কুমিরের রচনা

Post a Comment

হাই ফ্রেন্ড কেমন আছেন এই গরমে?
আমার এখন তেমন গরম লাগছে না তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে
একটা মজার জিনিস শেয়ার করি।
ক্লাস থ্রীর এক ছেলে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার সময় 'কুমির' রচনা শিখেছে।
সমস্যা হল এর পর পরীক্ষাই যে রচনাই আসুক সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কুমিরের রচনাই লেখে।
যেমন একবার রচনা এলো বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য।
তো সে লিখলো...
বাবা-মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে।
কুমিররাও তাই করে।
জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী।
এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল।
কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা ...... দশ পৃষ্ঠা শেষ।
এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক।
তো এবার সে লিখল...
আমার প্রিয়
শিক্ষক এর নাম রবি দাস। তার চোখ গুলো গোলগোল।
কুমিরেরও চোখ গোল গোল।
জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী।
এটি জলে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...... দশ পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ!
শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ
মনে মনে ভাবলেন, লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো এবার ছাত্রটি লিখলো...
১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল।
এই যুদ্ধে নবাব সিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন।
জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী।
এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা......
আগে যদি সুনে থাকেন
তাহলে তো আর কিছু করার নেই!
যারা আগে শোনেননি তারা কেমন মজা পেলেন সেটা অবশ্যই জানাবেন।

Related Posts

: