📌বিষয়ঃ নাস্তিক্যবাদ প্রচারকারীদের ক্যারেক্টার।
✍লিখেছেনঃ এম ডি আলী ।
বেশি দিন হবে না, কয়েক বছর আগেই আমি মনে করতাম নাস্তিকরাই হয়ত একমাত্র মানবতার সমাধান দিতে পারবে অথবা নাস্তিক্যবাদই মানব ধর্ম । আমার এই ধারনা চরম পর্যায়ের ভুল ছিল যখন আমি বড় বড় নাস্তিকদের কেতাব অধ্যায়ন করতে শুরু করি। আমি কোনো ফিটার সেবনকারী নাস্তিকদের কেতাব পড়িনি।
বাংলায় যারা বিখ্যাত নাস্তিক অথবা বলা যায় নাস্তিক্যধর্মের অবতার স্বরূপ তাদের ফেমাস কেতাব মুক্তমনে গবেষণা করেছি। হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎ রায় , তসলিমা নাসরিন, আরজ আলী মাতাব্বর (ক্লাস ফাইভ পাশ) ইত্যাদিরা বর্তমানের নাস্তিকদের আইডল।এসব নাস্তিকদেরকে যদিও জ্ঞানী মানুষেরা পাত্তা দেয় না তারপরেও বাংলার নাস্তিক সমকামীদের কাছে এদের মর্যাদা অবতারের থেকেও উচ্চ মাকামে ।
যেসব নাস্তিকদের "নাস্তিকীয় বিশ্বাস" দুর্বল তারা আমার লেখাটি পড়া থেকে দূরে থাকুন। কারন নতুন নাস্তিকরা আমার লেখা পড়ে নাস্তিক্যধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে ফিরে আসতে পারে ।
নাস্তিকদের মুখে যখন এদের প্রশংসা শুনি তখন অবাক হতাম এই ভেবে যে, এরা সরাসরি মুখে বলে না, নাহলে এরাই নাস্তিক্যধর্মের অবতার বরং তারচেয়েও বেশি কিছু । আমি একদিন চিন্তা করলাম এদের কেতাব পড়বো, আর যাচাই করবো এরা কি আসলেই চরিত্রবান নাকি সমাজের সামনে এরা নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরতে চায়, নাকি এরাই হলো সমাজের অরজিনাল ভাইরাস ।
আমি মুক্তমনা চিন্তা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম । প্রথমে যেই কেতাব দিয়ে বিসমিল্লাহ করলাম সেটা হচ্ছে হুমায়ুন আজাদের "আমার অবিশ্বাস" কেতাব । প্রচণ্ড নারী বিদ্বেষী ছিলেন এই নাস্তিক । এক সন্ধায় নারীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন এই বিখ্যাত নাস্তিক । নাস্তিক পাঠকরা আমার কথায় রাগ করবেন না । আমি মুমিন মানুষ, মিথ্যা কথা বলা ইসলামে হারাম । এই নেন প্রমান সাথে দিয়েও দিলাম । সুরা হাজ্জ ২২:৩০ = মিথ্যা কথা হতে দূরে থাকো ।
আমি নাস্তিকদের কেতাব থেকেই সরাসারি সত্য দাবি গুলো প্রকাশ করে দিব । যদি কেউ সত্যবাদী নাস্তিক হয়ে থাকে তবে আমার দেয়া প্রমান একজন নাস্তিকও ভুল বলতে পারবে না ।
নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ, নারীদেরকে সব সময় দেখতে চাইতো, ছুঁতে চাইতো । সেই দেখার ধরন আসলে কেরকম সেটাই আমি বলছি আগে প্রমান দিচ্ছি সে নারীদের দেখতে ও ছুঁতে চেতো ।
👉আমার অবিশ্বাস, ১৫২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছেঃ আরও কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুঁতে চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানীয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধনীপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই, মগজে আলোড়ন বোধ করতে চাই । আরও কিছু দিন আমি হেসে যেতে চাই।
👉আমার অবিশ্বাস, ১৩ পৃষ্ঠায়, প্রথম পরিচ্ছেদ, আমার ইন্দ্রিয়গুলো, বর্ণিত হয়েছেঃ আমার ভাল লাগতো ভোরের আকাশ, শ্রাবনের মেঘ, হেমন্ত, নদী না নারী, কখনোই জানবো না আমি কবিতা পড়েছিলাম, এমনকি লিখেছিলামও, কেঁপে উঠেছিলাম কামনায়, অজস্র বার তৃপ্ত করেছিলাম আমার কামনা এবং বহুবার পরিতৃপ্ত করতে পারিনি ।
👉আমার অবিশ্বাস, ১৬ পৃষ্ঠায় সুস্পষ্ট বর্ণিত হয়েছেঃ ছোঁয়া সবচেয়ে অন্তরঙ্গ অনুভূতি, আমাদের শরীর ছোঁয়া চায়, আমরা ছুঁতে চাই, আমিও ছুঁতে চেয়েছি, ছোঁয়া চেয়েছি এবং ছোঁয়া পেয়ে ও ছুঁয়ে সুখী হয়েছি ।
পাঠক, আমার মুক্তমনা লেখা এতটুকু পড়েই নাস্তিকরা হয়ত আমাকে গালাগালি অথবা হুমকিও দিতে পারে তারপরেও আমি সত্যকথা বলা থেকে সরে যাবো না । নাস্তিকদের হচ্ছে টাকার শক্তি আর আমার হচ্ছে কলমের শক্তি । নাস্তিকদের পীর সাহেব যে সারা সন্ধ্যা এক অবলা নিরীহ নারীকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন সেটার প্রমান দিব এখন ।
👉আমার অবিশ্বাস, ১৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছেঃ যখন শিশু ছিলাম,কিশোর হয়ে উঠেছি যখন, তখনও আমি সব কিছু চুষে দেখতে চেয়েছি, আজো অনেক কিছু চুষে আর চেখে দেখতে ইচ্ছা করে, ছেলেবেলা ভোরে ইচ্ছে হতো চুলোর লাল আগুনের টুকরোগুলোকে চুষে দেখতে, ওগুলো লাল গোলাপের থেকেও লাল হতে জ্বলজ্বল করতো । সূর্যাস্তকেও চুষে স্বাদ নিতে ইচ্ছে হতো, কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিল চুইংগামের মতো এক তরুণীকে।
কেতাবের নাম, পৃষ্ঠা নাম্বার সহ উল্লেখ করে দিয়েছি । লেখাটি আবার পড়ুন মনোযোগ দিয়ে । দরকার হলে নিজে কেতাব খুলে সরাসরিও দেখতে পারেন আমার আপত্তি নেই । আপনি বুকে হাত রেখে বলুন তো, আপনি নাস্তিক হোন আমার আপত্তি নাই, আপনার মা অথবা বোনকে কেউ যদি চুইংগামের মতো চুষতে আর চাপাতে চায় আপনি কি তাকে মানবতার কর্মী বলবেন? সন্ধ্যা বেলা একজন নারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল ।সেই নারীকে চুষতে আর চিবুতে ইচ্ছা করা কি কোন স্বাভাবিক মানুষের কাজ ? নারীরা কিভাবে চুইংগামের মতো হয় ? আমি যেদিন এসব লেখা পড়েছি সাথে সাথে থু থু দিয়ে নাস্তিক্যবাদকে ডাসবিনে ছুয়ে ফেলে দিয়েছি। ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে নারীদের নগ্ন করা ছাড়া আর কি অধিকার দেয়া হয়েছে নাস্তিক্যধর্মে ?
আমি যদি তখন উপস্থিত থাকতাম সেই সম্মানিত নারীকে জিজ্ঞাসা করতাম, হে আমার বোন! নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ আপনাকে সারা সন্ধ্যা চুষতে আর চাবাইতে চেয়েছে আপনি কি বলবেল ? আমার বিশ্বাস, সেই নারী অবশ্যই বলতো, আমি লুচ্চা, ধর্ষক নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের ফাঁসি চাই। সব নারীরা এই কথাই বলবেন স্বাভাবিক ।
শুধু কি অবলা নারী ? শিশুরাও বাদ যায়নি এই চরিত্রহীনদের বদ নজর থেকে । ছোট শিশুদের নগ্ন দেহ দেখে সুখ নিতেন এই শিশুকামী হুমায়ুন আজাদ ওরফে নাস্তিকদের মহান অবতার । আমি একটি কথাও বানিয়ে বানিয়ে বলছি না, এসব আমি পারিও না।
আমার অবিশ্বাস, ১৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছেঃ উলঙ্গ শিশুরা, ওদের পরার কিছুই নেই, মাঘের শীতে পাতার আগুনের উম নিচ্ছে দেখে সুখ নেই, সুখ পেয়ে নিজেকে অপরাধী বোধ করি । আমার ইন্দ্রিয়গুলোর মধ্যে চোখ দুটিই শ্রেষ্ঠ । এ দুটি দিয়ে আমি দূর থেকে ভেতরে টেনে আনি দৃশ্যের পর দৃশ্য , সৌন্দর্যের পর সৌন্দর্য । অন্য কোনো ইন্দ্রিয় দিয়ে এভাবে টানতে পারি না বাহিরকে ।
মুক্তমনে ভেবে দেখবেন কি পাঠক ? আমি অথবা আপনি হলে কি করতাম সেখানে ? অবশ্যই সেই শিশুদের জামা কাপড় কিনে দিতাম যেন তারা তাদের নগ্ন দেহকে ঢাকতে পারে । সভ্য মানুষরা কখনোই সেই শিশুদের নগ্ন দেহ দেখে মজা অথবা সুখ নিবে না, নিতে পারেও না । কিন্তু নাস্তিকদের মহান নেতা হুমায়ুন আজাদ শিশুদের দেখে সুখ নিতেন এবং তিনি যে শিশুকামী ছিলেন সে জন্য অপরাধ বোধ করতেন, না হলে কেন অপরাধ বোধ করবেন ? সুতরাং তিনি সে শিশুকামী ছিলেন এ কথা তার লেখাতে সুস্পষ্ট ফুটে উঠেছে । কেউই অস্বীকার করতে পারবে না।
হুমায়ুন আজাদ নারীদেরকে ভোগ করার জন্য দেহ ছোঁয়ার পক্ষে কথা বলেছেন,এমনকি পশু দেখলেও নাকি তার ছুঁতে ইচ্ছে করতো । সে পশুকামীও ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। আমাদের সভ্য সমাজের মানুষ অবৈধভাবে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে অশ্লীলতা মনে করলেও নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ এসবকে ব্যাক্তি স্বাধীনতা বলে বিশ্বাস করতো । সে নাকি অনেক নারীকে ছুঁয়েছে এবং ছোঁয়া পেয়েছে । এখানে আমার একটি প্রশ্ন আছে , সেটি হলো তার ছোঁয়ায় কোনো নারী প্রেগন্যান্ট হলে সে কি করেছে ? নাকি এমন ভাবে ছুঁয়েছে যে নাস্তিক নারী প্রেগন্যান্ট হয়নি ? যেযব নাস্তিক নারীদেরকে ছুঁয়েছে তাদের মন্তব্য কেন হুমায়ুন আজাদ তার কেতাবে আনেননি ? একজন নাস্তিক পুরুষ যদি একজন নাস্তিক নারীকে প্রেগন্যান্ট করে সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে না চাওয়াকে ব্যাক্তি স্বাধীনতার অধিকার বিশ্বাস করে তাহলে নাস্তিক্য ধর্ম এখানে কি সমাধান দিবে ? সেই শিশুটির দায়িত্ব কে হবে, যদি নাস্তিক মা নিতে না চায় ? এসব গুরুত্বপূর্ণ মুক্তমনা প্রশ্নগুলো কেন নাস্তিকদের মনে জেগে উঠে না ?
👉আমার অবিশ্বাস, ১৬ পৃষ্ঠায় পরিষ্কার বর্ণিত হয়েছেঃ আকাশ আর আগুন ছুঁয়ে ফেলেছি কতোবার, ঘাস দেখলে এখনো ছুঁতে ইচ্ছা করে, পশু দেখলে ছুঁতে ইচ্ছা করে, কোনো কোনো নারী দেখলে ছুঁতে ইচ্ছা করে, কিন্তু ছুঁই না । সব কিছু ছোঁয়া অনুমোদিত নয়। ওষ্ঠ দিয়ে ছোঁয়া নিবিড়তম ছোঁয়া, আমি যা কিছু ওষ্ঠ দিয়ে ছুঁয়েছি তারাই আমাকে সুখী করেছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের সমাজে ছোঁয়া খুবই নিষিদ্ধ ব্যাপার । আমরা খুব কম মানুষকেই ছুঁতে পারি, খুব কম মানুষকেই ছোঁয়ার অধিকার আছে আমাদের । ছোঁয়া এখানে পাপ, কোনো নারী যদি কোনো পুরুষকে ছোঁয়, কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে ছোঁয়, তাতে সূর্য খ'সে পড়ে না , আকাশে হুলস্থূল শুরু হয়ে যায় না । কিন্তু আমরা মনে করি মহাজগত তাতে খেপে উঠেছে । শরীর খুবই আপত্তিকর আমাদের কাছে, একে অজস্র পাপের উৎস ভেবে আমরা ভয় পাই, পবিত্র বইগুলো সব সময় মনে করিয়ে দেয় যে আমরা পাপী তাই আমাদের সুখ নয়, শাস্তি প্রাপ্য । কিন্তু আমি ছুঁয়েছি, ছোঁয়া পেয়েছি তাতে চাঁদতারা খ'সে পড়ে নি । ছুঁয়ে ও ছোঁয়া পেয়ে আমি যে সুখ পেয়েছি, তা আর কিছুতে পাইনি ।
হুমায়ুন আজাদ নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ বলে দাবি করলেও আসলে তিনি বিজ্ঞানবিরুদ্ধ নাস্তিক ছিলেন। তার লেখাতেই প্রমান মেলে । "আকাশ আর আগুন ছুঁয়ে ফেলেছি কতোবার" আকাশ কি কখনো ছুঁয়ে দেখা যায় ? উত্তর হচ্ছে না । এরকম আরও আছে যা সরাসরি বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে যায় অথচ অন্ধবিশ্বাসী নাস্তিকরা এসব বিশ্বাস করে আসছে বছরের পর বছর।
সত্যসন্ধানী পাঠকরা ভাবছেন লেখাটি যদি আরও বড় হতো তাহলে আরও অনেক কিছু জানতে পারতাম । সত্যের জয় হবেই । আমার দেয়া সমস্ত দলিল আপনারা মিলিয়ে দেখুন এবং নিজেরাই নিজ দায়িত্ব নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখুন । নাস্তিকরা এসব তথ্য বই থেকে সরিয়ে ফেলতে পারে । এখনো সময় আছে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে । নাস্তিক্যধর্মকে প্রশ্নের পাথরে বিক্ষত করতে হবে এবং আস্থা রাখতে হবে দ্বিতীয় বিদ্যায় ।
হুমায়ুন আজাদের মুরিদরা তার পক্ষে সাফাই গাইবে আর বলবে এ মুমিন সাহিত্য জানে না , এই মুমিন অসভ্য, যুক্তি বুঝে না, বিজ্ঞান বুঝে না, ইত্যাদি ইত্যাদি বলে আমাকে গালিগালাজ করবে, আমাকে অপমান করার চেষ্টা করবে। তাতে আমি পরোয়া করি না । সেসব অন্ধ বিশ্বাসী সমকামীদের বলতে চাই আমি তোমাদের নোংরা নারীবিদ্বেষী আর শিশুকামীতার সাহিত্য বুঝতেও চাই না কারন সত্য যে কঠিন তাই কঠিনেরে ভালবাসিলাম ।
: