একটুখানি কষ্ট অথবা কুসুম কুসুম প্রেমের গল্প,

9 comments
ভালবাসার গল্প প্রেমের এর গল্প।

এখন থেকে ২৪ বছর আগে কোথায় ছিলাম জানি না, একটুক্ষণ পরই বা কোথায় থাকবো তাও জানি না। অনেকঅনেক দিন আগে কোন এক ঘোরলাগা মুহূর্তে দুই মানব মানবীর প্রচন্ড ভালবাসার মুহূর্তেরফসল আজকের এই আমি। কি হত যদি অই মুহূর্তের ভালবাসাটুকু না থাকতো? প্রচণ্ড অভিমানে দূরে সরে থাকতো ওই দুই মানব মানবী? আজকেরএই আমি তাহলে কোথায় থাকতাম? অন্য কোথাও, অন্য কোনভাবে, অন্য কোন অবস্থায়? এইসব ভাবলে কেন জানি নিজেকে অসহায় মনে হয়, বড় অর্থহীনমনে হয় সব কিছুকে।
ছোটবেলায় আমার অনেক কিছু হতে ইচ্ছে করত। ইচ্ছেরপ্রজাপতিটা তাররঙ বেরঙের পাখায় ভর করে কোথা থেকে কোথায় যে হারিয়ে যেত জানতেই পারতাম না।
আমাদের বাসার ছাদের উপর দিয়ে যখন কোন প্লেন উড়ে যেত তখনআমার পাইলট হতে ইচ্ছে করত। চিন্তা করতাম যে প্লেনটাকে বাসারছাদে এনে দাড় করাবো। তারপরপাশের বাসার টুম্পাকে আমারি পাশের সিটে বসিয়ে মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যাব। ও ইদানিংআমার দিকে কেমন করে জানি তাকাচ্ছে।
শুক্রবারে বাংলা সিনেমায় একদম শেষের দিকে পুলিশ এসে সবগুণ্ডাদের ধরে নিয়ে যেত। পুলিশের এই অসীম বীরত্ব দেখে আমার ১৫ টাকা দামের পিস্তলটা ছোট বোন, রুমির দিকে তাক করে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে নিতাম, বড়হয়ে আমি অবশ্যই পুলিশ হব। রুমিটা আমার সব খেলনা নিয়ে যায়। আমিকিছুই বলতে পারি না।
আমার বড় বোন আয়নার সামনে দাড়িয়ে কি সুন্দর করে ঠোঁটেলিপস্টিক দিত। তা দেখে সব যুক্তিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মনে মনে বলতাম আমি বড়হয়ে অবশ্যই মেয়ে হয়ে যাব। এখন আমি ছেলে মানুষতো তাই আমারলিপস্টিক মাখা বাড়ন।
বড় ভাইয়া যখন মাঝখানে সিথি কেটে চুল আঁচড়াত, তখন মনেহত অন্তত মাঝখানে সিথি কেটে চুল আঁচড়ানোর জন্যে হলেও আমাকে বড় হয়ে বড় ভাইয়ার মত হতেহবে।
আমাদের বাসার সামনে একদিন এক পাগল এল। সেকিছুই করত না। সারাদিন বসে বসে ঝিমাতো। আরহঠাৎ হঠাৎ মনে ভাল থাকলে চিৎকার করে কান্না করত। কান্নাকরতে নাকি তার ভাল লাগত। তো একদিন ওর চিৎকারে অতিষ্ট হয়েআমার কাকু গেলেন ওকে লাঠিপেঠা করতে। এই দেখে পাগলটা প্যান্টের চেইনখুলতে খুলতে বলত ‘ আয় দেখি কত সাহস। পিসাবকরে দিব একদম’। তা দেখে আমার কাকু উল্টা দিকে দৌড় দিলেন। পাগলেরএই অসীম সাহসিকতা দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম যেবড় হয়ে আমি অবশ্যই অবশ্যই পাগল হব।
আমার বাবা, বাৎসল্য প্রেমের এক অশেষ আধার পিঠের মধ্যেবোঝাই করে নাচতে নাচতে পৃথিবীতে চলে এসেছিলেন। সেইস্নেহ ধারায় সিক্ত হতে হতে আমি এখন প্রায় ডুবন্ত।
বাবার ইচ্ছে হচ্ছে তার ছেলে ডাক্তার হবে। তারএবং তার বড় ছেলের ব্যর্থতা ছোট ছেলে পুষিয়ে দিবে। আমারপতিপ্রবন মা স্বামীর ইচ্ছেকে শিরোধার্য করে নিয়ে একটু একটু মাথা দুলিয়ে বলতেন ‘ঠিক ঠিক আমার ছেলে ডাক্তারই হবে’।

আমার ছোট্ট মন আতিপাতি করে শুক্রবারের সিনেমায় ডাক্তারখুঁজে বেড়াতো। কিন্তু না খুঁজে পেত না। তাইঠোঁট উল্টিয়ে বলতাম ‘দূর, ডাক্তার আবার কিছু হওয়ার জিনিস হলনাকি?’
তারও অনেক অনেক দিন পর। কোনএক শীতের সকালে সূর্য মামা হেসে কুটিকুটি হচ্ছিলেন আর তার আরামদায়ক উষ্ণতা চারিদিকেবিলাচ্ছিলেন। এমনি এক সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ কচলাতে কচলাতে অবাক হয়ে আমি লক্ষ্যকরলাম যে আমার খুব ডাক্তার হতে ইচ্ছে করছে।
আমার বাবা মা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন, যাক রামেরতাহলে সুমতি হয়েছে।
কিভাবে কিভাবে জানি কোন এক মেডিকেলে চাঞ্ছও পেয়ে গেলাম।

ঢাকায় আসার দিন আমার মায়ের সেকি কান্না। কিন্তু,আমার টিনএজ মন তখন নতুন বন্ধু বান্ধব, নতুন নতুন ললনার হাতছানিতে আচ্ছন্ন। তাইতোমায়ের অশ্রুমাখা মুখটাকেও তখন মধুর এক দৃশ্য মনে হচ্ছিল। নতুনদিনের স্বপ্ন আঁকতে আঁকতে একসময় চলে এলাম গন্তব্যে।
শুরু হল আমার মেডিকেল জীবন। প্রথমদিকে আমার খারাপ লাগত না, কিন্তু একসময় কেমন জানি হাঁপিয়ে উঠলাম। কঠিনডিসিপ্লিন্ড এর বেড়াজালে আটকে পরে নিজেকে কেমন জানি অসহায় লাগতে লাগল। আমিকখনোই খুব বেশি পড়ুয়া ছিলাম না। তাই আমার রুমমেটরা যখন বইয়ের মধ্যেনাক মুখ গুজে পড়ালেখা করে, আমি তখন জানালার গ্রিলকে আঁকড়ে ধরে বাইরে তাকাই। ওরাআমার দিকে তাচ্ছ্যিল্লের দৃষ্টিতে তাকায়, আমি ভাললাগারদৃষ্টিতে আকাশ দেখি। আমি আয়োজন করে পড়তে বসি কিন্তুঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হওয়ার পর দেখা যেত কিছুই পড়া হয়নি। একসময়সিদ্ধান্ত নিলাম যে না রুমে বসে আমার পড়া হবে না। রিডিংরুমে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে যখন দেখতাম আমার দাদার বয়সি লোকরা বাচ্চাদের মতমাথা দুলে দুলে পরছে তখন আমার মাটি খেয়ে মারা জেতে ইচ্ছে করত। টাইলস্‌বসানো রুমে মাটি খুজে না পেয়ে আমি টুক করে ঘুমিয়ে পরতাম।
এভাবে অনেকদিন চলল। তারপরএকদিন আমার স্বাধীনচেতা মন দুম করে বিদ্রোহ করে বসল। আমিতল্পিতল্পা নিয়ে উঠে পরলাম কোন এক মেসে। শুরু হল আমার নতুন এক জীবন। আমিসারাদিন আমার খুপরির মত রুমটাতে পরেপরে ঘুমাই আর সময় পেলে আকাশ দেখি। আকাশেররঙ বদলায় আমার মনের রঙও বদলায়। খারাপ লাগে না।
একটা ১৫ কি ১৬ বছরের ছেলে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসত।

তারসাথে আমার টুকটাক কথা হয়।
-কি রে জাকারিয়া কেমন আছিস?
-জে ভাইজান, ভালা
-তা তো দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু,আজ যেন একটু বেশিই ভাল
-জে ভাইজান।
-কেন?
-ভাইজান একটা সিনেমা দেইক্কা আইছি
-তাই নাকি? কি নাম?
-ভালবাসা দিবি কিনা বল
-হা হা.........তা ভালবাসা শেষ পর্যন্ত দিল?
-দিবো না মানে? সাকিপ কানের যা পিগার না দিয়া উপায় আছে? তয় অপু বিশ্বাসও সুন্দর তো তাইসহজে দিতে চায় না। সুন্দরি মাইয়ার দেমাগ বেশি থাকে তো তাই।
- অপু বিশ্বাসকে তর বুঝি খুব ভাল লাগে?
-হ......কিন্তু যখন ছুডু ছূডু জামা কাপড় পরে আমার লজ্জালাগে
- কেন? তর লজ্জা লাগে কেন?
-কেন জানি। তয় ভাইজান সাকিপ কান যখন টান মেরেসাটটা ছিড়া ফালায় তখন মনে ওয় আমারটাও ছিড়া ফালাই। কিন্তুআমার তো মাত্র একটা সাট তাই পারি না। তারপর মিশারে এমন মাইর মাইর লোনা ভাইজান আপ্নে যদি খালি দেখতেন...............
জাকারিয়া আপন মনে হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করতে থাকে। ওরচোখে মুখে খেলা করে এক অপার্থিব আনন্দ। ওকে দেখলে কে বলবে ওর মা নেই,দুই বেলা পেট ভরে খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। ওর এই একটু আনন্দের কাছে সব কষ্ট,অনিশ্চয়তা হার মেনে মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। আসলে কারো কারো কাছে সুখ কত সহজেইনা ধরা দেয়।
আমিও সুখকে ধরার চেষ্টা করি। তাইতোসন্ধে নামার সাথে সাথে বেরিয়ে পরি রাতের ঢাকার খুঁজে। আমিহাঁটি, হাঁটতেই থাকি। সোডিয়াম বাতির মায়া মায়া আলোয় সব্বাইকে একই রকম মনে হুয়। সবারএকজন হয়ে হারিয়ে যেতে আমার খারাপ লাগে না।
রাতের ঢাকা আনন্দের ঝাপি নিয়ে অপেক্ষা করে। আমিসেগুলিকে কুড়িয়ে নিয়ে পরম যত্নে বুক পকেটে সাজিয়ে রাখি।
-মামা, আমার হাতটা একটু দেখে দেন্ না
-(গনক মামা অনেক্ষন ধরে হাত দেখল) মামা আপনি তো শতায়ু
-মানে কি?
-আপনি ১০০ বছর বাঁচবেন
-কি বলেন। যদি না বাঁচি?
-আমার গালে একটা থাপ্পর দিয়ে যাইয়েন
বলেই বুঝল কি ভুল করেছে। আমিহা হা করে হাসতে শুরু করলাম। লোকটাও হাসতে লাগল।
পাশেই দেখলাম এক চাচা বিড়বিড় করে কি জানি বলছে।
-চাচা কি করেন?
-কিছু না বাপজান
-ও
-১০ টা টাকা হবে বাপজান?
-কেন.........টাকা দিয়ে কি করবেন?
-গরম লাগে
-গরম লাগলে টাকা দিয়ে কি করবেন?
-এত কথা বলিস কেন? টাকা দে।
বলেই সার্টের বোতাম খুলতে শুরু করল।
-কি করেন কি করেন
-চুপ।
চোখের নিমিষে প্যান্টটাও তার জায়গা হারাল। মেডিকেলেএনাটমি পরেছি কিন্তু এই লাইভ এনাটমির তীব্রতা কেন জানি চোখ সহ্য করতে পারল না। তাইবাধ্য হয়েই অন্য দিখে সরে গেলাম। দূরে কে জানি গলা ছেড়ে গান গাইছে।
-আপনার গলা তো ভারি সুন্দর
-(লোকটা খুশি গলায় বলল) আরেকটা শুনবেন?
-হ্যাঁ শোনান
- গুরু গাইঞ্জাবানাইলা কি দিয়া
খাইয়া দেখিকিছুই নাই
মাইয়া একখানদেখতে পাই
গুরু গাইঞ্জাবানাইলা কি দিয়া
-এই বয়সেও মাইয়া দেখতে পান?
লোকটা লজ্জা লজ্জা হাসি দিয়ে বলল
-পাই তো
-আমিতো পাই না।
-গাইঞ্জা খান। তখন শুধু মাইয়া না আরও অনেক কিছুইদেখতে পাইবেন।
আমার গাঞ্জা খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তুআমারও একটা মেয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে একটা মেয়ে এসে পাশেবসুক। আমার কাঁধে হাত রেখে বলুক
-এই কি কর?
-এই যে তোমার সাথে কথা বলি
-উফ, তা তো বুঝলাম, তার আগে কি করছিলা?
-তোমার কথা ভাবছিলাম
-সত্যি?
-আমি স্মিত হেসে বলি, না
-ও কপট রাগ দেখিয়ে বলে,শয়তান
-এই আমার সাথে একটু হাঁটবে?
-হ্যাঁ চল
আমরা হাঁটি। ওর পাশে আমি ও আমার পাশে। একসাথে,পাশাপাশি। মাথারউপর কালো আকাশ একরাশি তারাকে বুকে নিয়ে নিরবতার গান গাইছে। আমারওর হাতটা ধরতে ইচ্ছে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু বলতে ইচ্ছে করছে। সবকিছু বলতে ইচ্ছে করে না, কিছু কিছু ও বুঝে নিক।
-এই সালেহ
-হ্যাঁ বল
-আমার না তোমার হাত টা ধরতে খুব ইচ্ছে করছে
-না
-কেন?
-এমনি
ও আশাহতের দৃষ্টিনিয়ে আমার দিকে তাকালো।
-রাগ করলে?
-হ্যাঁ
-কবিতা শুনবে?
-হ্যাঁ, বল
- এই স্বপ্ন ঢাকা শহরটাতে রাত্রির বিচরন
চল একটুখানিহাঁটি
এই তৃষ্ণার্তহাতের মাঝে স্পর্শের আহবান
তোমার হাতটাএকটু ধরি?
আমার বৃষ্টিভেজা ব্যালকনিতে তোমায় নিমন্ত্রন
চল ইচ্ছের জলেভিজি
-এই আমার না খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে
-ভিজো
-কিন্তু,বৃষ্টি নাই তো
-কল্পনা কর
-দূর তা আবার হয় নাকি?
-কেন হবে না। আমার তো মনে হয় কল্পনার বৃষ্টিইবেশি ভাল
-কিভাবে?
-সত্যিকারের বৃষ্টি কখন আসবে তার ঠিক নেই, আর আসলেও হঠাৎকরে থেমে যেতে পারে
-আর কল্পনার বৃষ্টি?
-যখন খুশি তখন আনা যায়, যতক্ষণ খুশি ততক্ষন ভেজা যায়
-ও ভেংচি কেটে বলল, বলছে তোমাকে।
-এই, নাজ
-হ্যাঁ বল
-আমার না খুব ইয়ে দিতে ইচ্ছে করছে
-ইয়ে কি?
-ইয়ে মানে বুঝ না?
-এই একদম অসভ্যতা করবে না?
- একটুও করব না?
-না
-তাইলে কিন্তু তুমি মা হতে পারবেনা
-এই ছি! তুমি আবার এইসব বলছ
-হা হা.........আর বলব না।
-হুম
-এই লাজ
-হ্যাঁ, বল
-তুমি কখনো চলে যাবে না তো?
-না

আমি পরম ভালবাসায় ওর হাতটা ধরি। মনেহয় আমি একা নই, আমার পাশেই আমার ভাললাগার মানুষটি তার সব ভালবাসা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আরকি চাই।
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের মত আমার স্বপ্ন ভাঙতেও সময় লাগেনা। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি মেঘের ভেলায় চড়ে কোন মেয়ে আমার পাশে এসে বসে না। আমারকাঁধে হাতটি রেখে কি করছি জানতে চায় না, আমার সাথে হাটতে হাটতে খুনসুটিতে মেতে উঠেনা। আমি কবিতা লিখে আকুল হয়ে অপেক্ষা করি কিন্তু কেউ শোনার আগ্রহ দেখায় না। এতটুকুভালবাসার জন্য চারিদিকে ছুটে মরি, অবশেষে রিক্ত হাতে, শূন্যতার শক্ত দেয়ালে ধাক্কাখেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।

আমি হাঁটি। নির্জন রাস্তায়। একাকীত্বকেসঙ্গী করে। এই রাতের আকাশ, রাস্তা, রাস্তার প্রতিটি বালিকনা আমার বড় আপনমনে হয়।
হঠাৎ নিজেকে খুব অসহায়,ক্লান্ত লাগে। আমারখুপরির মত ঘরটাতে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে হয়।
আমি ফিরে এলাম আমার আপন নীড়ে। ঘরেফেরা মানুষের তৃপ্তি নিয়ে দাড়িয়ে আছি দরজারসামনে। দরজা খুলে দেখি বাবা। মুখে চিন্তার রেখা ফুটিয়ে ছেলেরজন্যে অপেক্ষা করছেন।
আমি জড়িয়ে ধরলাম বাবাকে। বুকটা হু হু করছে। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
হ্যাঁ আমি কাঁদছি, বাবাও কাঁদছেন।
আমি কাঁদছি কষ্টে,কোন এক অজানা অভিমানে, না পাওয়ার বেদনায়,
বাবা কাঁদছেন তার ছেলে কষ্ট পাচ্ছে এই যন্ত্রণায়।
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তাও কি কাঁদছেন না? এখান থেকে অনেকঅনেক দূরে অথবা আমার এই ঘরের কোন এক কোণায় বসে, চুপটি করে। তারচোখ দিয়েও কি গড়িয়ে পরছে না, মহামুল্যবান এক ফোঁটা অশ্রুবিন্দু?

চলুন না পরম করুনাময়ের করুনাধারায় আশীর্বাদপুষ্ট হয়েএই গল্পটাকে একটু অন্যভাবে চিন্তা করি।
রিডিং রুমে এলেই আমার ঘুম পায় সাথে সাথে তেষ্টাও পায়। এইমুহূর্তে তেষ্টা একটু বেশিই পাচ্ছে। আমি কখনো পানি আনি না। এরওরটা মেরে মেরে খাই। আমার ঠিক সামনের টেবিলেই এক বোতল পানি রাখা আছে। কিন্তু,এটা একটা মেয়ের, যে কিনা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে একটু বাইরে গেছে। ও সম্ভবতআমাদেরই ব্যাচের। তবুও এই রিস্ক নেয়াটা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না। দূরকি আর হবে। ও আসার আগেই খেয়ে চলে আসবো।
আমি পা টিপে টিপে টেবিলের সামনে গেলাম। বোতলটাহাতে নিলাম। বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম শব্দ হচ্ছে। কয়েকঢুক খেয়ে রেখে দিলাম। আসার সময় ২ টাকা বোতল চাপা দিয়ে আসলাম। মনকেসান্ত্বনা দিলাম আমি তো এমনি এমনি খাই নি।টাকা দিয়ে খেয়েছি।
একসময় মেয়েটাআসলো। পানির অবস্থা দেখে ওর চোয়ালটামনে হয় একটু ঝুলে পড়ল। ও পানি চোরকে ধরার জন্য এদিক ওদিক তাকাতে লাগল। আমিআড় চোখে সব দেখছি।
খাইছে রে! ও মনে হয় আমার দিকেই আসছে। আমিবইয়ের পাতা এত দ্রুত উল্টাতে লাগলাম যেন আজকেই পুরোটা শেষ করে ফেলব।
-এই আমার অর্ধেকবোতল পানি কই? (সরাসরি আক্রমণ)
-কেউ মনে হয় খেয়ে ফেলছে।
-তুমি খাওনি?
-না............না, কি বল, এসব?
-এই সত্যি করে বল। আমিদেখেছি তুমি প্রতিদিন এর ওর কাছ থেকে পানি নিয়ে খাও
-(আমি একটু হেসে বললাম) তুমি প্রতিদিন আমাকে খেয়াল কর?
-চুপ,আমি যা বললাম তার উত্তর দাও
-দেখ তুমি একটু অন্যভাবে চিন্তা কর। তুমিকেন ভাবছ যে বোতলে অর্ধেক পানি নেই, চিন্তা কর যে অর্ধেক বোতল পানি আছে। Bepositive, young lady.
-কি বললে?
-(আমি কাচুমাচু মুখে বললাম)ইয়ে আমি তো পানির দাম ২ টাকা দিয়ে এসেছি
-তুমি তো ভারি ফাজিল।
-sorry
ও মনে হয় একটু হাসল। আমারভুলও হতে পারে।
-যাই হোক এই ব্যাপারে পরে কথা হবে। আমি‘তাসমি ইসরাত’। ডাক নাম ‘কিসু’
আমার তখনি মনে মনে বললাম ‘কিসু, করবা নাকি হিসু?’
ও বলল, এই ‘কিসু, করবা নাকিহিসু......এইসব বলবা না কিন্তু’
আমি অবাক হতে চিন্তা করছি এই মেয়ে জানল কি করে। পেত্নিটেত্নি না তো?
ভাবছ জানলাম কি করে? আমার নাম বললে তোমার মত ফাজিলরা এইটাই চিন্তা করে।
আমি মনে মনে বললাম, ‘শুকরিয়া’
-এইবার তোমার নাম বল
-সালেহ মোহাম্মাদ শোয়াইবো। ডাকনাম ‘তিয়াস’
-তাই বুঝি পায় এত ‘পিয়াস’?
-হা হা
-হা হা
-তুমি তো খুব মজার
-হুম, তোমার বাসা তো ফারিদপুর,তাই না?
-হ্যাঁ(এই মেয়ে দেখি সবই জানে)
-আমার কোথায় জান?
-না
-ও ভ্রু কুঁচকে বলল, কেন জান না
-sorry
-হা হা......ওকে.........জেনে আমাকে জানাবা। ঠিকআছে?
-(ঠিক না থেকে আর উপায় আছে?)অবশ্যই জানাবো। এটাআমার দায়িত্তের মধ্যে পরে।
ও চলে গেল। আমি হাঁফ ছেড়ে বাচলাম।
পরদিন
রিডিং রুম
ও ঠিক গতকালকের জায়গাটায় বসেছে। আমিএগিয়ে গেলাম
-ফারিদপুর
ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলল
-ফারিদপুরের কি হইছে?
-তোমার বাড়ি
-হুম তা তো জানিই
-না মানে তুমি আমাকে জানাতে বলেছিলে
-তা জানতে এত সময় লাগল কেন?
-মানে?
-মানে তুমি ফারিদপুর বয়েস স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলে, আমিছিলাম গার্লস স্কুলের ফার্স্ট গার্ল। আমি তোমাকে চিনতাম, তুমি আমাকেচিনতে না কেন?
-sorry
-হা হা……ঠিক আছে। আররিডিং রুমে এসে এত ঘুমাও কেন? কেউ ঘুমাচ্ছে দেখলে আমারও ঘুম পায়।
-ওকে…………আর ঘুমাবো না। আমিএখন যাই?
-আচ্ছা যাও।
কি মেয়েরে বাবা। উফফ।
এরপর সময়ে অসময়ে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ওর সাথে দেখা হতেলাগল। এই একটু রাগী, একটু না না অনেকখানি মিষ্টি,বাচ্ছা বাচ্ছা টাইপ মেয়েটাকে কি আমার একটু একটু ভাল লাগতে শুরু করেছে।
ও নানা অনুষ্ঠানে গান গাইত, নাচত। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম।
এরকমই এক অনুষ্ঠানে ও ডুয়েট করছিল এক সিনিওর ভাইয়ের সাথে।
‘একপায়ে নূপুর আমার, আরেক পা খালি
এক পাশেসাগর, এক পাশে বালি…………’
আরে বাবা তোমার এক পা খালি, আমাকে এসে বলতা আমি নূপুর কিনে দিতাম, এক পাশে সাগর,হ্যাঁ ভাল তো, সাগর থাকে তো, থাকে না? বালিও থাকে তাই বলে এই সিনিওর ভাইয়ের সাথে কেন?ব্যাটা আবার ফ্রেঞ্চ কাট রাখছে। মনেহচ্ছে এক থাপ্পড় দিয়ে দাড়িগুলা ফেলে দেই।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। মনেহচ্ছিল কি জানি একটা হারিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি একটা শূন্যতা অনুভবকরছিলাম। তখনি মনে হল, ‘আমার ভাললাগাজমে জমে ভালবাসার পাহাড়ে পরিনত হয়েছে।’ মারহাবা মারহাবা

কিন্তু ওই সিনিওর ভাইকে মারথাবা মারথাবা। ব্যাটাকেএকটা শিক্ষা না দিলে হচ্ছে না। শুরু হয়ে গেল প্ল্যান করা
প্ল্যান ১) ব্যাটার মাথায়চুয়িংগাম লাগিয়ে দিতে হবে।
দূরচুয়িংগাম লাগিয়ে কি হবে? এটা বাদ।
প্ল্যান ২)মুখোশ পরে অন্ধকারেকয়েকটা লাগিয়ে দিলে কেমন হয়?
দূর ব্যাটার শরীরে শক্তিআমার চেয়ে বেশি। শেষে দেখা গেল আমিই খেলিয়ে পরে আছি। এটাওবাদ।
প্ল্যান ৩)ব্যাটার প্র্যাক্টিক্যালখাতা নিয়ে আসবো। বলব ভাই আমি আপনার খাতা করে
দিচ্ছি। তারপরভেতরের কোন এক পাতায় লিখে দিবো I LOVE YOU. শুনেছি ওদের ব্যাচ টীচারনাকি বিলকিস ম্যাম। যদি ম্যাম দেখতে পায়…………হু হু হা হা (মনের অজান্তেই একটা অট্টহাসি বেরিয়ে এল)কিন্তু ব্যাটা একে তো সিনিওর তার উপর পলিটিক্স করে। ধরাপড়লে পিতৃ প্রদত্ত প্রান টা অকালে ঝরে যাবে। দেশ হারাবে এক মেধাবি(??)সন্তানকে। অতএব, এটাও বাদ।
প্ল্যান ৪) চায়ের দাওয়াতদিবো। তারপর চায়ের সাথে মাছি মিশিয়ে দিবো। ব্যাটাছোট
ভাইয়েরবউয়ের সাথে ডুয়েট করিস। তর মাছিই খাওয়া উচিত।
হ্যাঁ,এইটা করা যায়।

ওকে এখন কাজে নেমে পড়তে হবে। একদিনওই সিনিওর ভাইকে চায়ের দাওয়াত দিয়েও দিলাম।
-ভাই কেমন আছেন?
-এই তো ভাল। তুই?
-আর ভাল ভাই, আপনারা কোনখোঁজ খবর নেন না।
-কি বলিস রে? আমি তো সবসময় তোর খোজ খবর রাখি। তুই কি করিস না করিস।
-ভাই তা অবশ্য জানি
-তা হঠাৎ চা খাওয়ার দাওয়াত। খাওয়ালেতোভাল কিছু খাওয়াবি………কি চা টা।
-(অ্যাঁ......... চা ই পায়না আবার অন্য কিছু) ভাই খাওবো তো। এখনচা খান
-আচ্ছা ঠিক আছে। তাকই তোর চা। দিতে বল। আমার আবার কাজ আছে।
-হ্যাঁ ভাই।
এই মোশারফ ভাই দুই টা চা দেন।মোশারফ ভাই চা এনে দিল। এখনইকাজ করতে হবে। ব্যাটাকে অন্যদিকে চাওয়াতে হবে।
-ভাই দেখছেন, পুকুরপারেরঘাসগুলা কত বড় হইছে?
ব্যাটা অইদিকে মুখ ফিরিয়ে বলল, তাইতো রে……… কাটাতে হবে।
এই তো সুযোগ। ব্যাটা আজকে তরে খাইছি। আমারগার্ল ফ্রেন্ড এর লগে টাংকি মারো। পকেট থেকে মরা মাছিটা বের করলাম। কিন্তুহায় মাছি চা তে দিতে গিয়ে হাত টা খাপছে কেন? বারবার শুধু মনেহচ্ছে যদিরে ধরতে পারে তাইলে কিন্তু আমার সানডে মানডে ক্লোজ করে দিবো।
-কিরে তুই কি করছিস?
-না ভাই আপনার চা একটু ঠাণ্ডা করে দিচ্ছি। চাখুব গরম।
-বুঝলি তিয়াস তুই বেশ ভাল ছেলে। প্রথমেবুঝতে পারি না।
-আমি মুখ কাচুমুচু করে বললাম, জি ভাই
-এই যে দেখ শ্রীকান্ত, আফজালএরা কখনো চা টা খাওয়ায় না
-জি ভাই
-তা তুই সত্যি করে বলত, কেন এত খাতির?
-ভাই?
-আমি কিন্তু আসল কাহিনি জানি?
-আমি ভয় পাওয়া গলায় বললাম, কি জানেন? (কি রে আসল কাহিনি কি ঠের পেয়ে গেছে নাকি?তাইলে তো আমি গেছি)
-তোর ভাল একটা রুম লাগব না?
-না মানে হ্যাঁ
-কি হ্যাঁ না করছিস।
- জি ভাই
-ওককে যা ব্যবস্থা হইয়া যাইব।এখন আরও কিছু আনা টানা নাকি শুধুচা ই খাওয়াবি?
- (আমি দুঃখের হাসি হেসে বললাম)হে হে
ব্যাটা যে কি পরিমান খাইলো। রাক্ষসনাকি? যাওয়ার সময় বলে গেল
-বিলটা দিয়ে দিস ঠিক মত। বাকিটাকি রাখিস না।
আমি কি করলাম? নতুন আরেকটা ব্যর্থতাকেজন্ম দিয়ে গর্বিত পিতা হিসেবে আঙ্গুল চুষতে লাগলাম।
তার পরদিন
কলেজ ক্যান্টিনে কিসুর সাথে আমার দেখা।
-কি রে সালেহ, তোকে আজকালদেখাই যায় না।
-আমি কি এখন অদৃশ্য হয়ে আছি নাকি।
-হা হা……… না তা না।
-হে হে………পেত্নির মত হাসলেইকাউকে সুন্দর লাগে না।
-রাগছিস কেন? আচ্ছা তুইনাকি লেখা লেখি করিস?
-কে বলল তোকে?
-শুনলাম
-(আমি একটু নড়ে চড়ে বসলাম। এইতোনিজের গুন জাহির করার উপায় পাওয়া গেছে। এবার যদি একটু পটানো যায়) শুনছিস যখন পড়েছিসও নিশ্চয়?
-আমি এইসব পড়ি না।
-তাই নাকি? তো আপনাকে আমারফ্যান বানাতে হলে কি লিখতে হবে?
-রান্নার বই লিখলে আমি পড়ব।
-(এইডা কিছু হইল?)বিড়বিড়করে বললাম, তাতে কি? তোর রান্না খাওয়ারসৌভাগ্য তো আর আমার হবে না।
-কি বললি?
- না কিছু না।
-আচ্ছা বাদ দে। শুনআমার খুব প্রেম করতে ইচ্ছে করছে
-(খাইছে রে। সিনিওরভাইয়ের সাথে প্রেমটা তাহলে হয়েই গেল নাকি?)আরে না না কিসেরপ্রেম? প্রেম করার দরকার নাই।
-কেন কেন?
-আরে ভাই বুঝিস না কেন………এখন যদি প্রেম করে সব শেষ করে ফেলিস তবে বিয়ের পর কি করবি? এখন দেখবি যে তোর প্রেমিকের থু থু ফেলানোটাও পর্যন্ত ভাল লাগবে, কিন্তু বিয়ের পর সে যদি ছবিও আকে সেটাও তোর কাছে বিরক্তির মনে হবে। তাছাড়া বিয়ের পরদিন প্রেম জানালা দিয়ে পালায়।
-জানালা বন্ধ করে রাখব।
-দরজা দিয়ে পালাবে।
-দরজা বন্ধ করে রাখব।
-গুলগুলি দিয়ে পালাবে
-গুলগুলি কি জিনিস?
-ভেন্ট্রিলেটর
-তুই এত বেশি বুঝিস কেন রে?
(কেন যে এত বেশি বুঝি তুই যদি বুঝতি রে)
-তোর প্রেম করতে হবে না বললাম তো, যা।
ও কিছুটা হতাশা, কিছুটাঅবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমিতখন দাঁত খিলান দিয়ে দাঁত খিলাতে ব্যস্ত, আক্কেল দাতটাইদানিং বড় যন্ত্রণা দিচ্ছে।
তারপর অনেকদিন চলে গেল। আমিওকে দেখি ও যে কাকে দেখে বুঝতে পারি না।

একদিন কমমেড ডে ভিজিটে মহাখালীতে গিয়ে, বেশি মেড মানে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা নিয়ে হলে এসেছি। কোনমতে কয়েকটা পেটে দিয়েই মোবাইল টোবাইল অফ করে ঘুমিয়ে পরেছি।
হঠাৎ দরজায় প্রচণ্ড শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। দরজাখুলে দেখি কিসু দাড়িয়ে আছে। পেছনে আমার ব্যাচমেট সহ আরও কিছুজুনিওর পোলাপাইন। আমি তো অবাক। কিসুর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। ও মনেহয় কান্নার ঠিক আগের ষ্টেজে আছে। আমাকে দেখেই ও দৌড়ে এসে জড়িয়েধরল।তারপরশুরু হল কান্না। কান্নার ছোটে ওর ছোট্ট শরীরটা কেপে কেপে উঠছিল। তারপর কান্না জড়ানো কণ্ঠে ও যাবলল তা হল, ও আমাকে দুপুর একটা থেকে একটু আগ পর্যন্ত কলদিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু আমাকে পাচ্ছিল না। (পাওয়ার কথা নাআমার মোবাইল বন্ধ।) তারপর ও কোত্থেকে শুনেছে ফরিদপুরগামী একটা বাসনাকি এক্সিডেন্ট করেছে। আমার তো আজ বাসায় যাওয়ার কথা ছিল।(কাহিনি সত্য)এই শুনে আমার রুমমেটকে কল দিয়েছে। ওরমোবাইল ও নাকি বন্ধ। (থাকতে পারে। ছাগলটা ডেটিংয়ে গেলে মোবাইল অফকরে রাখে) তারপর ও আমাদের হলে চলে আসে। গেটেরমামা ওকে কোন ভাবেই ঢুকতে দেবে না। মাঠে আবার ফুটবল খেলতেছিল পোলাপাইন। হট্টগোলশুনে দেখে যে এই অবস্থা। তখন জাকারিয়া মামাকে বুঝিয়ে সুঝিয়েবিশাল দল বল সহ ওকে নিয়ে এখানে চলে এসেছে।(গাধা আমার বুঝি লজ্জা করে না)
কিশু আবার বলছে, ‘দেখ,বিয়ের পরেও তোমার থু থু ফেলা আমার ভাল লাগবে। এইব্যপারে তুমি নিশ্চিন্ত থাকো।’
সালেহ তখনি একটু থু থু ফেলে মনে মনে ভাবলো না জীবনটাখুব একটা খারাপ না।
এই অবস্থা দেখে জাকারিয়া মনে মনে ভাবছে কি রে ‘সালেহ প্রেম করেই ফেলল। আমি কি করলাম?’

লিখেছেনঃ নির্লিপ্ত আমি


(আমার খুব প্রিয় একজন লেখক হুমায়ুন আহমেদ স্যার। তারএকটা কথা আমার খুব ভাল লাগত। ‘লেখকের নাকি খুব ক্ষমতা। তারাইচ্ছে করলেই অনেক কিছু করতে পারে।’ এই ক্ষমতার সামান্য অপব্যবহার করে সালেহের জীবনটাপালটে দিলাম। হয়ে যাক না মিষ্টি একটা ভালবাসার গল্প। তাতেযদি ঠোঁটের কোণায় একটু হলেও হাসি ফুটে এটাই বা কম কি)
বি.দ্র. গল্পে ব্যবহৃত ‘ইচ্ছের জলে ভিজি’ কবিতাটি আমার এক শ্রদ্ধেয় বড় আপু ‘অন্তরা দাশ মিনি’র। আপু তোমার কবিতাটার বড় অপচয় করে ফেললাম। ক্ষমাকরে দিও।

Related Posts

9 comments

  1. Replies
    1. আজ থেকে ভালোবাসার দায়ীত্ব আপনার আর আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে SMS সাপ্লাই দেয়ার দায়ীত্ব আমাদের। সেরা সব বাংলা SMS, English SMS, Banglish SMS নিয়ে আসলে বাংলা SMS 2019. অ্যাপটিতে

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ
      নতুন নতুন সব এস এম এস পাবেন। তাই আপনার প্রেম কে রোমান্টিকতায় রাঙ্গাতে আমরা নিয়ে এলাম এসএমএস জগতের এক বিসাল ভান্ডার। এখানে আপনি পাবেন অসাধারন সব বাংলা এস এম এস, ভালোবাসার ম্যাসেজ সহ আরও অনেক কিছু।
      সহজ ও পরিষ্কার ডিজাইন সহ বাংলাদেশের সেরা এস এম এস এর অ্যাপ Bangla SMS 2019. প্রেম কাহানী তে কষ্ট থাকবে আর সেটা আসল প্রেম কাহানী হোক আর গল্প কাহানী । ভালোবাসা শুধু সুখের হয় না, দুখেরও হয়, তাই আমরা সেই দুঃখ কে ভুলাতে নিয়ে এসেছি কিছু সুখ আর দুঃখের কাহানী, কষ্টে ভরা প্রেম কাহানী। আশা করি আপনার ভালোবাসার মুহূর্ত কে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে আমাদের এই Apps টি।

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

      Delete
  2. আজ থেকে ভালোবাসার দায়ীত্ব আপনার আর আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে SMS সাপ্লাই দেয়ার দায়ীত্ব আমাদের। সেরা সব বাংলা SMS, English SMS, Banglish SMS নিয়ে আসলে বাংলা SMS 2019. অ্যাপটিতে

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ
    নতুন নতুন সব এস এম এস পাবেন। তাই আপনার প্রেম কে রোমান্টিকতায় রাঙ্গাতে আমরা নিয়ে এলাম এসএমএস জগতের এক বিসাল ভান্ডার। এখানে আপনি পাবেন অসাধারন সব বাংলা এস এম এস, ভালোবাসার ম্যাসেজ সহ আরও অনেক কিছু।
    সহজ ও পরিষ্কার ডিজাইন সহ বাংলাদেশের সেরা এস এম এস এর অ্যাপ Bangla SMS 2019. প্রেম কাহানী তে কষ্ট থাকবে আর সেটা আসল প্রেম কাহানী হোক আর গল্প কাহানী । ভালোবাসা শুধু সুখের হয় না, দুখেরও হয়, তাই আমরা সেই দুঃখ কে ভুলাতে নিয়ে এসেছি কিছু সুখ আর দুঃখের কাহানী, কষ্টে ভরা প্রেম কাহানী। আশা করি আপনার ভালোবাসার মুহূর্ত কে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে আমাদের এই Apps টি।

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    Raed Our Bangla SMS - বাংলা মেসেজ, ভালোবাসার মেসেজ

    ReplyDelete
  3. I see the greatest contents on your blog and I extremely love reading them.List of all bangla online newspaper

    ReplyDelete
  4. it was a wonderful chance to visit this kind of site and I am happy to know. thank you so much for giving us a chance to have this opportunity..

    ReplyDelete
  5. it was a wonderful chance to visit this kind of site and I am happy to know. thank you so much for giving us a chance to have this opportunity..Bangladesh news headlines

    ReplyDelete
  6. This is an excellent post I seen thanks to share it. It is really what I wanted to see hope in future you will continue for sharing such a excellent post.Giftly

    ReplyDelete
  7. I have been at the look out for such information Cool stuff you have and you keep overhaul every one of us You have done a amazing job with you website.Thanks for the informative and helpful post.informative as well. CU Admission Result

    ReplyDelete

Post a Comment