করোনা ভাইরাসঃ স্রস্টা কি এখানে প্রশ্নবিদ্ধ ?

Post a Comment

🧐বিষয়ঃ করোনা ভাইরাসঃ স্রস্টা কি এখানে প্রশ্নবিদ্ধ ?
✍️লিখেছেনঃ এম ডি আলী
আমি করীম, পাশের সিটেই বসে আছে আবার খুব কাছের এক বন্ধু, নাম রুহুল আমীন । আমি ওকে সিরাজি বলেই ডাকি । ওর পাশেই বসে আছেন আরেক ভদ্র লোক, নাম আশোক চন্দ্র দাস । সিরাজি মাদ্রাসা পড়ুয়া ,এক কথায় সে আলেম আমরা যাকে মাওলানা বলে চিনি আরকি, সে মাওলানা হওয়া সত্ত্বেও এখন সে দর্শন নিয়েও পড়াশোনা করছে । বিভিন্ন বিষয় পড়াশোনার ব্যাপারে ওর আগ্রহ ব্যাপক । হাদিসে আছে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জ্ঞান অর্জন ফরজ (১) । আমার মনে হয় ও এই হাদিসের উপরই আমল করার নিয়তে সে অনেক জ্ঞান পিপাসু । মিনারের থেকে শুনেছিলাম অনেক সংশয়বাদী নাকি সিরাজীর সাথে কথা বলে তাদের সেই দুর্বল ভ্রান্ত আকিদা থেকে ফিরিয়ে এনে তওবাও করিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ এবং তারা সত্য জীবন বিধানকে স্বীকার করে গ্রহন করেছে ।
তো যাই হোক, চারদিকে করোনার ছলনা কিছুই যে ভাল লাগে না । উফ মানুষ আতংকিত, আমি আবার ভয়-টয় পাই না - আল্লাহ যা রেখেছেন তাই হবে - বললাম সিরাজিকে । ও আমাকে বলল, তাই বলে যে তুই সচেতন থাকবি না, সেফ থাকবি না সেটি কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয় না । নিজে সচেতন হবো এবং সাথে সাথে তাওয়াক্কুলও করবো এটাই ইসলামের শিক্ষা । (২)
সিরাজির পাশে থাকা লোকটি বলল, আচ্ছা ভাই আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি ?
জি ভাই অবশ্যই - বলল সিরাজি ।
এই যে বর্তমানের মহামারী "করোনা ভাইরাস" আল্লাহ কেন এই ভাইরাস দিয়েছেন ? তিনি কি এই ভাইরাস থামাতে পারেন না ?
আচ্ছা ভাই আপনার নাম কি ? প্রশ্ন করল সিরাজি ।
আশোক চন্দ্র দাস, নাম বললেন লোকটি তার । সাথে এও বললেন যে তিনি নাকি সংশয়বাদী আর ধর্মটর্ম তার নাকি ভাল লাগে না ।
দাদা আমি যদি আপনাকে নাস্তিক্যধর্মের অনুসারি বলি এটি কি ভুল হবে ? সিরাজি বলল ।
আপনি কেন আমাকে এটি বলবেন কারন নাস্তিক্যবাদ কোন ধর্ম না । দাদা বললেন ।
অবশ্যই ভুল হবে না কারন সংশয়বাদী আর নাস্তিক্যধর্ম একই যদিও শাব্দিক কিছু ভিন্নতা রয়েছে , ব্যাখ্যা রয়েছে, এই সত্য কথাটি অনেক নাস্তিক স্বীকারই করতে চায় না । আপনিও হয়ত স্বীকার করতে চাচ্ছেন না কিন্তু যৌক্তিক দৃষ্টিতে এবং বিশুদ্ধ প্রমানের আলোকেই এবং এর সাথে আমার বাকস্বাধীনতার অধিকারে আমি অবশ্যই এই সত্য বলবো যে নাস্তিক্যবাদ যেহেতু নাস্তিকরা ধারন করে তাই নাস্তিক্যবাদকে আমি অবশ্যই নাস্তিক্যধর্ম বলতেই পারি।
সিরাজি নাস্তিক্যধর্ম বুঝিয়ে দিতেই যাবে এমন সময় ওর কথা কেড়ে নিয়ে দাদা বললেন আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম সেটার উত্তর দিন ।
সিরাজি বলল আমি সেই উত্তরের দিকেই এগুচ্ছিলাম । দেখুন আপনি আসলে একটি প্রশ্ন করেননি, প্রশ্ন করেছেন দুটি । আমি আপনার দুটিরই জবাব দিব । আপনি প্রশ্ন করেছেন আল্লাহ কেন এই করোনা ভাইরাস দিয়েছেন ? আপনি যদি কুরআন পড়তেন তাহলে এই সহজ প্রশ্নের উত্তর সহজেই পেয়ে যেতেন ।
কুরআনে বলা আছে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরিক্ষা করবেন (৩) । এই আয়াতের ব্যাখ্যা যদি আপনি দেখেন (৪)। আপনি পাবেন এই আয়াতে আসলে মুমিনদের পরিক্ষার কথা বলা আছে আর সাথে আয়াতের শেষে কিভাবে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে সেটাও বলে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ এসব পরিক্ষায় কোন মুমিন যদি পাশ করতে চায় তাহলে তাকে সবর করতে হবে ।
আশোক দাদা প্রশ্ন করলেন সবর মানে কি ?
সিরাজি হাঁসি দিয়ে বললেন সবর মানে ধৈর্য ধারন করা।
পক্ষান্তরে অমুসলিমদের জন্য কুরআনে বলা হয়েছে যে তারা প্রতি বছর একবার কিংবা দুবার বিপদগ্রস্ত হয় , এরপরেও তারা তওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহন করে না (৫) । কুরআনে আরেক জাগায় বলা হয়েছে আল্লাহ অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তাদের অন্যায় অপরাধের জন্য (৬)
আশোক দাদা বললেন আপনাকে আমি প্রশ্ন করলাম আল্লাহ কেন করোনা ভাইরাস দিলেন আর আপনি মুসলিমদের পরিক্ষা আর অমুসলিমদের দিয়ে আমার প্রশ্নের জবাব দিলেন কেন ?
আসলে আমি আপনার প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই আরেকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি সেটি হচ্ছে অমুসলিমদের জন্য যদি গজব হয় তাহলে মুসলিমদের জন্য কেন করোনা ভাইরাস গজব হবে ? আসলে আল্লাহ যেমন অমুসলিমদের শাস্তি দেন যেন তারা ইসলামকে স্বীকার করে নেয় ঠিক তেমনি মুমিনদেরকেও পরিক্ষা করেন যেন মুমিনরা আরও মজবুত ভাবে ইসলাম মেনে চলে ।
ও আচ্ছা - আশোক দাদা ।
সিরাজি বলল দাদা এখন আসি আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে, আপনি প্রশ্ন করেছেন আল্লাহ কি এই করোনা ভাইরাস থামাতে পারেন না ? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই পারেন । কুরআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন আল্লাহ সব কিছুরই করার ক্ষমতা রাখেন (৭) । আবার আরেক আয়াতে বলেছেন আল্লাহর যা ইচ্ছা করেন (৮) । এসব আয়াত থেকে এটি সুস্পষ্ট যে করোনা ভাইরাস আল্লাহ ইচ্চা করলেই থামাতে পারেন, ধ্বংস করে দিতে পারেন কিন্তু যখন সময় হবেন তখন তিনি তাই করবেন - এটাই উত্তর ।
আশোক দাদা বললেন আমি তো ইসলামের কুরআনই মানি না , তাহলে আমাকে কুরআন দিয়ে জবাব দিয়ে কি লাভ ?
সিরাজি মুচকি হাঁসি দিয়ে বলল, আরে দাদা আপনি আল্লাহর সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন আর আমি কুরআন থেকে সেটার উত্তর দিয়ে দিলাম , ব্যাস সহজ হিসাব । "আল্লাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে কুরআন থেকে জবাব দেওয়া যাবে না"এই বিধান নাস্তিক্যধর্মে কবে আর কে আবিস্কার করেছে দাদা ?
দাদা আপনি কি জানেন এই করোনা ভাইরাসের কথা নবীজি (সা) আজ থেকে প্রাচীন যুগেই জানিয়েছেন আমাদেরকে ?
অসম্ভব এটি কখনোই হতে পারে না ? দাদা বললেন ।
আচ্ছা শুনুন তাহলে । হাদিসে আছে (৯) আমরা কিছু পরিক্ষার সম্মুখীন হবো যেমন যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। হাদিস কিন্তু স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে খারাপ কাজ বেশি হলে এমন রোগ হবে যে আগের লোকদের মাঝে তা কখনোই দেখা যায় নি । তাহলে এই যে "করোনা ভাইরাস" এটি কিন্তু আগের কেউই জানতো না এবং বর্তমানে অনেক বেশি পরিমানে অশ্লীলতা এবং অপরাধের কাজ বেশি হচ্ছে তাহলে আমরা যদি দাবি করি এই "করোনা ভাইরাসের" কথাই নবীজি ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়েছেন অথবা আরও যত মহামারী হয়েছে সেগুলোও এর মধ্যেই এসে যায়, তাহলে ভুল হবে কেন ? আরও মজার ব্যাপার নবীজি (সা) এসব কথা জানলো কিভাবে যদি না তাঁকে আল্লাহ জানায় ?
আশোক দাদা চিন্তা করছেন ! এই ফাঁকে সিরাজি, দাদাকে বলল আচ্ছা দাদা আপনি তো অন্ধ বিশ্বাসী নয় ?
একদম না , বললেন আশোক দাদা ।
আচ্ছা দাদা অন্ধ বিশ্বাস কাকে বলে ? দাদাকে প্রশ্ন সিরাজির
বিনা প্রমানে কোন কিছু বিশ্বাস করাকেই অন্ধ বিশ্বাস বলে । আত্মবিশ্বাসের সাথে দাদার জবাব ।
সিরাজি বলল আচ্ছা দাদা আপনি কি হুমায়ুন আজাদ সাহেবকে চিনেন ?
কেন চিনবো না তিনি তো আমার আইডল, বিশেষ করে তার আমার অবিশ্বাস বইটি পড়েই তো আমি সংশয়বাদী হয়ে গিয়েছি। দাদার মুখে হাঁসি ।
আচ্ছা দাদা আপনি কি নিজে কি "করোনা ভাইরাস" দেখেছেন অথবা ছুয়ে দেখেছেন ?
না ।
আপনি কি নিজে প্রমান করেছেন যে হ্যাঁ এটাই করোনা ভাইরাস ?
না ।
তাহলে আপনার কাছে বিন্দুমাত্র কোন প্রমান নেই আপনি স্রেফ মানুষের কথায় তাও বিনা প্রমানে বিশ্বাস করছেন যে আসলে "করোনা ভাইরাসের" জন্যই মানুষ মারা যাচ্ছে এটি কি এক প্রকার অন্ধ বিশ্বাস নয় নাস্তিক্যধর্মের আলোকে ? হ্যাঁ আপনি যখন নিজে প্রমান করবেন এবং দেখবেন সেটার আগ পর্যন্ত কিন্তু নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে আপনি একজন অন্ধবিশ্বাসী হচ্ছেন। এমন কি যত মানুষ এই "করোনা ভাইরাসকে" নিজে প্রমান না করছে তারা কিন্তু নাস্তিক্যধর্মের আলোকে অন্ধ বিশ্বাসী হচ্ছে ? কিন্তু এটি নিয়ে কোন কথিত মুক্তমনা নাস্তিক কিছুই বলছে না কেন ?
আশোক দাদা হয়ত কখনোই ভাবেননি এই টাইপের কথাও তাকে শুনতে হবে তাও এক হুজুরের কাছে । দাদা পুরাই নারভাস, আসলে কি উত্তর দিবেন তিনি খুজে পাচ্ছেন না হয়ত, কারন একটু আগে নিজেই বলেছেন বিনা প্রমানে বিশ্বাস করাকে অন্ধ বিশ্বাস বলা হয় ।
সিরাজি বলা শুরু করেছে আচ্ছা দাদা আপনি যে সংশয়বাদী এটি কি আপনি নিজে বিশ্বাস করেন ?
আশোক দাদা বলল এটি আবার কেমন প্রশ্ন ! হ্যাঁ আমি সংশয়বাদী এটি তো আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি ।
সত্য কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা । আচ্ছা দাদা আপনি কি জানেন হুমায়ুন আজাদ সাহেব "বিশ্বাস" করাটাকেই মহামারী বলেছে শুধু তাই নয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল খুবই শক্ত । হুমায়ুন আজাদ সাহেব বলেছেন মানুষের জন্য যা ক্ষতিকর তার শুরুতেই রয়েছে বিশ্বাস । এই বিশ্বাস নাকি মানুষকে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে না । ইত্যাদি ইত্যাদি (১০) এমন অনেক কিছুই তিনি দাবি করেছেন । আচ্ছা দাদা আপনি যে একটু আগে বললেন যে আপনি সংশয়বাদী আর এটি আপনি নিজেই বিশ্বাস করেন বলে স্বীকার করেছেন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে আপনার এই সংশয়বাদ এমন একটি বিষয় যা আপনাকে জ্ঞান বিকোশিত করতে দিবে না এবং এটি ক্ষতিকর - এই কথাই কিন্তু নাস্তিক্যধর্ম প্রচারক ওরফে আপনার আইডল হুমায়ুন আজাদ সাহেবের ফতোয়া থেকে জানা যায় ।
আশোক দাদা অনেকটা নারভাস হয়েই বললেন আসলে এসব কথা হল হুমায়ুন স্যার এর ব্যাক্তিগত মতামত ।
সিরাজি সাথে সাথেই বলল তাহলে দাদা আপনার মনের মধ্যে যত প্রশ্ন আছে সব গুলাই স্রেফ আপনার, হ্যাঁ আমি আবারো বলছি স্রেফ আপনারই প্রশ্ন এবং এসব প্রশ্ন শুধুই আপনার ব্যাক্তিগত যা অন্য কেউই গ্রহন করতে পারে না । এখন আমি আপনাকে যতই সত্য কথা বলি না কেন , যতই ইসলামকে সত্য বলে , সত্য প্রমান আপনাকে দেই না কেন আপনি সেগুলা সত্য হওয়া সত্ত্বেও স্বীকার করতে চাইবেন না কারন সত্য আপনার কাছে ব্যাক্তিগত মতামত লাগবে।
আশোক দাদা বলছেন আচ্ছা ভাই আপনার পরিচয় কি ?
সিরাজি বলল আমি একজন মাওলানা ।
আশোক দাদা অবাক হয়ে গেল , দাদা হয়ত ভেবেছিল হুজুর হয়ে এত কিছু জানে কিভাবে ! হাহাহাহা
সিরাজি দাদাকে বললেন আরেকটি প্রশ্ন করতে পারি ?
আশোক দাদা এইবার বললেন জি অবশ্যই করুন আমি জানলে উত্তর দিব , বলে একটি হাঁসি দিল দাদা ।
সিরাজি বলল গবেষণা বলছে এই "করোনা ভাইরাস" নাকি প্রাকৃতিক বিবর্তনের জন্য হয়েছে । এমনকি বিশাল হেড লাইন দিয়েছে যে "করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি নয়" (১১) । আমার প্রশ্ন হল প্রকৃতি কেন এই করোনা ভাইরাস দিয়েছে এবং এতে তার কি লাভ নাস্তিক্যধর্মের আলোকে এর উত্তর দেন দাদা ? আচ্ছা প্রকৃতি কিভাবে শুন্য থেকে নিজে নিজেই সৃষ্টি হল এবং করোনা ভাইরাস কিভাবে শুন্য থেকেই এই প্রকৃতি সৃষ্টি করেছে ? বিবর্তন কেন এমন কিছু আমাদেরকে দিল না যাতে মানুষের কল্যাণ হয় ?
আশোক দাদা বলছেন ভাই আপনার সাথে কথা বলে অনেক ভাল লাগলো আসলে এসব প্রশ্ন যদিও গুরুত্বপূর্ণ , আর আমি আসলে এভাবে ভেবে দেখেনি তো তাই আরকি !
সিরাজি বলল আচ্ছা দাদা আমি এখন একটু বই পড়ব , আর আপনার সাথে কথা বলে আমার ভাল লেগেছে ।
আশোক দাদা বলল, জি আমারও ভাল লেগেছে । আচ্ছা আপনি কি বই পড়বেন এখন এই বিমানে ?
সিরাজি বলল "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" ড রাফান আহমেদ স্যার এর লিখিত একটি কিতাব । আপনি অবশ্যই এই কিতাব পড়বেন।
আশোক দাদা বললেন জি ইনশা আল্লাহ !!!
সিরাজির চেহারায় মুচকি হাঁসি ।
রেফারেন্স সমূহঃ
১/ ihadis.com, সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরীব, হাদিসঃ ৭২, সহিহ হাদিস । এই হাদিসটিও পড়ুন সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরীব, হাদিস ৮২ , সহিহ হাদিসঃ আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ “কল্যাণের শিক্ষাদানকারীর জন্য প্রত্যেক বস্তু ক্ষমা প্রার্থনা করে এমনকি সমুদ্রের মৎস্যকুলও।
২/ ihadis.com, জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ২৫১৭, হাসান হাদিস ।
৩/ সুরা বাকারা ২:১৫৫ ।
৪/ তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ ।
৫/ সুরা তওবা ৯:১২৬ ।
৬/ সুরা ইউনুস ১০:১৩ ।
৭/ সুরা বাকারা ২:২০ ।
৮/ সুরা আরাফ ৭:১৪৪ ।
৯/ ihadis.com, সুনানে ইবনে মাজাহ , হাদিসঃ ৪০১৯, হাসান হাদিসঃ আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন।
১০/ "আমার অবিশ্বাস" বইয়ের ভূমিকার শেষের দিকে পড়ুন ।
১১/ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২০ মার্চ ২০২০ বিস্তারিত দেয়া আছে।

Related Posts

: