শরীর মন আর ভালোবাসা

Post a Comment

অনেকের মুখেই শোনা যায় যে ভালোবেসে বিয়ে করলে নাকি কেউ সুখি হতে পারে না!
সেইসব ছেলেদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, সারাদিন যদি সানি লিওনের ভিডিও দেখা হয় তাহলে আর মনের মাঝে ভালোবাসার জায়গা থাকবে না।
মোটকথা চুলকানী বাড়লে ভালোবাসা কমতে বাধ্য, কারণ ছেলেদের চুলকানীর ঔষধ কেবল মেয়েদের কাছেই থাকে।
ইনডিরেক্টলি বললাম, আশা করছি সবার বোধগম্য হবে! নাহলে বাদ দিয়ে রাখুন।
একটা মেয়ে চাইলেই আপনাকে বাদ দিয়ে আপনার থেকে ভালো কারোর সাথে প্রেম করতে পারে, কারন তার পিছনে ছেলেদের একটা লম্বা লাইন সব সময় লেগেই আছে, যেটা আপনি দেখতে পারেন না।
একটা মেয়ে যখন একটা ছেলেকে মনে প্রাণে আপন করে নেয় তখন আর তার কাছে কোন অপশন থাকে না।
কারণ সে ছেলেটাকে ভালোবাসে, এবং ছেলেটির প্রতিটি কথাই সে পালন করতে চেষ্টা করে।
সবসময় ভয়ে থাকে যদি ছেলেটি অভিমান করে চলে যায়, তাইতো কিছু না ভেবেই মেয়েটি তার সবকিছুই ছেলেটির হাতে স্বপে দেয়।
আর বেশিরভাগ ছেলেদের ক্ষেত্রে একবার ফিজিকাল রিলেশন হয়ে গেলে কিন্তু ভালোবাসাটা আর আগের মতো থাকে না, অনেক দুর্বল হয়ে যায়, কারণ বিয়ের আগেই যে ছেলে ফিজিকাল রিলেশনের দিকে অগ্রসর হয় তার কাছে ভালোবাসা নামক বিষয়টা যে কতটা ঠুনকো সেটা হয়তো সবাইকে আমার বলে দেয়া লাগবে না!
আবার রিয়েল ভালোবাসার ক্ষেত্র এটা একটু অন্যরকম।
এ ক্ষেত্রে কেউ পরিবারের কারণে এক হতে পারেনা, আবার কেউ নিজেদের দোষের কারণে এক হতে পারেনা, ভালোবাসার মর্মটা কিন্তু সবাই
বোঝে না, যারা বোঝে কেবল তারাই সুখি হয়।
কারণ প্রকৃত ভালোবাসা শরীর দিয়ে কখনও হয় না, মন থেকেই হয়।
শরীরের স্বাদ বেশিদিন থাকে না, আর মনে পবিত্রতা থাকলে ভালোবাসাও পবিত্র থাকে, টিকে থাকে সারাজীবন।

Related Posts

: