🎪বিষয়ঃ গরু,ছাগল প্রেমিদের মায়াকান্নার গহীনে।
✍লিখেছেনঃ এম ডি আলী।
👉 সবাইকে কুরবানির ঈদের শুভেচ্ছা 💐 ধর্ম যার যার কুরবানীর গোস্ত সবার। 🐂
❌প্রশ্নঃ দয়ালু স্রষ্টা কেন এমন একটি সিস্টেম বানালেন যেখানে এক প্রানী অন্য প্রানীকে নিষ্ঠুর ভাবে মৃত্যুযন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করতে হয় নিজের টিকে থাকার জন্যে।এরকম স্রষ্টা কী আসলেই ভালো?
✅উত্তরঃ আমি দুটো দৃষ্টিভঙ্গিতে উত্তর দিব। প্রথমে ইসলামের আলোকে, এটা মুমিনদের জন্য। আল্লাহর ইচ্ছা হয়েছে, তাই বানিয়েছেন। মানুষের জন্য নৈতিকতা আল্লাহই সৃষ্টি করে দিবেন এবং এর জন্য তাকে জিজ্ঞাসা করার অধিকার কারও নাই। প্রমানঃ
সুরা আম্বিয়া ২১:২৩ = আল্লাহ যা করেন সে বিষয়ে তিনি কারোর নিকট জিজ্ঞাসিত, জবাবদিহি করতে বাধ্য হন না বরং মানুষ যা করে সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসিত করা হবে।
সুরা বুরুজ ৮৫:১৬ = যা তিনি চান তা-ই তিনি করেন, করতে পারেন।
সুরা কাসাস ২৮ :৮৮ = নির্দেশ তিনিই দিতে পারেন, এবং তাঁরই নিকট তোমরা সকলে প্রত্যাবর্তিত হবে।
আরাফ ৭ :৫৪= সাবধান সৃষ্টি যার, নির্দেশ ও সার্বভৌমত্ব তাঁর’।
সুরা কাসাস ২৮:৬৮= আল্লাহর সৃষ্টি ও বিধান জারীতে কোন অংশী নেই : আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনার পালন কর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। তাদের কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পবিত্র...।
আল্লাহ দয়ালু হলেই কুরবানির সিস্টেম আল্লাহ বানাতে পারবে না এরকম কথা ইসলাম কখনোই সমর্থন করবে না আর আল্লাহ সব সময় পবিত্র এবং কল্যাণকর। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি। সূরা হাশর ৫৯ :২৩।
👉 দ্বিতীয়ত এখন নাস্তিক্যধর্মের আলোকে উপরের অভিযোগের জবাব দিবো, এটা নাস্তিকদের জন্য।
উপরের প্রশ্নটি পাঠ করলে, প্রশ্নের মধ্যে যে দাবি ফুটে উঠে সেটা হলো, দয়ালু আল্লাহ এমন সিস্টেম বানাতে পারেন না, যে এক প্রানী আরেক প্রানীকে হত্যা করে আনন্দ উৎসব করবে তাই আল্লাহ ভাল না।
পাঠক মনোযোগ দিন। আমরা জানি নাস্তিকতা অর্থ "আল্লাহর অস্তিত্ব নেই" এমন বিশ্বাস করা। তাহলে নাস্তিকদের দৃষ্টিতে যেই "আল্লাহর অস্তিত্ব নেই" সেই "আল্লাহ ভাল না" বিশ্বাস করা অবশ্যই অযৌক্তিক কারন কখনোই কোন নাস্তিক বিশ্বাস করতে পারে না আল্লাহ খারাপ। যদি বিশ্বাস করে তাহলে সে নাস্তিক থাকতেই পারবে না। আর আল্লাহ কি নৈতিকতা দিবেন সেটা নাস্তিকরা কেন ঠিক করে দেবে? কারন নাস্তিকরা তো আল্লাহর অস্তিত্বকেই স্বীকার করে না।
অনেক মূর্খ নাস্তিককে বলতে দেখা যায় আমি যদি আল্লাহ হতাম "এটা করতাম" "সেটা করতাম" "ওইটা পড়তাম" আসলে বিনোদনের জাগা যে ফুরাইনি সেটা এই পশ্চাদগামীদের কথা শুনলেই বুঝা যায়।
নাস্তিক্যধর্মে হত্যা করার বিধান কি?এই বিধান কে সৃষ্টি করবেন? যে এই বিধান সৃষ্টি করবেন তাকে কেন পুরো দুনিয়ার মানুষ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে? তার দেয়া আইন বিশ্বাস না করলে কি হবে? নাস্তিক্যধর্মের যুক্তি অনুযায়ী মানুষের নৈতিকতার মাপকাঠি কি হবে? মানুষ কখন হত্যা করতে পারবে এবং কখন হত্যা করতে পারবে না এসব বিধি-নিষেধ কিরকম নাস্তিকতার আলোকে?
বিবর্তনের আকিদা অনুযায়ী যারা শক্তিশালী তারাই টিকে থাকে আর বিবর্তবাদে নাস্তিকদের কাছে মানুষ আর গরু সমান।গরু মানুষের সাথে পারে না তাই এখানে মানুষের জয় হয় সুতরাং যেহেতু মানুষ টিকেছে তাই মানুষ গরুর গোস্ত খাবে সাথে বিজয়ের আনন্দ করবে। এখন গরু যদি মানুষকে কুরবানি করতে পারতো তাহলে গরু ও মানুষের গোস্ত খেতো। আর নাস্তিক আর গরুরা মিলে আনন্দে মাতামাতি করতো। বিবর্তনবাদে সিংহ যদি হরিণকে হত্যা করে খায় এটা অমানবিক নয়, এভাবে যত প্রানী আছে সব ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। তাহলে মানুষ যদি গরুকে হত্যা করে খায় এবং সাথে ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারে আনন্দ-উৎসব করে এটা বিবর্তনের আলোকে কিভাবে অমানবিক হবে?
বিবর্তনের আকিদা বিশ্বাস অনুযায়ী মুসলমানদের কুরবানির ঈদ সম্পুর্ন যৌক্তিক। সন্দেহ নাই।
❌প্রশ্নঃ গরু জবাই করতে আপত্তি নেই কিন্তু তা স্রষ্টার নামে কেন করতে হবে?
✅ উত্তরঃ ইসলামের আলোকে উত্তর হচ্ছে আল্লাহ তার নাম নিয়েই কুরবানি করতে বলেছে তাই মুসলিমরা এটা করে। নাস্তিকদের জন্য উত্তর হচ্ছে মুসলিমরা গরু জবাই করলে আপত্তি নাই অর্থাৎ এই ব্যক্তিস্বাধীনতায় আপনাদের আপত্তি নেই কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীনতায় স্রষ্টার নাম নিয়ে গরু জবাই দিলে এখানে আপনার আপত্তি হবে কেন? গরু তো আপনারাও কুপিয়ে হত্যা করে মেরে খান পার্থক্য হলো আপনারা আনন্দ করেন না আর মুসলিমরা কুরবানির ঈদে গরুর গোস্ত গরিব দুঃখী অসহায়দের দিয়ে তাদের মুখে খুশি ফুঁটিয়ে আনন্দ-উৎসব করে। গরু হত্যা করে খেলে অপরাধ নেই কিন্তু স্রষ্টার নাম নিয়ে খেলে অপরাধ এই বিধান নাস্তিক্যধর্মের কোন কিতাবে লেখা আছে এবং কেন? সেই কেতাব কি মানব জাতির আদর্শ?
❌প্রশ্নঃ গরু কুরবানি দেয়াতে আমাদের নাস্তিকদের আপত্তি নাই কিন্তু একটা প্রানীকে মেরে আনন্দ উৎসব করা অমানবিকতা হবে না কেন?
✅উত্তরঃ ইসলামের দৃষ্টিতে জবাব হচ্ছে কুরবানি করে গরুর গোস্ত গরিব, অসহায়দের উপহার দিয়ে তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে উৎসব পালন করা অবশ্যই অমানবিকতা নয় বরং মানবিক।
নাস্তিকদের জন্য উত্তর আরও সহজ। প্রথমে যুক্তিটি বুঝুন "হত্যা করা যাবে কিন্তু আনন্দ করা যাবে না"। আমরা প্রশ্নের পাথরে, বুদ্ধির নখে শান দিয়ে বিশুদ্ধ যুক্তি প্রয়োগ করে দেখবো নাস্তিকদের অভিযোগটি আসলেই গ্রহণযোগ্য কিনা নাকি দুর্বল।
কৃষকরা ধান লাগায়। ধানে অনেক পোকামাকড় থাকে যা কৃষকরা বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে হত্যা করে। একটা সময়ে যখন কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে গোলাভরা ধান হয় তখন কৃষকরা আনন্দ উৎসব করে। ধানের মধ্যে পোকামাকড়দের কেমিক্যাল দিয়ে হত্যা করে কৃষকদের আনন্দ উৎসব করা কি অমানবিক হবে? পোকামাকড়দের প্রাণ নেই? তারা কষ্ট পায় না? পোকামাকড়দের এই কষ্টতে নাস্তিকদের তো কখনো আন্দোলন করতে দেখলাম না কৃষকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখলাম না? এখন কি নাস্তিকরা বলবে পোকামাকড় মারা যাবে কিন্তু আনন্দ উৎসব করা যাবে না?
ধরুন একজন দেশপ্রেমি আর্মি অফিসার তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নিয়ে কোন এক জাগায় যাচ্ছে। হঠাৎ চীনের সন্ত্রাসী নাস্তিকরা সেই আর্মি অফিসারদের উপর আক্রমণ শুরু করলো। সেই অফিসার তার বৃদ্ধ বাবা মাকে বাঁচানোর জন্য পাল্টা নাস্তিক সন্ত্রাসীদেরকে আক্রমণ করল এবং নাস্তিক সন্ত্রাসী জঙ্গিদেরকে দমন করলো এবং তার বৃদ্ধ বাবা-মা সহ সবাই রক্ষা পেল।
এখন দেশপ্রেমী আর্মি অফিসারের বৃদ্ধ বাবা-মা তাদের সন্তানকে নিয়ে প্রাউড ফিল করছে অথবা আনন্দ উৎসব করছে,এই ভেবে যে তাদের যোগ্য সন্তান নাস্তিক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করেছে। এখন এই প্রাউড ফিল অথবা আনন্দ করা কি অমানবিক?
"গরু হত্যা করা যাবে কিন্তু আনন্দ-উৎসব পালন করা যাবে না" এই কথাটা যে কতটা হাস্যকর এবং অযৌক্তিক সেটা নিচের প্রশ্নগুলো দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বুঝার চেষ্টা করুন। মুক্তমনে নাস্তিকদের প্রশ্ন করুন।
১৯৭১- এ মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের হত্যা করে দেশকে স্বাধীন করে আনন্দ-উৎসব করেছিল এখন এই আনন্দ উৎসব করা নাস্তিকদের দৃষ্টিতে অমানবিকতা হবে না কেন,শুধু গোস্ত খায় নাই?
পয়েলা বৈশাখে অবলা,নিরীহ,নির্দোষ ইলিশ মাছদের হত্যা করে বাংলা নববর্ষ পালন করে আনন্দ উৎসব করা হয় এটা নাস্তিকদের কাছে অমানবিক হবে না কেন? এই মাছ হত্যার বিরুদ্ধে নাস্তিকরা কি কি আন্দোলন করেছেন?
থার্টি ফার্স্ট নাইটে মুরগিদের ভয়ংকর ভাবে পুরিয়ে চাবিয়ে চাবিয়ে গিলে আনন্দ উৎসব করা হয় সব সময়। এটা অমানবিকতা হবে না কেন? নাস্তিকদের এখানে চুপ থাকতেই বেশি দেখা যায় কেন? নাস্তিকদের প্রতিবাদ নেই কেন?
নাস্তিকদের যুক্তি, কোনো কিছুকে হত্যা করে আনন্দ উৎসব অথবা মজা করা যাবে না। প্রশ্ন হলো নাস্তিকদের কি গোসল করতে মজা লাগে? উত্তর যদি 'হা' হয় তাহলে তারা তাদের দেহের প্রানশীল জীবানুদের হত্যা করছে যা অমানবিক আর যদি উত্তর 'না' হয় তাহলে নাস্তিকরা গোসল করে কেন?
নাস্তিকদের যুক্তি মেনে নিলে মাথায় শ্যাম্পু করাও অমানবিক হবে কারন মাথার চুলে উকুনরা বসবাস করে তাদের ঘরবাড়ি শ্যাম্পু করে উড়িয়ে দেওয়া এবং শান্তি ভোগ করাও নাস্তিকদের যুক্তি অনুযায়ী অমানবিকতা হবে না কেন? শ্যামপুর বিরুদ্ধে, ফ্রিজের বিরুদ্ধে (গোস্ত রাখা হয়) গোসলের বিরুদ্ধে নাস্তিকরা কি কি আন্দোলন করেছে জানতে চাই? নাস্তিকদের প্রতিবাদের আচরণ কেমন এ ক্ষেত্রে?
মৎস্য চাষ করে কোটি কোটি মাছ চাষ করা হয় এবং সেগুলোকে বিক্রি করা হয় আর মানুষ বিভিন্ন মাছদের হত্যা করে খায় এবং মৎস্য চাষীরা মাছ বিক্রি করে আনন্দ পায় বেশি বিক্রি হলে তো উৎসবই করে। নাস্তিকদের উচিত মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষ বন্ধ করতে আন্দোলন করা কিন্তু তা করা হয় না কেন?
হলিউড বলিউডের মুভি যেমন জুরাসি পার্ক, অ্যানাকোন্ডা বা এক কথায় যতো প্রানী হত্যার মুভি বানানো হয়েছে সেসবের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের আন্দোলন নেই কেন? নায়ক ভিলেনকে গুলি করে হত্যা করে নায়িকাকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করছে, এসব মুভির বিরুদ্ধে নাস্তিকদের আন্দোলন কবে হয়েছে? মুভিতে হত্যা করে,আনন্দ উৎসব করা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা পরিচালকরা কামিয়ে নিচ্ছে অথচ পশ্চাদগামী নাস্তিকরা এখানে চুপ, কেন?
ইঁদুর,তেলাপোকা মারার ঔষধ বানিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে আনন্দে উৎসবে জীবন অতিবাহিত করছে কোম্পানির মালিকরা,অথচ নাস্তিকদের কোন আন্দোলন নেই? নাস্তিকদের উচিত তেলাপোকা ইঁদুর এদের ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করা প্রতিবাদ করা।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল অথচ আজ পর্যন্ত কেউই কাঁঠালগাছের অনুমতি নিল না। অথচ নাস্তিক্যধর্মে সম্মতি নেওয়া আবশ্যক।উভয়ের সম্মতি থাকলে যা ইচ্ছা তাই করা যাবে।
আমরা জানি গাছেরও প্রাণ আছে সুতরাং গাছ থেকে তার ফল কে ছিনিয়ে নিয়ে বোবা প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে তার ফল চাবিয়ে খেয়ে আনন্দ উৎসব করা অমানবিকতা হবে না কেন, নাস্তিকরা কাঁঠাল গাছের পক্ষে কি কি আন্দোলন করেছে?
গাছের কষ্টের অনুভূতি রয়েছে। গাছকে ভয়ংকর রূপে কুপিয়ে কুপিয়ে কেটেই তো ফার্নিচার বানানো হয়েছে। নাস্তিকরাও চেয়ার টেবিলে বসে মোবাইলে ফেসবুক চালিয়ে মুমিনদের গালাগালি করে আনন্দ পায়। অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানে এই কাঠের ফার্নিচার ব্যবহার করা হয় এবং মানুষরা সেই অনুষ্ঠানে আনন্দ-উৎসব করে যা নাস্তিকদের যুক্তিতে অমানবিক তাই প্রশ্ন হলো ফার্নিচারে বিরুদ্ধে কি কি আন্দোলন করেছে? নাকি চেয়ার, টেবিল, সোফায় অথবা কাঠের তৈরি খাটে বসেই নাস্তিকরা আমার এই লেখা পড়ছেন। যদি পড়ে থাকেন অবশ্যই সে সব ফার্নিচার কে ছুড়ে ফেলে দিন এখনোই। কি পারবেন তো নাস্তিক দাদা?
এই যে বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের প্রান হত্যা করার জন্য কত বিষাক্ত বিষ আবিষ্কার করার চেষ্টা করছে।ধরুন সফল হয়ে গেল। পুরো পৃথিবীর মানুষ কত আনন্দিত হবে জানেন? এই যে করোনা ভাইরাসের প্রান বিষাক্ত বিষ দিয়ে হত্যা করার পর পুরো দুনিয়ার মানুষ অনেক আনন্দ উৎসব করবে খুশিতে তখন কি মূর্খ নাস্তিকরা বলবে যে করোনা ভাইরাসের প্রান হত্যা করা ভাল কিন্তু তাই বলে আনন্দ উৎসব করা অমানবিক? এই আনন্দ উৎসব বন্ধ করার জন্য নাস্তিকরা কি পদক্ষেপ নিবে এখনই দেখতে ইচ্ছা করছে!
🎉🎉🎉🎇🎇🎇🌎🌎🌎
পড়াশোনা না করা অনেকে মনে করে, গরুকে হত্যা করার জন্যই শুধু মুসলিমরা কোরবানির ঈদে আনন্দ-উৎসব করে যা ভুল কেননা আমরা মুসলিমরা শুধুমাত্র গরুকে হত্যা করার কারণেই উৎসব-আনন্দ করিনা বরং আল্লাহর দেওয়া আনুগত্য স্বীকার করে, তাকওয়ার সাথে গরুর গোস্ত গরিব দুঃখী মানুষদেরকে উপহার দিয়ে তাদের আনন্দে নিজেরা আনন্দিত হই।
আস-সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী: ১০২৩৮, সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার হাতে কুরবানীর পশু পাঠান এবং নির্দেশ দেন, কুরবানীর দিন একে যবোহ করবে, নিজে খাবে, মিসকীনদেরকে দেবে এবং আমার ভাইয়ের ঘরে পাঠাবে। বিস্তারিত তাফসীরে আবু বকর জাকারিয়া,সুরা হজের আয়াত ২৮ এর ব্যাখ্যা পড়ুন।
সুরা হজ ২২:২৮= নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।
সুরা হজ ২২:৩৭ = এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
গরিব শিশুদের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন কখনো, তারা কত খুশি নিয়ে কুরবানির ঈদে গরুর গোস্ত নিতে আসে এবং কত আনন্দ পায়। তাদের এই খুশিতেই আমাদের কুরবানির ঈদ সার্থক। কারন তারা খুশি হলে আল্লাহও আমাদের উপর খুশি হবেন। ছোট শিশু সন্তানদের
এই খুশির আনন্দ নাস্তিকরা কিভাবে সহ্য করবে বলুন?
মূর্খ নাস্তিকরা আসলে ইসলামের আদর্শ দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে যায় কারণ তাদের নাস্তিক্যধর্মে তো কোন আদর্শ নেই নাস্তিক্যধর্ম বান্দরের আদর্শে গঠিত এটা আস্তিক নাস্তিক সবাই মানে।
নিজের নাস্তিক মায়ের সাথে সঙ্গম করা বৈধ এমন ফতোয়া দানকারী নাস্তিকদেরও দেখেছি ফেসবুকে ইলিশ মাছের ছবি হেসে হেসে পোস্ট করতে। এই ইলিশ মাছকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেরা মজা করে খেয়েছে তখন নাস্তিকদের মায়া কান্না কই গায়েব হয়ে যায় সেটাকে আন্তর্জাতিক প্রশ্নে রাখা উচিত।
মুমিনরা আল্লাহর সৃষ্টি করা খাবার খায় নিয়ম অনুযায়ী কিন্তু সম্মতি থাকলে যা ইচ্ছা তাই করা যাবে এরকম কথাই নাস্তিকরা সাধারণ মানুষদের গেলাতে চায় তাহলে শাক সবজি, মাছ, ইত্যাদি যত প্রান ওয়ালাদের খাবার নাস্তিকরা চাবিয়ে খায়, সেসব গাছের থেকে একবারও সম্মতি নেয়া হয়েছে কি? হে কলা গাছ তোমার কলা আমি নাস্তিক খাবো তুমি সম্মতি দেউ? হে আপেল গাছ তোমার আপেল আমরা নাস্তিকরা খাবো তুমি সম্মতি দেউ? হে গরু সারাজীবন KFC তে তোমার গোস্ত খাই কিন্তু কুরবানি আইলে আমরা তোমার পক্ষে মায়া কান্না দেখাই তাই তোমার দুধ আমাদের খেতে দাউ? নাস্তিকদের যুক্তি অনুযায়ী এসব নাস্তিকদেরকেই পালন করা উচিত। কিন্তু এখানে সকল পশ্চাদগামী নাস্তিকরাই নিরব!
বিবর্তনবাদের নৈতিকতার আলোকে শুধু নয় বরং নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতেও মুসলিমদের কুরবানীর ঈদ সম্পূর্ণ মানবিক এবং যৌক্তিক সেখানে কিছু অসৎ নাস্তিকদের নৈতিকহীন লাফালাফি জ্ঞানীদের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বরং বাতিল।
গরিবরা গরু বিক্রি করবে,ধনীরা কিনবে। ফলে গরিবরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে এবং দেশের অর্থনীতিরও উন্নতি হবে। মুসলিম অসহায় গরিবদের আনন্দ উৎসব দেখে মানবতা বিরোধী উগ্রপন্থী নাস্তিকদের সহ্য হবে না এটাই স্বাভাবিক।
: