অপ্রকাশিত ভালোবাসা

Post a Comment

এই গল্পটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
এটা পড়ার পর আপনার মনকেও এটা স্পর্শ করবে।
একটি ছেলের ক্যান্সার হয়েছিল এবং ডাক্তার তাকে কয়েক মাসের টাইম দিয়েছিল।
ঐ সময়ের ভিতর সে মারা জেতে পারে।
এই রকম চলতে চলতে সে তার জীবনের শেষ ৩০ দিনে পদার্পণ করল ।
ছেলেটি একটি মেয়েকে পছন্দ করত, মনে মনে খুব ভালোবাসতো।
মেয়েটি একটি সিডির দোকানে চাকরি করতো।
সে কখনো মেয়েটিকে তার পছন্দের কথা বলে নি।
ছেলেটি প্রত্যেকদিন মেয়েটির ঐ দোকান থেকে সিডি কিনত শুধুমাত্র মেয়েটিকে এক পলক দেখার জন্যে।
মেয়েটিও তার প্রতি অনেকটা দুর্বল ছিল, কতটা তা সে জানত না।
কিছু দিন পর ছেলেটি মারা গেল।
মেয়েটি তাকে আর দোকানে আসতে দেখল না।
মেয়েটি তাকে খুজতে তার বাড়িতে গেল।
ছেলেটির মায়ের কাছ থেকে সে জানতে পারল যে, ছেলেটি ক্যান্সার-এ মারা গেছে।
মেয়েটিকে ছেলেটির ঘরে নিয়ে গেল তার মা।
মেয়েটি তার ঘরে গিয়ে দেখল অসংখ্য সিডি তার বিছানায় পড়ে আছে।
কিন্তু একটি সিডিও খোলা না।
এই অবস্থা দেখে মেয়েটির চোখ অশ্রুসজল হয়ে গেল।
কারন হল, মেয়েটিও তাকে ভালোবাসতো এবং প্রত্যেকদিন সে একটি করে লাভ লেটার সিডির ভিতর ঢুকিয়ে দিত।
দুজনই দুজনকে ভালোবাসতো কিন্তু তাদের ভালোবাসা কোনোদিনই প্রকাশ পেল না।
দেখলেন তো!
মনে মনে ভালবাসলে কিন্তু কিছু হবে না।
আপনার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করুন, তারপর যা হবার হবে।
যদি না বলে, তো দ্বিতীয় কাউকে বলেন।
ভালো না বেসেও যদি আপনি কোনও সম্পর্ক শুরু করেন, তাহলেও আপনাদের ভিতর ভালোবাসার জন্ম নেবে।
কারন, চোখে দেখে কি কখনো ভালোবাসা হতে পারে?
পারে না।
আমারা সবাই প্রথমে শরীর দেখেই বা শরীরের ভাব, হাঁসি ইত্যাদি ইত্যাদি দেখে প্রেমে পড়ি।
সেটা কিছু দিন চলতে চলতে তারপর দুজনের ভিতর সুন্দর যে সম্পর্কটা তৈরি হয় সেটার নামই ভালোবাসা।

Related Posts

: