্টা?

আচ্ছা আমাকে বলুন তো আপনি স্রস্টার অস্তিত্বের প্রমানের যেই সিস্টেম স্রস্টাকে দিলেন সেটা স্রস্টা কেন মানতে বাধ্য? স্রস্টার কেন দরকার এই দুনিয়াতে আসার যেখানে সে মানুষকে বুদ্ধি দান করেছেন সত্য বুঝার জন্য। 

মজার কথা কি জানেন? স্রস্টা দুনিয়ায় আসলেই যে নাস্তিকরা মেনে নিবে এটা ডাহা মিসা কতা কারন হিন্দুধর্মে তো হাজার হাজার স্রষ্টার ছবি আছে নাস্তিকরা সেগুলা আগে মেনে আস্তিক হোক তারপরে ইসলাম কেন এক স্রস্টাকে মানতে বলে সেই বিষয় কথা বলা যাবে। কিন্তু নাস্তিকরা কিন্তু সেটা মানে না শুধু কি তাই খ্রিষ্টান ধর্মেও তো তারা তাদের স্রস্টার পিকচার দেখায় সেটাও নাস্তিকরা মানে না। এরমানে মুসলিম ছাড়া বাকি যে আস্তিকরা আছে তারা স্রস্টার পিকচার দেখানো সত্বেও যেখানে নাস্তিকরা স্রস্টাকে স্বীকার করছে না সেখানে স্রষ্টা সরাসরি দুনিয়াতে আসলে মেনে নিবে এটা নাস্তিকদের সরাসরি মিথ্যাচার।

ইসলামই শুধু বলে স্রস্টার অস্তিত্ব অবশ্যই আছে বরং এটা প্রমানিত সত্যকথা কিন্তু তাকে সরাসরি উপস্থিত করা পসিবল না। কিন্তু আখিরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে। তাহলে স্রস্টা থাকলে তাকে দেখান এই দাবি নাস্তিকদের অবান্তর হয়ে গেলো।

নাস্তিকরা বলে মুমিনরা দুয়া করে স্রস্টাকে আকাশ থেকে নামিয়ে আনুক। স্রস্টা নাকি মুমিনদের দুয়া শুনেন।

মুমিনরা যা বলে চাইবে সেটাই হবে এরকম কথা নেই।ধরুন মুমিনরা সেটাই করলো কিন্তু স্রস্টা আসলো না এ থেকে কিভাবে প্রমান হয় স্রস্টার অস্তিত্ব নেই? বরং মুমিনরা দুয়া করেছে কিন্তু স্রস্টা আসেননি এর থেকে তো প্রমান "স্রস্টার অস্তিত্ব আছে" এই দিকেই যাচ্ছে। স্রস্টার ইচ্ছা সে দুনিয়াতে আসবে না, ব্যাস। কেউ যদি না আসে তারমানে তার অস্তিত্ব নেই এই কথা সব ক্ষেত্রে সত্য কিভাবে?

তারমানে এই দাঁড়াচ্ছে, মুসলিমরা স্রস্টার অস্তিত্বকে প্রমান করে ফেলেছে কিন্তু তাকে উপস্থিত করতে পারছে না কারন সেটা পসিবল না এ দুনিয়ায়। অস্তিত্ব প্রমান করা আর অস্তিত্বকে উপস্থিত করা সব ক্ষেত্রে এক নয়, দুটো আলাদা জিনিস।


যেমনঃ

👉* আপনি মানুষ। আপনার অস্তিত্ব আছে। আপনি লেখাটি পড়ছেন। আপনি এখন উপস্থিত আছেন।

👉* আপনার মাথায় বুদ্ধি আছে,শক্তি আছে,চিন্তা করার ক্ষমতা আছে এটার অস্তিত্ব প্রমান করা গেলেও সেটা বাস্তবে চাক্ষুষ উপস্থিত করতে আপনি পারবেন না। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 


এখন উপরের দুটো পয়েন্ট কোনো নাস্তিক যদি না মানে তাহলে আরেকটা লুকায়িত দাবি ফুটে উঠে তা হলোঃ "যার অস্তিত্ব আছে তাকে সব সময় সরাসরি উপস্থিত করা সম্ভব" না হলে তার অস্তিত্ব বাতিল। 


নাস্তিকদের যুক্তি মেনে নেয়া হবে তখনই যখন এ ক্ষেত্রে তাদেরই যুক্তি অনুপাতে নিচে দেয়া ৪ টি প্রস্তাব নাস্তিকরা মেনে নিবে। প্রস্তাব গুলো হলোঃ


১/ নাস্তিকদের যেহেতু দাবি স্রস্টাকে দুনিয়াতে আসতে হবে যেহেতু তিনি আসে নাই তাই তার অস্তিত্ব নাই সেহেতু সমস্ত আস্তিকদেরকে রকেট ভাড়া করে পুরো মহাবিশ্ব ভ্রমণ করিয়ে নাস্তিকদের প্রমান করে দেখানো লাগবে মহাবিশ্ব পুরো খালি তাই স্রস্টাকে দেখা যায় নাই। যদি এটা না পারে তাহলে নাস্তিকদের যুক্তি অনুপাতে স্রস্টার অস্তিত্ব আছে সেটা প্রমান হয়ে যাবে। অটোমেটিক। 


২/ "অস্তিত্ব আছে" এবং "সরাসরি উপস্থিত করা" দুটো বিষয় সব ক্ষেত্রে এক নয়। এ কথা যদি নাস্তিকরা না মানে তাহলে বিবর্তনবাদের সিস্টেম আমাদেরকে সরাসরি দেখাতে হবে। মানে একটা বান্দর থেইকা মানুষে রুপান্তর হওয়া সরাসরি বাস্তবে দেখাতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার ভাড়া আমি দিয়ে দিবো কিন্তু আগে আমাকে সিওর হতে জানাতে হবে একটা বান্দর ঠিক কয়দিন পরেই মানুষ হয়ে যাবে। যদি না পারে তাহলে নাস্তিকদের যুক্তি অনুপাতে তা মিথ্যা প্রমানিত হবে এবং বিবর্তনবাদও ভুয়া প্রমান হয়ে যাবে।


৩/ নাস্তিকদের বুদ্ধি আছে? চিন্তাশক্তি আছে? দেহে এনার্জি আছে? যদি থাকে তাহলে সেসবের অস্তিত্বের শুধু প্রমান দিলেই হবে না বরং এসবের অস্তিত্বের আকার,রুপ বাস্তবে উপস্থিত করে দেখাতে হবে। যদি না পারে তাহলে নাস্তিকদের যুক্তি ও দাবি অনুপাতেই তারা বুদ্ধিহীন, চেতনাহীন এবং এনার্জিহীন প্রমানিত হবে।


৪/ সময়ের অস্তিত্বকে নাস্তিকরা স্বীকার করে? যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয় তাহলে সময়ের অস্তিত্বর প্রমান পেশ করার সাথে সাথেই সময়কে সরাসরি বাস্তবিক উপস্থিত করতে হবে। যদি এটা না পারে তাহলে উপরে বর্ণিত নাস্তিকদের দাবি ভুয়া প্রমানিত হয়ে যাবে। 


প্রবাদ আছে জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট তাই কথা আর লম্বা না করে পরিশেষে শুধু এটাই বলব, আসলেই অদ্ভুত অন্ধকার চারদিকে। সেখানে একঝাক সাহসী মানুষ। আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে চলছে জোরকদমে। আমি তাদেরই একজন।

Related Posts

: