যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানেই জীবন আছে।
তোমার প্রতিদিনের ছোট ছোট ভালো কাজগুলো কখনো অর্থহীন হয়ে যায় না।
সেগুলোর প্রতিদান তুমি অবশ্যই একদিন পাবে।
তোমার প্রতিদিনের ছোট ছোট ভালো কাজগুলো কখনো অর্থহীন হয়ে যায় না।
সেগুলোর প্রতিদান তুমি অবশ্যই একদিন পাবে।
একটি গ্রামে এক ছেলে থাকতো ।
ছেলের বাবা দুইটি বিবাহ করেছে ।
মা মারা যাবার পর সে থাকতো তার সৎ মায়ের সাথে।
ছেলের বাবা দুইটি বিবাহ করেছে ।
মা মারা যাবার পর সে থাকতো তার সৎ মায়ের সাথে।
তাদের গ্রামে জলের খুব অভাব ছিলো ।
তাই সেই ছেলেটিকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক দূরের ঝর্ণা থেকে জল আনতে যেতে হতো ।
তার সৎ ভাইয়েরা যখন আরামে ঘুমিয়ে থাকতো সেই ভোরবেলায় উঠে তাকে মাথায় করে জলের পাত্র নিয়ে ছুটতে হতো ।
কিন্তু তবু সে কোনো অভিযোগ করতো না ।
তাই সেই ছেলেটিকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক দূরের ঝর্ণা থেকে জল আনতে যেতে হতো ।
তার সৎ ভাইয়েরা যখন আরামে ঘুমিয়ে থাকতো সেই ভোরবেলায় উঠে তাকে মাথায় করে জলের পাত্র নিয়ে ছুটতে হতো ।
কিন্তু তবু সে কোনো অভিযোগ করতো না ।
কারন তার পরিবারকে সে ভালোবাসতো।
পরিবারের প্রতি নিজের দায়িত্ব সে পালন করতো।
সেদিন জল নিয়ে ফেরার সময় সে একজন বৃদ্ধ তার কাছে জল খেতে চাইলো ।
সেদিন জল নিয়ে ফেরার সময় সে একজন বৃদ্ধ তার কাছে জল খেতে চাইলো ।
সে তাকে জল ঢেলে দিলো ।
কিছুদূর পর এক মহিলাও জল চাইলো ।
কিছুদূর পর এক মহিলাও জল চাইলো ।
ছেলেটি তাকেও জল দিলো ।
প্রায় সময়েই এমন ঘটনা ঘটতো।
লোকেদের এভাবে জল দিতে দিতে দেখা যেতো বাড়িতে ফিরে প্রায় অর্ধেক জল শেষ হয়ে গিয়েছে।
তখন তার সৎ মা তাকে অনেক মারধোর করতো ।
এভাবে চলতে চলতে যখন সৎ মায়ের অত্যাচার অসহ্য হয়ে উঠলো, তখন সে মনে মনে শপথ করলো, আর কাউকে সে জল দেবে না ।
কিন্তু একদিন জল নিয়ে ফেরার পথে একটা ঘটনা ঘটলো।
ছেলেটি মাথায় টুপি পরা একটা অদ্ভুত পোশাকের লোককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলো ।
ছেলেটি মাথায় টুপি পরা একটা অদ্ভুত পোশাকের লোককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলো ।
লোকটি আহত ছিলো এবং জল জল বলে জলের পিপাসায় কাতরাচ্ছিলো।
মুমূর্ষু অবস্থায় সে চোখ মেলে জল চাইলো ।
আবার চোখ বন্ধ করে ফেললো ।
লোকটিকে দেখে ছেলেটির খুব মায়া হল এবং ছেলেটি তার শপথের কথা মনে মনে ভাবলো ।
লোকটিকে দেখে ছেলেটির খুব মায়া হল এবং ছেলেটি তার শপথের কথা মনে মনে ভাবলো ।
সৎ মায়ের মারধোরের কথা ভেবে কিছুক্ষন ইতস্তত করলো এবং শেষে দৌড়ে গিয়ে লোকটিকে জল খাওয়ালো।
সেদিন সে যখন আবার অর্ধপূর্ণ জলের পাত্র নিয়ে ঘরে ফিরলো ।
তখন তার সৎ মা আবার তাকে মারধোর করা শুরু করলো ।
তখন তার সৎ মা আবার তাকে মারধোর করা শুরু করলো ।
সারা দুপুর সে কাঁদল ।
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লো ।
ঘুম ভাঙ্গলো দরজা ধাক্কানোর শব্দে ।
দরজা খুলে দেখলো সেই লোকটি দাঁড়িয়ে আছে যাকে সে জল দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে ।
জানা গেলো সে একজন পোষ্টম্যান এবং ছোট ছেলেটির জন্য শহর থেকে একটি চিঠি নিয়ে এসেছে ।
চিঠিতে দেখা গেলো ছেলেটি শহরের একটি স্কুলের স্কলারশিপ পেয়েছে এবং সেই সাথে প্রতি মাসে কিছু টাকার বৃত্তি !
ছেলেটি এই লোকটিকে সাহায্য না করলে সে হয়তো এই সুখবর নিয়ে আসার পথে লোকটি মারাও যেতে পারতো ।
গল্প তো এখানেই শেষ।
বেশি কিছু আর বলব না, বাকিটা আপনারা বোঝার চেস্টা করুন।
শুধু একটা কথা বলব, ভালো কাজ করুন।
ভালো কাজ করলে, তার ভালো ফল আপনি একদিন পাবেন।
ভালো কাজ কখনোয় অর্থহীন হয়ে যায় না। কখনোয় না।
: