🌏বিষয়ঃবিখ্যাত নাস্তিকীয় কেতাবে বৈজ্ঞানিক ভুল।
✍লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
শুরুতে কিছু কথা বলে নেয়া ভাল । আমার এই কথা সমূহ বুঝতে না পারলে আপনি আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন তাই আমি আবারো বলছি আমার কথা সমূহ বুঝার চেষ্টা করুন। আমি আজকের লেখাটিতে নাস্তিক্য ধর্মের তিনটি মূলনীতিকে সামনে রেখে লিখেছি তা হলো যুক্তিবিদ্যা, বিজ্ঞান এবং মুক্তমনা ভাবনা । নাস্তিকরা "স্রস্টা নেই" এটি যেভাবে অন্ধ বিশ্বাস করে তার চেয়ে ঐ তিনটি বিষয় তারা আরও অন্ধের মতো অন্ধ বিশ্বাসী যদিও এই কথা নাস্তিক সমকামীরা স্বীকার করতে চায় না । আরেকটি মজার কথা হলো যুক্তিবিদ্যা, বিজ্ঞান এবং মুক্তমনা এসব বিষয় নাস্তিকরাও সঠিক ভাবে মানে না। সেটা আমার লেখা শেষ অবধি পড়লেই বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বিজ্ঞান দিয়েই সব কিছুকে মানতেই হবে, যাচাই করতে হবে এবং পরিমাপ করতে হবে এই কথা নাস্তিকদের মুখে বহুবার শোনা গেছে কিন্তু তারা আসলে নিজেরাই এই কথার উপর আমল করে না। মুক্তমনা মন নিয়ে, যুক্তির চশমা লাগিয়ে বিজ্ঞান দিয়েই সব কিছু কে নির্ণয় করতে হবে । এই কথার সাথে নাস্তিকরাও আমার সাথে একমত হবে। আমি এমন একটি কেতাবের দলিল দিব যেই কেতাবের বিরুদ্ধে বলা কোন নাস্তিকের পক্ষেই সম্ভব না।
নাস্তিকদের আরেকজন কথিত অবতার অভিজিৎ রায় সাহেব । তার একটি কেতাবের নাম হল "অবিশ্বাসের দর্শন" এই কেতাবের প্রথম অধ্যায় এর নাম বিজ্ঞানের গান, পৃষ্ঠা ২৭,২৮ এ বর্ণনা করা হয়েছেঃ বিজ্ঞানের অবদান কি কেবল বড় বড় যন্ত্রপাতি বানিয়ে মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনা ? আমাদের স্কুল কলেজে যেভাবে বিজ্ঞান পড়ানো হয় তাতে এমন মনে হওয়া স্বাভাবিক । ব্যাপারটা আসলে তা নয়, বিজ্ঞানকে ব্যাবহার করে মানুষ বড় বড় যন্ত্রপাতি বানায় বটে, তবে সেগুলো স্রেফ প্রযুক্তিবিদ্যা আর প্রকৌশলীবিদ্যার আওতাধীন। বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞানের অভিযোজন মাত্র । আসলে বিজ্ঞানের একটি মহান কাজ হচ্ছে প্রকৃতিতে বোঝা, প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা খুঁজে বের করা । বিজ্ঞানের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য এখানেই । হ্যা, জ্যোৎস্না রাত কিংবা পাখির কৃজনের মতো বিজ্ঞানেরও একটি নান্দনিক সৌন্দর্য আছে, সৌকর্য আছে যার রসাস্বাদন কেবল বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানমনস্ক সর্বোপরি বিজ্ঞানপ্রেমী ব্যাক্তির পক্ষেই সম্ভব ।
অবিশ্বাসের দর্শন কেতাবের পৃষ্ঠা ২৯, ৩০ এ বর্ণনা করা হয়েছেঃ বিজ্ঞান কি অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে অভিমত দিতে অক্ষম ? আগের দিনে মানুষেরা বাড়ি থেকে একটু দূরে থাকা পুকুর পাড়ে রাতের অন্ধকারে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখে ভাবতো সেটা বুঝি কোনো ভূত-জীন-পরীর কাজ । এরপরে মঞ্চে হাজির হলো বিজ্ঞান । বিজ্ঞান এসে আমাদের জানাল মিথেন গ্যাসের কথা। আমাদের মনে থাকা জীন-পরীর গল্পকে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে সেখানে বসিয়ে দিল আসল সত্য । এখন আর কেউ পুকুর পাড়ে আগুন দেখলে ভয় পায় না। তারা জানে এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ব্যাপার । ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এভাবেই মানুষের মনে জমে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার কালো নিকষ আধার দূর করে আশার প্রদীপ জালিয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের এই গুনের কারনে এই ধারনাটিকে আমরা আশীর্বাদ মনে করি । কিন্তু যেই বিজ্ঞান আমাদের মনের সবচেয়ে বড় কুসংস্কার সম্পর্কে কিছু বলতে যায় অমনি শুরু হয়ে যায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ।
এভাবে নাস্তিক কথিত অবতার অনেক বিজ্ঞানের সুনাম করেছে নাস্তিকরা কিন্তু তারা নিজেরাই যে আসলে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বিশ্বাস করেই থেমে থাকেনি বরং সেগুলো তাদের বইতে লিখেও দিয়েছে । এবং বর্তমানের সমকামী নাস্তিকরাও সেগুলো গাধার মত ভক্ষন করেই যাচ্ছে। আমি নাস্তিকদের কেতাবে বৈজ্ঞানিক ভুল উল্লেখ করার আগে উপরের দলিল গুলোকে কিছু মুক্তমনে প্রশ্ন করতে চাই । আমাকে নাস্তিক্য ধর্মের আলোকে উত্তর দিতে হবে । কারন নাস্তিক সমকামীরা দাবি করে মানবতার ধর্ম নাস্তিক্যবাদ!
বিজ্ঞানের একটি মহান কাজ হচ্ছে প্রকৃতিতে বোঝা তাহলে প্রশ্ন হলো প্রকৃতি কাকে বলে ? এটার সংজ্ঞা কে নির্ণয় করবে ? এবং তাকে কেন দুনিয়ার সবাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে ? সে কোন মহাপুরুষ বা অবতার সে তার বলা কথাই সবাইকে মানতে হবে ? না মানলে কি নাস্তিক্য ধর্মের আকিদা অনুযায়ী পাপ হবে ? প্রকৃতির অস্তিত্ব কেমন ? প্রকৃতির আকার কেমন ? প্রকৃতি কিভাবে শুন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে , কে সৃষ্টি করেছে এবং কেন ? প্রকৃতি এখন কথায় ও কিভাবে আছে ? প্রকৃতি কে না দেখে নাস্তিকরা কেন বিশ্বাস করে ? এটি কি অন্ধ বিশ্বাস নয় ? প্রকৃতি আগে কেমন ছিল এবং এখন সে কিভাবে আছে ? বিবর্তনের আগে নাকি পরে এসেছে এই প্রকৃতি ? সেটার দলিল কি ? প্রকৃতির রঙ কেমন ? এই রঙ কে সৃষ্টি করেছে এবং কেন ও কিভাবে সৃষ্টি করেছে?
মিথেন গ্যাস শুন্যর আগে কিভাবে ছিল ? মিথেন গ্যাস কেন এই দুনিয়াতে এলো ? মিথেন গ্যাস কি বিবর্তন হয়েছে নাকি হয়নি ? মিথেন গ্যাস প্রাকৃতিক ব্যাপার কেন ? প্রকৃতি কেন মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করেছে ? না তৈরি করলে প্রকৃতির কি ক্ষতি হত ? নাস্তিকরা যেমন অন্ধ বিশ্বাস করে বলে স্রস্টার অস্তিত্ব নেই ঠিক একইভাবে কোন নাস্তিক যদি বলে প্রকৃতির অস্তিত্ব নেই তাহলে এই নাস্তিককে কি বলা হবে এবং কেন ? নাস্তিক্য ধর্মের সমাধান কি এই বিষয় ?
নাস্তিক্যধর্মের যুক্তির দৃষ্টিতে ইতিহাস কি বিশ্বাসযোগ্য ? ইতিহাসে কেন নাস্তিকরা বিশ্বাস করে ? কি প্রমানের ভিত্তিতে নাস্তিকরা সেটি বিশ্বাস করে এবং কেন ? ইতিহাস যে সত্য সেটি তো প্রমান করা যায় না স্রেফ বিশ্বাস করতে হয় সত্যের সাক্ষ্য অনুপাতে, এভাবে বিশ্বাস করা নাস্তিক্য ধর্মে বৈধ নাকি ? ইসলাম প্রাচিন ধর্ম তাই নাস্তিকরা ইসলামকে বাদ দিতে চান তাহলে একই যুক্তিতে ইতিহাস তো প্রাচিন কালের তাহলে ইতিহাস এখন কেন বাদ দিতে ভয় পাচ্ছেন ?
আশীর্বাদ মনে করা কি বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত ? কিভাবে ? হিন্দু ধর্ম যারা বিশ্বাস করে তারা এই আশীর্বাদে বিশ্বাস করে, ইসলাম যারা অনুসরন তারা আল্লাহর রহমতে বিশ্বাস করে তাহলে নাস্তিকরা কোন যুক্তিতে আশীর্বাদে বিশ্বাস করছে এবং কেন ? নাস্তিক্য ধর্মে কি আশীর্বাদে বিশ্বাস করতেই হবে ? আশীর্বাদের যৌক্তিকতা কি নাস্তিক্য ধর্মে ?
উপরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সমূহ উত্তরের আশায় রইলাম যদিও নাস্তিকরা মুমিনদের প্রশ্নের জবাব দিতে নারভাস হয়ে যায় কারন নাস্তিক্য ধর্ম তো অচল এবং দুর্বল ।
নাস্তিকদের একটি কেতাবের নাম হলো "আমার অবিশ্বাস" এই কেতাবে অনেক অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা উপস্থিত আছে এবং বিজ্ঞানের আলোকে যা সম্পূর্ণ ভুল এবং এটি নাস্তিকদের স্বীকার করতেই হবে কারন অস্বীকার করার উপায় নেই ।
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ১ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২১ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে, আমরা ভয় পাই ওই চরম অন্ধকারকে, রবীন্দ্রনাথকে মনে পড়ে, যখন রোমান্টিকের চোখে দেখেছেন তখন প্রেমে পড়েছেন মৃত্যুর, কিন্তু বুড়ো বয়সে যখন সত্যিই মৃত্যু হানা দিতে থাকে তিনি ভয় পেতে থাকেন, তাঁর কবিতা মৃত্যুর ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ মৃত্যু কোন নারী নয় যে কোন পুরুষ তার প্রেমে পরবেন । কেতাবে যেটা বলা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক । আমাদের জন্ম হয় , হয় মৃত্যু এটি চরম সত্য কথা তাহলে একজন মানুষ মৃত্যুর সাথে প্রেম করেছে এমন স্টাইলের কথা একজন বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিকের কেতাবে কিভাবে জাগা পায় ? রবীন্দ্রনাথের কবিতা নাকি মৃত্যুর ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে , এটি সরাসরি বৈজ্ঞানিক ভুল কারন কবিতার কি রোগ হয় মানুষের মত ? কবিতা কি মানুষ ? কবিতা আবার ভয় কিভাবে পায় ? কিছু ছন্দের সমষ্টিকেই তো কবিতা বলা হয় তাছাড়া কবিতা মানুষ নয় এবং ভয়ও পায় না মানুষের মত সেখানে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা তো কোন যুক্তিবাদী মানুষ বিশ্বাসও করতে পারেন না ।
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ২ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২২ নং পৃষ্ঠায়, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে বর্ণনা করেছেন, মানুষ জন্ম নিচ্ছে, বেড়ে উঠেছে পূর্বপ্রস্তুত বিশ্বাসের মধ্যে, তার জন্যে বিশ্বাসের জামাকাপড় শেলাই করা আছে, তার দায়িত্ব ওই জামাকাপড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে শান্তি পাওয়া ।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বকতে বকতে নিজেই অবৈজ্ঞানিক বার্তা দিয়ে দিল । আমরা জানি পোশাক তারাই পরিধান করে যাদের লজ্জা শরম আছে । এখন বিশ্বাসের কি লজ্জা আছে যে তার জন্য জামা কাপড় শেলাই করতে হবে ? উত্তর হচ্ছে না । বিজ্ঞান আমাদেরকে বলে সত্য কথা বলতে । আর একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হয়ে কিভাবে এটি বিশ্বাস করতে পারে যে বিশ্বাসের লজ্জা আছে এই কারনে জামাকাপড় শেলাই করতে হবে এবং এই জামাকাপড়ে ঢুকে শান্তি পাওয়া যাবে ? অবাক হলাম । একজন নাস্তিক সমকামী এখন যতোই এই কেতাবের পক্ষে গোঁজামিল দেউক না কেন সেটি আর কেউ মানুষ কিন্তু একজন যুক্তিবাদী মানুষ হয়ে আমি এই ধরনের অযৌক্তিক কথা কখনোই বিশ্বাস করতে পারি না । এখন নাস্তিকরা আমাকে গালাগালি দিক অথবা হুমকি ধামকি দিক তারপরেও আমি সত্য লিখেই চলবো।
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ৩ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২৫ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে, কবিতায় বিশ্বাস যতোটুকু থাকে ততটুকু অকবিতায় বিশ্বাসের বাইরে যতোটুকু থাকে ততটুকু কবিতা; যুগে যুগে বিশ্বাস ভেঙে পড়ে । কিন্তু সৌন্দর্য অতো অল্প সময়ে ভেঙে পড়ে না। বিশ্বাসের কবিতা হচ্ছে ভুল কাঠামোর ওপর দাঁড়ানো আবেগগত সৌন্দর্য । আমার অবিশ্বাস কেতাবের ভূমিকার শেষের দিকে আজাদ লিখেছে আমি আনন্দিত যে বইটি বিপুল সাড়া জাগিয়েছে, বাঙালির বিশ্বাসের মেরুদণ্ডে কিছুটা ফাটল ধরাতে পেরেছে ।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ সমকামী নাস্তিকরা যখন অভিযোগ করে কুরআনে আকাশকে শক্ত পদার্থ বলা হয়েছে কারন আকাশ ভেঙে পড়ে এই কথা বলা আছে । এই অভিযোগ যখন জ্ঞানী যুক্তিবাদীরা খণ্ডন করে জবাব দেয় তখন নাস্তিকরা সেটা স্বীকার করতে চায় না । মুমিনরা জবাব দেয় যে আসলে কোন কিছু ভেঙে পড়া অথবা ফেটে পড়া বলতেই যে শুধু মাত্র শক্ত পদার্থর ক্ষেত্রেই বলা হবে ব্যাপারটা তা নয় । আর কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যে "আকাশ শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরি" । এসব উত্তর নাস্তিকরা মানতেই চায় না । নাস্তিকদের যুক্তি সামনে এবং মুমিনদের শক্তিশালী যুক্ত পাশে রেখে আমি দাবি করছি বিশ্বাস কি শক্ত পদার্থের ? তাহলে নাস্তিকদের কেতাবে বিশ্বাস ভেঙে পড়ে এই অবৈজ্ঞানিক কথা কিভাবে লেখা থাকতে পাড়ে ? নাস্তিকদের অবতার বিশ্বাস করতেন যে বিশ্বাসের মানুষের মত মেরুদণ্ড থাকে তাই সেটাই ফাটল ধরতে পাড়ে । নাস্তিকরা কেন স্বীকার করতেই হবে যে অবশ্যই এটি বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে যায় । আমি আশা করি মুমিনদের যুক্তি এখন নাস্তিকরা কপি করবে না নালায়েকদের মত !
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ৪ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২৯ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে আকাশমণ্ডল কোনো বিশুদ্ধ পবিত্র স্থান নয়, তার সদস্যরাও কারো গৌরব প্রকাশ বা প্রচার করে না এবং আমরা, আমাদের পৃথিবীতেও আকাশমণ্ডলেরই সদস্য, আমরাও ভ্রমন করে চলেছি সূর্যের চারদিকে- মহাজগতে।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ আকাশমণ্ডল কোনো বিশুদ্ধ পবিত্র স্থান নয় তার বিপরীত অর্থ আকাশমণ্ডল অশুদ্ধ অপবিত্র স্থান । অথচ আমরা দেখছি আকাশ কত সুন্দর এবং চমৎকার । এখন আমরা যদি সৌন্দর্য অর্থ বুঝাতে পবিত্র অর্থ নেই কেন এটা ভুল হবে বরং আজাদ যা বলেছেন সেটাই বৈজ্ঞানিক ভুল । আকাশ অবশ্যই সুন্দর এবং অপবিত্র নয় ।
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ৫ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২৯ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে আমি জানি পথের শেষ মৃত্যুতে, সব কামনা ও সাধনার শেষে রয়েছে নির্বিকার মাটি ও ক্ষুধার্ত আগুন কিন্তু আমি ভেঙে পড়তে চাই না ।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ বিজ্ঞান আমাদেরকে বলে আগুন কোনো বস্তুকে জ্বালাতে পারে কিন্তু মানুষের মত আগুনের ক্ষুধা লাগে না অথচ বিজ্ঞানমনস্ক একজন নাস্তিক কিভাবে এটা বিশ্বাস করতে পারেন যে আগুনের ক্ষুধা লাগে ? বিজ্ঞানের দৃষ্টি কি এই কথা স্বীকার করবে ? উত্তর হচ্ছে না । তাহলে কোন সন্দেহ নেই এটিও বৈজ্ঞানিক ভুলের মধ্যে অন্যতম ।
❌বৈজ্ঞানিক ভুল ৬ = হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাবের ২৯ নং পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে, মোহগ্রস্ত নই আমি, আমি সৎ থাকতে চাই, সিসিফাসের মতো মেনে নিতে চাই জীবনের নিরর্থকতা, এবং অস্বীকারও করতে চাই নিরর্থকতাকে । কিছুতেই বিভ্রান্ত হতে চাই না , মোহের কাছে সমর্পণ করতে চাই না নিজেকে ।
✅মুক্ত বিশ্লেষণঃ আমি যদি বলি " এক নালায়েক আমার থেকে লেখা যুক্তি চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে" এখানে কি কোন বৈপরীত্য আছে ? উত্তর হচ্ছে না । কিন্তু হুমায়ুন আজাদ একটি কথাকে সাথে সাথে মানছে আবার সাথে সাথে ত্যাগ করছে এটি কি কিভাবে যৌক্তিক হয় ? যদি সিসিফাসের মতো আজাদ মেনে নেন জীবনের নিরর্থকতা তাহলে এটি অস্বীকার করলে তার প্রথম স্বীকার করার কথা ভুল আবার প্রথমটি স্বীকার করলে দ্বিতীয়টি ভুল হয়ে যায় । এটি কখনোই বিজ্ঞানমনস্কত মানুষের কথা হতে পারে না বরং মানুষিক রোগীর পক্ষেই দুইমুখি কথা বলা সম্ভব ।
🔃 উপসংহারঃ বিজ্ঞানের মাধ্যমেই আমার অভিযোগের উত্তর প্রধান করতে হবে । আর নাস্তিক্যবাদ মানব ধর্ম যারা বিশ্বাস করেন তারা নাস্তিক্য ধর্মের সাহায্য নিতে পারেন কিন্তু কুরআন হাদিসের রূপক অর্থ এনে নিজের নাস্তিক্য ধর্মের বৈজ্ঞানিক ভুলের পক্ষে সাফাই গাইলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না আগেই বলে দিলাম। নাস্তিক্যবাদ সত্যধর্ম সেটা বিজ্ঞান এর মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখান পারলে, আমি অপেক্ষায় রইলাম।
: