...............
এই আমাদের কলেজের ছাদ, এইখানেই কত ছেলে জির থেকে হিরো হইসে, এইখানেই মামুন ওর গার্লফ্রেন্ডরে সিঙ্গারা খাওয়াইয়া দিত আর আমগরে দেখাইত, এইখানেই দাঁড়াইয়া তৌফিক নিজেরে ইমরান হাসমি মনে করত। আর আজকে এই কলেজের ছাদ নিয়াই একটা রচনা লেখমু।
প্রতি দিনকার মত আজও পারভেস ও মিথিলা ছাদে গেসে দেখা করতে, কিন্তু আজ পারভেসের দেখা কইরা পেট ভরব না, ওর আরও বেশি কিছু চাই, তাই মিথিলা ছাদে আসা মাত্র এক ঝটিকা টান দিয়ে পারভেসের দুই বাহুর মদ্ধে মিথিলাকে আবদ্ধ করল।,
এর পর মিথিলার গোলাপি লিপগ্লস দেয়া ভেজা ঠোঁটে পারভেজ তার শুষ্ক ঠোঁট দিয়ে গভীর ভাবে চুম্বন করতে শুরু করল, প্রথমে নিচের ঠোঁট পরে উপরের ঠোঁট, এরপর পারভেসের জিহ্বা মিথিলার মুখের ভিতর, মিথিলার জিহ্বা পারভেসের মুখের ভিতর। যেটাকে ইংরেজিতে ফ্রাঞ্চিস কিজ বলে, এই ধরনের চুম্বন ইমরান হাসমির ছবিতেই বেশি দেখা যায়।
গভীর চুম্বনের ফলে মিথিলার গাল ও নাকের ডগা লাল হইয়া গেছে। হঠাৎ ছাদে দুইটা বান্দরের আগমন, একটার নাম মাহদি আরেকটার নাম কামরুল। ওদেরকে দেখা মাত্র মিথিলা দ্রুত গতিতে নিচে নেমে আসে, নিচে সিঁড়ির পাশেই আমি দাড়িয়ে ছিলাম, মিথিলাকে ওপ্রস্তুত ভাবে নিচে নামতে দেখে আমি দ্রুত ছাদে যাই। গিয়ে দেখি পারভেস অপরাধীর মত দাড়িয়ে আছে, ওর চোখ নেশাখোরদের মত লাল। কামরুল আর মাহদি মাথায় হাত দিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে, ওদের চোখে মুখে বিস্ময়ের ছাপ।
ওদের মুখ দেখে ভালোই বোঝা যাচ্ছে যে অরা এই মাত্র বিনা পয়সায় সার্কাস দেখসে। তারপরেও অরা আমার কাছে বিষয়টা গোপন করার চেষ্টা করে কিন্ত আমার দুই-চারটা প্রশ্নের খোঁচায় সব কিছু ক্লিয়ার করে দেয়। আর আমার পোড়া কপাল জীবনে এমন রোমান্স কপালে জুটল না, যখন কেউ করে তাদের এক্সপ্রেশন দেখার সৌভাগ্যও আমার হইলনা।
written by
: