প্রশ্নঃএকজন শিশুকে যখন ধর্ষক ধর্ষণ করে তখন আল্লাহ কেন শিশুকে রক্ষা করেন না?
লিখেছেনঃএমডি আলী।
উত্তরঃযতই যৌক্তিক এবং শক্তিশালী উত্তর ইসলামের দৃষ্টিতে নাস্তিকান্ধদের দেয়া হক না কেন ওরা মানবে না তাই ওদের নাস্তিক্যধর্ম দিয়েই ওদের জন্য প্রথমে ঔষধ দিচ্ছি।শেষের দিকে ইসলামের দৃষ্টিতেও জবাব দেয়া হয়েছে।
নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে ছোট শিশুদের দুঃখ,কষ্ট,মৃত্যু কেমন?
আল্লাহ ধর্ষকের হাত থেকে শিশুটিকে সরাসরি রক্ষা করেন না,আল্লাহর উচিৎ শিশুটিকে রক্ষা করা সেহেতু উনি এমন করে নাই তাই আল্লাহ অপরাধী-নাস্তিকরা এই বিশ্বাস করলে নাস্তিক থাকে কিভাবে?এই অভিযোগে বিশ্বাস করলে নাস্তিকরা কি আস্তিক হয়ে যাচ্ছে না, যাদের বিশ্বাস মহাবিশ্বের স্রষ্টা অপরাধী? নাস্তিকতা অর্থ স্রস্টার অস্তিত্বে অস্বীকার করা তাহলে এই অর্থে আল্লাহ অপরাধী হয় কিভাবে?এটা কি নাস্তিক্যধর্মের নৈতিকতা?এই চিন্তার আবিষ্কারক কোন মানুষ?সেই মানুষের কথা কেন আমাদেরকে বিশ্বাস করতেই হবে?
একজন নাস্তিক কিসের ভিত্তিতে বলবে মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ কি করতে পারবেন? আর কি করতে পারবেন না? এসব কি যৌক্তিক নাস্তিকদের কাছে?আল্লাহ কি দিয়ে পরিক্ষা নিবে আর কি দিয়ে নিবেন না সেটা কি নাস্তিক্যধর্মের নাস্তিকান্ধরা বলে দিবে?এবং এটাই মুসলিমদেরকে মানতেই হবে? ইসলামের নিয়ম নাস্তিকান্ধরা বলে দিবে এবং সেটা মুসলিমরা মেনে নিতে বাধ্য কেন হবে?
একজন ধর্ষক যদি একজন শিশুকে ধর্ষণ করে এই অপরাধের ভ্যালু নাই,নেই অর্থ, নেই কারন, সব কিছুই নিরর্থক কারন আমাদেরকে একদিন মরে যেতে হবে।সন্তানের মা বাবা যদি কান্না করে তাদের সন্তানের জন্য এটাও নিরর্থক,অর্থহীন আর অর্থহীন কিছু যে, মানবিকতা হয় না সেটাও আমাদের জানা।তারমানে নাস্তিকতায় একজন শিশুর দুঃখ,কষ্ট,মৃত্যু স্রেফ অর্থহীন কেমিক্যাল রিয়েকশন ছাড়া কিছুই নয়।
বাতাসে একটি গাছের পাতা ছিঁড়ে পরা এটা যেমন অর্থহীন ঠিক একইভাবে একজন নাস্তিক যদি কাউকে হত্যা করে অথবা কোন শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে সেটাও অর্থহীন এবং এটা কখনোই মানবিকতা হতে পারে না? একে আমি মানবতা বলতে রাজি নই।নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে একজন খাটি বিশুদ্ধ নাস্তিক এসব অন্ধবিশ্বাস করতে বাধ্য। কারন এসব বিশ্বাস না করলে সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করতে পারবে না, না পারবে যুক্তির হাত থেকে নিজের পিট বাঁচানর জন্য নিজেকে সংশয়বাদী দাবী করতে!
নাস্তিকান্ধদের কাছে খুবই বিখ্যাত বিজ্ঞানমনস্ক,নারীবাদী,কবি,চেতনাধারী,প্রগোতিশীল,লেখক হুমায়ুন আজাদ।উনার “আমার অবিশ্বাস” বইটি নাকি সত্যের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল নাস্তিকদের দিলে।উনার কেতাবের রেফারেন্স দিচ্ছি পড়ুন।
আমার অবিশ্বাস, ১৭ পৃষ্ঠা = তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায়, রবীন্দ্রনাথ নিরর্থক , আইনস্টাইন নিরর্থক, ওই গোলাপও নিরর্থক, ভোরের শিশিরও নিরর্থক, তরুণীর চুম্বনও নিরর্থক, দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, রাষ্ট্রপতি নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ।
"আমার অবিশ্বাস" ১৯ পৃষ্ঠাঃ আমরা এই নিরর্থক পুনরাবৃত্তি থেকে একটুও এগোইনি , কামু বলেছেন আমাদের জীবন একই রোববারের পর সোমবার, সোমবারের পর মঙ্গলবার, মঙ্গলবারের পর বুধবার, একই নিরর্থক পুনরাবৃত্তি । এই নিরর্থকতার মুখোমুখি কিভাবে দাড়াতে পারি ? কামুর মতে একটিই সত্যিকার দার্শনিক সমস্যা রয়েছে তা হচ্ছে আত্মহত্যা । জীবন কি যাপন করার উপযুক্ত ? বেঁচে থাকার কি কোন মানে হয় ? কোন অর্থ কি আছে নিরুদ্দেশ যাত্রা লেখার বা মহাকাশে নভোযান পাঠানোর বা নারীর নগ্ন স্তন চুম্বনের বা জন্মদানের? ...................মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই , হাজার হাজার প্রশ্ন তার , সেগুলোর কোন উত্তর নেই । মানুষ চায় সমাধান , কিন্তু সমাধান চাইতে গিয়েই মানুষ জাগিয়ে তোলে নিরর্থকতা । মানুষ যখন জীবনের অর্থ খুজতে চায় , বুঝতে চায় জীবনের অর্থ কি , তখন সে মুখোমুখি হয় নিরর্থকতার । জীবনের কোন অর্থ নেই । কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই । সুধীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন তার সার কথা পিশাচের উপজীব্য হওয়া।
আমার অবিশ্বাস, ১৮ পৃষ্ঠাঃ এই যে আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থেকে সুখ পাচ্ছি । আমি মরে যাবো, এই হাস্যকর নিরর্থকতাকে কিভাবে অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি ? আমার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার কখন পূর্বনির্ধারিত উপায় নেই । কোন পবিত্র বা অপবিত্র বই বা কোন মহাপুরুষ বা প্রবর্তক আমাকে পথ দেখাতে পারেন না । তাঁরা খুঁজেছেন নিজেদের পথ , নিজেদের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার পথঃ আমি তাদের পথে চলতে পারি না ।আমি খুজতে চাই আমার পথ । নিজের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে আমার নিজের ।
আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন তাহলে উপরে দেয়া ফতোয়া গুলো আবার পড়ুন।কি বুঝলেন? আমাদের সব কিছুই মূল্যহীন,গুরুত্বহীন।একজন নাস্তিক বাবা যদি এসব কথা বিশ্বাস করে তাহলে উনার শিশুকে যদি কেউ ধর্ষণ করে হত্যা করে সে কোন যুক্তিতে কষ্ট পাবে?সে কোন যুক্তিতে কান্না করবে? আর যদি বিনা যুক্তিতে কান্না করেও তাহলে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে ধর্ষককে কোন যুক্তিতে অপরাধী বলবেন? কারন সেই ধর্ষক যদি নাস্তিক হয় আর যুক্তি দেয় আমি বিশ্বাস করি এই দুনিয়াই শেষ এবং সব কিছুরই মূল্য নেই কারন দীর্ঘ সুখকর সংগমও নিরর্থক, কেননা সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ। আমি নাস্তিক মনে করি এটাই আমার পথ কারন কোন পবিত্র বা অপবিত্র বই বা কোন মহাপুরুষ বা প্রবর্তক আমাকে পথ দেখাতে পারেন না । তাঁরা খুঁজেছেন নিজেদের পথ,নিজেদের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার পথঃ আমি তাদের পথে চলতে পারি না।আমি খুজতে চাই আমার পথ।নিজের জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে আমার নিজের। আর বিবর্তনের যুক্তিতে ধর্ষণ করা সম্পূর্ণ যৌক্তিক কারন যার শক্তি আছে সেই টিকবে আর যে দুর্বল সে হারিয়ে যাবে আর আমি নাস্তিক সেই মেয়েকে ধর্ষণ করেছি আর সেই শিশু নিজেকে আমার থেকে রক্ষা করতে পারেনি।এখন আপনি নাস্তিক বাবা কোন যুক্তিতে সেই নাস্তিক ধর্ষককে অপরাধী বলবেন? নাকি নিজেই আত্মহত্যা করবেন হুমায়ুন আজাদের আমার অবিশ্বাস কেতাবের পড়া বিশ্বাস করে?
নাস্তিকদের জন্য সব চেয়ে কষ্টকর দমবন্ধ করা তথ্য হচ্ছে আপনি কি জানেন নাস্তিকদের আইডল হুমায়ুন আজাদ নিজেও এক অল্প বয়স্ক নারীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল?এটা কি কখনো নাস্তিকরা বলেছে আপনাকে ? আমি প্রমান দিয়ে দিচ্ছি রেফারেন্স মিলিয়ে নিয়েন।
আমার অবিশ্বাস, পৃষ্ঠা ১৫ = যখন শিশু ছিলাম, কিশোর হয়ে উঠেছি যখন , তখনও আমি সব কিছু চুষে দেখতে চেয়েছি । আজো অনেক কিছু চুষে আর চেখে দেখতে ইচ্ছে করে । ছেলেবেলা ভরে ইচ্ছে হতো চুলোর লাল আগুনের টুকরোগুলোকে চুষে দেখতে, ওগুলো লাল গোলাপের থেকেও লাল হয়ে জ্বলজ্বল করতো , সূর্যাস্তকেও চুষে স্বাদ নিতে ইচ্ছে হতো, কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মত এক তরুণীকে।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কি ইচ্ছা করে তরুণীকে চুষতে,চাবাতে, তাও আবার চুইংগামের মতো?আশে পাশে মানুষ থাকায় হয়তো সে উক্ত নিরীহ মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে পারেন নাই।এখন যারা এই হুমায়ুনের আদর্শে বিশ্বাসী নাস্তিক তাদের থেকে আপনার মা,আপনার বোন কতটুকু নিরাপদ? আর কোন নাস্তিক যদি সমকামী হয় তাহলে আপনার বাবা, আপনার ভাই যে নিরাপদ সেই গ্যারান্টি কি?
শুধু কি তাই? হুমায়ুন আজাদের “ধর্মানুভূতির উপকথা” বইতে সে বলেছে পৃথিবীর সব কিছুই চলে যুক্তিতে;গণিত,পদার্থবিদ্যা,রসায়ন প্রভুতি থেকে শুরু করে সব কিছুই চলে যুক্তির সাহায্যে,কোনো জ্ঞানই যুক্তি ছাড়া সম্ভব না,কোনো সত্যই যুক্তি ছাড়া উদ্ঘাটন করা সম্ভব না।অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে আমরা ধান উৎপাদন করতে পারি না,বিশ্বাস দিয়ে আমরা গাড়ি চালাতে পারি না বা খালের উপর একটি বাঁশের সাঁকোও তৈরি করতে পারি না;কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে আমরা একটি অসামান্য কাজ করতে পারি;মৃত্যুর পর যেতে পারি চিরসুখের জগতে।
পাঠক খেয়াল করুন একেক মানুষের কাছে একেরকম যুক্তি।সবার যুক্তি কিন্তু একই রকম হবে না।একজন ধর্ষক যখন শিশু ধর্ষণ করে তখন তাকে হুমায়ুনদের কথা মতো যুক্তি ঠেকাতে পারে না? একজন ধর্ষক যদি এটা মানে যে ধর্ষণ করা অপরাধ এটা আমি বিশ্বাস করি না কারন এটা একটি অন্ধবিশ্বাস তখন কোন যুক্তি দিয়ে তাকে আপনি বুঝতে যাবেন যে এটা অপরাধ? আপনি এই নাস্তিককে যাই বলেন না কেন সে যদি বলে আপনার দেয়া যুক্তি আমি বিশ্বাস করি না আমি আমার যুক্তিতে চলি তখন?নাস্তিক্যধর্মে আছে এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান? কোন মহাপুরুষ দিবে এই সমাধান?
একজন শক্তিশালী নিরীহ মানুষকে খুন করা এবং হাসপাতালের নিরীহ রোগীকে খুন করা কোনটি বেশি বর্বর? অবশ্যই সেই রোগী মানুষটিকেই হত্যা করা বেশি অপরাধ।তাহলে নাস্তিকরা যে জীবিত শাকসবজির কল্লা কেটে খুন করে ভক্ষণ করে ক্ষুধার্তের দোহাই দিয়ে এটা কি সন্ত্রাসী না নাস্তিকদের নিজেদের যুক্তিতে? সেই রোগী মানুষটি হয়তো নিজেকে রক্ষা করার জন্য পালানোর চেষ্টা করতে পারে কিন্তু শাকসবজির তো সেটারও সুযোগ নেই অথচ এই অসহায় প্রাণীদের হত্যা করে খাচ্ছে দিনের পর দিন। নাস্তিকদের নিজেদের যুক্তিতে এই সব কাজ ভংকর সন্ত্রাসী কাজকাম নয়?
যাদের বিশ্বাসের অবস্থা এতোই খারাপ এবং দুর্গন্ধময় এরাই আবার অভিযোগ করে শিশুকে আল্লাহ কেন রক্ষা করতে আসেন নাই তাই আল্লাহ অপরাধী!
নাস্তিকান্ধদের দাবী যদি এটাই হয় যে আল্লাহ শিশুকে সরাসরি এসে রক্ষা করেন নাই তাই আল্লাহ অপরাধী তাহলে নাস্তিকদের এই একই হুবহু যুক্তিতে নাস্তিকরা শিশুর থেকেও ছোট অর্থাৎ মশাকে স্বয়ং নাস্তিকরা হত্যা করার কারনে নাস্তিকরা সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি হবে না কেন? নাস্তিকরা হয়তো মশাকে ধর্ষণ করতে পারে না নাহলে চীনের নাস্তিকদের মতো সেটাও করতো (উইঘুরে নিরীহ মুসলিমদের সাথে নাস্তিক চীনদের আচরণ পড়ুন)।
দুনিয়াতে এমন কোন নাস্তিক নেই যে মশা হত্যা করেনি তাই সকল মশা হত্যা করার অপরাধে নাস্তিকরা অপরাধী এবং সন্ত্রাসী আর জঙ্গি এবং এই অপরাধের জন্য দুনিয়ার সব নাস্তিকদের ফাসির শাস্তি দেয়া অবশ্যই মানবতার শ্রেষ্ঠ কাজ হবে না কেন?নাস্তিকরা মশা হত্যার বিরুদ্ধে শাহবাগে কোন আন্দোলন করেছে কিনা আমার জানা নেই, কেউ জানলে আমাকে জানায়েন আমি অপেক্ষায় থাকবো?
শিশুর প্রান আছে মশার নেই? যদিও নাস্তিকরা আত্মা বা প্রানে বিশ্বাসী না? কৃষকরা ধান ক্ষেতে পোকামাকড় হত্যা করে ভয়ংকর কীটনাশক ব্যাবহার করে, এসব কি অমানবিক নয় নাস্তিকদের যুক্তিতে? পোকামাকড়ের প্রান নেই? কাঁকড়া হত্যা করে খাওয়া অন্যায় না নাস্তিকদের যুক্তিতে? শিশুর প্রান আছে শিশু কষ্ট পায় সেসব প্রাণীদের প্রান নেই তারা কি রোবট?
ধরুন একজন ভাল মানুষ যে কিনা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।এখন নাস্তিকদের ধোঁকায় নাস্তিকতায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।আরও ধরুন একদিন তার ছোট মেয়ে যার নাম তরুণী।বয়স ১৫। সন্ধ্যা বেলায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হুমায়ুন নামের নাস্তিকটি ধর্ষণ করে ফেলল।এই মুহূর্তে নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে মেয়েটির বাবা আধ্যাত্মিক কি সমাধান পাবে এই সমস্যার? সে যদি এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে তাহলে কি সেটা অন্যায় হবে?নাস্তিক মুক্তমনা ধর্ষককেই বা কোন যুক্তিতে শাস্তি দেয়া হবে?
এতক্ষণ তো যুক্তি দিলাম আর এখন পেশ করবো প্রমান। কারন জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
এক্স সংশয়বাদী ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" (প্রথম প্রকাশ), ১৭৮ পৃষ্ঠায় "The Telegraph.25 jan.2004" সূত্রে বর্ণনা করেছেন শুধু পেটের শিশু নয়, জীবন্ত শিশু হত্যার ব্যাপারেও পরামর্শ আসছে কিছু নাস্তিক পণ্ডিত থেকে, এর নাম দেয়া হয়েছে জন্ম পরবর্তী গর্ভনিরোধ (after birth abortion) । বিভিন্ন দেশে যেমন নেদারল্যান্ড কানাডা বংশগত রোগে আক্রান্ত বা গুরতর অসুস্ত বাচ্চাকে জন্মের পর হত্যার অনুমতি রয়েছে । তাদের যুক্তির একটি হল ভ্রূণ বা নবজাতক যৌক্তিক চিন্তার ক্ষমতা রাখে না টাই তারা "ব্যাক্তি"র পর্যায়ে পড়ে না । সুতরাং এদের হত্যা করা যেতে পারে । এই ধারনার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এথিকস কমিটির সম্মানিত সদস্য নাস্তিক জন হেরিস । আরেক নাস্তিক গবেষক আলবার্টো গিউবিলিনি ও ফ্রান্সেসকো মিনারভা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে "After birth abortion:why should the baby live ?" শিরোনামে "Journal of med Ethics. vol.vol 39.page 261-263.February 2012" জার্নাল পেপারে বলতে চেয়েছেন নবজাতক সুস্থ হোক বা অসুস্ত তাদের হত্যা করা যেতে পারে কারন এরা "ব্যাক্তি"র পর্যায়ে পড়ে না।
হুমায়ূন আজাদ তার "আমার অবিশ্বাস" বইটিকে যাকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন সেই বার্ট্রান্ড রাসেলের চরিত্রের কি ভয়াবহ অবস্থা।এক্স সংশয়বাদী ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ২১৪ পৃষ্ঠায় "Brilliant Men Always Betray Their Wives. The Telegraph,13 july 2006" সূত্রে বর্ণনা করেছেন গোটা চারেক স্ত্রী আর অজস্র নারীর স্বাদ আস্বাদনে অভ্যস্ত এই নাস্তিক অথবা সংশয়বাদী বলতেন কোন যৌনসঙ্গীকে তার কয়েক বছরের বেশি আবেদনময়ী মনে হত না । তারপর নতুন কাউকে বশ করার পঁয়তারা চলত । বলা হত তিনি Galloping Satyriasis অর্থাৎ দ্রুতবর্ধমান কামুকতায় আক্রান্ত ছিলেন । তার যৌনসঙ্গীর লম্বা তালিকায় ছিল সেক্রেটারি তরুণী, মন্ত্রীর স্ত্রী , সার্জন কন্যা,নারী গবেষক, অভিনেত্রী , নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনের কর্মী, বেশিকিছু শিক্ষিকা, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষকের স্ত্রী, এমনকি তার সন্তানের গৃহশিক্ষিকা ইত্যাদি ইত্যাদি মাত্র ! - এইবার চিন্তা করুন নাস্তিক্যধর্মে চেতনাধারীরা কত ভয়ংকর যৌন অপরাধী হতে পারে। এসব মিডিয়াতে খুবই কম আসে আর নাস্তিকান্ধরাও এসব গোপন করে রাখতে চায় এবং এসব গোপন রেখেই মানুষদের বোকা বানায়,বানাচ্ছে।
বুদ্ধিমানরা এদের চুরি করা ধরে ফেলে। আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন তাহলে এইবার এই মুহূর্তে নিজেকে প্রশ্ন করুন নাস্তিকান্ধদের অভিযোগ করার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা আছে কিনা?কোন ভিত্তির যোগ্যতায় এরা মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে অপরাধী বলে?
টপ ৬ টি দেশ যারা সব চেয়ে বেশি নাস্তিক্যবাদ/ধর্ম গ্রহন করেছে।
এর মধ্যে ৪ নাম্বারে আছে ফ্রান্স। দিন দিন মানুষ নাস্তিক্যধর্মে গ্রহনের ফলে কি হচ্ছে চলুন আপনাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি নাস্তিকদের প্রিয় দেশ ফ্রান্স থেকে।
আমার আংকেল আমাকে যৌন নির্যাতন করেছিলো, তখন আমার বয়স ছিলো ৮ বছর’‘আমি আমার বাবার হাতেই যৌন নির্যাতনের স্বীকার হই, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বাবা আমাকে যৌন নির্যাতন করেন’।‘ছুটিতে মজা করার কথা ছিলো আমাদের,কিন্তু কে জানত খুব দ্রুতই তা আমার জন্য দুঃস্বপ্নে রূপ নেবে’এরকম অসংখ্য টুইটের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে টুইটার। বাবা,চাচা এমন নিকট আত্মীয়দের হাতে যৌন নির্যাতনের ঘটনার ব্যাপারে মুখ খুলেছে ফ্রান্সের হাজারে হাজারে নাগরিক। তিন বছর আগে ইন্টারনেট ভরে গিয়েছিলো Metoo হ্যাশট্যাগে। সেই সময় একে একে বের হয়ে আসছিলো ইউরোপ আমেরিকা হলিউড, বলিউডে যারা নারী স্বাধীনতার গান গাইতো তাদের হাতেই নারীদের যৌন নির্যাতনের গা শিউরে ওঠা কাহিনী। বিশ্ববাসীর সামনে একদম খুলে পড়েছিলো নারী স্বাধীনতা, প্রগতি আর সমানাধিকারের বুলি আউড়ানো ইউরোপ আমেরিকা আর মিডিয়ার মুখোশ। এই হ্যাশট্যাগ Metoo movement এর আদলেই ফ্রান্সে শুরু হয়েছে #Metooinceste আন্দোলন। এর শুরুটা হয় বেশ জঘন্য এক ঘটনা দিয়ে। Olivier Duhamel নামের এক ফ্রেন্স প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবির নামে অভিযোগ ওঠে সে তার সৎ ছেলেকে বয়ঃসন্ধি অবস্থায় যৌন নির্যাতন করেছে। এই ঘটনার পর #Metooincesteএর বন্যা শুরু হয় টুইটারে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২০ হাজার টুইট করা হয়। ফ্রান্সের নাগরিকরা একে একে বলতে শুরু করে কীভাবে তারা নিজেদের বাবা,চাচা, ভাই ইত্যাদি আপনজনের হাতে যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ছোটো থাকতে। ফ্রান্সে ইনসেস্ট অর্থাৎ যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ এমন মানুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ। অর্থাৎ বাবা মেয়ে দুজন বিছানায় যেতে পারবে, ভাই বোন , মা ছেলে যা খুশি তাই করতে পারবে। এগুলো কোনো সমস্যা না তাদের কাছে। কিন্তু যদি যৌনতায় আগ্রাসন প্রদর্শন করা হয় বা ১৫ বছরের কম বাচ্চাকে বিছানায় নেওয়া হয় তখন সেটা ফ্রান্সে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই চরম ঘৃণিত আইনের ফলাফল হয়েছে ভয়াবহ। ফ্রান্সের ঘরে ঘরে আজ ইনসেস্টের মাধ্যমে যৌন নির্যাতন চলছে। প্রতি ১০ জনের ১ জন বলছে তারা ইনসেস্টের স্বীকার।ইনসেস্টের মাধ্যমে যৌন নির্যাতিত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার নাম ফেসিং ইনসেস্ট। এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট Patrick Loiseleur বলছে, ইনসেস্ট হলো ঘরে থাকা একটা হাতির মতো যা কেউই দেখছেনা(মানে দেখেও না দেখার ভান করছে) ইনসেস্টের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশী যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে কিন্তু এটা নিয়ে সবচেয়ে কম কথা হয়’। বাহ ফ্রান্সে সভ্যতা, প্রগতিশীলতা, মানবাধিকারের কি অপূর্ব নিদর্শন!
আমাদের সুশীল প্রগতীশীলরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ইউরোপ আমেরিকাকে অন্ধু অনুসরণ করার কথা বলে। পিতার হাতে সন্তানেরা যৌন নির্যাতিত হয় এমন দেশের কাছ থেকে আমাদের সভ্যতা শিখতে হবে? ভাইয়ের কাছে বোন নিরাপদ নয় এমন দেশের কাছ থেকেই আমাদের মানবাধিকার শিখতে হবে? এমন দেশকে অনুসরণ করে প্রগতিশীলতা শিখতে হবে আমাদের?
তথ্যসুত্রঃ
Incest Scandal Sets Off a New #MeToo Movement in France- https://tinyurl.com/y3s8aobg
যারা সেই কাজটি করেছে তারা নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে বৈধ জেনেই করেছে। কিন্তু যেই নাস্তিক নারীদের সাথে এমন করা হয়েছে তারা বিবর্তনের দৃষ্টিতে দুর্বল ছিল বিধায় রাষ্ট্রের কাছে বিচার দিয়েছে অথবা সম্মতিতে নারাজ ছিল যদি তারাও সেই নাস্তিক পুরুষদের মতো শক্তিশালী হতো তাহলে শুরু হয়ে যেত নারী পুরুষ টিকে থাকার লড়াই অর্থাৎ কে কাকে আগে ***
এক্স সংশয়বাদী ড রাফান আহমেদ তার (প্রথম প্রকাশ) "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ২১১ এবং ২১২ পৃষ্ঠায় "Violent sexual crimes recorded in the Eu.Eurostat" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ ইউরোস্টেট জানায় ২০১৫ সালে প্রায় ২১৫০০০ সহিংস যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়ঃ যার মাঝে ৮০% অধিক হল ধর্ষণ । তালিকায় প্রথমেই আছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস, দ্বিতীয় সাথে আছে জার্মানি তারপর ফ্রান্স , সুইডেন।
"Euronews,24 November,2017" সূত্রে আরেক পরিসংখ্যানে সুইডেন দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে । সুইডেন নাস্তিক প্রধান দেশ হওয়াতে নাস্তিক পাড়ায় এর খুব সুনাম শোনা যায় । কিছু কিছু নাস্তিকান্ধরা বলতে চেয়েছিলেন নাস্তিক হওয়ার পরও সুইডেন নাকি স্বর্গসম দেশ, কোন ক্রাইম নাই! কিন্তু গবেষণার পরিসংখ্যান তথা "The Independent,7 january2016" সুত্র কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে , পুরো ইউরোপের মাঝে সুইডেন ও ডেনমার্ক যৌন হয়রানির তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ।
এক্স সংশয়বাদী ড রাফান আহমেদ তার "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ১৭৯,১৮০ পৃষ্ঠায় "In an interview with Stone Phillips, Dateline NBC (29 November 1994)" সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ নাস্তিক সিরিয়াল কিলার জেফরি ডাহমারের নিজের অবস্থানের পক্ষে বলেছিলেন যে, যদি কোন মানুষ এটা মনে না করে যে, স্রষ্টার নিকট তাকে জবাবদিহি করতে হবে , তা হলে গ্রহনযোগ্য সীমায় রাখার জন্য নিজের আচরণকে পরিবর্তন করার দরকারটা কি ? আমি এমনটাই ভেবেছিলাম । আমি সবসময় বিবর্তন তত্ত্বকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছি । বিশ্বাস করেছি আমরা সবাই স্রেফ থকথকে কাদা থেকে এসেছি, যখন আমরা মরে যাব, ব্যাস শেষ । এরপরে আর কিছুই নাই ।
উইঘুরের অসহায় মুসলিম নারী ও শিশুদের সাথে চীনের নাস্তিকরা কেমন মুক্তমনা আচরণ করছে গুগলে সার্চ করলেই দেখতে পারবেন। এই বিষয় আর কলম চালালাম না কারন আমার কান্না আসতে পারে।
তাহলে ফলাফল দাঁড়াচ্ছে যেহেতু নাস্তিক্যধর্মে আমাদের দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য নেই,নেই কোন ভাল মন্দের পরিমাপ তাই একজন শিশুকে যদি কোন নাস্তিক ধর্ষণ করে তাহলে সেটা স্রেফ কেমিক্যাল রিয়েকশন এবং এটার কোন পাপ নেই,নেই অপরাধবোধ এটাই নাস্তিকতার প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি। এই কারনে শিশু যদি মারা যায় সেটাও অর্থহীন এবং নিরর্থক হয়েই মারা গেল।
যেমন কেউ যদি অনেক পানির বোতল খেয়ে বোতলটি ফেলে দেয় অথবা একটি কম্পিউটার কেউ যদি ভেঙ্গে ফেলে এটা যেমন কিছুই না তেমন একটি শিশুকে কোন নাস্তিক মেরে ফেলল এটাও হুবহু একই। এবং এই কথা নাস্তিক্যবাদ, বিবর্তনবাদ এবং এই দুই বাদের বাপ নিহিলিজমও সমর্থন করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তরঃ
অনেক শিশু নাবালেগ থাকা অবস্থায় হত্যার শিকার হয়। এইসব শিশুদের আল্লাহ কেমন পরিক্ষা নিচ্ছেন?কেনই বা পরিক্ষা নিচ্ছেন? প্রশ্নে বলা হয়েছে, শিশুটিকে কেন পরিক্ষা দিতে হলো। কিন্তু বাস্তবে শিশুটিকে কোন পরিক্ষা দিতেই হইনি।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি সহজ করা যাক। যদি কোন পরিক্ষার্থীর পরিক্ষা দিতে আসার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে, তবে সেই পরিক্ষার্থী পরিক্ষায় কতো নম্বর পেয়েছে সেটি জানতে চাওয়া অযৌক্তিক। কারন সে পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন নয়। একইভাবে,নাবালেগ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা শিশু পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী নয়। কারণ–সাবালেগ হওয়ার পর পৃথিবী তার জন্য পরিক্ষা ক্ষেত্র হয়।এর আগে নয়। সাবালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুর পাপ পুন্যের হিসাব রাখা হয় না।
এই অবস্থায় মৃত্যুবরন করলে সে তার উত্তম প্রতিদান পেয়ে যাবে। যদিও সে পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী নয়। কিন্তু দুনিয়ার সাধারণ পরিক্ষায় এটি সম্ভব নয় যে,কেউ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া হবে। এটিই হলো পার্থক্য। আর এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য নিহিত।সুতরাং,ইসলাম শিশুটির পরিক্ষা নিচ্ছে না, তবুও তাকে পুরস্কৃত করছে।
ihadis.com,বুলগুল মারাম,হাদিসঃ১০৮৫,সহিহ হাদিসঃ 'আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। -হাকিম সহীহ্ বলেছেন, ইবনু হিব্বানও বর্ণনা করেছেন। - সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদিসঃ২০৪১,২০৪২,সহিহ হাদিস।
Ihadis.com,মুয়াত্তা ইমাম মালেক,হাদিসঃ৫৪৩,সহিহ হাদিসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুসলমানদের কারো যদি তিনটি সন্তান মারা যায়, অতঃপর সে যদি তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করে, তবে সন্তান তার জন্য (জাহান্নামের) আগুন হতে (রক্ষার) ঢালস্বরূপ হবে। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট জনৈকা মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! দু’টি সন্তানের মৃত্যু হলেও কি ? তিনি বললেন, দু’টি সন্তানের (মৃত্যু হলে)-ও।
শিশুরা জান্নাতে যাবে –
বিস্তারিত পড়ুনঃ https://hadithbd.com/books/link/?id=12187
ধর্ষকের পরিক্ষার জন্য একজন শিশুকে কেন মাধ্যম বানালেন আল্লাহ? আল্লাহ একজনের পরিক্ষার জন্য অন্যজনকে পাঠাতে পারবেন না এটা ইসলামের কোথায় আছে?
দুনিয়াতে আল্লাহ সবাইকে ভাল-মন্দ কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। এখন কোন মানুষ যদি সেই স্বাধীনতার অপব্যাবহার করে তাহলে সেটার দায় অবশ্যই আল্লাহর নয় বরং যে অপরাধ করেছে তার।
আল্লাহ কি বলেছেন মানুষকে শিশু ধর্ষণ করতে? উত্তর হচ্ছে না।তাহলে আল্লাহকে কেন দোষারোপ করতে হবে? আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন ভাল -মন্দ কাজ করার।এখন মানুষ নিজের ইচ্ছায় যদি কোন অন্যায় করে তাহলে সেটার জন্য মানুষ দোষী,আল্লাহ নয়।নবীজি (সা) এমন কোন হাদিস বলেন নাই অথবা কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যেখানে বলা হচ্ছে মানুষের অপরাধের জন্য আল্লাহ দায়ী। এমন কোন তথ্য নাস্তিকান্ধরা দেখাতে পারবে না।
মানুষকে জবরদস্তি পাপ কাজ থেকে রক্ষা করতে আল্লাহ বাধ্য না আবার মানুষকে ভাল কাজ করার দিকেও জবরদস্তি করতেও আল্লাহ বাধ্য না।একজন মানুষ চাইলে তার নিজের স্বাধীনতা অনুপাতে অন্যায় থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।
তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ এবং আশাপূর্ণ সমাধান আছে যা নাস্তিক্যধর্মে নেই। ইসলাম আমাদেরকে বলে কারও যদি সন্তান মারা যায় এবং সে যদি ধৈর্য ধরে তাহলে আল্লাহ তাকে এর বিনিময়ে জান্নাতে দিবে। সুরা বাকারা ২:২১৬ = কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর হতে পারে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালবাস হতে পারে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ্ জানেন তোমরা জান না।
অথচ নাস্তিক্যধর্মে নিজের সন্তান যদি মারা যায় কোন সমাধান নেই,আছে শুধু হতাশা এবং নিরাশা এবং নিরর্থকতার কালো বস্তা।না নিজের শিশু মারা গেলে অমানবিক কিছু হবে, আর না সেই শিশুকে কোন নাস্তিক ধর্ষণ করলে কোন অপরাধ হবে।এই হচ্ছে নাস্তিক্যধর্মের বেহাল অবস্থা। নাস্তিক্যধর্মে হতাশা নিয়ে উপরে লিখেছি আরেকবার পড়ে আসুন।
কিছু হাদিস পড়ে নেই আসুনঃ
Ihadis.com,রিয়াদুস সলেহিন,হাদিসঃ২৮,সহিহ হাদিসঃআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মু’মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। সুতরাং তার সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।
Ihadis.com,রিয়াদুস সলেহিন,হাদিসঃ৪৪,সহিহ হাদিসঃআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার মঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে (পাপের) শাস্তি দিয়ে দেন। আর যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার অমঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে (শাস্তিদানে) বিরত থাকেন। পরিশেষে কিয়ামতের দিন তাকে পুরোপুরি শাস্তি দেবেন।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘‘বড় পরীক্ষার বড় প্রতিদান রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো জাতিকে ভালবাসেন, তখন তার পরীক্ষা নেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্ট (ধৈর্য) প্রকাশ করবে, তার জন্য (আল্লাহর) সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
Ihadis.com, হাদিস সম্ভার, হাদিসঃ৮৩,সহিহ হাদিসঃ আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃএকদা তিনি নিজের প্রয়োজনের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অভিযোগ করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “হে আবূ সাঈদ! ধৈর্য ধর। কারণ, আমাকে যে ভালোবাসে তার কাছে অভাব-অনটন ঐরূপ দ্রুত গতিতে আসবে, যেরূপ পানির স্রোত উঁচু উপত্যকা থেকে এবং পাহাড়ের উঁচু জায়গা থেকে নীচের দিকে দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয়।”
Ihadis.com, রিয়াদুস সলেহিন,হাদিসঃ৯৩,সহিহ হাদিসঃ যুবাইর ইবনু আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআমরা আনাস ইবনু মালেক (রাঃ)-এর নিকটে এলাম এবং তাঁর কাছে হাজ্জাজের অত্যাচারের অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। কারণ, এখন যে যুগ আসবে তার পরবর্তী যুগ ওর চেয়ে খারাপ হবে, শেষ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (আনাস (রাঃ) বলেন,) ‘এ কথা আমি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শুনেছি।
Ihadis.com,সহিহ হাদিসে কুদসী,হাদিসঃ ১০৪,সহীহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমার মুমিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদান নেই যখন আমি দুনিয়া থেকে তার কলিজার টুকরা গ্রহণ করি, আর সে তার জন্য সওয়াবের আশা করে ধৈর্য ধারণ করে” - টিকাঃ কলিজার টুকরোর মত সন্তানকে মৃত্যু দিয়ে গ্রহণ করি।
Ihadis.com,সহিহ হাদিসে কুদসী,হাদিসঃ ১০৬,সহীহ হাদিসঃ আবু উমামা থেকে বর্ণিতঃনবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা‘আলা বলবেনঃ হে বনি আদম, যদি তুমি ধৈর্যধারণ কর ও প্রথম দুঃখের সময় অধৈর্য না হয়ে তাতে সওয়াবের আশা কর, তাহলে আমি তোমার জন্য জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদানে সন্তুষ্ট হব না”।
Ihadis.com,আদাবুল মুফরাদ,হাদিসঃ১৪৫,হাসান হাদিসঃ জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যার তিনটি সন্তান মারা গেছে এবং সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণ করেছে, সে বেহেশতে যাবে। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর দুটি সন্তান? তিনি বলেনঃ এবং দুটিও? আমি (মাহমূদ) জাবের (রাঃ)-কে বললাম, আল্লাহর শপথ! আমার তো মনে হয় আপনারা যদি এক সন্তানের কথাও বলতেন তবে তিনি তাই বলতেন। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ আমার ধারণাও তাই।
Ihadis.com,সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব,হাদিসঃ১৮৯,সহিহ হাদিসঃ নবীজি (সা) বলেছেনঃ ধৈর্য উজ্জলতা ।
Ihadis.com,মুয়াত্তা ইমাম মালেক,হাদিসঃ৫৪৩,সহিহ হাদিসঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুসলমানদের কারো যদি তিনটি সন্তান মারা যায়, অতঃপর সে যদি তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করে, তবে সন্তান তার জন্য (জাহান্নামের) আগুন হতে (রক্ষার) ঢালস্বরূপ হবে। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট জনৈকা মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! দু’টি সন্তানের মৃত্যু হলেও কি ? তিনি বললেন, দু’টি সন্তানের (মৃত্যু হলে)-ও।
Ihadis.com,জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ৯৮৭,৯৮৮,সহিহ হাদিসঃরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রকৃত ধৈর্য হচ্ছে বিপদের প্রথম ধাক্কাতেই ধৈর্যধারণ করা।
Ihadis.com,রিয়াদুস সলেহিন,হাদিসঃ১৩২৭,সহিহ হাদিসঃ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃউম্মে রুবাইয়ে’ বিনতে বারা’ যিনি হারেসাহ ইবনে সূরাকার মা, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে হারেসাহ সম্পর্কে কিছু বলবেন না? সে বদরের দিনে খুন হয়েছিল। যদি সে জান্নাতি হয়, তাহলে ধৈর্য ধারণ করব, অন্যথা তার জন্য মন ভরে অত্যধিক কান্না করব।’ তিনি বললেন, “হে হারেসার মা! জান্নাতের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের জান্নাত আছে। আর তোমার ছেলে সর্বোচ্চ ফিরদাউস (জান্নাতে) পৌঁছে গেছে। তিনি আরো বলেছেন, “যে মহিলার তিনটি শিশু মারা যাবে, সেই মহিলার জন্য ঐ শিশুরা জাহান্নাম থেকে পর্দা স্বরূপ হবে।” এক মহিলা বলল, আর দুটি মারা গেলে?” তিনি বললেন, “দুটি মারা গেলেও। (তারা তার মায়ের জন্য জাহান্নাম থেকে পর্দা হবে।)
ইসলামে ধর্ষকের শাস্তি কি?
*সুরা আনআম,৬:১৫১ = অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না,প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য।
*সুরা আরাফ ৭:৩৩ = আল্লাহ হারা করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা।আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং কোন কিছুকে আল্লাহর শরীক করা যার কোন সনদ তিনি নাযিল করেননি।
*Ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৫২২০,সহিহ হাদিসঃনবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্র চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাশীল কেউ নয় এবং এ কারণেই তিনি সকল অশ্লীল কাজ হারাম করেছেন আর (আল্লাহ্র) প্রশংসার চেয়ে আল্লাহ্র অধিক প্রিয় কিছু নেই।
*Ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৪৬৩৪,সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃনিষিদ্ধ কার্যে মু’মিনদেরকে বাধা দানকারী আল্লাহ্র চেয়ে অধিক কেউ নেই, এজন্যই প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করেছেন, আল্লাহ্র প্রশংসা প্রকাশ করার চেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে অন্য কিছু নেই, সেজন্যেই আল্লাহ আপন প্রশংসা নিজেই করেছেন। ‘আম্র ইবনু মুররাহ্ (রহ.) বলেন, আমি আবূ ওয়ায়িলকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি তা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, এটাকে কি তিনি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণী হিসেবে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
*Ihadis.comসহিহ বুখারী,হাদিসঃ৬৯৪৯,সহিহ হাদিসঃ লায়স (রহঃ) নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ লায়স (রহঃ) নাফি‘ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সুফীয়্যাহ বিন্ত আবূ ‘উবায়দ তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসীর সঙ্গে জবরদস্তি করে যিনা করে। তাতে তার কুমারীত্ব মুছে যায়। ‘উমর (রাঃ) উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে কশাঘাত করলেন না। যুহরী (রহঃ) কুমারী দাসীর ব্যাপারে বলেন, যার কুমারীত্ব কোন আযাদ ব্যক্তি ছিন্ন করে ফেলল, বিচারক ঐ কুমারী দাসীর মূল্য অনুপাতে তার জন্য ঐ আযাদ ব্যক্তির নিকট হতে কুমারীত্ব মুছে ফেলার দিয়াত গ্রহণ করবেন এবং ওকে কশাঘাত করবেন। আর বিবাহিতা দাসীর ক্ষেত্রে ইমামদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন জারিমানা নেই। কিন্তু তার উপর ‘হদ’ জারি হবে।
অনেক নাস্তিকান্ধরা বলে ইসলামে নাকি ধর্ষণের শাস্তি নেই যদিও উপরে বিশুদ্ধ তথ্য পেশ করেছি।তারপরেও ধরে নিলাম নেই তাহলে তাদের জন্য আমার একটি জবাব হচ্ছে। ইসলামের রাষ্ট্রে একজন আদর্শবান নেতার আনুগত্য করা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।যেমন ihadis.com,জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ১৭০৭,সহিহ হাদিসঃ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মুসলমানেরই নেতার কথা শোনা ও আনুগত্য করা অবশ্য কর্তব্য, তা হোক তার পছন্দের বা অপছন্দের, তাকে যে পর্যন্ত গুনাহের কাজের নির্দেশ না দেওয়া হবে। যদি তাকে গুনাহের কাজের নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে তা না শুনা এবং না মানাই তার কর্তব্য। - ইসলামে একজন নেতা অবশ্যই দায়িত্ববান হতে হবে যেমন ihadis.com, সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৪৬১৮, সহিহ হাদিসঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্ববান এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ‘আমীর বা নেতা তার অধীনস্থ লোকদের উপর দায়িত্ববান এবং সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের উপর দায়িত্বশীল, সে তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী স্বীয় স্বামীর বাড়ী ও সন্তানের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। গোলাম তার মুনিবের মাল-সম্পদের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ওহে! তোমাদের প্রত্যেকেই (স্ব-স্ব স্থানে) একজন দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। - এখন কুরআন ও সুন্নাহের সকল বিধানের সুত্রকে একত্রে করে ইসলামের রাষ্ট্রের সরকার বা নেতা যদি একজন ধর্ষককে ফাঁসি দিক,ধর্ষকের কল্লা ফেলে দিক, যত কঠিন শাস্তিই দিক না কেন সেটা গ্রহনযোগ্য হবে।
ইসলাম সরাসরি অশ্লীলতার (ধর্ষণের) কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন এবং কেউ ধর্ষণ করলে তার শাস্তি হচ্ছে মেরে দেশ থেকে বের করে দেয়া। ইসলামে ধর্ষণের শাস্তির বিধান নিয়ে একটি দলিল ভিত্তিক আলোচনা শুনুনঃ শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হা:ফি): https://www.youtube.com/watch?v=Px3RVz9ocxU
নাস্তিকান্ধদের কুযুক্তি অনুপাতে যদি আল্লাহ জবরদস্তি করে মানুষকে অপরাধ করাবেন তাহলে ধর্ষণের শাস্তি দেয়া হতো না।দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বা ধর্ষণ বন্ধ করতে আল্লাহ মানুষকে দায়িত্ব দায়িত্ব দিয়েছেন।এই দায়িত্ব পালন না করা মানুষদের জন্য অবশ্যই মন্দ কাজ।
সুরা নিসা ৪:৫৮ = নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাং সা করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী।
সুরা আরাফ ৭:৫৬ = দুনিয়াতে শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না।
সুরা রাদ ১৩:১১ = আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
সুতরাং ধর্ষণ মুক্ত করতে হবে এবং দুনিয়াতে অপরাধ মুক্ত করতে হবে সেটাও মানুষের দায়িত্ব মানুষকেই এবং এটাই ইসলামের শিক্ষা।
শেষ কথাঃইসলাম সম্পর্কে ইচ্ছা করেই নাস্তিকরা সঠিক অনুধাবন করতে চায় না।এটার মূল কারন আমি যা চিন্তা করি সেটা হচ্ছে ওরা হিংসুক।কেন এটা বললেন?আমি অনেক ধরনের নাস্তিকদের সাথে কথা বলেছি,করেছি বিতর্ক।মাক্সিমাম সত্য গ্রহন করতে ইচ্ছুক না।ইসলাম গ্রহন করলে ডিসিপ্লিন জীবন গ্রহন করতে হবে।ডেইলি নামাজ আদায় করবে হবে,বড়দের সম্মান করতে হবে,ছোটদের স্নেহ করতে হবে,সর্বদা সত্য কথা বলতে হবে,সুদ খাওয়া যাবে না,ঘুষ খাওয়া যাবে না,অন্যায়ভাবে কম্যুনিস্ট ও চীনের নাস্তিকদের মতো কাউকে হত্যা করা যাবে না,প্রতিবেশীদের সেবা করতে হবে,ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিতে হবে,রোগীদের সেবা করতে হবে,পিতামাতার যত্ন নিতে হবে,স্ত্রী কাছে সর্বদা উত্তম স্বামী হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি কাজ খুবই কঠিন নাস্তিকদের জন্য।একজন নাস্তিক সারাদিন ইসলাম নিয়ে গালাগালি করবে,মুসলিমদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্বেষ করবে এবং ইসলামের তথ্য বিকৃত করে ভিডিও বানাবে।ইসলাম মানার চেয়ে এসব কাজ অনেক সোজা নাস্তিকান্ধদের জন্য।কথা আর লম্বা করলাম না।
: