একটি লাশের আত্মকথা অন্যরকম গল্প

Post a Comment

গল্পঃ একটি লাশের আত্মকথা



রুপসা-ব্রিজের নিচে সেই রাত দুটো থেকে পড়ে আছি আমার পরিবার আমাকে খুজছে কিন্তু তারা তো জানে না আমি ব্রিজের নিচে পড়ে আছি। ওইতো ফজরের আজান দিচ্ছে মসজিদে ভোরের আলো ফুটেছে।
যাক এবার তো আমার খোজ পাবে। একটা লোক আসছে এদিকেই একি লোকটা আমাকে দেখে দৌড়ে পালাচ্ছে কেন?
আর পালাবেই না কেন 😭😭😭 আমার সম্মান বলে একটা কথা আছে না আমি তো বিবস্ত্র।
ঘন্টা খানেক পরে একটা জিপ আসল পুলিশের আমাকে নিয়ে গেল মর্গে!
আরে ভুলেই তো গেলাম,,,,
দেখিগো মা-বাবা কি করছে????
ওমা একি মা তো অজ্ঞান আর বাবা কই?
বাবা সে তো রাস্তায় পাগলের মত খুজছে আমায়।
গতকালকের আগের দিন বাবাই গালি দিতে দিতে বলল রুদ্রের সাথে সম্পর্ক রাখলে আমাকে কেটে গাঙ্গের জলে ভাষায় দিবো আজ খুঁজছে।
বাহ খুব মজাই লাগছে তাদের আমার প্রতি ভালবাসা দেখে আমি আত্মা হয়েও বিমোহিত।
ইশ,,,, যদি আর একটাবার বাঁচতে পারতাম। আফসোস এখন সম্ভব না।
নীল ভাই আব্বুকে কি যেন বলছে???,,,,,,,, শুনি তো কি বলছে???
নীল: চাচা একটা লাশ পাওয়া গেছে আড়াইশবেড হাসপাতালের মর্গে চলেন দেখিতো আমাদের টুকটুকি কিনা।
টুকটুকির বাবা: ওরে নীল আমার মাইয়্যা পালায় যাক তবুও ওই লাশটা আমার মাইয়্যার যেন না হয়।
বাবা ওটা আমিই তোমার টুকটুকি। চলো বাবা আমিও তোমার সাথে যাই।
মর্গে এখনও লাশটা পড়ে আছে। এতক্ষণ লাশটা বেওয়ারিশ ছিল এখন লাশটার পরিচয় এটা টুকটুকি নামের একটা মেয়ের। কিন্তু পুলিশ এসেছে শরীরের ব্যবচ্ছেদ হবে এখন,,,,, তারপর কেইস ফাইল হবে,,,,,তারপর গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে আমাকে মুড়িয়ে ডেলিভারি দেওয়া হবে।
কই তাড়াতাড়ি করুন কিন্তু না,,,,,,
আমি বেঁচে থাকতে যেমন জ্বালিয়েছি এখন মরে গিয়ে আর একটু না জ্বালালে কি হয়???
আগে কেস করতে হবে??? তারপর পোষ্টমর্টেম তারপর লাশ হস্তান্তর।
যাই একটু দেখে আসি,,,,,
রুদ্র আর তার বন্ধুরা কি করছে????
রুদ্র আরর তার বন্ধুরা এখনও আমমাকে নিয়ে আলোচনা করছে!!!!
ছিঃ ছিঃ আমার সম্বন্ধে এখনও খারাপ কথা বলছে। গতকাল টানা ছয়ঘন্টা ওদের চাহিদা মেটানোর পর আমাকে মেরে ফেলেও আমার সাথে করা অন্যায়ের ভিডিও দেখছে আর হাসছে।
দাড়া দেখাচ্ছি ওইতো পুলিশ ভাই,,,, এদিকেই আসছে
পুলিশ,,,,,,,, আরে রুদ্র যে কেমন আছো?
টুকটুকি: পুলিশ সাহেব ওকে ধরুন ও আমার খুনি। ওরে আমি তো আত্মা আমার কথাতো শুনতে পাও না।
মন খারাপ করে আর কি হবে যাই দেখি বাবা কি করছে???
ওহো মর্গে লাশটা পড়েই আছে আমার মাছিটা ভন ভন করে উড়ছে। দুর ছাই যা সামনে থেকে।
কেইস ফাইল হয়েছে!!!! রুদ্র তার প্রধান আসামি।
ব্যবচ্ছেদের জন্য মর্গে ঢুকানো হল আমার লাশটাকে। বিবস্ত্র আমি ইশ কি লজ্জার।
উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছে আমায়। এদের তবুও মায়া আছে গতকালকের ওদের মত তো আর নয় এরা।
মালটা জোস ছিল একজন বল্লেই উঠল।
এমা রুমতো লক করা এরাও কি আমার সাথে একই কাজ করবে।
নানা লাশের সাথে কেউ এমন করে নাকি!
ছিঃ ছিঃ আপনারা কি সব দেখছেন আপনাদের লজ্জা নেই।
আমাকে কেটে কুটে সেলাই দেওয়া হল।।।।
এবার সাদা ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে বাবাকে দিয়ে দেওয়া হল।
যাই বাববার মেয়ে বাবার সাথে বাড়ি যাই।
একি বাসার সামনে মানুষের ঢল দেখছি,,,,,, মানবাধিকার কর্মী,,,,দারোগা,,,,,বন্ধু-বান্ধবীরা,,,,স্কুলের স্যাররা,,,,মিডিয়া ওয়াও আমি সেলিব্রেটি টক অফ দ্যা টাউন।
ঐইতো নীলা না,,,, নীলা বলেছিল রুদ্র ভাল না এখন দেখলাম তো আমার অবস্হা।
মা ও মা কাঁ দছো কেন? আমি বিশ্বাসীদের রেখে অবিশ্বাসকে বিশ্বাস করেছিলাম এটা আমার প্রাপ্য ছিল মা।
দেখে আসি তো জানোয়ারগুলোর কি অবস্হা,,,,,
রুদ্রের ফোনে কোন এক বড়ভাই ফোন করে বলল ভারতে যেতে শহরের অবস্হা নাকি খুব খারাপ।
পাসপোর্ট নাই রুদ্র ধরা তোমাকে পড়তেই হবে কিন্তু না লাখখানেক টাকার বিনি ময়ে খাকি-পোষাক পড়া কিছু
দূর্নীতিবাজ লোক ওকে বর্ডারে নিয়ে যাচ্ছে। একি জানোয়ারগুলো তো হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে চলে গেছে।
মনখারাপ করে টুকটুকি ফিরে আসছে বাসার দিকে।
রাস্তায় প্লাকার্ড নিয়ে মেয়েরা দাড়িয়ে,,,,,ফেইবুকে একটা ভাইরাল,,,,, জাতীয় দৈনিকে ফ্রন্টপৃষ্ঠায় ছবি
আগামী তিন দিনের জন্য মজার একটা ট্রপিক্স তারপর সব উধাও টুকটুকি দেখছে আর হাসছে। সৎ নিষ্ঠাবান ওসি সাহেব বলেছেন সর্বচ্চ চেষ্টা করা হবে টুকটুকির ধর্ষক আর খুনিদের। কিন্তু টুকটুকি জানে কিছু অসৎ অফিসার টুকটুকি তথা দেশের সাথে বেইমানি করেছে।পঁাচ বছর পর টুকটুকির হাড় মাংশ মাটির সাথে মিশে যাবে কিন্তু টুকটুকি হত্যার বিচার হবে না। একটা সময় মা-বাবা ছাড়া খোজ নেওয়ারও কেউ থাকবে না।
লাশটা কবরে রাখা হচ্ছে,,,,,(মৃত্যু পরবর্তী টুকটুকির ইচ্ছে একটাবারের জনন্য আমার কন্ঠশ্বর খুলে দাও প্রভু)
টুকটুকি কিছু বলতে চায়,,,
১) যারা তোমাকে কুড়ি-বছর লালন করেছে তারা তোমার ক্ষতি করবে না।
২)বিশ্বাসীদের বিশ্বাস ভেঙ্গে আপনি যার হাত ধরে চল যাচ্ছেন সে যদি বলে বসে আমার বিশ্বাস তুমি ভাংবে না এর গ্যারান্টি কি? (উওর জানা নেই পারলে দিয়েন)
৩)আপনাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছি বা কি আলাপ করছি এটা আপনার রুচির পরিচয় দেয় আপনি বিচারক বলে!!!
৪)[২৪-ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকা ছেলেটা পরবর্তীতে রিভেঞ্জ নিবে না গ্যারান্টি দিতে পারবেন কি।
আর একটা কথা দিন শেষে ঐ মা-বাবাই আপন থাকবে এটা যদি মাথায় আর মনে সেভ করে নিতে পারেন আপনি মহিয়সী নারী অন্যথায় বাইজী বাড়ির নর্তকী।


ভালো লাগলে আমার ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন..এখানে নিয়মিত ভালোবাসার গল্প ও অন্যান্য গল্প পোষ্ট করা হয়.. আপনাদের গল্পটি কেমন লাগলো  তা কমেন্ট করে জানাবেন...আপনাদের মতামতের আশায় থাকবো...




Key Words:

bangla love story, love story, bangla, facebook love story, love, valobashar romantic premer golpo bangla, romantic valobashar golpo, valobashar koster golpo bangla, bangla, valobashar golpo, valobashar golpo sms, bangla sad valobashar golpo, romantic love story in bengali, valobashar golpo kotha, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প কাহিনী, ভালোবাসার গল্প ছবি, ভালোবাসার গল্প 2019, ভালোবাসার গল্প পরতে চাই, ভালোবাসার গল্প সিনেমা, ভালোবাসার গল্প ও কবিতা, ভালোবাসার গল্প পড়তে চাই, bangla love story book, bangla love story facebook, bangla love story kobita, bangla sad love story pdf, bengali love story golpo mp3, bangla love story video, bengali love story poem, bangla love story mp3, বাংলা ভূতের গল্প, ভুত, ভয়ানক ভূতের গল্প ২০১৯, bangla vuter গল্প,  ২০১৯ এর ভালোবাসার গল্প, 2019 love story, 2019 best love story, valobasar golp 2019

Related Posts

: