এটা একটা সুন্দর শিক্ষামূলক পোস্ট।
আশা করি আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করবে, তাছাড়া এটা আপনার পড়ার দরকার আছে।
একজন মানুষ ক্লান্ত শরীরে দেরিতে ঘরে প্রবেশ করার সময় দেখল তার দশ বছরের ছেলে তার জন্য দরজায় অপেক্ষা করছে।
ছেলেঃ বাবা আমি কি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?
বাবাঃ অবশ্যই, প্রশ্নটা কি?
ছেলেঃ বাবা, তুমি ঘণ্টায় কত টাকা আয় কর?
বাবাঃ “এটা তোমার জানার দরকার নেই” রাগান্নিতস্বরে উত্তর দিল...
ছেলেঃ আমি শুধু জানতে চাই। দয়া করে বল তুমি ঘণ্টায় কত টাকা আয় কর...
বাবাঃ তোমার যখন এতই আগ্রহ, তাহলে শোন আমি ঘণ্টায় ১০০ টাকা আয় করি।
ছেলেঃ ‘ওহ! তাই’ ছেলে মাথা নিছু করে উত্তর দিল।
ছেলেঃ বাবা, তুমি কি আমাকে ৫০ টাকা দেবে?
একথা শুনার পর বাবা প্রচণ্ড রেগে ছেলেকে বলল “এই কারনেই তুমি আমার আয় কত জিজ্ঞেস করেছ। তোমার সাহস তো কম না। সোজা তোমার রুমে যাও এবং ঘুমাও।
ছোট্ট ছেলেটি ধীরে ধীরে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
এক ঘণ্টা পর পিতা শান্ত মনে ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করতে লাগল “ আমার ছেলে তো আমার থেকে সবসময় টাকা চায় না, আজ কেন সে আমার থেকে টাকা চাইল? নিশ্চয় সে এই টাকা দিয়ে তার জন্য খুব দরকারি কিছু কিনবে।”
পিতা তার ছেলে রুমে গেল...
তুমি কি ঘুমাচ্ছ? পিতা জিজ্ঞেস করল।
"না বাবা , আমি জেগে আছি" ছেলে উত্তর দিল।
পিতা বলল “আমি দুঃখিত, আসলে সারাদিন কাজের চাপে আমি অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলাম, তাই তোমার প্রতি এত রাগ দেখালাম। এই নাও তোমার ৫০ টাকা।"
বাবার কাছ থেকে টাকা পেয়ে ছেলে খুব খুশি হল। তারপর সে তার বালিশের নিচ থেকে আরো টাকা বের করল।
ছেলের কাছে অতিরিক্ত টাকা দেখে বাবা আবার রেগে গেলেন।
ছেলে আস্তে আস্তে তার টাকা সব গুনল এবং বাবার দিকে তাকাল।
"তোমার কাছে টাকা থাকতে তুমি আমার কাছে আবার টাকা চাইতে গেলে কেন?" বাবা রাগান্নিত স্বরে ছেলেকে জিজ্ঞেস করল।
"কারন আমি যা কিনব তার জন্য আমার কাছে প্রয়োজনীয় টাকা ছিল না, কিন্তু এখন আছে " ছেলে উত্তর দিল।
"বাবা আমার এখন মোট ১০০ টাকা আছে , তুমি ঘণ্টায় ১০০ টাকা আয় কর। আমি আমার ১০০ টাকা দিয়ে তোমার একটা ঘণ্টা কিনতে চাই।
দয়া করে আগামীকাল একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি এস । আমরা দুইজন একসাথে রাতের খাবার খাব। তোমার সাথে বসে কত দিন রাতের খাবার খায়নি।
এই কথাগুলো শুনার পর পিতা তার সন্তানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল, কিছুক্ষন পর তার দুই হাত দিয়ে তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরল এবং তার ভুলের জন্য সন্তানের কাছে ক্ষমা চাইল।
অনেকে শত ব্যস্ততার জন্য তাদের সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না।
কিন্তু সন্তানের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য বাবা মায়ের সান্নিধ্য খুবই প্রয়োজন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমি যেটা বলতে চাইছি।
: