বাইবেলের অশ্লীলতায় নাস্তিক্যধর্মের সমর্থন।

Post a Comment

 


♦বিষয়ঃবাইবেলের অশ্লীলতায় নাস্তিক্যধর্মের সমর্থন।
✍ এম ডি আলী।

📢শুরুর কথাঃ

লেখাটি শেষ অবধি বুঝে পড়তে পারলে আপনি আসলেই হয়তো সেরাদের মাঝে অন্যতম হতে পারেন। কুরআনের আয়াত লেখা কাগজ উগ্রবাদী খ্রিস্টান চাবিয়ে খাচ্ছে আর ওর দুই পাশে দুই নাস্তিক দেখে মজা নিচ্ছে।

👉 সুত্রঃ https://youtu.be/537sdVOfe4M

নাস্তিক্যধর্মের অন্ধবিশ্বাসী নাস্তিকরা কিন্তু অন্য কোন ধর্মে মানে না অথচ কুরআন আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে কেউ গেলেই নাস্তিকরা তাদেরকে নিজের গোয়ালের কেউ ভেবে বসে এখন সে যে কেউই হউক! আচ্ছা কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে খ্রিষ্টান আর নাস্তিকদের মাঝে এতো ভাল সম্পর্ক কেন? একটা বুদ্ধি খাটালে বুঝবেন এ দুই শ্রেণীর গোংরা বাইরে দিয়ে ভিন্ন দেখা গেলেও ভিতরে এদের উদ্দেশ্য কিন্তু একই। ইসলাম আর মুসলিমদের অস্তিত্বকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া। কি এমন মানবতার সত্য লুকিয়ে আছে ইসলামে যা খ্রিষ্টান আর নাস্তিক্যধর্মের অনুসারীরা সহ্য করতে পারছে না?

গবেষণা দিকে ধাবিত হলাম। নিরপেক্ষ মন নিয়ে বাইবেল ঘাটাঘাটি শুরু করলাম আর নাস্তিকদের বিশাল বিশাল গুরুদের কেতাব তো আগেই আমার মুতায়ালা করা আছে আলহামদুলিল্লাহ।কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এলো! নাস্তিকদের সাথে বাইবেল নিয়ে কথা বলতে গেলে ওরা কেন রেগে যায়? এই প্রশ্নের জবাব আমি পেয়ে গেলাম।

খুবই আত্মবিশ্বাসের সাথে সেদিন এক নাস্তিক আমার সাথে "দাসী সহবাস" বিষয় বিতর্ক করতে আসলে আমি ওকে বলি নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতায় দাসী সহবাস বৈধ সেই কথায় পরে কথা বলব তার আগে আপনি আমাকে বলুন বাইবেলে যেই যৌনতা নিয়ে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ কথা রয়েছে সেসব যে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে জায়েজ এটা কি আপনি জানেন? ওমা! বেচারা পুরো রেগে মেগে ফায়ার! আমার সহজ প্রশ্নের উত্তরই সে দিতে পারেনি অথচ "সে জানে না" এতটুকু বললেই কিন্তু হতো বাকিটা আমি তাকে সহজ করে বুঝিয়ে দিতাম। যাদের ব্রেন পূর্বপুরুষ চতুষ্পদ জানোয়ার হতে প্রাপ্ত তারা আমার সহজ প্রশ্নই যেখানে বুঝবে না সেখানে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা তো পরের কথা!

🤔 নাস্তিক্যধর্ম ও বাইবেল কি মানববাদ হতে পারে?

বাইবেল গবেষণা করতে গিয়ে এমন কিছু তথ্য পেলাম, মনে খুবই দুঃখ পেলাম আর ভাবলাম এটা কিভাবে স্রস্টার দেয়া মানুষের প্রতি বই হতে পারে? না, বাইবেল বিন্দুমাত্র স্রস্টার বানী হতে পারে না। বাইবেলে যে অশ্লীল জঘন্যতা রয়েছে সেসব আসলে নাস্তিক্যধর্মের যৌন নীতিমালার বাস্তব রূপ বলা হলে ভুল হবে না।

আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ আলোকময় করতে চাইলে নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতা ও বাইবেল পড়া থেকে বিরত রাখুন। যে বিশ্বাসের নৈতিকতা মা-ছেলের সহবাসকে বৈধতা দেয়, মেয়ে-বাপের সহবাসকে জায়েজতা দেয়,ভাই-ভাইয়ের সমকামীতাকে বৈধতা করে,বোন-বোনের লেসবিয়ানতাকে বৈধতা দেয়,বাপ-ছেলের সমকামীতাকে সমর্থন করতে উৎসাহ প্রদান করে এখন আপনি যদি একজন সভ্যচিন্তক মানুষ হয়ে থাকেন আপনি পারবেন গুলো বিশ্বাস করতে? আপনার সন্তানদেরকে এসব নৈতিকতা শিখাতে আপনার কি একটুও বিবেকে বাধবে না? অথচ নাস্তিক্যধর্ম এবং বাইবেল এসব পশুমার্কা মোরালিটিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে। ছোট শিশুদেরকে কখনোই বাইবেল আর নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতা দিয়ে আদর্শ মানবিক বানাতে পারবেন না। কেন? সেটা বিস্তারিত জানার জন্যই সামনে পড়তে থাকুন।

এই পর্যন্ত যারা পড়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ কারন বাকি লেখাটুকো পড়তে গেলে আমার মত অনেকেরই বমি আসতে পারে তাই ধৈর্য ধরে হলেও পড়বেন আর বেশি কষ্ট হলে পড়ার দরকার নেই। ধন্যবাদ।

🔴 যৌন নৈতিকতা নাস্তিক্যধর্মেঃ

বাইবেলে যাওয়ার আগে প্রথমে নাস্তিকদের যৌন নীতিমালা বুঝতে হবে। উপলব্ধির শেষে নিজেরাই চাক্ষুষ প্রমাণ পাবেন বাইবেলের যৌন নৈতিকতাই নাস্তিক্যধর্মের নাস্তিকদের সহবাসমালার আপডেট ভার্সন। বাইবেলের যৌন নীতিমালা যদি ওল্ড ভার্সন হয় তাহলে নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতা বাইবেলের ওল্ড ভার্সন এর নতুন বিবর্তন সহজেই বলা যায়।

প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের উভয়ের সন্মতি থাকলে এবং কারও ক্ষতি না হলে দুই অথবা একাধিক মানুষ একে অপরের সাথে সেক্স করতে পারবে। এটাই হচ্ছে নাস্তিক্যধর্মের যৌন নৈতিকতার মূল ভিত্তি।

এই কথার সম্পুর্ন সমর্থন পাওয়া যায় নাস্তিকদের অন্যতম অবতার হুমায়ুন আজাদের কেতাব খানায়। যিনি সব সময় ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। তিনি সব সময় চাইতেন ইসলাম যেন পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

নাস্তিকদের কাছে তার একটা কেতাব খুবই ফেমাস। কেতাবের নাম "আমার অবিশ্বাস"। এই কেতাবের ১৪৩ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে যে নৈতিকতা হওয়া উচিত সংকীর্ণ আমার কোন কাজ যেন অন্যের ক্ষতি না করে এতোটুকুই।

শুধু কি তাই? কোনো মানুষ আরেকজনে মানুষকে কোনো পথ দেখাতে পারে না। সবাই নাকি সবার নিজের পথ খুজবে,নিজের রাস্তা নিজেই মেইক করবে। "আমার অবিশ্বাস" ২০ নং পৃষ্ঠাঃ কোনো পূর্বনির্ধারিত পথ নেই মানুষের জন্যে । কোনো গ্রন্থ পথ দেখাতে পারে না , কোনো মহাপুরুষ বা প্রবর্তক তার জন্যে পথ প্রস্তুত করতে পারেন না, ওই মহাপুরুষেরা তৈরি করেছেন নিজেদের পথ, অন্যদের নয় । প্রত্যেককে খুঁজে বের করতে হয় নিজেদের পথ, তৈরি করতে হয় নিজেদের রাস্তা, অনেকের পথ আমাকে আলোড়িত করেছে, অনেক গ্রন্থ আমাকে আলো দিয়েছে, কিন্তু আমি ওইসব পথে চলি নি, ওই আলোতে পথ দেখি নি।

তারমানে সুস্পষ্ট অর্থ দাঁড়াচ্ছে কোন নাস্তিক কোনো মানুষকে ফলো করবে না,কোনো গ্রন্থই মানতে পারবে না এখন কোনো নাস্তিক যদি নাস্তিকদেরই কোনো বই অথবা গ্রন্থ পরে সেটাও সে পারবে না। তাকে নিজের রাস্তা, নিজের পথ,নিজের নৈতিকতা নিজেকেই বানাতে হবে।

এখন এই সুত্রে একজন নাস্তিক চাইলেই নিজের নৈতিকতা বানাতে পারবে যেমন নাস্তিক মা তার নাস্তিক ছেলের সাথে সম্মতিরে সহবাস করতে পারবে,নাস্তিক ভাই তার নাস্তিক আপন ভাই অথবা বাবার সাথে সম্মতিতে সমকামীতা করতে পারবে, নাস্তিক মা তার নাস্তিক মেয়ের সাথে অথবা বোন-বোনের সাথে লেসবিয়ানতা করতে পারবে। নাস্তিকরা এসবের পক্ষে যুক্তিও পেশ করবে যেমন এসব যৌন স্বাধীনতার অংশ,আধুনিকমনা, মুক্তচিন্তার ফসল ইত্যাদি।

নাস্তিকরা এসব বিশ্বাস করে তার বাস্তব উদাহরণ হুমায়ুন আজাদ নিজেই। একটা অসহায়, নিরীহ মেয়েকে একা সারা সন্ধা চুইংগামের মতো চাবাতে চাবাতে চুষতে চেয়েছিল এই বিখ্যাত নাস্তিক। কি আমার কথা বিলিভ হচ্ছে না? দেখুনঃ আমার অবিশ্বাস" পৃষ্ঠা ১৫ =  কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মত এক তরুণীকে। রেফারেন্স চেক করে মিলিয়ে নিন আমার আপত্তি নেই। আশে পাশে মানুষ থাকায় হয়তো সেই নারীকে ধর্ষণ করতে পারেনি এই নাস্তিক। আমার তো ভয় হয় যারা তাকে অবতার বা মহামানব হিসেবে বিশ্বাস করে সেসব নাস্তিকদের চরিত্র কেমন হবে একটু ভাবুন তো!

হুমায়ুন আজাদ নাস্তিক্যধর্মের অন্যতম লুকানো একটি সত্যি ফাঁস করেছেন। তা হলোঃ আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ জীবনের কোন অর্থ নেই, কোন মহৎ উদ্দেশ্য নাই , নাস্তিক কবি সুধীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন জীবনের সারকথা হল পিশাচের উপজীব্য হওয়া ।

হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ১৭ পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথও নিরর্থক,আইনস্টাইনও নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক , তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক। কেননা সব কিছুর পরিনতিই বিনাশ । বিস্ময়কর বিশ্ব, রঙিন ফুল বা মানুষ বা বন্যশুয়োর, সূর্য বা নক্ষত্র, গ্রহ উপগ্রহ সব কিছুর জন্যই অপেক্ষা করে আছে তাদের পরিনতি - বিনাশ । যার থেকে কারো উদ্ধার নেই।

অনেক নাস্তিক এখন বলতে পারে হুমায়ুন আজাদের কথায় নাস্তিক্যবাদের কিছু আসে যায় না হুমায়ুন আজাদের ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে কিছুই আসে যায় না।  হাস্যকর কথা হল এই কথাটাও কিন্তু একজন নাস্তিকেরই ব্যক্তিগত মতামত সুতরাং এটাও তাহলে গ্রহণযোগ্য নয়? আমার বুদ্ধিমান পাঠকদেরকে ভাবাতে চাই! নাস্তিকরা যৌক্তিকভাবে কতটা অসহায় উপলব্ধি করতে পারছেন কি?

প্রত্যেক নাস্তিক যা যা করবে, যা বিশ্বাস করবে সেটাই তার নৈতিকতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা আর এটাই নাস্তিক্যবাদ সমর্থন করে। সুতরাং একজন ফেমাস নাস্তিকের  চরিত্রহীনতাকে কেন্দ্র করে নাস্তিক্যধর্মকে দায়ী করা সম্পূর্ণ যৌক্তিক সন্দেহ নাই।

নাস্তিকদের কাছে বাংলার আরেকজন ফেমাস নাস্তিক নাম অভিজিৎ রায়। তার একটা কেতাব "সমকামিতা"। পৃষ্ঠা ১০৮ এ লিখেনঃ,,,,,,,, পরিবারের একভাই সমকামী হলে অন্তত ২২ ভাগ সম্ভাবনা তৈরি হয় অপর ভাইও সমকামী হবার। অর্থাৎ পরিবারে সমকামী ভাই থাকলে পরিবারে সমকামী ধারা তৈরি হবার সম্ভাবনা অন্তত চারগুন বেড়ে যায়। কিন্তু ভাই সমকামী হলে বোন লেসবিয়ান নাকি স্টার্ট হবে কিনা এ সংক্রান্ত কোনো সম্ভাবনার ঝোক পাওয়া যায়নি। কোনো পরিবারে বোন সমকামী (লেসবিয়ান) হলে অপর বোনেরও সমকামী হবার প্রবনতা দিগুন  বেড়ে যায় কিন্তু ভাই এর উপর এর কোনো সম্ভাব্যতার প্রভাব জানা যায়নি।

খেয়াল করুন কথিত বিজ্ঞানমনস্ক নাস্তিক অভিজিৎ রায় সরাসরি ভাই ভাইয়ের সাথে সমকামীতা আর বোন বোনের সাথে লেসবিয়ানতার কথা বলছে। অনেক নতুন নাস্তিক এই বিষয় কথা বলতে লজ্জা পেলেও পুরোনোরা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে যে নাস্তিক্যধর্মে নাস্তিক ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে যৌনসঙ্গম সম্মতিতে বৈধ।

নাস্তিক অভিজিৎ রায়ের " সমকামিতা" কেতাবে নাস্তিক্যধর্মের সঙ্গম নীতিমালা পুরোপুরি ভাবে লিক করা হয়েছে যা নাস্তিকরা লুকাতে চায়। সমকামিতা বইটির ৬০ পৃষ্ঠায় এমন এমন কাহিনি বলা হয়েছে যা দেখলে যে কেউই নাস্তিক্যধর্মকে থুতু দেবে। রমেশ  মন্ডল নামের এক সমকামী তার স্ত্রীকে ফাকি দিয়ে আরেক সমকামীর সাথে সেক্স করতে গিয়েছিল। নীতিন দেশাইয়েরও চরিত্রের একই কাহিনি।

নাস্তিক স্বামী-স্ত্রী নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতায় যারতারসাথে সম্মতি থাকলেই যে সেক্স করতে পারবে সেই বিষয়েটিও বাদ রাখেননি অভিজিৎ রায়। সমকামিতা বইয়ের ৮৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেনঃ এলিসের স্ত্রী এডিথ লীজ ছিলেন নারীবাদী
কবি (তার অন্য চার বোনেরা ছিলেন আবার সবাই অবিবাহিত) তারা পারস্পারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও দুজনেই সারাজীবন মুক্ত সম্পর্কে (open relationship) আস্থাশীল ছিলেন এবং একে অন্যের যৌন স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতেন না যৌনতার ব্যাপারে তাঁরা ছিলেন সমস্ত সামাজিক সংস্কার এর উর্ধে।

💥 বাইবেলের যৌন কাহিনীঃ

পাঠক, নাস্তিকদের যৌন নৈতিকতা বুঝতে পেরেছেন আশা করি। বাইবেলের বর্ণিত যৌন ঘটনা গুলো নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতার মানদণ্ডে যে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ সেটারই প্রমান হাতে পাবেন এখন।

নিচে আমি বিস্তারিত রেফারেন্স প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছি তাই চাইলেই যে কেউই রেফারেন্স মিলিয়ে দেখে নিতে পারেন আমার কোন আপত্তি নেই। আপনার পরিবারকে সাথে নিয়ে আপনি কি পারবেন বাইবেলের এসব কুরুচিপূর্ণ জঘন্য লেখা পড়ত? আপনার ঘরে মা,বোন আছে রয়েছে স্ত্রী। পারবেন বাবার সামনে এসব লেখা পাঠ করতে? বিবেককে প্রশ্ন করতে শিখুন জনাব। মৃত্যুর পরে সত্য চোখের সামনে দেখতে পেয়ে আফসোস করলে তখন লাভ হবে না। তখন তওবা করলেও কাজে আসবে না। সময় থাকলে ফিরে আসুন।

⛔বাইবেলে নারীর দেহ নিয়ে নোংরা-অশ্লীল কবিতাঃ

* বাইবেল,পরম গীত - অধ্যায় ১ - 2 = চুম্বনে চুম্বনে আমায় ভরিয়ে দাও| কারণ তোমার ভালোবাসা দ্রাক্ষারসের চেয়েও ভাল।

* বাইবেল,পরম গীত - অধ্যায় ১ - ১৩ = আমার প্রিয়তম আমার কাছে ভেষজ সুগন্ধির সৌরভের মত- আমার স্তনযুগলের মধ্যে সারাটা রাত্রি ধরে বিরাজিত থাকে|

* বাইবেল, পরম গীত - অধ্যায় ৪ - ৫ =  তোমার স্তন দুটি শালুক ফুলের মাঝে চরে বেড়ানো যমজ হরিণ শাবকের মত|

* বাইবেল পরম গীত - অধ্যায় ৮ - ৮ = আমাদের একটি ছোট ভগিনী আছে| এখনও তার স্তন বড় হয় নি| যদি কোন ব্যক্তি তাকে বিবাহ করতে চায় তখন আমাদের ভগিনীর জন্য আমরা কি করবো?

* বাইবেল, পরম গীত - অধ্যায় ৮ - ১০ = কিন্তু আমি একটি প্রাচীর- আমার স্তনদ্বয় মিনারের মত| আমি তার চোখে অনুগ্রহ দেখেছি!

* বাইবেল,পরম গীত - অধ্যায় 7 : ১:১৩ = রাজকন্যা, তোমার নাভি, গোলাকার পাত্রের মত- তা যেন সব সময় দ্রাক্ষারসে পূর্ণ থাকে| তোমার উদর দেশ পদ্ম দিয়ে ঘেরা স্তূপীকৃত গমের মত| রাজকন্যা, তোমার স্তন দুটি গজলা- হরিণের- যমজ- শাবকের, মত|  রাজকন্যা, তুমি তালগাছের মত দীর্ঘ এবং তোমার স্তন দুটি সেই গাছের থোকা থোকা ফলের মত|  আমি সেই গাছে চড়তে চাই- এবং আমি তার ডাল ধরতে চাই| তোমার বক্ষযুগল দ্রাক্ষার থোকার, মত সুগন্ধিময় হোক| '" এসো প্রিয়তম আমার"",- আমরা মাঠে চলে যাই| এসো আমরা প্রস্ফুটিত হেনা ফুলের মাঝে আমাদের রাত কাটাই|

⛔ বাইবেলে নোংরা ও অশ্লীল গল্প

* বাইবেল,এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 3 ""তারা মিশরে যৌবন কালেই বেশ্যা হয়ে উঠল| মিশরেই প্রথমে তারা প্রেম করল ও পুরুষদের দিয়ে স্তনের বোঁটা টেপাত ও স্তন ধরতে দিত|

* বাইবেল,এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 5 ""তারপর অহলা আমার প্রতি অবিশ্বস্তা হল| সেও একজন বেশ্যার মত জীবনযাপন করত| সে তার প্রেমিকদের চাইতে লাগল; নীল পোশাক পরা অশূরীয় সৈন্যদের প্রতি সে কামাসক্তা হল""

* বাইবেল,এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 17 "' তাই ঐসব বাবিলের পুরুষরা তার প্রেম শয্যার পাশে এসে তার সাথে যৌনতা করল| তারা তাকে ব্যবহার করে এত নোংরা করল যে, সে তাদের প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠল|

* বাইবেল,এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 18 ""“প্রত্যেকেই দেখল যে অহলীবা অবিশ্বস্ত| তার নগ্ন দেহকে সে এত জনকে উপভোগ করতে দিল যে আমি তার প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠলাম- যেমন তার বোনের প্রতি হয়েছিলাম|

* বাইবেল, এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 20 সে গাধার মত শিশ্ন ও ঘোড়ার মত ভাসিযে দেওয়া বীর্য সম্পন্ন প্রেমিকদের কথা স্মরণ করল|

* বাইবেল,এজেকিয়েল - অধ্যায় 23 - 21 “অহলীবা- তুমি তোমার য়ৌবন কালের স্বপ্ন দেখলে- যে সময় তোমার প্রেমিকরা তোমার স্তনের বোঁটা স্পর্শ করত ও য়ৌবনের স্তন ধরত|

⛔ বাইবেল পিতা ও কন্যার যৌনতার গল্প

* বাইবেল,অাদিপুস্তুক ১৯:৩০-৩৮ 'লোট' তার দুই মেয়েকে নিয়ে,পাহাড়ের গুহায় বাস করতে লাগলেন।একদিন, বড় মেয়ে তার ছোট বোনকে বললো,""পৃথিবীর সব নারী-পুরুষ বিয়ে করে।।অামরা অামাদের পিতাকে মদ খাইয়ে বেহুশ করে যৌনতা করতে পারি এবং সন্তানও নিতে পারি। রাতে,লোটের বড় মেয়ে,লোটকে মদ খাইয়ে মাতাল বানিয়ে যৌনতা করলো। পরের রাতে,লোটের ছোট মেয়ে,নিজ বাবা লোটকে মত খাইয়ে মাতাল বানিয়ে যৌনতা করলো।অবশেষে,তারা এক এক পুএ সন্তানের জন্ম দিলো।।অার,তাদের নিজ পিতাই হলো,তাদের সন্তানের পিতা।

⛔ বাইবেলে দাউদ ও অন্যের স্ত্রীর যৌনতা।

* বাইবেল, ২ স্যামুয়েল ১১:১-৬ ঈশ্বরপুএ দাউদ, বাড়ির ছাদে হাটাহাটি করছিল।।তখন তিনি এক সুন্দরী নারীকে গোসল করতে দেখলেন। এরপর,কর্মচারীকে বললেন ঐ মহিলার খবর নিতে।কর্মচারী বলল"ঐ নারী ইলিয়ামের কন্যা "বাতসেবা" এবং তার স্বামীর নাম ঊরিজ,যে জীবিত ছিল। দাউদ,ঐ সুন্দরী নারীকে ডেকে এনে যৌন সঙ্গম করলো ।।ঐ নারী অাবার গোসল করে বাড়ি ফিরে গেলো।এর পরে ঐ নারী গর্ভবতীও হল। দাউদ, ঐ সুন্দরী নারীর স্বামী ঊরিজকে কিছু উপহার দিলো।

⛔ বাইবেলে পর্নোগ্রাফির।

* বাইবেল, আদিপুস্তক - অধ্যায় 38 - 15 যিহূদা সেই পথে যেতে যেতে, বিধবা তামরকে দেখে ভাবল বোধ হয় বেশ্যা।

* বাইবেল, আদিপুস্তক - অধ্যায় 38 - 16 যিহূদা তার কাছে গিয়ে বলল- “এস আমার সাথে যৌন সম্পর্ক কর|” বিধবা নারীটি বলল- “আমায় কত দেবেন?”

* বাইবেল, আদিপুস্তক - অধ্যায় 38 - 17 যিহূদা উত্তর করল- “আমার পশুপাল থেকে তোমার জন্য একটা বাচ্চা ছাগল পাঠিয়ে দেব|।নারীটি বলল- “ঠিক আছে| কিন্তু ছাগলটা পৌঁছাবার আগে আমার কাছে কিছু বন্ধক রাখুন|”

* বাইবেল, আদিপুস্তক - অধ্যায় 38 - 18 যিহূদা জিজ্ঞেস করল- “তোমাকে যে ছাগল পাঠাব তার প্রমাণ হিসাবে তুমি আমার কাছে কি চাও? নারী টি বলল- “চিঠিতে মারবার তোমার ঐ মোহর- ও তার সুতো এবং হাঁটার ছড়িটাও আমায় দাও| যিহূদা তাকে ঐ জিনিসগুলো দিল| তারপর যিহূদা ও তামর যৌন সম্পর্ক করলো.. তামর গর্ভবতী হল|

⛔ বাইবেলে মায়ের সাথে যৌনতা।

* বাইবেল, ২ স্যামুয়েল ১৬:২০-২৩  অবশালোম হল দাউদের পুএ।তার পিতা দাউদ, ঘর দেখাশুনা করার জন্য,তার পিতার কয়েকজন স্ত্রী রেখে গিয়েছিলেন অবশালোম,তার পিতার স্ত্রীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করলো। তখন তারা বাড়ীর ছাদে অবশালোমের, জন্য একটা তাঁবু ফেলল| অবশালোম তার পিতার স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করল| সব ইস্রায়েলীয়ই তা দেখল|

⛔ বাইবেলে বোনকে ধর্ষণ।

* বাইবেল,২ স্যামুয়েল ১৩:৮-১৪ অাম্নোন এর বোন হল তামর। একদিন তামর তার ভাইয়ের বাড়িতে এলো এবং ভাইয়ের জন্য পিঠা তৈরি করলো।অাম্নোন তার দাশদেরকে ঘর থেকে বের হতে বলল।।যাতে,ঘরে শুধু তারা দুই ভাই বোন থাকে একা।তখন অম্নোন,তার বোন তামরকে বলল- ""খাবারগুলি আমার শোবার ঘরে নিয়ে এসো এবং আমাকে নিজে হাতে খাইযে দাও|”তখন তামর তার তৈরী করা পিঠেগুলি নিয়ে তার ভাইয়ের শোবার ঘরে গেল| তামর, যখন তার ভাই, অম্নোনকে খাওয়াতে শুরু করেছে তখন অম্নোন তার হাত চেপে ধরল| সে তাকে বলল- “বোন- এসো আমার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক কর|” তামর অম্নোনকে বলল- “না ভাই! আমাকে এই সব করতে বাধ্য করো না| এই ধরণের লজ্জাজনক কাজ করো না| এই ধরণের ভয়াবহ কাজ ইস্রায়েলে হওয়া উচিত নয়| আমি আমার লজ্জা থেকে কোনদিন মুক্তি পাব না| লোকরা ভাববে যে তুমি অপরাধীদের একজন| কিন্তু অম্নোন তামরের কথা শুনল না| সে তামরের থেকে শক্তিশালী ছিল| সে তাকে নিজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করলো।

⛔ বাইবেলে ভাবি ও মায়ের সাথে যৌনতা।

* বাইবেল,অাদিপুস্তুক ৩৮:৮-৯ যিহুদা তার পুএ, 'ওনাকে' তার ভাইয়ের বধূর সঙ্গে সহবাস করতে বললেন, দেবর হিসেবে তার (মৃত) ভাইয়ের বংশ রক্ষার জন্য ভাইয়ের বধুর প্রতি (সহবাস করা) এই ছিল তার কর্তব্য। কিন্তু "ওনান" জানত যে, সেই সন্তান তার হবে না, তার ভাইয়ের জন্য যাতে তাকে সন্তান উত্‍পাদন করতে না হয়, সেই জন্য সে তার ভাইয়ের বধূর সঙ্গে সহবাসের সময়,বীর্য তার ভাবীর কাছে না দিয়ে ভূমিতে রেতঃপাত (বীর্যপাত) করলো।

* বাইবেল,অাদিপুস্তুক ৩৫:২২/৪৯:৪ ""রিউবেন তার বাবার স্ত্রী,বিল্হার সাথে যৌন সঙ্গম করলো""

⛔ বাইবেলে অবতাররা উলঙ্গ হয়ে হাটে।

* বাইবেল,অাদি পুস্তক ৯:২০-২৫ নোয়াহ, মদ পান করতেন, একদিন তিনি মদ পান করে মত্ত হয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পরেছিলেন, তখন তার পুত্ররা বস্ত্র নিয়ে পিছন হেঁটে পিতার কাছে গিয়ে তাঁর দেহ ঢেকে দিল। কনানের পিতা হাম সেই উলঙ্গ অবস্থায় নিজের পিতাকে দেখে ফেললো| তাঁবুর বাইরে গিয়ে সে কথা ভাইদের বলল|""

* বাইবেল,ইসাইয়া ২০:২-৩ "'সেই সময় ঈশ্বর আমোসের পুত্র,নবী যিশাইয়কে বলেন-যাও- তোমার কোমর থেকে কাপড় খুলে উলঙ্গ হয়ে যাও| পা থেকে জুতো খুলে ফেল|”যিশাইয় ঈশ্বরের আদেশ পালন করল| খালি পায়ে- খালি গায়ে উলঙ্গ হয়ে যিশাইয় চারদিকে ঘুরে বেড়াল| তারপর ঈশ্বর বললেন- “যিশাইয় তিন বছর ধরে খালি পায়ে উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়িযেছে|এটা মিশর এবং কূশ দেশের কাছে একটা নিদর্শন|

⛔ বাইবেল পিতা নিজ কন্যাকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিতে চায়।

* বাইবেল,আদি পুস্তুক ১৯:১-৩৮ "লোটের" এর বাড়িতে ২ জন মেহমান অাসল।। তখন সন্ধ্যায়,"সদোম শহরের" লোকেরা "লোটের" বাড়ি ঘিরে পেললো.এবং তারা বললো,তোমার মেহমানরা কোথায়?..তাদের সাথে অামরা যৌন সহবাস করবো?..তখন, "লোট" বলল, দেখ- আমার দুটি মেয়ে আছে - কোনও পুরুষ তাদের স্পর্শ করে নি| তোমাদের জন্যে আমি নিজের কন্যাদের দেব| তোমরা তাদের নিয়ে যা খুশী করতে পারো| কিন্তু দয়া করে এই অতিথি দুজনের প্রতি কিছু করো না| এই দুজন আমার ঘরে এসেছে এবং আমার, অবশ্যই এদের রক্ষা করা উচিত|” ঐ সেই "লোট" যাকে মদ খাইয়ে মাতাল বানিয়ে,তার ২ মেয়ে যৌনতা করেছিল এবং এক একটা করে পুএ সন্তান জন্ম দিয়েছিল।

🔱 নাস্তিক্যধর্ম অশ্লীলতাকে সমর্থন করে কেন?

দৈহিক ক্ষতি হয় না বিধায় নাস্তিক্যধর্মে সব প্রকারের
অশ্লীলতা বৈধ। অশ্লীলতা অমানবিক কাজ এই বিশ্বাস কুরআন সুন্নাহ বিশুদ্ধ ভাবে প্র্যাকটিস করা মুসলিমদের মানায়। ইসলাম আমাদেরকে মানবিক নৈতিকতা শিক্ষা দেয় অপরদিকে আদর্শ নৈতিকতা নিয়ে নাস্তিকতা ডিলই করে না। এই যে দেখেন সস্তা কিছু নাস্তিক যারা ইসলামের সমালোচনা করে আসলে তারা নিজেরাই খাটি নাস্তিকমনা হতে পারে নাই কেননা যে খাটি নাস্তিক সে কখনোই ইসলামের সমালোচনা করার অধিকারই রাখে না কারন "ইসলাম" এ বিষয়টিই নাস্তিক্যবাদ ডিল করে না,তাহলে নাস্তিকরা কেন ইসলামের বিপরীত বিধান আমাদেরকে গেলাতে চায়? নাস্তিক্যধর্মের সার্বজনীন নৈতিকতা কিসের ভিত্তিতে প্রমাণিত?

সমকামীতার মতো জঘন্য জিনিসের পক্ষে বলতে গিয়ে নাস্তিক অভিজিৎ রায় তার "সমকামিতা" বইয়ের ৯৬ নং পৃষ্ঠায় বলেছেঃ যৌনপ্রবৃত্তির কেন্দ্রীয় উৎস হল মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কই নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের নানা পছন্দ,অপছন্দ, ঘৃণা, অভিরুচি আর ফ্যান্টাসি। মস্তিস্কই জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সিদ্ধান্তে আসে আমাদের ঐশ্বরিয়াকে ভালো লাগতে হবে, নাকি শাহরুখকে। মস্তিস্কেই সিদ্ধান্ত নেয় এই মুহূর্তে আমাদের ভূতের গল্প ভালো লাগবে, নাকি আবেগময় রোমান্টিক উপন্যাস।

এই কথার সুত্র অনুপাতে আমার মস্তিষ্কে শান্তির ধর্ম ইসলাম ভাল লাগে তাহলে কি নাস্তিকরা এটা মেনে নিবে? মস্তিষ্ক কিসের ভিত্তিতে নৈতিকতা ঠিক করবে? যাই হউক। মুল কথায় আসি। নাস্তিকদের কাছে মস্তিস্কই সব। দুনিয়ার কোনো নাস্তিকই কখনোই যৌন নীতিমালা দিতে পারে না। যার ইচ্ছা সে তার সাথেই সম্মতিতে লাগালাগি করাকেই নৈতিক ভাবে।

শিশুকামিতাকে অবৈধ বলার উপায় নেই নাস্তিক্যধর্মে। "সমকামিতা" বইয়ের ৬৯ নং পৃষ্ঠায় বোনোবো শিম্পাঞ্জীদের সমকামীতার কথা বলা হয়েছে এবং এরা যে শিশুদেরকেও রাহাই দেয় না সেটাও সুস্পষ্ট বলা হয়েছে।

আমরা জানি নাস্তিক্যধর্মের বিশ্বাস হচ্ছে মানুষ বিবর্তনের ফসল। মানুষও শিম্পাঞ্জীদের মতোই একটা প্রাণী। তাহলে কোনো নাস্তিক যদি শিম্পাঞ্জীদের এই নৈতিকতাকে ভাল মনে করে নিজের শিশু সন্তানদের সাথে সংগম করে এটাও নাস্তিক্যধর্মে বৈধ। তবে শিশুদেরকে ব্যথা বা ক্ষতি করা যাবে না এই উসুল উক্ত নাস্তিককে মানতে হবে প্রথমে।

শুধু কি তাই? বাবা-ছেলে সমকামীতার কথাও উল্লেখ করা আছে "সমকামি" কেতাবের ১৬৮,১৬৯ পৃষ্ঠায়। নাসিম নামের এক সমকামী "মেরে বাবা" নামে একটা কবিতা লেখে। কবিতাটি হুবহু আমি তুলে দিচ্ছিঃ

বাবা আমার,সবাই বলে আমার চেহারার সাথে নাকি তোমার অদ্ভুত মিল। আমার চোখ,কপাল, ঠোঁট আমার উচ্চারণ আর যেভাবে আমি কথা বলি, যেভাবে বসি, যেভাবে হাটি আমার হাতের নড়াচড়া, সবকিছুই নাকি তোমার মতো। আমি শুনেছি সন্তানের মধ্যে নাকি বয় বাবার রক্তের স্রোতধারা আমার মনে প্রশ্ন আসে- সবকিছুই যদি তোমার মতোই হবে তবে আমার যৌন প্রবৃত্তি তোমার চেয়ে এতটাই আলাদা হলো কেন?

পাঠককে আমি অনুরোধ করবো বমি করবেন না প্লিজ! মুসলিম  হলে বলুনঃ নাউজুবিল্লাহ। নাস্তিক্যধর্মের এসব বর্বর তথ্য নিয়ে কখনোই আলচনা করবে না নাস্তিকরা। কারন ওরা জানে মুসলমানদেরকে নাস্তিক্যধর্মের দাওয়াত দিলে কখনই সভ্য মানুষরা সেটা বিশ্বাস করবে না। উল্টো নাস্তিক্যধর্মকে থুতু দেবে মুসলিমরা। তাই নাস্তিকরা কৌশল করে ইসলাম বিষয় ভুল ব্যাখ্যা করে সাধারন মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করে। এই মিথ্যাচারের জালে পা দিয়ে যারা  নাস্তিক্যধর্ম গ্রহণ করে তাদেরকে "এক্স মুসলিম" বলা হয়। এসব অবুঝ লোকদেরকে যখন আমরা নাস্তিক্যধর্মের বর্বরতা অশ্লীলতা,পশুভ্য নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয় সচেতন করি তখন এদের মাঝে চিন্তাশীল লোকেরাই নাস্তিক্যধর্ম ত্যাগ করে আবার ইসলামে ফিরে আসে।

যখন কোনো নাস্তিককে দেখি ইসলামের নৈতিকতা নিয়ে সমালোচনা করতে তখন হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে যায় আর চিন্তা করি এরাই তো পশুভ্যতায় বিশ্বাসী নাস্তিক গোষ্ঠী।

📶 বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

* সূরা আনয়াম  ৬ঃ১৫১= তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না। সেটা গোপনে হোক বা প্রকাশ্যে।

* সুরা আরাফ ৭ঃ৩৩ = আল্লাহ হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীল কাজকর্ম,সবরকম পাপ, অসঙ্গত বাড়াবাড়ি।

* সুরা নুর ২৪ঃ১৯ = যারা চায়, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক, তাদের জন্য দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।

বুঝে থাকলে বলুন উগ্রবাদী নাস্তিক আর খ্রিস্টানরা ইসলামের সমালোচনা কেন করবে না? ইসলাম আমাদেরকে সুন্দর সমাজ তৈরির আদর্শ, মানবিক নৈতিকতা পেশ করে। যেখানে থাকবে না অশ্লীলতা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন। অথচ নাস্তিক্যধর্ম ও বাইবেল ঘেটে জানতে পারলাম এসব জঘন্য, অশ্লীল নৈতিকতা, কুরুচিপূর্ণ, বর্বর, নিকৃষ্ট বিধান এই দুই বিলিভ সিস্টেমে সম্পুর্ন বৈধ। একমাত্র ইসলাম এসবের বিরুদ্ধে সচেতনতা জানার আবেদন পেশ করে।তাহলে এবার বলুন ইসলামের বিরুদ্ধে উগ্রবাদীরা লাগবে না তো কারা লাগবে?

Related Posts

: