Laziness বা অলসতা কিভাবে দূর করবেন?

1 comment


                laziness কিভাবে দূর করব?



আলস্য বা laziness এর সাথে আমার সবাই পরিচিত। কাজ করার মন না হওয়া, সময় এমনই কাটিয়ে দেওয়া, প্রয়োজনের বেশি শুয়ে থাকা, ইত্যাদি কে আমরা
laziness বলি। আর এটাও জানি যে এর মাধ্যমে আমাদের অনেক ক্ষতি ও হয়, তবুও আমরা ছাড়তে পারিনা আর আমাদের জীবনের সাথে একদম যুক্ত হয়ে যায়, laziness বা আলস্য করার সময় আমরা কাজ, অসুবিধা বা সব কিছুই ভুলে যাই, যখন সময় কেটে যায় তখন অলস এর কান্না কাঁদি, নিজেকে দোষ দিই আর পস্তাতে থাকি।



আলস্য হচ্ছে মনের একটি স্বভাব, এটি আমাদের ব্যাবহারেও দেখা যায়, কিন্তু একে সহজে ধরা যায়না, আলস্য কে আমরা সবাই দূর করতে চাই । আর যদি আমরা এর থেকে দূরে যেতে চাই তাহলে প্রথমে জানতে হবে যে আলস্য আসছে কেন?

যদি ঐ কারণ গুলোকে জানতে পারি তাহলে সম্ভবত আলস্যের নকারাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারব। প্রথমে এটা জানার চেষ্টা করি যে আলস্য কি?
                     

                         আলস্য কাকে বলে?

 আলস্য - ক্লান্তি কে, কিছু করার থেকে দূরে যাওয়া কে, পরে করছি বলে রেখে দেওয়া কে, বা না করার বাহানা দেখানো কে বলে।

প্রশ্ন হচ্ছে যে সেই কারণটা কি যার জন্য আলস্য আসে?

 হয়তো আলস্যের পিছনে কোন ভয় লুকিয়ে থাকে, অসফল হওয়ার ভয়, অসফল হলে কে কি ভাববে তার ভয়, কষ্ট কে ভয়, অসন্তুষ্টি, বা প্রেরণার কমি হতে পারে।

আলস্য ব্যক্তির চিন্তাধারা এমনও হয়ে যায়, সে ভাবে যে পরিস্থিতি কে আর বদলানো যাবে না । আলস্য কে সমস্যা ভাবার জায়গাই অন্য সমস্যার লক্ষণ হিসেবে দেখা দরকার।


একটা সিমা পর্যন্ত আলস্য আমাদের আরামদায়ক মনে হয়,খুশি হয়, বা লোকসান পৌঁছাই না, কিন্তু সময়ের ঐ সিমা পার হয়ে গেলে খুশির থেকে বেশী কষ্ট দেয়। মনের ভিতর অস্থির বা পস্তানি কে জাগাতে শুরু করে, কেননা কাজ না করলে কাজের বোঝা কম হয়না বরং বেড়ে যায়, আর আস্তে আস্তে এটা এত বেড়ে যায় যে নিজের বিষয়ে বা কাজের বিষয়ে positive অনুভব করতেই দেয়না। আর একভাবে আমরা negative এ ঘিরে যায় আর negative ই ভাবতে শুরু করি।



আলস্য দুই প্রকার হয়। প্রথমে ঐটা, যেটাতে ব্যক্তি প্রথমে কাজ পুর করে, তারপর কিছু সময় না কিছু করে আলস্য তে কাটাতে চাই। এই ধরনের আলস্য ক্ষতি করেনা বরং লাভ ও দেয় কিন্তু বেশি সময় না নষ্ট করলেই হল। যতটা ক্লান্তি দূর করতে লাগবে ততটাই, নাহলে আবার অন্য কাজের ক্ষতি হতে শুরু হয়ে যাবে । প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করার পর একটু বিরতি নিলে পরবর্তী কাজের জন্য প্রেরণা ও ক্ষমতাও যোগায়, আর আনন্দ ও দেয়।


দ্বিতীয় আলস্য সেইটা - যেটাতে ব্যক্তির মধ্যে কিছু করার প্রেরনা ই থাকে না, এইরকম স্থিতি তে ব্যক্তি কিছু না করতে পারার জন্য অস্থির তো থাকেই এবং তার মধ্যে সেই উৎসাহ ও থাকেনা যেটা কোন কাজ করিয়ে নেবে। অনেক সময় সে বুঝতেই পারেনা যে করতে কি চাই, আর এটা বুঝতে না পারার জন্য সে আরো বেশি laziness হয়ে যায়।


এইরকম লম্বা সময় পর্যন্ত কিছু না করা, কাজ কে না করার জন্য বাহানা খোঁজা, বা প্রতিদিনের কাজ কে বিরক্তির সাথে করা - এগুলো হচ্ছে মনে জন্ম নেওয়া নিরাশার সঙ্কেত, যার কারণে ব্যক্তি নিজের সময় কে কম কষ্টের কাজে আর ফালতু জিনিসে কাটাতে শুরু করে। এই ধরনের আলস্য কে মেটানো খুব দরকার , আর এই আলস্য কে দূর করতে একটু কষ্ট তো করতেই হবে।


 আলস্য কে কিভাবে দূর করব?


* প্রত্যেক কাজ থেকেই যে খুশি পাওয়া যাবে, এটা important নয়, কিন্তু এটা সত্যি, যে খুশি কখনো, কাজ না করে পাওয়া যায় না।

- বেন্জামিন ডিজরাইলি

 সেই জন্য জীবন কে বেহুঁশ করে দেওয়ার মত আলস্যের নেশা কে ত্যাগ করে জীবনের আসল খুশির খোঁজ করা দরকার, আর এটা কোন কাজ না করে পাওয়া যাবে না। তাই কাজ করেই আমরা জীবনের আসল আনন্দ কে প্রাপ্ত করতে পারব, তাতে আমরা কাজে সফল হয় বা অসফল এতে ধ্যান না দিয়ে কাজ করার প্রতি ধ্যান কেন্দ্রিত করা দরকার।


কাজ করার সময় বেশি কাজ একসাথে না করে একটা বা দুইটা কাজ করা দরকার, এতে কাজ ভালো ভাবে সম্পুর্ন হবে, আর কাজ সম্পূর্ণ হতে দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।


ব্যয়াম, ইয়োগা, সকালে উঠে একটু হেঁটে আসা এগুলো আলস্য কে দূর করার শ্রেষ্ঠ তরিকা। এগুলো আমাদের মন এবং শরীর কে তরতাজা করে এবং উৎসাহ জাগায়, এবং আলস্য কে দূর করতে সকারত্মক বিচার (positive thinking), সহি দিশা ধারা এবং এগুলো কে মেনে চলার মজবুত মন তৈরি করুন আর laziness কে bye bye করুন।


all the best 👍



                   --------------------------------

Related Posts

1 comment

Post a Comment