চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো, ইসলাম কি তাই বলে ?

Post a Comment


বিষয়ঃ চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো, ইসলাম কি তাই বলে ?
🖌লিখেছেনঃ এম ডি আলী।
💠 ভূমিকাঃ নাস্তিক ধর্ম, ইসলামের বিপরীত তাই ইসলাম যেখানে সত্য কথা বলতে বলে সেখানে ইসলামের বিপরীত "নাস্তিক ধর্মে" মিথ্যা বলা যে আবশ্যিক সেটি সমকামীদের মিথ্যাচার পূর্ণ লেখা পড়লেই স্পষ্ট বুঝা যায় । তেমনই মিথ্যাচার পূর্ণ একটি দাবি কুরআন ও সহিহ হাদিসে নাকি দাবি করা হয়েছে যে চাঁদের আলো নিজের আলো, ধার করা আলো না । এই দাবিটি মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ুন কারন এই দাবির পক্ষে তারা যেই রেফারেন্স দেয় সেটি একটিও ম্যাচ করে না , শেষ পর্যন্ত পড়লেই বুঝতে পারবেন। কিছু কিছু সমকামী দেখবেন যারা কুরআন হাদিসের পিকচার দেখিয়ে দেখিয়ে নিজেদের নাস্তিক ধর্মের পক্ষে সাফাই গায় । এই ক্ষেত্রে আপনাদের একটি কৌশল শিখিয়ে দেই তা হল ওদের দাবি এবং সেটার পক্ষে প্রমান হুবহু মিলানর চেষ্টা করুন আর নিজে রেফারেন্স চেক করুন এবং পুরো তথ্য আপনি নিজেই পড়ুন আর খেয়াল করুন ওদের দাবি মিলে কিনা । আমি ওদের সব লেখা এই একটি সুত্রে মেপেছি ফলাফল পেলাম, ওদের একটি দাবিও ওরা প্রমান করতে পারেনি অর্থাৎ কুরআন হাদিস দেখায় ঠিকই কিন্তু ব্যাখ্যা করে নিজেদের থেকে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা আর আপনারা সকলেই জানেন নাস্তিক ধর্ম ইসলামের বিপরীত তাই খগেনিজমে মিথ্যা বলা তাদের জন্য জায়েজ । আমি প্রশ্ন উত্তর আকারে সকল প্রশ্নের জবাব দিব যেন পাঠক সহজেই সমকামীদের মিথ্যাচার ধরতে পারেন এবং সাথে নাস্তিক ধর্মের আলোকেও এই দাবিটি মুক্তমনে ব্যাখ্যা করবো ইনশা আল্লাহ ।
🛑প্রশ্ন ১ = কুরআনের এই আয়াত সমূহ যেমনঃ সূরা ইউনুস ১০:৫ = তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময়। সূরা ফুরকান ২৫:৬১ = বরকতময় সে সত্তা যিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন বিশালকায় গ্রহসমূহ। আর তাতে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ সৃষ্টি করেছেন। সূরা নূহ ৭১:১৬ = আর এগুলোর মধ্যে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন আলো আর সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে’ । এই আয়াত গুলো প্রমান করে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে কারন তিনটি আয়াতের দুটি আরবি শব্দ নুর যার অর্থ আলো বা অনেক ক্ষেত্রে আলোর উৎস ও “মুনির” যার অর্থ উজ্জ্বল, দীপ্তিমান, জ্যোতির্ময়, প্রতিফলিত আলো নয় ।। এখানে এই শব্দ দুটির কোনটিই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো হিসাবে ব্যাখ্যা করে না বরং নূর শব্দের দ্বারা এটাই উল্টো প্রমানিত হয় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে । কারণ আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি হলো “আন্-নূর” যার অর্থ “আলো” আর আল্লাহর নুর তো অবশ্যই ধার করা নয় তাই কোনভাবেই চাঁদেরও প্রতিফলিত আলো হতে পারে না। ২৪ নং সূরা নূর এর অনুবাদকৃত বাংলা নাম “আলো” ও ইংরেজি নাম “The Light. সুতরাং প্রমান করে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো, ধার করা আলো নয় ?
উত্তরঃ পাঠক প্রশ্ন কর্তার দাবির সাথে দলিল গুলা নিজেরাই মিলান দেখুন তো কোন মিল পান কিনা । দাবির সাথে প্রমানের বিন্দুমাত্র কোন সাদৃশ্য নেই । উপরের তিনটি আয়াতেই বলা বলা হচ্ছে "চাঁদকে আলোময়" "আলো বিকিরনকারী চাঁদ" "চাঁদকে আলো রুপে সৃষ্টি করেছেন" আচ্ছা এই শব্দ সমূহ স্পষ্ট অথবা অস্পষ্ট কোন ভাবেই কি প্রমান হয় যে "চাঁদের নিজস্ব আলো আছে" ? উত্তর হচ্ছে না । ধরুন মোমবাতির আলো আলোময়, মোমবাতি থেকে আমরা আলো পাই, আমি মোমবাতিকে এমনভাবে তৈরি করেছি যেন সে আলো দেয় > পাঠক খেয়াল করুন এখন এই মোমবাতির আলো কি তাঁর নিজস্ব আলো, এই কথা প্রমাণিত হয় ? উত্তর হচ্ছে না । ওরা না জানলেও,আমরা সবাই জানি যে মোমবাতির আলো সেটি তাঁর নিজস্ব আলো নয় বরং ধার করা আলো অর্থাৎ মোমবাতিতে আলো তখনই জ্বলে যখন কোন মানুষ সেখানে আগুন জালায়, ম্যাচ দিয়ে । ঠিক একইভাবে কুরআনের উপরের আয়াত হতে মোটেও প্রমান করা যায় না যে "চাঁদের আলো নিজস্ব আলো"।
উপরের আয়াত সমূহ দিয়ে সমকামীরা যে ব্যাখ্যা করে প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে "চাঁদের আলো নিজস্ব আলো" এই অযৌক্তিক ব্যাখ্যা কে দিয়েছে ? কোন সাহাবী দিয়েছেন ? কোন তাবেই দিয়েছেন ? কোন হাদিস বেত্তাগন দিয়েছেন ? কোন মুহাদ্দিস দিয়েছেন ? এর কোন উত্তর তারা দেন নি সুতরাং পাঠক বুঝতেই পারছেন গোঁজামিল কে দিয়েছে ? অবশ্যই নাস্তিক ধর্মের সমকামীরা।
সমকামীদের যুক্তির অবস্থা দেখে হাঁসিতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাব কারন নুর অর্থ আলো, কথা সত্য কিন্তু এরমানে এই না যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো । আরও হাস্যকর যুক্তি হল আল্লাহর ৯৯ নামের মাঝে একটি হল নুর এর অর্থ আলো আর এই আলো প্রতিফলিত আলো হতে পারে না। এই কথার এর সাথে আমিও একমত কিন্তু এই নুর আর চাঁদের নুর যে একই নুর সেটার প্রমান কোথায় ? সূর্যের আলোও কিন্তু আলো আর আপনার মোবাইলের আলো কিন্তু আলো তাহলে সূর্যের আলো আর মোবাইলের আলো কি এক ? উত্তর হচ্ছে না । ঠিক একইভাবে আল্লার ৯৯ টি নামের মাঝে নুর একটি নাম এবং এর অর্থ আলো, এই আলো ধার করা আলো নয় কথা সত্য কিন্তু এরমানে এই না যে চাঁদের সেই নুরও একই অর্থে ব্যাবহার হবে । অর্থাৎ চাঁদের আলো আর আল্লাহর আলো হুবহু এক নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন । এটার সবথেকে শক্তিশালী দলিল হল সুরা শূরা ৪২:১১ = কোন কিছুই আল্লাহর সাদৃশ্য নয় । আরও পড়ুন সূরা ইখলাস ১১২:২ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। যেহেতু চাঁদ আল্লাহর একটি সৃষ্টি তাই চাঁদের এই আলো কখনোই আল্লাহর নুর হতে পারে না কারন চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। সুতরাং আল্লাহর নুর আর চাঁদের নুর এক নয় তাহলে প্রশ্নকর্তা যে দাবি করেছেন একটিও প্রমান হয় না যে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো বরং চাঁদের নুর আর আল্লাহর নুর যে এক নয় সেটিও খুব চমৎকার যৌক্তিক ভাবে প্রমান হল ।
পরিশেষে আরও হাস্যকর একটি গোঁজামিল দিয়েছে সমকামীরা সেটি হল কুরআনের ২৪ নং সূরার নাম হল নুর এই নুরের দারাও নাকি প্রমান হয় যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো ! মজার ব্যাপার হল এই সুরার নুরের অর্থ আলো, আমিও একমত কিন্তু এই নুর কোন প্রেক্ষাপটে ব্যাবহার করা হয়েছে সেটি সমকামীরা চুরি করে লুকিয়েছে কারন স্পষ্টই তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআন ৪ খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা এবং তাফসীরে জালালাইন ৪ খণ্ড, ৪৭৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে হযরত ওমর (রা) কুফাবাসীদের নামে একটি ফরমান জারি করেছিলেন । যার অর্থ তোমাদের স্ত্রী লোকদের সূরা নুর শিক্ষা দাও , যাতে করে তারা অবহিত হয় যে চরিত্রের পবিত্রতাই হল নুর এবং চরিত্রের পবিত্রতাই হল অন্ধকার । আরও আছে যে সূরা নুর অর্থ আলো । আর এই আলো হল সমাজকে সুন্দর করার আলো < > বিস্তারিত দেখুন তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ২ খণ্ড, ৪১৮ পৃষ্ঠা । "সূরা নুর পরিচিতি"। সুতরাং এইখান থেকে স্পষ্ট যে সুন্দর চরিত্রকে আলো বলা হয়েছে এই আলো অর্থাৎ এই সূরা নুর দ্বারা চাঁদের আলো মোটেও বুঝানো হয়নি তা স্পষ্ট।
🛑প্রশ্ন ২ = কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮ = আর চাঁদ কিরণহীন হবে । এ আয়াতের তাফসীরে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষনীয় এই যে, সকল তাফসীরকারকগন একমত যে কেয়ামতের পূর্বে চন্দ্রকে জ্যোতিহীন বা আলোকহীন করে নেয়া হবে। পরের আয়াতেই বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্যকে একত্রিত করা হবে। তাফসীরকারক বলেছেন সূর্যও আলোকহীন হয়ে যাবে এবং তাদেরকে একত্রে লেপটিয়ে দেয়া হবে বা একত্রিত করা হবে যার বর্ণনা সহিহ হাদীসেও আছে । অর্থাৎ এই আয়াতের তাফসীরে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে কেয়ামতের পূর্বে প্রথমে চাঁদকে আলোকহীন করা হবে যা সরাসরি প্রমান করে যে কোরআন অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। এখানে কোন ভাবেই মুসলিমরা এটা দাবি করতে পারবে না যে চাঁদ আলোকহীন হবে সূর্যকে আলোকহীন করার মাধ্যমে যেহেতু কোরআন এবং তাফসীর কারকদের ব্যাখা অনুযায়ী সূর্য এবং চন্দ্রকে একত্রিত করার আগেই চন্দ্রকে আলোকহীন করা হবে। এটার উত্তর কি ?
উত্তরঃ হায়রে সমকামীদের গোঁজামিল ! পাঠক খুব খেয়াল দিয়ে প্রশ্নটি পড়ুন আবার । সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮ = বলা হচ্ছে চাঁদ কিরণহীন হবে । এই আয়াতে কি বলা হচ্ছে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে ? উত্তর হচ্ছে না । তাহলে এই আয়াত কিভাবে "চাঁদের নিজস্ব আলো আছে" এর পক্ষে বড় প্রমান হয় ? কিয়ামতের সময় যদি প্রথমে চাঁদ আলোকহীন হয় তাহলে কিভাবে প্রমাণিত হয় যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো ? প্রমাণিত হয় না মোটেই । ধরুন মোমবাতি যখন ফু দেয়া হবে তখন তার বাতি আলোকহীন হয়ে যাবে < > এই কথা থেকে প্রমাণিত হয় যে মোমবাতির আলো তার নিজস্ব আলো ? উত্তর হচ্ছে না । ঠিক একইভাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ চাঁদকে আলোকহীন করে দিবেন কিন্তু এর দ্বারা প্রমান হয় না চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো । পাঠক আসুন তাদেরকে প্রশ্ন করি সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮ দ্বারা প্রমান হয় যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো এই ব্যাখ্যা কি নবীজি (সা) করেছেন ? কোন সাহাবী করেছেন ? কোন মহাদ্দিস করেছেন ? কোন মুসলিম গবেষক করেছেন? কোন বিখ্যাত হাদিসের কিতাবে এই ব্যাখ্যা আছে ? কোন মুসলিম গবেষকের বইতে কি এই ব্যাখ্যা আছে ?
তাফসীরে জালালাইন ৭ খণ্ড, ২০১ পৃষ্ঠায় উক্ত আয়াতের কিয়ামতের ধ্বংসলীলা সম্পর্কে বলা হয়েছে । আল্লাহ তা'লা বলেন কেবল চন্দ্রই আলোকহীন হবে না বরং সূর্যও আলোকহীন হয়ে পড়বে । এ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকগনের অভিমত হলো চন্দ্রের আলোক সূর্য হতে এসে থাকে। চন্দ্রের নিজস্ব কোন আলো নেই । সুতরাং যখন চন্দ্র আলোকহীন হবে, সূর্যও আলোকহীন হয়ে পড়া আবশ্যক আর চন্দ্র ও সূর্য উভয় সেদিন একত্র হয়ে যাবে।
তাফহীমুল কুরআন, সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮, ১২৩ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছেঃ এটা কিয়ামতের প্রথম পর্যায়ে বিশ্ব-জাহানের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরন । চাঁদের আলোকহীন হয়ে যাওয়া এবং চাঁদ ও সূর্যের পরস্পর একাকার হয়ে যাওয়ার অর্থ এও হতে পারে যে সূর্য থেকে প্রাপ্ত চাঁদের আলোই শুধু ফুরিয়ে যাবে না । বরং সূর্য নিজেও অন্ধকার হয়ে যাবে এবং আলোকহীন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উভয়ের অবস্থা হবে একই।
তাফসীরে মাযহারী ১২ খণ্ড, ২৪২ পৃষ্ঠাঃ যখন চন্দ্র হয়ে পড়বে জ্যোতিহীন অর্থ যখন উধাও হয়ে যাবে চন্দ্রের কিরণ প্রকাশ ক্ষমতা । এছাড়াও আরও তাফসীর যেমন তাফসীরে ইবনে আব্বাস ৩ খণ্ড, ৫৯০ পৃষ্ঠা , তাফসীরে আহসানুল বয়ান, সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮, ১০৩৮ পৃষ্ঠা । একই ধরনের কথা বলা হয়েছে যে চাঁদ আলোকহীন হবে অর্থাৎ আমাদেরকে যে চাঁদ ধার করে আলো দেয় এই সিস্টেমই কিয়ামতের দিন নষ্ট হয়ে যাবে।
এখান থেকে প্রমাণিত সত্য যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই কিন্তু এই সূর্যের আলোক যে চাঁদ গ্রহন করে এই সিস্টেম কিয়ামতের দিন নষ্ট হয়ে যাবে আর আয়াতেও তাই বলেছে যে কিয়ামতের দিন চন্দ্র কিরণহীন হয়ে যাবে । সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮ কোন ভাবেই প্রমান করে না যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে । এই সহজ কথা সমকামীরা বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক কারন মিথ্যাচার তাদের স্বাভাবিক অভ্যাস । চাঁদকে আগে আলোকহীন করা হবে এর মানে কি চাঁদের নিজস্ব আলো আছে ? এই কথা কুরআন হাদিসের কোথায় আছে অথবা কোন তাফসীরকারকগণ বলেছেন ? কেউই এরকম কিছুই বলেনি সেখানে সমকামীরা তাদের ভুল চিন্তা দিয়ে চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের মিথ্যা দাবি যা খুবই হাস্যকর । চাঁদকে আলোকহীন করা হবে সূর্যকে আলোকহীন করার মাধ্যমে এই কথা তো কেউই বলেনি । বরং চাঁদ যে সূর্যের আলো ধার করে এই সিস্টেমই কিয়ামতের দিন নষ্ট হয়ে যাবে অর্থাৎ চাঁদ সূর্য থেকে আলো নিতে পারবে না কিয়ামতের দিন, ফলে চাঁদ কিরণহীন হয়ে যাবে , এই সত্য কথাটিই বুঝানো হয়েছে অথচ এই সাধারন বিষয়টি কিভাবে সমকামীরা ভুল ও মিথ্যা ভাবে পেশ করলো । আফসস এদের জন্য কারন তারা সত্যকে মানতেই চায় না ।
🛑প্রশ্নঃ ৩ = সহীহ্ হাদীস থেকেও প্রমান করা যায় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৩২০০, সহিহ হাদিসঃ নবী (সা) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে । মানে কিয়ামতের দিন চন্দ্র এবং সূর্যকে লেপটিয়ে দেওয়া হবে যাতে তাদের উভয়ের আলো নিঃশেষ হয়ে যাবে যা আবার প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে । হাসান বসরি একইভাবে ব্যাখ্যাটি করেন যে হাসান বসরী বলেন কিয়ামতের দিন লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। হাদিসের অনুবাদে “তার জ্যোতি” না হয়ে তাদের উভয়ের জ্যোতি হবে কারন এখানে দুটি বস্তু তথা চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের কথা বলা হচ্ছে। হাদীসের ব্যাখ্যায় আরেকটি বিষয় বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্য একটির জ্যোতি অপরটিকে ডাকতে পারে না আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এই দাবিটিও প্রমান করে যে চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি রয়েছে কারন সেটা না হলে চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ডাকতে পারে না এ দাবিটি করা হতো না। অন্যদিকে আমরা জানি যে সূর্য তার আলো দিয়ে চাঁদকে ডেকে ফেলে । বিস্তারিত পড়তে দেখুনঃ hadithbd.com,সহিহ বুখারি (ই,ফা),পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৬,হাদিস নং ২৯৭৩ । সৃষ্টির সূচনা অধ্যায় । আবার বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “নসরুল বারী শরহে সহীহ বুখারী” ৭ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৪৫ পরিচ্ছেদ ১৯৮৮, তে বলা হচ্ছে (চাঁদ সূর্য) উভয়টির আলো অপরটির আলোকে গোপন করতে পারে না আর না তা করা উভয়ের তরে যতাচিত্ত। এই দাবিটিও আগের দাবির মতোই যা প্রমান করে চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে গোপন করতে পারে না। অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। তাফসীর ইবনে কাসিরের সুরা ইউনুস এর (১০:৫-৬) আয়াতের তাফসিরেও একই রকম দাবী করা হচ্ছে । সুতরাং প্রমান হচ্ছে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো?
উত্তরঃ যারা নিজেদেরকে যুক্তিবাদী বলে মুখের ফ্যানা তুলে ফেলে এদের যুক্তির এই বেহাল অবস্থা দেখে হাঁসি ছাড়া কোন পথ আমি দেখি না । পাঠক খেয়াল করুন দাবি করেছে "সহিহ হাদিস থেকে প্রমান চাঁদের নিজস্ব আলো আছে" আর প্রমান দিচ্ছে "কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে " এটা কি দাবির পক্ষে প্রমান হল ? কেউ যদি বলে সমকামীরা জ্ঞানী এবং এটার পক্ষে প্রমান হল পরীক্ষার হলে তাকে নকল করার অভিযোগে বের করে দিয়েছে । এটা তো দাবির পক্ষে প্রমান মোটেও হল না বরং উল্টা তাকে আরও মূর্খই প্রমান করলো। সুতরাং হাদিসে সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে এটা দ্বারা মোটেও প্রমান হয় না যে চাঁদের নিজস্ব আছে । কোন হাদিস ব্যাখ্যাকার বলেছেন এই হাদিসের ব্যাখ্যায় যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো ? মাত্র একটি প্রমান দিন তো !
হাদিসের ব্যাখ্যায় একটি লাইন যে "চন্দ্র এবং সূর্য একটির জ্যোতি অপরটিকে ডাকতে পারে না আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়" এটা দিয়েও প্রমান হয় না যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে । কারন সূর্যের থেকে যখন চাঁদ আলো পায় ঠিক সেই আলো পরিবর্তন হয়ে যায় ফলে চাঁদের আলো হয় ঠাণ্ডা আলো যা আমরা রাতে দেখতে পাই আর এই আলো কখনোই সূর্যকে ডাকতে পারে না আবার এর উল্টা সূর্যের আলো কিন্তু তার গরম আলো সরাসরি চাঁদকে প্রদান করতে পারে না কারন সূর্য আলো দেয় আর সেই আলো চাঁদ গ্রহন করে ঠাণ্ডা করে ফেলে এই ক্ষেত্রে সূর্যের আলো চাঁদকে ডেকে ফেলতে পারে না । হাদিসের ব্যাখ্যা যা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক বরং চাঁদের নিজস্ব আলো আছে এটি মোটেও হাদিসের ব্যাখ্যা দাবি করছে না আর এরকম কিছুই বুঝাও যাচ্ছে না । এখানেও সমকামীদের গোঁজামিল কোন কাজেই দিল না আফসস ।
নসরুল বারী শরহে সহিহ বুখারি যেটা বলা হচ্ছে সেটিও সঠিক যে চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে লুকাতে পারে না আবার সূর্যের আলো কিন্তু চাঁদের আলোকে লুকাতে পারে না । বিষয়টি সহজ ভাবে বুঝুন । ধরুন এখন বাংলাদেশে সকাল এখানে সূর্যের আলো আছে ঠিক আমেরিকাতে রাত সেখানে চাঁদ দেখা যাচ্ছে । এখন এই সময়ে কি চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে গোপন করতে পারছে অথবা সূর্যের আলো চাঁদের আলোকে লুকাতে পারছে ? উত্তর হচ্ছে না । ঠিক এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে অথচ সমকামীরা কিসের সাথে কি প্রমান দিচ্ছে যা হাস্যকর। ব্যাখ্যায় বুঝানো হচ্ছে যে চাঁদ আর সূর্য আলাদা এসবের আলো আলাদা একটির আলো অন্য আলোর সাথে কোন সম্পর্ক নাই অর্থাৎ চাঁদের আলো ঠাণ্ডা আর সূর্যের আলো গরম কিন্তু এর মানে এই না যে সূর্যের থেকে চাঁদ আলো নেয় না এই কথা কিন্তু ব্যাখ্যায় বিন্দুমাত্র বলা হয়নি।
তাফসীরে ইবনে কাসীরে নাকি একই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে ! কত্ত বড় মিথ্যাবাদী এই সমকামীরা । পাঠক আপনারা তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৮ খণ্ড, ৮৬৩ পৃষ্ঠায় দেখুন । সেখানে সূরা ইউনুস ১০:৫, ৬ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে যে সূর্যের কিরণ হতে বিচ্ছুরিত আলোকমালাকে তিনি তোমাদের জন্যে দীপ্তি বানিয়েছেন আর চন্দ্রের কিরণকে তোমাদের জন্যে নুর বানিয়েছেন । সূর্যের কিরণ এক রকম এবং চন্দ্রের কিরণ অন্যরকম । একই আলো, অথচ দুটোর মধ্যে বিরাট পার্থক্য । একটির কিরণ অপরটির সাথে মোটেই খাপ খায় না বা একটির কিরণের সাথে অপরটির কিরণ মিলিত হয় না । দিবসে সূর্যের রাজত্ব আর রাত্রে চন্দ্রের কর্তৃত্ব দুটোই আসমানী আলোকবর্তিকা । > খেয়াল করুন পাঠক এখানে চাঁদের আলো আর সূর্যের আলো যে আলাদা সেটাই বুঝানো হয়েছে আর চাঁদ আলো কিসের মাধ্যমে নেয় এটা কিন্তু বুঝানো হয়নি অর্থাৎ সূর্যের কিরণ এক রকম এবং চন্দ্রের কিরণ অন্যরকম । সমকামীদের গোঁজামিল এখানেও ইন্তেকাল করেছেন ।
🛑প্রশ্নঃ ৪ = “মুনির” শব্দের মাধ্যমে অনেক মুসলিম চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত প্রমান করতে চান। মুনির শব্দের অর্থও কোন ভাবেই প্রতিফলিত আলো না। প্রতিফলিত আলো দাবি করার জন্য নুর বা মুনির শব্দের আগে প্রতিফলিত, ধার করা কিংবা এসম্পর্কিত অর্থে কোন শব্দ থাকা প্রয়োজন যা কোরআনে নেই। সুরা ৭১ নুহ এর ১৬ নং আয়াতে নূর শব্দের আগে থাকা “ফিহিন্না” শব্দের অর্থ (তারমধ্যে বা তারমাঝে) যা মুসলিমদের দাবির বিপক্ষে যায়।
মুনির শব্দের অর্থও যে প্রতিফলিত আলো হয় না সেটি সূরা আল-আহযাব ৩৩ এর ৪৬ নং আয়াতের অনুবাদগুলো লক্ষ্য করলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যেখানে মুনির শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত এ আয়াতে নবী মুহাম্মাদ (সা) কে উদ্দেশ্যে করে আরবিতে বলা হয়েছে “ ওয়া সিরাজান মুনিরা“। উল্লেখ্য “সিরাজ” শব্দের অর্থ বাতি, প্রদীপ বা ল্যাম্প এবং প্রদীপের আলো কখনো প্রতিফলিত আলো হয় না কারন প্রদীপ বা বাতি সরাসরি আলোর উৎস। সুরা আল-আহযাব আয়াত ৪৬ = আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী ও আলোকদীপ্ত প্রদীপ হিসেবে।
এ দেশের প্রখ্যাত বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে কোথাও চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলো বলা হয়নি। অন্যদিকে কোরানের প্রখ্যাত এবং পুরনো ইংরেজি অনুবাদক ( Yusuf Ali, Pickthall, Shakir,Sarwar) সহ কেউই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করেন নি, কিন্তু তুলনামূলক নতুন এবং সাম্প্রতিক অনুবাদক Sahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং (reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ। হযরত জাকির নায়েকও একই ধরনের দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী “নুর” শব্দটিকে (Reflected Light) বা প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করলে ২৪ নং সুরা নুর এর ৩৫ নম্বর আয়াত এর ইংরেজি অনুবাদ দাড়ায়, Allah is the (Reflected Light) of the heavens and the earth বাংলা অনুবাদ দাড়ায় “আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো” ( নাউজুবিল্লাহ)।এখানে সাধারণ ইসলামি ডিফেন্সে মুসলিমরা বলে যে চন্দ্র ও সূর্যের আলো বর্ণনায় কোরআন পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছে যা প্রমান যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই, যা একটি হাস্যকর দাবি কারন শুধুমাত্র চাদেঁর আলো বর্ণনায়ও কোরআন দুটি পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনটির অর্থই প্রতিফলিত আলো না। এমনকি এই সম্পর্কিত তিনটি আয়াতের তাফসিরে কোন তাফসির কারক এই দাবি করেননি যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। পাঠকদের সন্দেহ থাকলে এ সম্পর্কিত প্রত্যেকটি আয়াতের তাফসীর যাচাই করে দেখবেন। এত গুলো আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন তাফসীরের বর্ণনা দিতে গেলে লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে তাই দিলাম না। এটার সমাধান কি ?
উত্তরঃ এ দেশের প্রখ্যাত বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে কোথাও চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলো বলা হয়নি যদি এই দাবি আপনাদের সত্য হয় তাহলে Sahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং (reflected light – 71:16) এটি ভুল অনুবাদ হয় কিভাবে ? কারন ধরে নিলাম বাংলা অনুবাদে সেই অথ করা হয়নি কিন্তু Sahih International এ তো সেই অনুবাদ করা হয়েছে, সমকামীদের দাবি সংঘর্ষ হচ্ছে এখানে । আরও মজার কথা হল সমকামীরা যদি তাফসীরে মাযহারী পড়ত তাহলে এই দাবি করতো না কারন এই তাফসীরে নুর অর্থ প্রতিফলিত আলো ধার করা আলো বলা হয়েছে অনেক বার এছাড়া আরও তাফসীরে একাধিক বার বলা হয়েছে । আমি শেষে এই বিষয়ে প্রমান দিয়েছে অনেক । আপনারা পড়ে নিবেন ।
মুনির শব্দের অর্থ প্রতিফলিত আলো নয় এই অর্থ সমকামীরা কই পেল ? সুরা ৭১ নুহ এর ১৬ নং আয়াতে নূর শব্দের আগে থাকা “ফিহিন্না” শব্দের অর্থ তারমধ্যে বা তারমাঝে এখানে আমি যদি একমত হই তাহলেও চাঁদের মধ্যে তার নিজস্ব আলো আছে এটি তো প্রমান হচ্ছে না । এখন প্রশ্ন হল এই আলো সে কথা থেকে পেয়েছে ? যদি আরবির অর্থ হয় কোথা থেকেও পাইনি তাহলে কুরআন ভুল হত কিন্তু এরকম কিছুই আরবির সেই অর্থ বলছে না । আর চাঁদের মধ্যে আলো আছে এর মানে এই না যে সেটি তার নিজস্ব । যেমন মোমবাতির মধ্যে আলো আছে এরমানে এই না যে মোমবাতির আলো তার নিজস্ব আলো । সুতরাং সমকামীদের এই গোঁজামিলও আবার ইন্তেকাল করেছেন ।
পরের অংশে আবারো প্রেক্ষাপট লুকিয়েছে । এক প্রেক্ষাপটের অর্থ আরেক অর্থে সেট করে নিজেদের ভ্রান্ত দাবি প্রমানের অপচেষ্টা করেছে সমকামীরা । আফসস এদের জন্য যে এরা জেনে শুনে সত্য গোপন করে । সূরা আহযাব ৩৩:৪৬ আয়াতে বলা হচ্ছে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী ও আলোকদীপ্ত প্রদীপ হিসেবে । আয়াতটি খেয়াল করুন আল্লাহ নবীজিকে তাঁর পথে আহ্বান করতে বলছেন এখানে নবী হলেন আলো আর এই আলো দানকারী হলেন আল্লাহ । এতটুকু একটি ছোট শিশুও বুঝবে । আরও মজার কথা হল সুরা আহযাব ৩৩:৪৬ এই "ওয়া সিরাজাম মুনিরা" আয়াতের এখানে যে চাঁদের আলোর অথবা সূর্যের আলো বুঝানো হয়েছে এটার পক্ষে কিন্তু সমকামীরা একটি প্রমানও দেয়নি । কারন আপনারা যদি তাফসীরে দেখেন স্পষ্ট বুঝে যাবেন যে সমকামীরা আসলে কোথায় তথ্য চুরি করেছে , আমি সেগুলা এখনই লিক করে দিব ইনশা আল্লাহ। শেষপর্যন্ত সত্যর জন্য পড়তে থাকুন পাঠক ।
নবীজি (সা) কে "ওয়া সিরাজাম মুনিরা" অর্থাৎ উজ্জ্বল প্রদীপরূপে" যে উদ্দেশে বলা হয়েছেঃ
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ, সূরা আহযাব ৩৩:৪৬ এর "ওয়া সিরাজাম মুনিরা" অর্থাৎ উজ্জ্বল প্রদীপরূপে বলতে আসলে রাসুল (সা) কে প্রদীপের সাথে তুলনা করার কারন হল প্রদীপ দ্বারা যেমন অন্ধকার দূর হয় অনুরূপ নবী (সা) এর দ্বারাও কুফর ও শিরকের অন্ধকার দূর করা হয়েছে । তাই রাসুল (সা) কে উজ্জ্বল প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ।
তাফসীরে জালালাইন, ৫ খণ্ড, ১৬৪ পৃষ্ঠাঃ "সিরোজা" অর্থ প্রদীপ । "মুনিরা" অর্থ জ্যোতিষ্মান , রাসুল (সা) এর অন্যতম গুণ ও বৈশিষ্ট এই যে , তিনি জ্যোতিষ্মান প্রদীপ বিশেষ । আবার কিছু মনীষী "সিরোজাম মুনিরো" এর মর্মার্থ কুরআনে পাক বলে উল্লেখ করেছেন । কিন্তু কুরআনে পাকের বর্ণনা ধারা প্রকাশভঙ্গি দ্বারা একথাই বোঝা যায় যে এটা হযরত রাসুলে করীম (সা) এর বৈশিষ্ট ও গুণ বিশেষ । সমসাময়িক কালের বায়হাকী বলে খ্যাত প্রখ্যাত মুফাসসির কাযী সানাউল্লাহ (রহ) "তাফসীরে মাযহারীতে" ফরমান যে তিনি রাসুলে করীম তো প্রকাশ্যভাবে ভাষার দিক দিয়ে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী । আর অভ্যন্তরীণ ভাবে হৃদয়ের দিক দিয়ে তিনি প্রদীপ্ত ও জ্যোতিষ্মান বাতি বিশেষ অর্থাৎ যেমনিভাবে গোটা বিশ্ব সূর্য থেকে আলো সংগ্রহ করে, তেমনইভাবে সমগ্র মুমিনের হৃদ্যয় তাঁর অন্তর রশ্মি দ্বারা উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে ।
তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন, ১৬ খণ্ড, ১৬৭ পৃষ্ঠাঃ আল্লাহ তা'লার অনুমতিক্রমে তুমি হচ্ছো আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও (হেদায়েতের) এক সুস্পষ্ট প্রদীপ ।
তাফসীরে মাযহারী, ১ খণ্ড, ৫১৭ পৃষ্ঠাঃ এখানে উজ্জ্বল প্রদীপ বলে বুঝানো হয়েছে রাসুল (সা) কে । অর্থাৎ পথভ্রষ্টতার ঘোর অন্ধকারে হেদায়েতের সমুজ্জ্বল প্রদীপ ।
পাঠক তথ্য প্রমান নিজেরা পড়েই আশা করি বুঝে গিয়েছেন যে উপরের মুনিরা দ্বারা প্রতিফলিত নয়, এই অর্থ প্রমাণিত হচ্ছে না বরং প্রতিফলিত আলোই প্রমান করছে কারন নবীজি হলেন উজ্জ্বল প্রদীপ আর এই উজ্জ্বল প্রদীপের স্রষ্টা হলেন আল্লাহ সুতরাং মুনির শব্দের অর্থ যৌক্তিকভাবেও প্রতিফলিত আলোই বুঝা যায় ।
প্রশ্নের শেষের দিকে আরেকটি বাচ্চাসুলভ কথা বলেছে সমকামীরা । কেউ যদি কিছু অনুবাদ না করে এটার মানে এই হয় না যে সেটার আর কোন অনুবাদ হতে পারে না সুতরাং কোন অনুবাদক যদি চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো এই কথা নাও বলে তাহলেও প্রমান হয় না যে চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো নয় । Sahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং (reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ > প্রশ্ন হচ্ছে এই অনুবাদ যে ভুল অনুবাদ সেটি কোন তাফসীরকারক বলেছেন ? অথবা কোন মুসলিম স্কলার বলেছেন যে এটি ভুল অনুবাদ ? এর কোন উত্তর সমকামীরা দেয়নি তাহলে পরিস্কার বুঝাই যাচ্ছে যে তাদের ভ্রান্ত দাবির বিপক্ষে গেছে বলে তারা এই সঠিক অনুবাদকে ভুল বলছে অথচ এর পক্ষে কোন প্রমান তারা দেয়নি সুতরাং অনুবাদ অবশ্যই সঠিক ।
এই অনুবাদ সঠিক ধরে নিলে নাকি কুরআনের অনুবাদ করলে ২৪ নং সুরা নুর এর ৩৫ নম্বর আয়াত এর ইংরেজি অনুবাদ দাড়ায়, Allah is the (Reflected Light) of the heavens and the earth বাংলা অনুবাদ দাড়ায় “আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো” ( নাউজুবিল্লাহ)। প্রশ্ন হচ্ছে এই অনুবাদ কে করেছে ? কোন তাফসীরকারক করেছে ? আমি আগেও বলেছি আল্লাহর একটি নাম হল নুর কিন্তু এই নুরের অর্থ প্রতিফলিত হবে না কারন যদি এখানে প্রতিফলিত ধরা হয় তাহলে তা কুরআনের বিপক্ষেই যায় অর্থাৎ আল্লাহর মত কেউই নন। আমি বুঝাতে চাচ্ছি চাঁদের নুর আর আল্লাহর নুর এক নয় আলাদা , মানে চাঁদের নুর প্রতিফলিত আর আল্লাহর নুর আল্লাহ স্বয়ংই তিনি কারো থেকে ধার করেনি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নাস্তিকরা সূরা নুরের ৩৫ আয়াত সম্পূর্ণ বর্ণনা করেনি বরং অর্ধেক দেখিয়েছে যা পরিস্কার জালিয়াতির অংশ কারন আল্লাহ নিজেই কুরআনে বলেছেন সুরা নুর ২৪:৩৫ = আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। এই আয়াত হতে বুঝা যাচ্ছে যে আল্লাহর জ্যোতি কারো থেকে নেয়া নয় বরং স্বয়ং তাঁর নিজেরেই। যেখানে কুরআন স্পষ্ট আল্লাহর নুরের অর্থ বর্ণনা করেছে সেখানে সমকামীদের অনুবাদ কোন ভিত্তি রাখে না , এটি তো স্পষ্টই ।
পরিশেষে পাঠকদের বলব আপনারা নিজেরাই সকল তাফসীর চেক করেন আমার মত আপনারাও অবাক হবেন যে কিভাবে এই ইসলাম বিদ্বেষী সমকামীরা তথ্য চুরি করে আমাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে । আমি কুরআন ও তাফসীর থেকে প্রমান দিব যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয় অথচ এসব তথ্য তারা তাদের লেখায় বিন্দুমাত্র আনে নি এরমানে হল তারা সত্যকে ভয় পায় এবং মানুষ যেন সত্য জানতে না পারে এটাই তারা চায় । ঘৃণা লাগে এমন প্রাণীদের যারা সত্য লুকায় ও হজম করতে পারে না ।
🛑প্রশ্নঃ ৫ = চাঁদের আলো নিজস্ব নাকি ধার করা আলো, নাস্তিক ধর্ম কি বলে ?
উত্তরঃ নাস্তিক ধর্ম চাঁদ নিয়ে ডিল করে না, এমনকি চাঁদের আলো তার পার্সোনাল আলো নাকি সূর্যের থেকে কর্য করা আলো এটি নিয়েও "নাস্তিক ধর্ম' ডিল করে না । সমকামীদের দাবি হল "ইসলাম বলে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো" এই দাবিটিও নাস্তিক ধর্মের আলোকে বিশ্বাস করা যাবে না। নাস্তিক ধর্মের ফতোয়ার আলোকেই এই কথা প্রমাণিত । কারন আমরা জানি বিখ্যাত নাস্তিক ধর্ম প্রচারক হুমায়ূন আজাদ স্যার তার বিখ্যাত "আমার অবিশ্বাস" কিতাবের ভূমিকার শেষের দিকে ফতোয়া দিয়েছেন যে > মানুষের জন্যে যা ক্ষতিকর , সেগুলোর শুরুতেই রয়েছে বিশ্বাস, বিশ্বাস সত্যের বিরোধী, বিশ্বাসের কাজ অসত্যকে অস্তিত্বশীল করা , বিশ্বাস থেকে কখনো জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না, জ্ঞানের বিকাশ ঘটে অবিশ্বাস থেকে, প্রথাগত সিদ্ধান্ত দ্বিধাহীনভাবে না মেনে তা পরীক্ষা করার উৎসাহ থেকে। সুতরাং নাস্তিকদের ঐ দাবি আমরা অবিশ্বাস করলাম । শুধু তাই নয় "আমার অবিশ্বাস" কিতাবে ১৭ পৃষ্ঠায় আরও ফতোয়া বলা হচ্ছে যে তবে সব কিছুই নিরর্থক, জগত পরিপূর্ণ নিরর্থকতায় , ...... কারন সব কিছুরই পরিনতি বিনাশ । সুতরাং এই সহিহ ফতোয়ার আলোকেও অনলাইনের সস্তা সমকামীদের দাবি অর্থহীনই নয় বরং ভিত্তিহীন নিশ্চিত প্রমাণিত হয়েছে। তাই কেউ যদি অনলাইনে অথবা বাস্তব জীবনে নিজেকে বিশুদ্ধ 'নাস্তিক' বলে দাবি করতে চায় তাহলে তাকে চাঁদ নিয়ে কোন কথাই বলা যাবে না । এটাই নাস্তিক ধর্মের শিক্ষা > যা ফতোয়ার আলোকে প্রমাণিত ।
🆗➡️=> চাঁদের আলো তার পার্সোনাল আলো নয় বরং সূর্যের থেকে ধার করা আলো সেসবের শক্তিশালী প্রমানঃ
* তাফসীরে মাযহারী, ৫ খণ্ড, ৫৬৬ পৃষ্ঠাঃ সূরা ইউনুস ১০:৫ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে যে প্রথমোক্ত আয়াতের মর্মার্থ হচ্ছে। আল্লাহ তা'লাই সূর্যকে করেছেন তেজস্কর এবং চন্দ্রকে করেছেন সেই তেজস্কর সূর্যের আলোকে আলোকিত। আর তাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন কক্ষপথ । > এখানে চাঁদকে দিপ্তময় যে আরবি শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে সেটি হল "দিয়াআ ওয়াল ক্কমার" এটার অর্থ হবে ধার করা আলো অথবা চন্দ্রকে করেছেন সেই তেজস্কর সূর্যের আলোকে আলোকিত । তাফসীর তাই স্পষ্ট বলছে । সুতরাং স্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয় বরং ধার করা আলো।
* সূরা নূহ ৭১: ১৬ = সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে। এখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোকরূপে আরবি শব্দ হল নুর । কুরআনে শব্দবচনের দিক থেকে অর্থগত দিক দিয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ করে যে চাঁদের আলো প্রতিফলিত কারন Arabic (نُورًا) = Light/A Reflected light। চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলোই প্রমান হছে ।
প্রমানঃ https://www.almaany.com/en/dict/ar-en/%D9%86%D9%88%D8%B1
* তাফসীরে আহসানুল বয়ান, পৃষ্ঠা ৬৩৭, সূরা ফুরকান ২৫:৬১ আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বীকার করা হয়েছে যে সূরা ইউনুসের ৫ নং আয়াতের মত এ আয়াতেও প্রমান হয় যে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই । সুতরাং বিজ্ঞানের এ কথা বহু আগেই কুরআনে প্রমাণিত হয়েছে। এখানে আরবি "মুনির" শব্দের অর্থ যে ধার করা উজ্জ্বল আলো সেটি স্পষ্ট স্বীকার করা হয়েছে ।
* সূরা আরাফ ৭:৫৪ = আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর আদেশের অনুগামী সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি । জেনে রাখো সৃষ্টি ও আদেশ তাঁরই। খেয়াল করুন যেহেতু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি। এই সুত্র থেকে সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এই সিস্টেমও আল্লাহ তৈরি করেছেন অতএব এ আয়াতও আমাদের ইশারা দিচ্ছে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয়। এবং এই সৃষ্টি আল্লাহর এবং আদেশও আল্লাহর। আয়াতে সূর্য , চাঁদ ও নক্ষত্র ইত্যাদির যে আল্লাহর হুকুমে চলে অর্থাৎ একটি নিয়মে আছে সেটা ইঙ্গিত দিচ্ছে আর আমরা জানি চাঁদ সূর্য থেকে আলো পায় এই সিস্টেমের বাইরে তারা যেতে পারে না তাহলে যৌক্তিক দৃষ্টিতে বুঝা যাচ্ছে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো না কারন এই নিয়ম আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন।
* তাফসীরে মাযহারী, ৮ খণ্ড, ৫৭০ পৃষ্ঠা = সূরা ফুরকান ২৫:৬১ আয়াতের ব্যাখ্যায় "সিরাজান" অর্থ আলোকময় প্রদীপ, অর্থাৎ সূর্য । যেমন এক আয়াতে বলা হয়েছে "ওয়া জাআ'লাশ শামসা সিরাজা" । ক্বারী কুসাই এবং ক্বারী হামযার কেরাতে উচ্চারিত হয়েছে শব্দটির বহুবচনরুপ "সুরুজান" । সুরুজান উচ্চারন করলেও এখানে শব্দটির অর্থ হবে সূর্য । অন্যান্য তারকা ও চন্দ্র এর অন্তর্ভুক্ত হবে না । আর চন্দ্র তো নিজস্ব আলোকে আলোকময় নয় । সূর্যের আলোতেই সে আলোকময়রুপ দৃষ্ট হয় । আর এখানে চন্দ্রের উল্লেখও এসেছে আলাদাভাবে বলা হয়েছে = "ওয়া কামারাম মুনীরা" এবং জ্যোতির্ময় চন্দ্র । সরাসরি নিশ্চিত যে চাঁদের তার আলো নিজস্ব আলো নয় ।
* সূরা ইবরাহীম ১৪:৩৩ = তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা একনিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাদের কাজে লাগিয়েছেন। এই আয়াত পরোক্ষ ভাবে স্বীকার করছে যে সূর্যের থেকে চাঁদ আলো গ্রহন করে । সেটি কিভাবে ? সহজ উত্তর হল সূর্য এবং চাঁদ আমাদের জন্য কি সেবা করছে প্রথমে এটা জানা । আমরা জানি চাঁদ সূর্য থেকে আলো নিয়ে আমাদেরকে রাতে সেটি প্রদান করে এই দিক থেকে চাঁদ আমাদের সেবা করছে । যদি চাঁদের এই আলো নেয়ার সিস্টেম না থাকতো তাহলে তো চাঁদ আমাদের সেবাও করতো না, মানে আলো দিতে পারতো না। এ ছাড়াও আরও উপকার করে যেমন সুরা বাকারা ২:১৮৯ = তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। আয়াতেই স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে আল্লাহ আমাদের সেবার জন্য সূর্য ও চাঁদকে এক নিয়মে সৃষ্টি করেছেন এখন "চাঁদ সূর্য থেকে আলো নেয়" এটিও একটি নিয়মের মধ্যেই আছে । তাছাড়া আরবি শব্দ "দায়িইবাইনি" যার অর্থ যারা প্রতিনিয়ত একই নিয়মের অনুবর্তী । সুতরাং কুরআনের এই আয়াত সরাসরি পরোক্ষ স্বীকার করছে যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয় বরং সূর্য থেকে ধার করা আলো ।
* সূরা নাহল ১৬:১২ = আল্লাহ রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে তোমাদের জন্য কাজে লাগিয়েছেন । তারকারাও তাঁর নির্দেশে কাজে নিয়োজিত । এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে । পাঠক খেয়াল করুন এখানে বলা হচ্ছে বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য এখানে নিদর্শন আছে। বুদ্ধিমান মানুষ অবশ্যই বুঝে গেছে যে এখানে নিদর্শন সমূহ আসলে কি ? অনেক নিদর্শন এখানে আছে তবে অন্যতম নিদর্শন হল সূর্য যে চাঁদকে আলো প্রদান করে এটা আমরা আজকে জানতে পেরেছি কিন্তু এই কথা অনেক আগেই কুরআন আমাদেরকে জানিয়ে রেখেছে। এটা অবশ্যই অবাক করার মত কথা যে নবীজি (সা) এই সঠিক তথ্য কিভাবে জানলেন যদি না তাঁকে আল্লাহ জানায় ? এই আয়াতকেও আমরা প্রমান হিসেবে নিতে পারি যে চাঁদের আলো সূর্য থেকে ধার করা আলো ।
* সুরা আম্বিয়া ২১:৩৩ = তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র । সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে । প্রশ হচ্ছে চাঁদ সূর্যের থেকে আলো নেয় এই সিস্টেমও কি চাঁদের এক প্রকার কক্ষপথ নয় ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ । সুতরাং চাঁদ চাঁদের কক্ষপথে চলে এমনকি চাঁদ যে সূর্য আলো ছাড়া আলো পায় না অর্থাৎ চাঁদ সূর্যের মুখেপেক্ষি তাই এটিও চাঁদের এক প্রকার কক্ষপথ বা সিমানা । এখান থেকেও প্রমান হয় যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয়। চাঁদের আলো যদি নিজস্ব আলো বলা হয় তাহলে কুরআন ভুল হয় আর কুরআন তো আমাদের সবসময় সত্য কথাই বলে । আর কুরআনে কোন ভুল নেই এটার আরেক প্রমান হল সমকামীরা অনেক অচেষ্টা করেও কুরআনের মাত্র একটি ভুলও এখন পর্যন্ত প্রমান করতে পারেনি ।
* সুরা লুকমান ৩১:২৯ = তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। এখানেও একই বিষয় যে অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য কাজে নিয়োজিত এখানে সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এই কাজেও তারা নিয়োজিত ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ । তাহলেও এই আয়াতও প্রমান করছে যে চাঁদের আলো সূর্য থেকে নেয়া আলো কারন তারা এই সিস্টেমে বন্দী অর্থাৎ তারা এই কাজেও নিয়োজিত ।
* সুরা ফাতির ৩৫:১৩ = তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রশ্ন হল সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এটি কি একটি কাজ ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ । তাহলে এই কাজও ঐ আয়াতের মধ্যে পরে অর্থাৎ এই আয়াতও প্রমান করছে চাঁদের আলো ধার করা আলো এটিও চাঁদের কাজ আর সূর্যের কাজ হল চাঁদকে আলো দেয়া এই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বর্ণনা খুবই সহজ ।
* সূরা ইয়াসিন ৩৬:৪০ = সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। খেয়াল করুন এখানে সূর্য আর চাঁদের কক্ষপথ বর্ণনা করা হয়েছে অর্থাৎ কেউ কারো নিয়ম ভাঙ্গে না এমনকি পরোক্ষ ভাবে সূর্য থেকে যে চাঁদ আলো পায় এটাও তাদের এক প্রকার কক্ষপথ বা সিস্টেম এখন এই সিস্টেমও তারা লঙ্ঘন করতে পারে না এখানেও পরোক্ষ ভাবে স্পষ্ট যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব নয় কারন চাঁদ সূর্য থেকে আলো নেয় এবং এই কক্ষপথের বাইরে নয় চাঁদ।
* সুরা যুমার ৩৯:৫ = তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১৬ খণ্ড, ৩০১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে যে আল্লাহ তা'লা সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মাধীন করেছেন । প্রত্যেকেই এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত পরিক্রমণ করবে । খেয়াল করুন সূর্য ও চন্দ্র একে অপরের নিয়মাধীন করা এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এটি কি একটি নিয়ম বা সিস্টেম নয় ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। আর সূর্য ও চাঁদের অনেক কাজ আছে প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য যে চাঁদকে আলো দেয় এটি কি কাজ ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ । এই আয়াতের সুত্র আমাদেরকে ইঙ্গিত করছে যে চাঁদের আলো নিজস্ব নয় ।
* সুরা হামীম সিজদা/ফুসসিলাত ৪১:৩৭ = আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সেজদা কর, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন। একটি আরবি শব্দ আছে "খোলাক্কো হুন্না" অর্থ হল তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন । আমরা জানি যে মহাবিশ্বের সকল কিছুই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এমনকি সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এই সিস্টেমও "এগুলো সৃষ্টি করেছেন" এর মধ্যে "চাঁদ সূর্য থেকে আলো পায়" এই সিস্টেমও আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন । তাহলে এই আয়াতও আমাদেরকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত করে যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয় এই শব্দও উক্ত আয়াতের সাথে মিলে যাচ্ছে । সুতরাং কুরআন আমাদেরকে সত্য তথ্যই দিচ্ছে ।
* সুরা আর-রহমান ৫৫:৫ = সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে। এই আয়াতের একটি আরবি শব্দ উচ্চারন হল "বিহুসবান" অর্থ একটি হিসাব অনুসরণ করেই চলে । তাহলে এই অর্থ আমাদেরকে ইশারা করছে যে সূর্য চাঁদকে আলো দেয় অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব আলো নেই আর এটি হল একটি সিস্টেম এটি অনুসরণ করতে চাঁদ ও সূর্য বাধ্য । তাই এই আয়াত থেকেও সহজেই ফলাফল উপনীত হয় যে চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো।
* তাফসীরে ফতহুল মাজীদ, সূরা ইউনুস ১০:৫ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে যে চাঁদকে বলা হচ্ছে মুনির, কামার যার অর্থ স্নিগ্ধ আলো দানকারী । তাছাড়া চাঁদ হচ্ছে একটি নিষ্ক্রিয় জিনিস , যা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে , চাঁদের এ বৈশিষ্টের সাথে কুরআনের বর্ণনা হুবহু মিলে যায় । ....মুনির দ্বারা বুঝা যায় যে কুরআন সূর্যের আলো এবং চন্দ্রের আলোর পার্থক্যকে স্বীকার করে । এরুপ আয়াত সূরা ফুরকানের ৬১ নং এবং সূরা নুহের ১৬ নং এ উল্লেখ রয়েছে । সুতরাং চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো, যা বর্তমান বিজ্ঞান প্রমান করেছে অথচ কুরআন তা ১৪০০ বছর পূর্বেই প্রমান করেছে।
* তাফসীরে জালালাইন ৭ খণ্ড, ২০১ পৃষ্ঠায় উক্ত আয়াত তথা সূরা কিয়ামাহ ৮ নং আয়াতে কিয়ামতের ধ্বংসলীলা সম্পর্কে বলা হয়েছে । আল্লাহ তা"লা বলেন কেবল চন্দ্রই আলোকহীন হবে না বরং সূর্যও আলোকহীন হয়ে পড়বে । এ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকগনের অভিমত হলো চন্দ্রের আলোক সূর্য হতে এসে থাকে। চন্দ্রের নিজস্ব কোন আলো নেই । সুতরাং যখন চন্দ্র আলোকহীন হবে, সূর্যও আলোকহীন হয়ে পড়া আবশ্যক আর চন্দ্র ও সূর্য উভয় সেদিন একত্র হয়ে যাবে। এই তাফসীরেও কিন্তু স্বীকার করা হয়েছে যে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো নয়।
* তাফসীরে মাযহারী, ১২ খণ্ড, ১২৪ পৃষ্ঠা । সূরা নুহ ১৬ আয়াতে বলা আছে চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোরূপে আর সূর্যকে করিয়াছেন প্রদীপরূপে । এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে লক্ষণীয়, এখানে চাঁদকে বলা হয়েছে আলো, জ্যোতি আর সূর্যকে বলা হয়েছে প্রদীপ । এতে করে একথাটিই প্রতীয়মান হয় যে, চাঁদ আলো গ্রহন করে সূর্য থেকে । কারন আলো পাওয়া যায় প্রদীপ থেকেই।
* তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন, ২১ খণ্ড, ১৪৪ পৃষ্ঠায় সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে এবং অনুবাদ করা হয়েছে যে সূরা নুহ ১৬ আয়াতের অনুবাদ করা হয়েছে যে কিভাবে এর মাঝে তিনি চাঁদকে আলো (গ্রহণকারী) ও সূর্যকে (আলোদানকারী) প্রদীপ বানিয়েছেন।
🧐আমাদের মুক্ত প্রশ্ন সমূহঃℹ️
১/ চাঁদের আলো নিজস্ব আলো নাকি কর্য করা আলো এসব নিয়ে কি 'নাস্তিক ধর্ম' ডিল করে ? যদি ডিল করে তাহলে কেন ডিল করে আর যদি ডিল না করে তাহলে কেন ডিল করে না ? কোন নাস্তিক এই প্রশ্নের উত্তরে যে ব্যাখ্যা দিবে সেটি কি বিশ্বাস যোগ্য হবে ? কারন বিশ্বাস করা 'নাস্তিক ধর্মে' এক প্রকার ভাইরাসই নয় শুধু হারাম ?
২/ চাঁদ সূর্য থেকে আলো পায় এই সিস্টেম শুন্য থেকে কেন সৃষ্টি হল ? উল্টা সিস্টেম কেন শুন্য থেকে হতে পারলো না ? নাস্তিক ধর্মের আলোকে সমাধান দিন , আপনি যেই সমাধান দিবেন সেটি কি বিশ্বাস যোগ্য আর বিশ্বাস করা তো নাস্তিক ধর্মে হারাম তথা ভাইরাস ?
৩/ "নুর" অর্থ ধার করা আলো নয়, চাঁদের ক্ষেত্রে" কুরআন, সহিহ হাদিস , তাফসীরকারক , মহাদ্দিস , হাদিসবেত্তাগণ থেকে প্রমান করুন ?
৪/ আল্লাহর একটি নাম নুর এই হিসেবে চাঁদের নুরও যে প্রফলিত আলো নয় সেটার ব্যাখ্যা কোন হাদিস ব্যাখ্যাকারক অথবা তাফসীরকারকগণ করেছেন ? তাদের থেকে একটি প্রমান দিন , পারবেন ?
৫/ সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৮ = আর চাঁদ কিরণহীন হবে। এই আয়াতে কোথায় বলা হচ্ছে যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো ? এই ব্যাখ্যা কোন মুসলিম গবেষক দিয়েছেন ? তার নাম কি ? তার এই কথায় কি সকল গবেষকগণ ইজমা প্রকাশ করেছেন ?
৬/ চাঁদকে কিয়ামতের দিন আগে আলোকহীন করা হবে এরপরে সূর্যকে এখান থেকে কিভাবে প্রমান হয় যে "চাঁদের আলো নিজস্ব আলো"?
৭/ "কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে" এই হাদিসে কি দাবি করা হচ্ছে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে ? বরং এই হাদিসে তো উল্টা প্রমান হচ্ছে যে চাঁদের আলো নিজস্ব নয় কারন কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে এরমানে এখন গুটানো হচ্ছে না অর্থাৎ এখন সব ঠিক আছে এমনকি সূর্য চাঁদকে আলো দেয় এই সিস্টেমও তাই এই হাদিস থেকে তো প্রমান হচ্ছে যে চাঁদের আলো নিজস্ব নয় এটার সমাধান নাস্তিক ধর্ম কি দিবে নাকি 'নাস্তিক ধর্ম' ডিল করে না ?
৮/ মুনির অর্থ প্রতিফলিত আলো নয় এই অর্থ কে করেছে ? অথবা কোন ডিকশনারিতে আছে ?
৯/ Sahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং (reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ > প্রশ্ন হচ্ছে এই অনুবাদ যে ভুল অনুবাদ সেটি কোন তাফসীরকারক বলেছেন ?
১০/ নবীজি (সা) কিভাবে জানতে পারলেন যে চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো না ?
১১/ জাকির নায়েক স্যার মোটেও ভুল তথ্য দেননি বরং তিনি সঠিক তথ্য দিয়েছেন,আর ইসলাম বিদ্বেষী সমকামীরা তাকে নিয়ে হিংসা করে তাই তার নামে মিথ্যাচার।প্রশ্ন হল এসব নিয়ে মিথ্যাচার করে লাভ কি ? সত্য ও মিথ্যা কেন গুরুত্বপূর্ণ যদি এই দুনিয়ার মৃত্যুই শেষ পরিনতি হয় নাস্তিক ধর্মের আলোকে সমাধান দিন?
১২/ তাফসীরে মাযহারী, ৫ খণ্ড, ৫৬৬ পৃষ্ঠাঃ সূরা ইউনুস ১০:৫ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে চাঁদ আলো পায় সূর্য থেকে এই ব্যাখ্যাকে অন্য যে কোন তাফসীর দিয়ে ভুল প্রমান করুন সরাসরি, পারবেন ?
১৩/ তাফসীরে আহসানুল বয়ান, পৃষ্ঠা ৬৩৭, সূরা ফুরকান ২৫:৬১ আয়াতের ব্যাখ্যা স্বীকার করা হয়েছে চাঁদের আলো ধার করা আলো, এই ব্যাখ্যা অন্য যে কোন তাফসীর থেকে ভুল প্রমান করুন সরাসরি , পারবেন ?
১৪/ তাফসীরে মাযহারী, ৮ খণ্ড, ৫৭০ পৃষ্ঠা = সূরা ফুরকান ২৫:৬১ আয়াতের ব্যাখ্যায় স্বীকার করা হয়েছে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো নয় এখন এই ব্যাখ্যা সরাসরি ভুল প্রমান করে দেখান, যে কোন তাফসীর থেকে পারবেন ?
১৫/ তাফসীরে ফতহুল মাজীদ, সূরা ইউনুস ১০:৫ আয়াতের ব্যাখ্যায় স্বীকার করা হয়েছে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো নয়, এই ব্যাখ্যা ভুল প্রমান করে দেখান, যে কোন তাফসীর থেকে, পারবেন?
১৬/ তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন, ২১ খণ্ড, ১৪৪ পৃষ্ঠায় সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে চাঁদ আলো গ্রহন করে আর সূর্য আলো দেয়, এখন এই অনুবাদ ভুল প্রমান দেখান যে কোন তাফসীর থেকে, পারবেন ?
১৭/ তাফসীরে মাযহারী,১২ খণ্ড,১২৪ পৃষ্ঠা।সূরা নুহ ১৬ আয়াতে ব্যাখ্যা স্বীকার করা হয়েছে চাঁদের আলো নিজস্ব আলো নয়, এই ব্যাখ্যা ভুল করে দেখান সরাসরি , যে কোন তাফসীর থেকে পারবেন ?
১৮ / তাফসীরে জালালাইন ৭ খণ্ড, ২০১ পৃষ্ঠায় উক্ত আয়াত তথা সূরা কিয়ামাহ ৮ নং আয়াতে পরোক্ষভাবে স্বীকার করা হয়েছে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই , এখন এটি যে কোন তাফসীর থেকে ভুল প্রমান করে দেখান , পারবেন ?
১৯/ আমি যে সমকামীদের বলছি তাফসীর থেকে ভুল প্রমান করতে, আসলে নাস্তিক ধর্ম কি তাফসীর নিয়ে ডিল করে ?
২০/ 'নাস্তিক ধর্মের' গুরুত্বপূর্ণ আকিদা হল এই জীবনই শেষ তাহলে নাস্তিক ধর্ম দিয়ে সত্য প্রমান করলেই কি অথবা মিথ্যা প্রমান করলেই বা কি , যেখানে আমাদের শেষ পরিনতি মৃত্যু ! নাস্তিক ধর্ম দিয়ে কি উপরের সব প্রশ্ন সমাধান করতে পারবেন আপনারা ?

Related Posts

: