গল্পের নামঃ সত্তিকারে ভালোবাসা
রিকশায় উঠে চলে যাচ্ছিলো সে। ফোনের দিকে তাকালাম। নিয়ম হয়ে গেছে যে যাওয়ার সময় ফোন দেবেই সে। সামনে বসে যত ঘন্টাই কথা হোক না কেন রিকশা উঠে ওর মনে পড়েই যাবে কি কি বাকি রয়ে গেছে। তাই ফোন দিয়ে সেগুলো বলে যাবে অনর্গল। ফোন বাজছে কিন্তু ধরলাম না। চলে যেতে থাকা রিকশার দিকে তাকিয়ে আছি। হুডের পেছন দিকে সামান্য ফাঁক থাকে রিকশায়। ওদিক দিয়েই পেছন ফিরে তাকালো। চোখে প্রশ্ন কেন ধরছি না ফোন। উত্তর দিলাম আর অপেক্ষা নয়। ধরলাম কল।
-- কি ব্যাপার কল ধরো না কেন? (আনিকা)
--তোমাকে আর একটু দেখতে ইচ্ছে হলো তাই।(আকাশ)
-- মানে? আবার কিভাবে দেখবা? (আনিকা)
--এই যে পেছপন ফিরে তাকালে?(আকাশ)
--তা তো তুমি ফোন ধরছো না দেখে তাই।(আনিকা)
- জানতাম তো। না ধরলেই তাকাবে। তখন একটু দেখবো।(আনিকা)
- ইস! কি ফাজিল! এতো দেখেও মন ভরে না।(আনিকা)
আসলেই ওকে বারবার দেখতে ইচ্ছে করে। আমার কি দোষ! আগে তো কখনো এমন হয় নি। ইদানিং হচ্ছে আর খুব বেশি হচ্ছে। আমার জেদ আকাশ ছোঁয়া। যা ভাববো তাই করবো। যা চাইবো তা নিয়েই ছাড়বো। আমি যখন ভাবি যে কোনো মানুষের সাথে আর কথা বলবো না। আর সত্যি বলি না। যখন কাউকে ভুলে যেতে চাই সত্যি ভুলে যাই। ছাপ পড়ে না তাদের থাকা না থাকাতে। ছোট ছোট অনেক ঝগড়ায় অনেককে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। ওর সাথে বোধহয় এই জীবনে সবচেয়ে বেশী ঝগড়া করছি। বারবার ভেবেছি আর কথা বলবো না ওর সাথে। এবার সত্যি ব্রেক আপ। এবং সেই রকম ব্রেক আপ যে আর কোনোদিন চেহারা দেখবো না ওর। সামনে যাবো না। এমন কি ভাববো না পর্যন্ত। ধরা যাক বিকেলে ঝগড়া হলো। আগে দেখা যেত পরেরদিন বা আরো একদিন পরে আমার জেদ ভেঙ্গে যেত। আমি কথা বলতে শুরু করতাম। দেখা করার জন্য পাগল হতাম। নিজেকে নিজে ধিক্কার দিতাম। এই আমার জেদ! এত্তোটুকু শুধু! মনে হতো ওর কাছে হেরে গেলাম আমি। রাগ লাগতো খুব। আমি কেন হারবো? পরে অবশ্য সব ভুলে যেতাম। রাগ-জেদ আর ঝগড়া যে হয়েছে সেটাও। এবারও তাই হলো। ভুলে গিয়ে দেখা করলাম। তারপর মিটমাট সব। দেখতে ইচ্ছে করছে বলে ফোনটা ধরলাম না। তাকালো আমার দিকে পেছন ফিরে। তারপর আমিও রিকশা নিয়ে নিজের পথে। রাতে সে খোঁটা দিলো এই বলে যে আমি না কি তাকে ছেড়ে থাকতে চাই তাই ওমন করি। ওকে কাঁদাই ইচ্ছে করে। রাগ লাগলো ভীষণ। কখন এমন ভাবলাম আমি! কথায় কথায় আবার ঝগড়া। ইচ্ছে হচ্ছে ফোনটা আছড়ে ভাঙ্গি। তাহলেই আর কথা বলতে পারবে না আমার সাথে। না ভাঙ্গবো কেন? অফ করে রাখলাম। পাঁচটা মিনিট যেতে না যেতে থাকতে না পেরে অন করলাম। প্রতিবার এমন ঝগড়া হলে সে মেসেজ দেয়। সর্যি লিখবে না কখনো কিন্তু যা লেখে তাতেই শান্তি লাগে। অন্তত দূরে তো যায় নি! কিন্তু এবার কোনো সাড়া নেই। না পেরে আমিই মেসেজ দিলাম। তার উত্তরে জানাল এবার সে আমাকে আর কল দেবে না, মেসেজও না। আমি জানি ও এটা পারবেনা। আমাকে ছেড়ে থাকবে ও? অসম্ভব। কিন্তু তাই করলো এবার। রাত গভীর হতে লাগলো কিন্তু ওর কোনো খবর নেই। এমনকি আজ ফেসবুকেও আসছে না। জেদ ধরে থাকলাম কল দেবো না আমিও। কিন্তু যতই আমি নিজের জেদের কথা ভাবি ততই তা দুর্বল হয়। এমন ফ্যাসাদেও মানুষ পড়ে? এদিকে ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারছি না। ওদিকে সেও কল দিচ্ছে না। হ্যাঁ আমাকে ভুলে যেতে চায়। এই জন্যই এমন করে। বুঝেছি আমি। তবুও কল দিলাম আমি। ধরলো না প্রথমে। পরের বার ধরলো, তাও চুপ।
-- ওই তুমি ফোন দাও না কেন? (আকাশ))
--আমি তো বললাম আমি আর তোমাকে কল দেবো না। (আনিকা)
--ওহ আচ্ছা। (আকাশ)
এইটুকু বলে কল কাটলাম। ঝগড়া করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো করলাম না। গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। শুধু বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসি। অন্য কথাগুলো গলায় আটকে যাচ্ছে। কিন্তু আমি তো ভালবাসি বলতে পারবো না। আমার ইগোতে লাগে। আমি কেন আগে বলবো? ও আগে বলুক তারপর। কিন্তু ও তো আর বলে না! এদিকে রাত বেড়েই চলে। সঙ্গে অস্থিরতা কি থেমে থাকে নিজের জায়গাতে? আবার কল দিলাম। আমি একটা গল্প লিখছি শুনবা? (ও আমার গল্প বলা খুব পছন্দ করে। জানি যে না বলবে না। ইগো আর জেদ তখন অস্থিরতার কাছে বিশ্রীভাবে হেরে বসেছে। কথা না বললে বাঁচবো না এমন লাগছে ভেতরে।) খানিক চুপ থেকে বললো, শুনবো। আমি শুরু করলাম গল্প বলা। আসলে কোনো গল্প লিখি নি। যা মনে আসে তা বলতে থাকলাম। কি যে বললাম কে জানে তবে এক সময় তা শেষ হলো। ও পুরো সময়টা একদম চুপ রইলো। গল্পটা খুব সম্ভবত ভালবেসে কাছে আসা আবার দূরে চলে যাওয়া নিয়ে। কয়েকটা চরিত্রের একটায় সে শুনতে শুনতে নিজেকে কল্পনা করলো। তারপর গল্পটা বলা শেষ হতেই বললো ওই চরিত্রটা আমাকে ভেবে তাই না? আমি বললাম, না। ও তো কোনো চরিত্র নয়, ও আমার বাস্তব। বলতে হলো না মুখে। মনের কথা মুখে ফোটার আগেই বুঝে নিলো সে।
---অনেক বেশি ভালবাসো আমাকে তাই না?(আনিকা)
--তোমার কী মনে হয়??(আকাশ)
--জানি ভালোবাসো।তাইতো ধুরে থাকতে চেয়েও পারো না।(আনিকা)
--হ্যা তোমাকে ছাড়া সব কিছু অর্থহীন মনে হয়। (আকাশ)
--তাহলে কেন বারবার অভিমান করে দুরে সরে যেতে চাও। কেন আমাকে বুঝতে চাও না।আমি এইবার ইচ্ছে করেই এমন করেছি। আমি তোমার ইগোতে বাধছিলো যে তুমি কেন আমাকে আগে কল করবে তাই না??(আনিকা)
--হ্যা।(আকাশ)
--কিন্তু এই জেদের কারনে অনেক ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়।অনেক সময় ভালোবাসা শেষ না হলেও দুজনের মাঝে দুরুত্বের সৃষ্টি হয়।। তাই জেদের বশে কোনো কাজ করা ঠিক না।(আনিকা)
-আমি তোমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি।।
-আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।।
.
**সত্তিকারের ভালোবাসা কখনো জেদের কারনে শেষ করে দেওয়া উচিত নয়।। ভালোবাসা একবার শেষ হয়ে গেলে তা জীবন দিয়ে দিলেও আর ফিরে পাওয়া যায় না**
--তোমাকে আর একটু দেখতে ইচ্ছে হলো তাই।(আকাশ)
-- মানে? আবার কিভাবে দেখবা? (আনিকা)
--এই যে পেছপন ফিরে তাকালে?(আকাশ)
--তা তো তুমি ফোন ধরছো না দেখে তাই।(আনিকা)
- জানতাম তো। না ধরলেই তাকাবে। তখন একটু দেখবো।(আনিকা)
- ইস! কি ফাজিল! এতো দেখেও মন ভরে না।(আনিকা)
আসলেই ওকে বারবার দেখতে ইচ্ছে করে। আমার কি দোষ! আগে তো কখনো এমন হয় নি। ইদানিং হচ্ছে আর খুব বেশি হচ্ছে। আমার জেদ আকাশ ছোঁয়া। যা ভাববো তাই করবো। যা চাইবো তা নিয়েই ছাড়বো। আমি যখন ভাবি যে কোনো মানুষের সাথে আর কথা বলবো না। আর সত্যি বলি না। যখন কাউকে ভুলে যেতে চাই সত্যি ভুলে যাই। ছাপ পড়ে না তাদের থাকা না থাকাতে। ছোট ছোট অনেক ঝগড়ায় অনেককে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। ওর সাথে বোধহয় এই জীবনে সবচেয়ে বেশী ঝগড়া করছি। বারবার ভেবেছি আর কথা বলবো না ওর সাথে। এবার সত্যি ব্রেক আপ। এবং সেই রকম ব্রেক আপ যে আর কোনোদিন চেহারা দেখবো না ওর। সামনে যাবো না। এমন কি ভাববো না পর্যন্ত। ধরা যাক বিকেলে ঝগড়া হলো। আগে দেখা যেত পরেরদিন বা আরো একদিন পরে আমার জেদ ভেঙ্গে যেত। আমি কথা বলতে শুরু করতাম। দেখা করার জন্য পাগল হতাম। নিজেকে নিজে ধিক্কার দিতাম। এই আমার জেদ! এত্তোটুকু শুধু! মনে হতো ওর কাছে হেরে গেলাম আমি। রাগ লাগতো খুব। আমি কেন হারবো? পরে অবশ্য সব ভুলে যেতাম। রাগ-জেদ আর ঝগড়া যে হয়েছে সেটাও। এবারও তাই হলো। ভুলে গিয়ে দেখা করলাম। তারপর মিটমাট সব। দেখতে ইচ্ছে করছে বলে ফোনটা ধরলাম না। তাকালো আমার দিকে পেছন ফিরে। তারপর আমিও রিকশা নিয়ে নিজের পথে। রাতে সে খোঁটা দিলো এই বলে যে আমি না কি তাকে ছেড়ে থাকতে চাই তাই ওমন করি। ওকে কাঁদাই ইচ্ছে করে। রাগ লাগলো ভীষণ। কখন এমন ভাবলাম আমি! কথায় কথায় আবার ঝগড়া। ইচ্ছে হচ্ছে ফোনটা আছড়ে ভাঙ্গি। তাহলেই আর কথা বলতে পারবে না আমার সাথে। না ভাঙ্গবো কেন? অফ করে রাখলাম। পাঁচটা মিনিট যেতে না যেতে থাকতে না পেরে অন করলাম। প্রতিবার এমন ঝগড়া হলে সে মেসেজ দেয়। সর্যি লিখবে না কখনো কিন্তু যা লেখে তাতেই শান্তি লাগে। অন্তত দূরে তো যায় নি! কিন্তু এবার কোনো সাড়া নেই। না পেরে আমিই মেসেজ দিলাম। তার উত্তরে জানাল এবার সে আমাকে আর কল দেবে না, মেসেজও না। আমি জানি ও এটা পারবেনা। আমাকে ছেড়ে থাকবে ও? অসম্ভব। কিন্তু তাই করলো এবার। রাত গভীর হতে লাগলো কিন্তু ওর কোনো খবর নেই। এমনকি আজ ফেসবুকেও আসছে না। জেদ ধরে থাকলাম কল দেবো না আমিও। কিন্তু যতই আমি নিজের জেদের কথা ভাবি ততই তা দুর্বল হয়। এমন ফ্যাসাদেও মানুষ পড়ে? এদিকে ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারছি না। ওদিকে সেও কল দিচ্ছে না। হ্যাঁ আমাকে ভুলে যেতে চায়। এই জন্যই এমন করে। বুঝেছি আমি। তবুও কল দিলাম আমি। ধরলো না প্রথমে। পরের বার ধরলো, তাও চুপ।
-- ওই তুমি ফোন দাও না কেন? (আকাশ))
--আমি তো বললাম আমি আর তোমাকে কল দেবো না। (আনিকা)
--ওহ আচ্ছা। (আকাশ)
এইটুকু বলে কল কাটলাম। ঝগড়া করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো করলাম না। গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। শুধু বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসি। অন্য কথাগুলো গলায় আটকে যাচ্ছে। কিন্তু আমি তো ভালবাসি বলতে পারবো না। আমার ইগোতে লাগে। আমি কেন আগে বলবো? ও আগে বলুক তারপর। কিন্তু ও তো আর বলে না! এদিকে রাত বেড়েই চলে। সঙ্গে অস্থিরতা কি থেমে থাকে নিজের জায়গাতে? আবার কল দিলাম। আমি একটা গল্প লিখছি শুনবা? (ও আমার গল্প বলা খুব পছন্দ করে। জানি যে না বলবে না। ইগো আর জেদ তখন অস্থিরতার কাছে বিশ্রীভাবে হেরে বসেছে। কথা না বললে বাঁচবো না এমন লাগছে ভেতরে।) খানিক চুপ থেকে বললো, শুনবো। আমি শুরু করলাম গল্প বলা। আসলে কোনো গল্প লিখি নি। যা মনে আসে তা বলতে থাকলাম। কি যে বললাম কে জানে তবে এক সময় তা শেষ হলো। ও পুরো সময়টা একদম চুপ রইলো। গল্পটা খুব সম্ভবত ভালবেসে কাছে আসা আবার দূরে চলে যাওয়া নিয়ে। কয়েকটা চরিত্রের একটায় সে শুনতে শুনতে নিজেকে কল্পনা করলো। তারপর গল্পটা বলা শেষ হতেই বললো ওই চরিত্রটা আমাকে ভেবে তাই না? আমি বললাম, না। ও তো কোনো চরিত্র নয়, ও আমার বাস্তব। বলতে হলো না মুখে। মনের কথা মুখে ফোটার আগেই বুঝে নিলো সে।
---অনেক বেশি ভালবাসো আমাকে তাই না?(আনিকা)
--তোমার কী মনে হয়??(আকাশ)
--জানি ভালোবাসো।তাইতো ধুরে থাকতে চেয়েও পারো না।(আনিকা)
--হ্যা তোমাকে ছাড়া সব কিছু অর্থহীন মনে হয়। (আকাশ)
--তাহলে কেন বারবার অভিমান করে দুরে সরে যেতে চাও। কেন আমাকে বুঝতে চাও না।আমি এইবার ইচ্ছে করেই এমন করেছি। আমি তোমার ইগোতে বাধছিলো যে তুমি কেন আমাকে আগে কল করবে তাই না??(আনিকা)
--হ্যা।(আকাশ)
--কিন্তু এই জেদের কারনে অনেক ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়।অনেক সময় ভালোবাসা শেষ না হলেও দুজনের মাঝে দুরুত্বের সৃষ্টি হয়।। তাই জেদের বশে কোনো কাজ করা ঠিক না।(আনিকা)
-আমি তোমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি।।
-আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।।
.
**সত্তিকারের ভালোবাসা কখনো জেদের কারনে শেষ করে দেওয়া উচিত নয়।। ভালোবাসা একবার শেষ হয়ে গেলে তা জীবন দিয়ে দিলেও আর ফিরে পাওয়া যায় না**
ভালোলাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন...কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাবেন...আপনাদের মতামতের আশায় থাকবো...
Key Words:
bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2018, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2018, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3
: