গল্পঃ সুন্দর কেনো
এক
.
"আপনি এখানে?"
.
"আপনি এখানে?"
প্রশ্নটা শুনে মাথা চুলকাতে থাকি। আশেপাশে একবার করে তাকিয়ে আবার মাথা চুলকাতে চুলকাতে আলিশার দিকে তাকালাম। মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে চেয়ে। গোলাপ ফুল স্টাইলের হিজাব করা, চোখের ভ্রুতে হালকা মাশকারা, সাথে গোল চশমা। আহ... আলিশাকে দেখতে একদম অশান্ত চিলে পাখির মত লাগছে। যে কিনা আমার মনের সাদা মেঘের নীলচে আকাশে বহুদুর অবদি উড়ে বেড়াচ্ছে। গোল চশমার নিচে বিড়ালের চোখের মত আশুরিক দুটো চোখ আমার দিকে তখনো চেয়ে আছে। বোকার মত হেসে দিয়ে বলি..
- ইয়ে না মানে, এখানে আসছিলাম দাঁড়ি শেফ করতে।
উত্তরটা দিয়েই বোকার মত একবার তাকালাম আলিশার দিকে। আলিশা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে চেয়ে ফিক করে হেসে দিল। আমি ওর চিকন দাঁতের মিচরি হাসি দেখে নিজেই ওর সাথে হেসে দিলাম। আলিশা হাসতে হাসতে বলল..
- মি. আবির সাহেব, আপনি জানেন, আপনি মিথ্যেটাও ঠিকভাবে গুছিয়ে বলতে পারেন না।
- ইয়ে না মানে আসলে..
- হয়েছে হয়েছে.. আপনার বাড়ির সামনেই আপনার প্রিয় পরিচিত সেলুন ঘর আছে আর যেখানে আপনি প্রায়সই শেফ করে থাকেন। এই ভিকুরুন্নেসা কলেজের সামনে আসার তো কোনো দরকারই পড়ে না।
- ইয়ে না মানে আসলে..
- হয়েছে হয়েছে.. আপনার বাড়ির সামনেই আপনার প্রিয় পরিচিত সেলুন ঘর আছে আর যেখানে আপনি প্রায়সই শেফ করে থাকেন। এই ভিকুরুন্নেসা কলেজের সামনে আসার তো কোনো দরকারই পড়ে না।
আলিশার কথা শুনে আমার হাসি থেমে গেল। নিজেই মিথ্যে বলে লজ্জা লাগছে। ভয়ে ওর দিকে তাকাতেই পারছি না। কি রকম পুলিশি দৃষ্টি দিয়ে আলিশা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ভয় তো করবেই। আমি বললাম..
- না মানে তুমি..
- হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না। চলুন..
- কোথায়? (আমি)
- আমাকে বাড়িতে পৌছে দেবেন।
- ওকে চলো হাঁটি।
- হাঁটবো কেনো? রিকশাতে করেই যাবো।
- রিকশা..
- হুমম।
- চলুন তো।
- হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না। চলুন..
- কোথায়? (আমি)
- আমাকে বাড়িতে পৌছে দেবেন।
- ওকে চলো হাঁটি।
- হাঁটবো কেনো? রিকশাতে করেই যাবো।
- রিকশা..
- হুমম।
- চলুন তো।
রিকশার কথা শুনে গলাটা যেন শুকিয়ে গেল। কারন এক রিকশাতে আমি আজকাল কোনো মেয়ের সাথে বসতেই পারি না। যদিও কোনো ছেলে রিকশাতে উঠলে মেয়েরা ওঠে না। তবে কোনো কারনে যদি বসে আর পাশে যদি আমি থাকি তো হয়েছে কাজ। সারা শরীর কেঁপে ওঠে। আর আলিশা হলে তো কথায় নেই। কেমন যেন হয়, সুন্দরী মেয়েদের আজকাল দেখলে বেশ ভয় লাগে আমার।
.
দুজনে রিকশা করে যাচ্ছি। দুজনেই চুপ হয়ে বসে রইলাম। কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না। সব যেন গুলিয়ে যাচ্ছে যখন আলিশার শরীর আমার শরীরের সাথে স্পর্শ হচ্ছে। রিকশার ঝাকুনিতে নয় ওর স্পর্শের ঝাকুনিতে কখন যে রিকশা থেকে পড়ে যাবো তা জানি না। আলিশা বলল..
.
দুজনে রিকশা করে যাচ্ছি। দুজনেই চুপ হয়ে বসে রইলাম। কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না। সব যেন গুলিয়ে যাচ্ছে যখন আলিশার শরীর আমার শরীরের সাথে স্পর্শ হচ্ছে। রিকশার ঝাকুনিতে নয় ওর স্পর্শের ঝাকুনিতে কখন যে রিকশা থেকে পড়ে যাবো তা জানি না। আলিশা বলল..
- মি. আবির সাহেব.. আপনি যে আমাকে দেখতে আসছিলেন তা সরাসরি বলতে পারতেন। মিথ্যে বলার কি ছিল?
আলিশার কথা শুনে ওর দিকে তাকালাম। আলিশার আমার দিকেই চেয়ে আছে। আমি একটু কেশে অন্য দিকে তাকালাম। তখনি ও আমার ডান হাতের পাঁচ আংগুলের মধ্যে ওর বাম হাতের পাঁচ আংগুল মুষ্টি বদ্ধ করে নিল। আমি কেঁপে উঠলাম। অনুধাবন করলাম আমার বুকের চারপাশে ভাইব্রেট করে ভালোবাসার রিংটোন বেজে উঠল। কথা ঘুরিয়ে আমি ওর দিকে আবার তাকিয়ে বললাম..
- তুমি কিন্তু তোমার বান্ধবিদের সাথে যেতে পারতে।
- হুমম পারতাম তো। কিন্তু আপনি না আসলে। আপনি এসেছেন আপনার সাথে তো যেতেই হয়।
- কেনো?
- কেনো মানে? আপনি না বেশ বোকা বোকা প্রশ্ন করেন। মি. গাধা আপনার সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে।
- হুমম পারতাম তো। কিন্তু আপনি না আসলে। আপনি এসেছেন আপনার সাথে তো যেতেই হয়।
- কেনো?
- কেনো মানে? আপনি না বেশ বোকা বোকা প্রশ্ন করেন। মি. গাধা আপনার সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে।
আবারো চুপ হয়ে গেলাম। আমি আসলেই আলিশাকে দেখতে ওর কলেজের সামনে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ওকে দুর থেকে দেখেই চলে যাবো। ওর সামনে যাবো না। কিন্তু আমি যখনি আসলাম তখনি কলেজ ছুটি দিয়ে দিল। আর ভিড়ের মাঝে ওকে ঠিক খুজতে খুজতে আলিশা কখন যে আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়ে আমাকে প্রশ্নটি করল। তখন যে ঠিক কি বলবো না ভেবে মিথ্যে বলতে হয়েছে। আর তাতে লজ্জাও পেয়েছি। অবশ্য আজকাল বেশিই ওকে দেখতে আসা হচ্ছে। আর সেটা লুকিয়েই দেখে চলে যাচ্ছি। কারনটা হল আলিশাকে বেশ মিস করছি আজকাল। ভাগ্যিস ও এসব জানে না
.
- মি. গাধা, না মানে আবির সাহেব বাড়িতে এসে গিয়েছি। নামুন, আর চলুন বাসায়। না হলে আম্মু যদি জানতে পারে আপনি বাসার সামনে এসেছেন আমার সাথে আর আমি আপনাকে ভিতরে নিয়ে যায়নি তো আমাকে পিটিয়ে পাটিসাপটা পিঠা বানাবে।
- ওহ, তাহলে আম্মুর দেখার আগেই কেটে পড়ি।
- উহু তা হবে না।
- হবে হবে আমি আসি।
.
- মি. গাধা, না মানে আবির সাহেব বাড়িতে এসে গিয়েছি। নামুন, আর চলুন বাসায়। না হলে আম্মু যদি জানতে পারে আপনি বাসার সামনে এসেছেন আমার সাথে আর আমি আপনাকে ভিতরে নিয়ে যায়নি তো আমাকে পিটিয়ে পাটিসাপটা পিঠা বানাবে।
- ওহ, তাহলে আম্মুর দেখার আগেই কেটে পড়ি।
- উহু তা হবে না।
- হবে হবে আমি আসি।
রিকশাটা ঘূরিয়ে চলতে আসতে যাবো তখনি আলিশা রিকশা থামিয়ে দাঁড়াল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম..
- কিছু বলবে?
- হুমম.. মি. আবির সাহেব.. আমাকে রোজ লুকিয়ে দেখতে হবে না। সরাসরি সামনে চলে আসবেন। আর কি গাধা আপনি কলেজের সামনে চায়ের দোকানে বসে বসে আমাকে দেখেন। গলিতে দাঁড়িয়ে দেখেন আমাকে। আমার বান্ধবিরা কিন্তু আপনার জন্য আমাকে চুরনি বলে,,কারন আপনি চুরি করে দেখেন আমাকে,আপনি চোর একটা তাই।
.
ঠিক কি বলবো খুজে না পেয়ে আমি আবারো মাথা চুলকাতে থাকি। এই মেয়েটা দেখি সবই জানে। ধুরর লজ্জায় মনে হচ্ছে এখনি পাকা কলার খোসায় পা দিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে মরি। তাড়াতাড়ি কিছু না বলে রিকশা নিয়ে চলে আসি ওর থেকে। বেশ খানিকটা দুরে এসে তাকিয়ে দেখি আলিশা এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। টুং করে একটি মেসেজ আসলো। ফোনটা চেক করে দেখি আলিশার মেসেজ। সেখানে লেখা..
- হুমম.. মি. আবির সাহেব.. আমাকে রোজ লুকিয়ে দেখতে হবে না। সরাসরি সামনে চলে আসবেন। আর কি গাধা আপনি কলেজের সামনে চায়ের দোকানে বসে বসে আমাকে দেখেন। গলিতে দাঁড়িয়ে দেখেন আমাকে। আমার বান্ধবিরা কিন্তু আপনার জন্য আমাকে চুরনি বলে,,কারন আপনি চুরি করে দেখেন আমাকে,আপনি চোর একটা তাই।
.
ঠিক কি বলবো খুজে না পেয়ে আমি আবারো মাথা চুলকাতে থাকি। এই মেয়েটা দেখি সবই জানে। ধুরর লজ্জায় মনে হচ্ছে এখনি পাকা কলার খোসায় পা দিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে মরি। তাড়াতাড়ি কিছু না বলে রিকশা নিয়ে চলে আসি ওর থেকে। বেশ খানিকটা দুরে এসে তাকিয়ে দেখি আলিশা এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। টুং করে একটি মেসেজ আসলো। ফোনটা চেক করে দেখি আলিশার মেসেজ। সেখানে লেখা..
"মি. গাধা, আপনাকে কিন্তু এই খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতেই বেশ মানায়। শেফ করার জন্য কলেজের সামনে আসার দরকার নেই। আমাকে দেখতে আসলেই হবে। গাধা একটা।"
.
মেসেজটি পড়ে মুচকি হাসলাম। আলিশা আর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে নেই। আলিশা হল আমার হবু বউ। আংকটি পরানো হয়ে গেছে। কেবল শুভ দিনে বিয়েটা হওয়া আমাদের বাকি। অবশ্য বিয়েটা আগেও হয়ে যেত। কিন্তু আমি সময় নিলাম অনেক। কারন আলিশার মাঝে নিজের জন্য ভালোবাসা তৈরী যদি না করি তবে বিয়ে করাটা কেমন যেন হয়ে যেত। সবাই এটা পারলেও আমি পারতাম না।
.
দুই
.
- আবির, আমি না ব্রেকআপ চাই। (প্রিয়ন্তি)
- ওহ আচ্ছা।
- কারন জানতে চাইবে না?
- বলো। (আমি)
- আসলে আমার না আজকাল তোমার সাথে রিলেশন ভালো লাগছে না। কেমন যেন অসহ্য হয়ে যাচ্ছে সব।
- হুমমম। কি আর করা, আসলে মানুষ পরিবর্তনশীল। সাথে পরিবর্তন হয় মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। পরিবর্তন হয় ভালোলাগা,খারাপ লাগা,ইচ্ছা অনিচ্ছা। আমাকে তোমার আগে ভালো লাগত তাই আমাকে ভালোবাসছিলে। এখন আর ভালো লাগছে না তাই ছেড়ে যাচ্ছো। ভালোবাসার মাঝে যদি ভালোলাগাই না থাকে তাহলে জমে?
- তুমি না অনেক ভালো। সত্যিই আবির তোমার মনটা অনেক বড়।
- আচ্ছা,ভালো থেকো। নিজের খেয়াল রেখো। তোমাকে আর তো আজকের পর থেকে রোজ সকালে মেসেজ দিয়ে বলা হবে না, নতুন সকাল দেখো,কত সুন্দর। তোমাকে রোজ রাতে আর বলা হবে না,রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমাও। তুমি না ঘুমালে আমিও ঘুমাবো না।
- হুমম, আচ্ছা আবির একটা প্রশ্ন করি?
- বলো।
- তুমি সময় কাটাবে কিভাবে?
- হিহিহি.. ভয় নেই, আমি সব ছেলেদের মত না যে জিএফ চলে গেছে বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় নিজেকে আটকে রাখবো। যেমন কাটায় সেভাবেই চলবে দিন।
- কিন্তু তোমার দিন কিংবা রাতের সময় জুড়ে আমি যে বিরাজ করতাম।
- বাসায় যাও।
.
চুপ হয়ে গেলাম। পাশে বসা প্রিয়ন্তিকে আমার আর এক মুহুর্তের জন্যও সহ্য হচ্ছে না। আমি উঠতে যাবো তখনি প্রিয়ন্তি আমার হাত ধরল। আজ প্রথম কোনো অনুভূতি আসলো না ওর হাত ধরাতে। বাকি দিন ও আমাকে স্পর্শ করলেই আমি কেঁপে উঠতাম।
.
মেসেজটি পড়ে মুচকি হাসলাম। আলিশা আর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে নেই। আলিশা হল আমার হবু বউ। আংকটি পরানো হয়ে গেছে। কেবল শুভ দিনে বিয়েটা হওয়া আমাদের বাকি। অবশ্য বিয়েটা আগেও হয়ে যেত। কিন্তু আমি সময় নিলাম অনেক। কারন আলিশার মাঝে নিজের জন্য ভালোবাসা তৈরী যদি না করি তবে বিয়ে করাটা কেমন যেন হয়ে যেত। সবাই এটা পারলেও আমি পারতাম না।
.
দুই
.
- আবির, আমি না ব্রেকআপ চাই। (প্রিয়ন্তি)
- ওহ আচ্ছা।
- কারন জানতে চাইবে না?
- বলো। (আমি)
- আসলে আমার না আজকাল তোমার সাথে রিলেশন ভালো লাগছে না। কেমন যেন অসহ্য হয়ে যাচ্ছে সব।
- হুমমম। কি আর করা, আসলে মানুষ পরিবর্তনশীল। সাথে পরিবর্তন হয় মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। পরিবর্তন হয় ভালোলাগা,খারাপ লাগা,ইচ্ছা অনিচ্ছা। আমাকে তোমার আগে ভালো লাগত তাই আমাকে ভালোবাসছিলে। এখন আর ভালো লাগছে না তাই ছেড়ে যাচ্ছো। ভালোবাসার মাঝে যদি ভালোলাগাই না থাকে তাহলে জমে?
- তুমি না অনেক ভালো। সত্যিই আবির তোমার মনটা অনেক বড়।
- আচ্ছা,ভালো থেকো। নিজের খেয়াল রেখো। তোমাকে আর তো আজকের পর থেকে রোজ সকালে মেসেজ দিয়ে বলা হবে না, নতুন সকাল দেখো,কত সুন্দর। তোমাকে রোজ রাতে আর বলা হবে না,রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমাও। তুমি না ঘুমালে আমিও ঘুমাবো না।
- হুমম, আচ্ছা আবির একটা প্রশ্ন করি?
- বলো।
- তুমি সময় কাটাবে কিভাবে?
- হিহিহি.. ভয় নেই, আমি সব ছেলেদের মত না যে জিএফ চলে গেছে বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় নিজেকে আটকে রাখবো। যেমন কাটায় সেভাবেই চলবে দিন।
- কিন্তু তোমার দিন কিংবা রাতের সময় জুড়ে আমি যে বিরাজ করতাম।
- বাসায় যাও।
.
চুপ হয়ে গেলাম। পাশে বসা প্রিয়ন্তিকে আমার আর এক মুহুর্তের জন্যও সহ্য হচ্ছে না। আমি উঠতে যাবো তখনি প্রিয়ন্তি আমার হাত ধরল। আজ প্রথম কোনো অনুভূতি আসলো না ওর হাত ধরাতে। বাকি দিন ও আমাকে স্পর্শ করলেই আমি কেঁপে উঠতাম।
- আবির,তোমাকে আমি মিথ্যে বলেছি।
- কি মিথ্যে?
- তোমাকে আর ভালো লাগছে না এটা।
- তাহলে সত্যটা কি?
- আসলে আমার না অন্য একজনকে খুব ভালো লাগে। ভাবছি তার সাথে রিলেশনে যাবো।
- ওহ... কোনো ব্যাপার না। ঐ যে বললাম না সময়ের গতিধারায় মানুষের ভালো লাগাও পরিবর্তন হয়। আমাকে বাদে তুমি অন্য কাউকে পছন্দ করতেই পারো।
- তোমার খারাপ লাগছে না?
- নাহ, কারন আমি মনে করি কোনো মেয়ের বিএফ কিংবা বর থাকা সত্তেও অন্য কাউকে পছন্দ করতে পারে,তাহলে বুঝতে হবে কাছের মানুষটার মনের জায়গা থেকে কবেই ব্যক্তিটি রিলিজ হয়ে গেছে। যাও ভালো থেকো। তোমাকে রোজ বিকেলে হাত ধরে হাটার জন্য আমি আর থাকছি না। তোমাকে আর কখনই রাত দুপুরে ঘুম ভাঙিয়ে বলবো না ভালোবাসি।
.
কথাগুলো বলে প্রিয়ন্তির থেকে চলে আসলাম। দুরে এসে ওর দিকে তাকালাম। প্রিয়ন্তি আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। হয়ত ভাবছে আমি আবার কেমন আজব ধরনের ছেলে? নিজেরই গার্লফ্রেন্ড অন্য কারো ভালোবাসতে চাচ্ছে ব্রেকআপ ছাড়াই নিজ বিএফ এর সাথে এসে তা বলছে, আবার তা আমি মেনেও নিচ্ছি। ব্যাপারটা আসলেই উইয়ার্ড। আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম। খুশিতে হাসছি না,এই হাসিটার আলাদা রং আছে,আলাদা মানে আছে। তা হল গভীর এক দীর্ঘশ্বাসের। কি আ৯র করার,আমি যে এমনি। কারন আমি মনে করি ভালোবাসা ব্যাপারটা আমার কাছে হাত মুঠো করে জল তোলার মত অপার্থিব ব্যাপার সেপার। জলকে তুলতে হলে পাত্র দরকার হয় তেমনি ভালোবাসতে সবাই পারে কিন্তু আগলে রাখার মত শক্তি, অনুভূতি,মন থাকে না। আমারো হয়ত কমতি আছে তাই এমন হল।
.
প্রিয়ন্তি নিজে থেকেই আমাকে ভালোবাসি বলেছিল। বেশ চলছিল আমাদের রিলেশন কিন্তু কেনো জানিনা সব শেষ হয়ে গেল। বাড়িতে এসে নিজেকে খুব কষ্টে দমিয়ে রেখেছি।
- কি মিথ্যে?
- তোমাকে আর ভালো লাগছে না এটা।
- তাহলে সত্যটা কি?
- আসলে আমার না অন্য একজনকে খুব ভালো লাগে। ভাবছি তার সাথে রিলেশনে যাবো।
- ওহ... কোনো ব্যাপার না। ঐ যে বললাম না সময়ের গতিধারায় মানুষের ভালো লাগাও পরিবর্তন হয়। আমাকে বাদে তুমি অন্য কাউকে পছন্দ করতেই পারো।
- তোমার খারাপ লাগছে না?
- নাহ, কারন আমি মনে করি কোনো মেয়ের বিএফ কিংবা বর থাকা সত্তেও অন্য কাউকে পছন্দ করতে পারে,তাহলে বুঝতে হবে কাছের মানুষটার মনের জায়গা থেকে কবেই ব্যক্তিটি রিলিজ হয়ে গেছে। যাও ভালো থেকো। তোমাকে রোজ বিকেলে হাত ধরে হাটার জন্য আমি আর থাকছি না। তোমাকে আর কখনই রাত দুপুরে ঘুম ভাঙিয়ে বলবো না ভালোবাসি।
.
কথাগুলো বলে প্রিয়ন্তির থেকে চলে আসলাম। দুরে এসে ওর দিকে তাকালাম। প্রিয়ন্তি আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। হয়ত ভাবছে আমি আবার কেমন আজব ধরনের ছেলে? নিজেরই গার্লফ্রেন্ড অন্য কারো ভালোবাসতে চাচ্ছে ব্রেকআপ ছাড়াই নিজ বিএফ এর সাথে এসে তা বলছে, আবার তা আমি মেনেও নিচ্ছি। ব্যাপারটা আসলেই উইয়ার্ড। আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলাম। খুশিতে হাসছি না,এই হাসিটার আলাদা রং আছে,আলাদা মানে আছে। তা হল গভীর এক দীর্ঘশ্বাসের। কি আ৯র করার,আমি যে এমনি। কারন আমি মনে করি ভালোবাসা ব্যাপারটা আমার কাছে হাত মুঠো করে জল তোলার মত অপার্থিব ব্যাপার সেপার। জলকে তুলতে হলে পাত্র দরকার হয় তেমনি ভালোবাসতে সবাই পারে কিন্তু আগলে রাখার মত শক্তি, অনুভূতি,মন থাকে না। আমারো হয়ত কমতি আছে তাই এমন হল।
.
প্রিয়ন্তি নিজে থেকেই আমাকে ভালোবাসি বলেছিল। বেশ চলছিল আমাদের রিলেশন কিন্তু কেনো জানিনা সব শেষ হয়ে গেল। বাড়িতে এসে নিজেকে খুব কষ্টে দমিয়ে রেখেছি।
এভাবেই কেটে যায় অনেকটা দিন। মেয়েদের প্রতি বিশ্বাসটাই উঠে যায়। সবসসময় চেষ্টা করতাম মেয়েদের থেকে দুরে থাকতে। কিন্তু আম্মু আর আব্বু তা বেশিদিন স্থায়ী করতে দেয়নি। জোর করে আলিশাকে দেখতে যেতে হয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে আলিশার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। কারন ঐ যে বললাম না, মানুষ পরিবর্তনশীল। সেই সাথে পরিবর্তন হয় চিন্তাধারা। আলিশাকে এরপর আমার ব্যাপারে সবটা জানায়।
.
তিন
.
"আমাদের বাড়ির সামনে আসতে পারবেন এখন"
.
তিন
.
"আমাদের বাড়ির সামনে আসতে পারবেন এখন"
আলিশার মেসেজ টি পড়লাম। রাত তখন ১টা বাজে। এত রাতে ওর বাসার সামনে যেতে বলছে।
- আজ বিকেলেই তো দেখা হল। (আমি)
- জ্বি জনাব। তবুও আপনাকে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
- ওকে।
- সমস্যা হলে থাক।
- জ্বি জনাব। তবুও আপনাকে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
- ওকে।
- সমস্যা হলে থাক।
ফোনটা গুজে নিলাম পকেটে। বাড়িতে থাকা ছোট বোনের ক্যাটবেরি চকলেটগুলো নিয়ে চললাম ওর সাথে দেখা করতে। যাই প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করে আসি। আজ মনে হচ্ছে জীবনটা এত সুন্দর কেনো?
ভালো লাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন..এখানে নিয়মিত ভালোবাসার গল্প ও অন্যান্য গল্প পোষ্ট করা হয়.. আপনাদের গল্পটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাবেন...আপনাদের মতামতের আশায় থাকবো...
Key Words:
bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3, বাংলা ভূতের গল্প, ভুত, ভয়ানক ভূতের গল্প ২০১৯, bangla vuter গল্প, ২০১৯ এর ভালোবাসার গল্প, 2019 love story, 2019 best love story, valobasar golp 2019
Key Words:
bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3, বাংলা ভূতের গল্প, ভুত, ভয়ানক ভূতের গল্প ২০১৯, bangla vuter গল্প, ২০১৯ এর ভালোবাসার গল্প, 2019 love story, 2019 best love story, valobasar golp 2019
: