নোটবুকের পাতায় একদিন।

Post a Comment


 

🤩গল্পের নামঃ নোটবুকের পাতায় একদিন।

✍লিখেছেনঃ মোহাম্মদ রাহাত।


👉 লেখকের কথাঃ


আমি মোহাম্মদ রাহাত।বিভিন্ন সময় ছোট ছোট গল্প লেখনিতে যে ভাইটি আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি আমাদের সবার প্রিয় এম ডি আলী ভাই। আমার সব গল্প গুলোকে তিনি একত্রে করে,সুন্দর করে সাজিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এখানে অনেক গল্প আছে তাই সময় নিয়ে পড়বেন। আল্লাহ ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। আমিন। 


✅✅✅


নাস্তিক: টুপি পরেছিস ক্যান?

আমি: এটা নবীদের সুন্নত।

নাস্তিক: তাকনুর উপরে প্যান্ট?

আমি: এটা নবীদের সুন্নত।

নাস্তিক: দাড়ি রেখেছিস?

আমি: এটা নবীদের সুন্নত।

নাস্তিক: ও সবকিছুতেই নবীদের সুন্নত?

আমি: হ্যাঁ।

নাস্তিক: তাইলে বল নবী মুহাম্মাদের মসজিদ ছিলো কিসের তৈরি?

আমি: খেজুর পাতার!

নাস্তিক: তাইলে তোদের মসজিদ টাইলসের ক্যান? তোদের তো সৌদিআরব থেকে খেজুরের পাতা এনে মসজিদ তৈরি করা উচিৎ তাইনা, তা খেজুরের পাতা বাদ দিয়্যা টাইলস লাগাইছোছ ক্যান?

আমি: আরে মসজিদে টাইসল লাগানোও সুন্নত।

নাস্তিক: কস কি! নবী আবার কবে টাইলস লাগাইলো হুনি?

আমি: আচ্ছা বলছি! তুই আগে বল এই 'টাইলস' কিসের তৈরি?

নাস্তিক: এটা পাথরের তৈরি (পাথর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে গুঁড়ো করে পাউডারে পরিণত করে Chemical মিশিয়ে তৈরি করা হয়)।

আমি: আরে মূল উপাদান কি সেইটা বল?

নাস্তিক: পাথর।

আমি: হ্যাঁ পাথর! So টাইলস গালানোও সুন্নত।

নাস্তিক: ক্যান টাইলস লাগানোও সুন্নত হইবো ক্যান?

আমি: আচ্ছা যেই মসজিদে আমরা টাইলস লাগিয়েছি সেই মসজিদকে আমরা 'কার ঘর' বলি?

নাস্তিক: ক্যান 'আল্লার ঘর'!

আমি: তাইলে সর্বপ্রথম আল্লাহর ঘর 'কাবা' বানিয়েছিলেন নবী ইবরাহীম আ: আর তিনি তা পাথর দিয়েই বানিয়েছিলেন, So এটাও সুন্নত।

নাস্তিক: পুরাই টাসকি। 


✅✅✅


 নাস্তিক: এসকল ধর্ম মানুষই বানিয়েছে তাই আমি কোন ধর্ম মানি না।

আমি: দেখ এটা সঠিক যে অনেক ধর্ম মানুষই বানিয়েছে তবে ইসলাম ব্যতীত। যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী ও অন্যান্য সকল ধর্ম যার কিছু মানুষ বানিয়েছে আর কিছু বিকৃত করেছে। সুতরাং এসব ধর্ম না মেনে তোর উচিৎ কেবল ইসলাম ধর্ম মেনে চলা।

নাস্তিক: হা, হা, তুই ইসলামের ঠিকাদারি করিস দেখে এই কথা বলছিস যে তোর ধর্মই সঠিক। শোন- তোর মতো অন্যরাও দাবী করে যে তাদের ধর্মই সঠিক।

আমি: কেউ দাবী করলেই কি তুই তা বিশ্বাস করবি? নাকি তুই সেটা চেক করে দেখবি 'সত্য ও মিথ্যার' পার্থক্য?

নাস্তিক: তা অবশ্য ঠিক!

আমি: তুইতো জানিস যে সব ধর্মের ঠিকাদাররাই দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তার বাণী আর সেসব একেবারেই নির্ভুল এবং বিজ্ঞানময়?

নাস্তিক: হ্যাঁ- এই দাবী তো সবাই করে।

আমি: আচ্ছা আমি তোকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেই যেহেতু আমি ইসলামের কথা বলেছি দেখে তুই আমাকে ইসলামের ঠিকাদার বললি!

নাস্তিক: পারলে দে!

আমি: যেমন ধর হিন্দু ধর্ম ও তার ধর্মগ্রন্থ। একেবারেই ভিত্তিহীন এই ধর্ম আর তা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। এছাড়াও দেবতাদের কুকর্মে ভরপুর। চাইলে আমি তোকে বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত খুলে দেখাতে পারি।

নাস্তিক: Right বলেছিস! আমিও ওসব বেদ, গীতা, মহাভারত পড়েছি।

আমি: বৌদ্ধ ধর্ম। এটাও অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন তথ্য উপাত্তনির্ভর যা ধ্রাম্যপাতেই বিদ্যমান।

নাস্তিক: মানলাম কারণ আমিও কিছুটা পড়েছি।

আমি: খ্রিস্টানদের বাইবেলে আছে 'সাপ ধুলো খায়' তুই এটা বিশ্বাস করবি? (zoology) প্রাণী বিদ্যার বইয়ে আছে সাপ খায় মাছ, ব্যাঙ, কীটপতঙ্গ। আরো 'আছে আকাশমণ্ডলীর স্তম্ভ আছে' যা অবৈজ্ঞানিক। এছাড়াও আছে অনেক গাণিতিক ভুল।

নাস্তিক: বলিশ কি! আর ইহুদীদের?

আমি: ইহুদীদের Old Testament-এ আছে পর্ণগ্রাফি বা অশ্লীলতা ও যৌনকর্ম (Ezekiel, যেটা বাইবেলের ২৩ অধ্যায়)। সুতরাং অশ্লীলতার শিক্ষা ঈশ্বরের বাণী হতে পারেনা।

নাস্তিক: মেনে নিলাম! কারণ চেক করে দেখলাম Reference Correct. এবার ইসলাম নিয়ে বল দেখি?

আমি: কুরআন এক অলৌকিক গ্রন্থ। যা অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা যা বলেছে তার সবকটি সঠিক।

নাস্তিক: যেমন?

আমি: যেমন অতীত/ বর্তমান/ ভবিষ্যৎ নিয়ে বলি

👉 অতীত নিয়ে

"চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে"

(সূরা কমার আয়াত ১)

তুই গুগলসার্চ করে দেখ এটা সত্যি এবং NASA চাঁদ সম্পর্কে যেসকল তথ্য দিয়েছে তাও দেখতে পারিপস।

👉 বর্তমান নিয়ে 

"ফেরাউনের ডেড বডি আজও অক্ষত"

(সূরা ইউনুস আয়াত ৯২)

তুই এখনি মিশরের কায়রো মিউজিয়ামে গিয়ে দেখে আসতে পারিস। যেই ফেরাউন মারা গিয়েছে নবী মুহাম্মাদের জন্মেরও ২১০০ বছর আগে। অথচ এই Information কুরআন থেকে Collect করেই তার দেহ লোহিত সাগর থেকে তুলে আনা হয়। যা কুরআনের সত্যাসত্যের প্রামাণ।

👉 আর ভবিষ্যৎ

"সূর্য নিষ্প্রভ হবে"

(সূরা তাকভীর আয়াত ১)

অর্থাৎ জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে প্রদীপ যেমন আপনা আপনি নিভে যায়, ঠিক তেমনি সূর্যের জ্বালানীও একদিন শেষ হবে আর সূর্য নিভে যাবে।

সুতরাং কুরআন অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো যেসকল তথ্য দিচ্ছে সেসবই প্রমাণ করে যে, এটা সৃষ্টিকর্তার সুমহান বাণী। কেননা এসবের ১টিও তুই ভুল প্রামাণ করতে পারবি না! বিগত ১৪০০ বছরেও কেউ পারেনি। 

নাস্তিক: বিনাবাক্যে মেনে নিতে বাধ্য হলো।


✅✅✅


নাস্তিক: জানিস রাহাত! আমি কি স্বপ্ন দেখেছি?

আমি: কি স্বপ্ন? 

নাস্তিক: আমি স্বপ্নে দেখি আল্লাহ আমাকে বললেন, "তুমি তোমার প্রিয় জিনিষ কুরবানি করো! আর আমি বললাম আমার প্রিয় জিনিষ তো তুমিই আর আল্লাহ ভয়ে দৌড় দিলো" হা, হা, হা।

অর্থাৎ আমি আল্লাহকেই কুরবানি করতে ছেয়েছিলাম।

আমি: ও তাইনাকি?

নাস্তিক: হ্যাঁ তাই!

আমি: আচ্ছা আমি তোর স্বপ্ন বিশ্বাস করবো কিন্তু তার আগে তুই তোর আল্লাহর উপমা দে?

নাস্তিক: আমার আল্লাহর আবার কিসের উপমা মানে?

আমি: কেন যে আল্লাহ তোকে আদেশ করলো তার উপমা দিবিনা? অন্যথায় আমি কিভাবে তোর স্বপ্নের ঘটনা বিশ্বাস করবো?

নাস্তিক: কেন নবী ইব্রাহীমের বেলায় তো তার স্বপ্ন তোরা ঠিকই বিশ্বাস করিস তাও কোনপ্রকার উপমা ছাড়াই?

আমি: আরে না, না! আমরা কেউ উপমা ছাড়া বিশ্বাস করিনি! কেননা নবী ইব্রাহীমের সাথে এই বিষয়ে তখন শয়তান নমরূদ Debate করেছিলো! আর নমরূদ দাবী করেছিলো যে সে'ই হচ্ছে সবচেয়ে বড় আল্লাহ।

নাস্তিক: তারপর?

আমি: তারপর নবী ইব্রাহীম নমরূদকে আল্লাহর উপমা দিয়েছিলো, ফলে সে নবী ইব্রাহীমের কাছে বিতর্কে উপস্থিত সকলের সম্মুখে পরাজিত হয়। যা কুরআনে সূরা আল-বাকারার ২৫৮ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ আছে। এবং সূরা ইখলাসও আল্লাহর সঙ্গা। তুই চাইলে এখনি কুরআন খুলে চেক করে দেখতে পারিস।

নাস্তিক: না আমার ওসব দেখার দরকার নাই!

আমি: কিন্তু আমার দেখার দরকার আছে। সুতরাং তোর দাবী অনুযায়ী তুইও এখন তোর সেই আল্লাহর উপমা দে যাকে নিয়ে তোর স্বপ্ন? তারপর আমার বিশ্বাস করা বা না করার পালা! দে উপমা দে

নাস্তিক: ইয়ে মানে! ধ্যাত শালা! এভাবে ধরা খেয়ে গেলাম!! 😖


✅✅✅


নাস্তিক: যেহেতু আল্লাহ পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে নারী সৃষ্টি করেছেন তাহলে যেসব নারীর একাধিক বিয়ে হয় তাদের কি একাধিক পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে?

আমি: ব্যাপারটা আদম & হাওয়া (আ:) এর সাথে সম্পৃক্ত। যা ছিলো মানুষ সৃষ্টির সূচনালগ্ন। আর আল্লাহর সৃষ্টির ভিন্ন কয়েকটা বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।

যেমন

অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনায়ন করা = বিশ্বজগৎ

পিতামাতা ছাড়াই সৃষ্ট = আদম (আ:)

পুরুষ থেকে সৃষ্টি = হাওয়া (আ:)

নারী থেকে সৃষ্টি = ঈসা (আ:)

পুরুষ এবং নারীর সমন্বয়ে সৃষ্টি = সাধারণ সব মানুষ।

এখন প্রশ্ন: আল্লাহ কেনইবা একজন নারীকে একাধিক পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন?

উত্তরে: প্রথমত কোন হাদিসে এটা উল্লেখ নেই যে একজন নারীকে একাধিক পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে বরং বিষয়টা আদম & হাওয়া (আ:) এর সহিত সম্পৃক্ত।

(সহীহ বুখারী হা/৩৩৩১/ ৫১৮৪/ ৫১৮৬)

দ্বিতীয়ত একজন পুরুষের বিপরীতে একজন নারী সৃষ্টি করাটাই কি যৌক্তিক নয়?

না! ধরুন আপনি বিয়ে করার ৩ দিন পরে আপনার স্ত্রী মারা গেলো! তাহলে তো আপনার জন্য আর কোন নারী বরাদ্দ নেই,  So আপনার দাম্পত্যজীবন বরবাদ।

পক্ষান্তরে ধরুন কোন মেয়ের বিয়ের ২ দিন পরে স্বামী মারা গেলো! তাহলে তো তার দাম্পত্যজীবনও বরবাদ কেননা তার জন্যেও কোন পুরুষ বরাদ্দ নেই।

তাহলে প্রশ্ন: এঁদের কি হবে? 

উত্তর: একজন স্ত্রী পাবে না! আর অপরজন স্বামী পাবে না।

সুতরাং কেবল একজন পুরুষ বা নারীর বিপরীতে কেবল একজন নারী বা পুরুষ সৃষ্টি করাই যৌক্তিক ব্যাপারটা এমন নয়।

সুতরাং নাস্তিক বা নারীবাদীদের এই দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।


✅✅✅


কুরআন কেন সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা?

আপনাকে ১টি উদাহরণ দিয়ে বুঝাই!

নবী মুসা আ: এর ৯টি মোজেজার ১টি ছিলো লাঠি। যা কিনা সাপ হত। আর এটা দেখেছে কেবল সেই সময়ের মানুষ। যারা মুসা আ: এবং ফেরাউনের অনুসারী ছিলো। আর তারা সবাই এটার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

মুসা আ: ফেরাউনকে বললেন:

পূর্বাহ্নে জনগণকে সমবেত করুন নির্ধারিত দিনে (২০:৫৯)

ফেরাউন তার কৌশলসমূহ একত্রিত করলো (২০:৬০)

ফেরাউনের নিযুক্ত যাদুকরদের সাথে মুসা আ: এর প্রতিযোগিতা হল।

যাদুকরদের যাদু দেখে অধিকন্তু মুসা আ: তার অন্তরে ভীতি অনুভব করলেন। মহান আল্লাহ বললেন: ভয় করো না মুসা! তোমার লাঠি নিক্ষেপ করো। যা তাদের যাদুর অলীকতা সম্পূর্ণ গ্রাস করে নিলো এবং যাদুকররা তাৎক্ষণিক আল্লাহর প্রতি সেজদা অবনত হল। (২০:৭০)

এবং আল্লাহর নবী মুসা আ: বিজয়ী হলেন। [সুবাহান আল্লাহ]

এখন যে বা যারা সেখানে উপস্থিত ছিলো কেবল তারা এটা বিশ্বাস করবে।

আর তারা অন্যদের বলবে 'জানো আমি কি দেখেছি'?

এক্ষেত্রে অনুপস্থিতদের বিশ্বাস করাটা ধরুন ৮০%

তার পরের প্রজন্ম বলবে 'জানো আমার বাবা কি দেখেছেন'?

এক্ষেত্রে অনুপস্থিতদের বিশ্বাস করাটা ধরুন ৫০%

তার পরের প্রজন্ম বলবে 'জানো আমার দাদা কি দেখেছিলেন'?

এক্ষেত্রে অনুপস্থিতদের বিশ্বাস করাটা ধরুন ২৫%

আর তার পরের প্রজন্ম বলবে 'জানো আমার প্রো-পিতামহ কি দেখেছিলেন'?

আর এক্ষেত্রে যারা সেখানে অনুপস্থিত ছিলো তাদের জন্য বিশ্বাস করাটা অনেক কঠিন!

⛔  অতএব তারা বিশ্বাস করবেনা এটাই স্বাভাবিক।☑

সুতরাং এক্ষেত্রে প্রমাণিত হচ্ছে মুসা আ: এর মৃত্যুর মাত্র ১০০ বা ২০০ বছর পরেই অথবা মাত্র ২ থেকে ৩ প্রজন্ম পরেই তার এই মোজেজা মানুষ আর বিশ্বাস করবেনা। এবং সময়ের ব্যবধানে তা হারিয়ে যাবে।

★ এবার আসুন কুরআনের কথায় ★

আল-কুরআন এটা এমনই এক মোজেজা 

যা ১৪০০+ বছর আগে নাযিল করা হয়েছে এবং সেইসময়ের বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সবাই এটা প্রত্যক্ষ করেছে।

আর আজকের দিনেও এটা বিদ্যমান আছে!

আপনার দাদার দাদার, তার দাদা এমনকি তার দাদার দাদাও এটা দেখেছে!

আর আজকের দিনেও এটা আছে!

আল্লাহ বলেন:

নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী।

(সূরা আল-হিজর, আয়াত ৯)

কুরআন যা আপনি দেখছেন! আপনার পিতা দেখেছে! আপনার সন্তান দেখবে! এমনি তার পরের প্রজন্মও এটা দেখবে। আল-কুরআন এটা কিয়ামত অবধি বিদ্যমান থাকবে। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সবাই এটা দেখবে, তাই এটাই চিরন্তন মোজেজা।

সেইজন্য মহা-বিচার দিবসে কেউ এই অজুহাত দেখাতে পারবেনা সে যে মহান আল্লাহর কোন মোজেজা দেখেনি।

সুতরাং আল-কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা। ☑


✅✅✅


নাস্তিকীয় যুক্তি!

এক নাস্তিক হাদিসে পড়লো:

নবী (সা:) বলেছেন: জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও। (সহিহ বুখারী, হা/৫৭২৩)

এইবার নাস্তিক মন্তব্য করে বসলো: জ্বরের কারণে কোন চিকিৎসারই আসলে দরকার নাই। কারণ জ্বর হল জাহান্নামের উত্তাপ। তাই শুধু পানি দিয়েই জ্বর নামাতে হবে। হোক সেটা ডেঙ্গু বা টাইফয়েড, পানিই একমাত্র ট্রিটমেন্ট। এটাই তোদের ডাক্তার নবীর শিক্ষা! তাও বুখারীর হাদিস (৫৭২৩)  হা, হা, হা

👉 দেখুন নাস্তিকরা কিভাবে অপব্যাখ্যা করে?

চলুন আগে মূল হাদিসটা আবার দেখি!

নবী (সা:) বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও। (সহিহ বুখারী, হা/৫৭২৩)

👉 এবার নাস্তিকের কথার সাথে মিলিয়ে দেখুনতো?

নাস্তিক: 📣 জ্বরের কারণে কোন চিকিৎসারই আসলে দরকার নাই।

প্রশ্ন: হাদিসে কি এ কথা বলা হয়েছে যে, 'জ্বরের কারণে কোন চিকিৎসারই আসলে দরকার নাই'?

উত্তর: না!

নাস্তিক: 📣 তাই শুধু পানি দিয়েই জ্বর নামাতে হবে।

প্রশ্ন: হাদিসে কি এ কথা বলা হয়েছে যে 'শুধু পানি দিয়েই নামাতে হবে'?

উত্তর: না!

নাস্তিক: 📣 সেটা ডেঙ্গু হোক বা টাইফয়েড। পানিই একমাত্র ট্রিটমেন্ট।

প্রশ্ন: হাদিসে কি 'ডেঙ্গু বা টাইফয়েড' এর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: দেখেছেন তাহলে! নাস্তিকেরা কিভাবে সত্যকে মিথ্যা দিয়ে আড়াল করে?

🙄 😣 🙄

এবার সঠিক ব্যাখ্যা দেখে নিন ☑

নবী (সা:) বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও।

প্রশ্ন: যদি বলি জাহান্নামের মূল জিনিষ কি? তাহলে আপনি বলবেন আগুন।

প্রশ্ন: আচ্ছা! তাহলে আগুন নেভাতে কি দরকার 'পানি না পেট্রল'?

উত্তর: পানি।

প্রশ্ন: রাসুল সা: জ্বরকে কি দ্বারা ট্রিটমেন্ট নিতে বলেছেন?

উত্তর: পানি দ্বারা।

প্রশ্ন: জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে জলপট্টি করলে সে কি হয়? অথবা মাথায় পানি ঢাললে?

উত্তর: সে সুস্থতা লাভ করে।

সুতরাং ১৪০০ বছর আগে রাসুল সা: এর দেয়া চিকিৎসা পদ্ধতি কি আজকের কোন Medical Science অবৈজ্ঞানিক প্রমাণ করতে পেরেছে? না পারেনি! বরং আজকের দিনেও এটা বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা হিসেবে Continue আছে।

Note: নাস্তিক সর্বদা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে গোপন করে। নাস্তিক মানেই ধোঁকাবাজ-প্রতারক। 


✅✅✅


স্রষ্টা কি এমনকিছু বানাতে পারবেন যেটা তিনি নড়াতে পারবেননা?

এটা একটা খুবই ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন! তবে যুক্তি দিয়ে উত্তর দেই।

➖ প্রথমত: আপনি কি স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন?

যদি বলেন না! তাহলে আপনি এই প্রশ্ন করতে পারেননা, কেননা আপনি তো স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন। আর বিশ্বাস ও অবিশ্বাস দুটোই সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

➖ দ্বিতীয়ত: আপনি কি স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন?

যদি বলেন হ্যাঁ! তবে বলি স্রষ্টা কি 'অসীম না সসীম'?

- স্রষ্টা অসীম। (right) ☑

আপনি বললেন 'এমনকিছু বানাতে'  So এমনকিছু অর্থাৎ Something.

আপনি যখনি কোনকিছু Something বলে 'বুঝাবেন বা ধরে নেবেন' তখন সেটার একটা আকার-আকৃতি বা Shape থাকবে, অর্থাৎ সেটা হবে যাবে 'সসীম'-Right?

- হ্যাঁ- Right ☑

তাহলে যুক্তিতে যেটা Prove হচ্ছে তা হলো, আপনি অসীম স্রষ্টাকে সসীম কিছু বানাতে বলছেন, যা কিনা আবার তিনি (স্রষ্টাও) নড়াতে পাড়বেন না।

তাহলে ব্যাপারটা কি হাস্যকর নয়? হা হা হা

সুতরাং এটা একটা নীতিবিরোধী প্রশ্ন। [ Illogical ]

পক্ষান্তরে যারা Logic বা যুক্তি কম বোঝেন তাদের জন্য উদাহরণ।

আপনি কি জানেন এমন অনেক প্রশ্ন আছে যার কোন Answer হয়না! অর্থাৎ ঐসকল প্রশ্ন হচ্ছে অবান্তর প্রশ্ন।

যেমন-

👉  ৯ সংখাটার ওজন কতো?

কি উত্তর দেবেন? (অর্থাৎ অবান্তর প্রশ্ন) 

👉 নীল রংয়ের স্বাদ ক্যামন?

কি উত্তর দেবেন? (অর্থাৎ অবান্তর প্রশ্ন)

সুতরাং স্রষ্টা সম্পর্কে Logical প্রশ্ন করতে হবে, কিন্তু Illogical বা অযৌক্তিক প্রশ্ন করলে হবে না। কেননা অযৌক্তিক প্রশ্ন মূর্খতার সামিল।


✅✅✅


বিজ্ঞানী হওয়া ভালো মাগার অতিবিজ্ঞানী হওয়া ভালো না।

"এক নাস্তিকের গল্প"

নাস্তিক বললো: কুরআনে পানি আছে, কিন্তু পানির রাসায়নিক সংকেত H2O নেই কেনো?

আল্লাহ বলেছেন:

আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য।

 (সূরা আল-কমার, আয়াত ১৭/২২/৩২/৪০)

তো একদা এক নাস্তিক পিপাসায় মরণাপন্ন হয়ে এক কৃষকের বাড়ি গিয়ে বললো: চাচা আমাকে এক গ্লাস H20 দেন, খেয়ে বাঁচি!

দুর্ভাগ্যক্রমে কিছুসময় অতিবাহিত হওয়ার পর নাস্তিকটি মারা গেলো! মাগার মরার আগে সে কোনো H20 পাইলোনা 😴

কারণ ওই কৃষক চাচা আজও H20 খুঁজে বেড়াচ্ছে... 

😁😁😁😁


✅✅✅


রবার্ট: পরকাল বলে কিছু আছে তা তুই বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা দে?

রাহাত: শোন রবার্ট! বিজ্ঞান দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভবপর নয়।

রবার্ট: হা হা.. আমি জানতাম তুই পারবি না! বাদদে তোর "পরকাল-টরোকাল" এসব কল্পনাপ্রসূত নিছক ধ্যান-ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।

রাহাত: আচ্ছা শোন রবার্ট! গতকাল বাসে পকেটমার তোর পকেট কেটে মানিব্যাগ নিয়ে গেলো, তাতে তোর মূল্যবান অনেক কিছু ছিলো তাইনা?

রবার্ট: হ্যাঁ! ও আমার অনেক ক্ষতি করেছে!

রাহাত: আচ্ছা রবার্ট! এর জন্য কি উক্ত পকেটমারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ নয়- তুই কি বলিস?

রবার্ট: হ্যাঁ, অবশ্যই এর জন্য উক্ত পকেটমারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ, কারণ সে আমার পকেট কেটে মস্তবড় অন্যায় করেছে!

রাহাত: আচ্ছা রবার্ট! ''পকেট কাটার জন্য পকেটমারের শাস্তি হওয়া উচিৎ'' তুই এইটা আমাকে একটু বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা দে তো?

রবার্ট: ইয়ে মানে.. এটাতো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।

রাহাত: ক্যান খুবতো পারিস! স্টিফেন হকিং, ডারউইনের মত নাস্তিক বিজ্ঞানীদের সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা দে দেখি? 

রবার্ট: না'রে রাহাত! সত্যি বলতে পৃথিবীর কোনো বিজ্ঞানের সূত্র দিয়েই এটা ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব না।

রাহাত: এইজন্যই তো তোকে বললাম যে, পরকাল বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার বিষয় নয় বরং এটা ঈমানের তথা বিশ্বাসের বিষয়।

রবার্ট: তাহলে নাস্তিকরা যে পরকালে বিশ্বাস করে না! এ ব্যাপারে তুই কি বলবি?

রাহাত: শোন! নাস্তিকরা হচ্ছে মায়ের পেটের ভেতরের ঐ শিশুর মতন, যে তার প্রসব পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে না।

রবার্ট: হা, হা, হা চমৎকার যুক্তি! তুই ঠিকই বলেছিস।


✅✅✅


নাস্তিক: আল্লাহ কি সব পারেন?😡

আমি: আল্লাহ 'সব পারেন' এই কথাটা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বললেন নি!

নাস্তিক: হা-হা, তাহলে তোদের আল্লাহ সব পারেন না- তাইনা?😂

আমি: হ্যাঁ, তবে আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

নাস্তিক: আচ্ছা তোদের আল্লাহ কি কি পারেন না একটু বলতো?😂

আমি: আল্লাহ ভুলে যেতে পারেন না, ওয়াদার বর খেলাপ করতে পারেন না,  যুলুম করতে পারেন না...কাউকে ঠকাতে পারেন না..

নাস্তিক: থাম! থাম! বুঝেছি 🙄 বুঝেছি 🙄

আমি: যাক! তুই যে বুঝেছিস এর জন্য তোকে ধন্যবাদ 😜


✅✅✅


এক নাস্তিক আমাকে বললোঃ আচ্ছা! আধুনিক বিজ্ঞান কোনকিছু আবিষ্কার করার পরে কেনো তোমরা বলো যে এটা কুরআনে আছে! কেনো তোমরা আধুনিক বিজ্ঞান তা আবিষ্কার করার পূর্বেই বলতে পারো না?

আমিঃ চমৎকার প্রশ্ন! 

শুনুন! কুরআনে এমন অনেককিছু আছে যা আধুনিক বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি, তা কি জানেন?

নাস্তিকঃ আচ্ছা কয়েকটা তথ্য-উপাত্তের উদাহরণ দাও দেখি, কুরআনে না জানি কি এমন বিজ্ঞান আছে? 

আমিঃ

কুরআন বলছে ৭ আকাশের কথা (৭১ঃ১৫)।

কুরআন বলছে সূর্যের Fuel (জ্বালানি) শেষ হয়ে যাচ্ছে (৮১ঃ১)।

কুরআন বলছে পার্থিব সময় ও মহাজাগতিক সময় ভিন্ন (৩২ঃ৫)।

কুরআন বলছে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে (৫১ঃ৪৭)।

কুরআন বলছে আকাশে কোনপ্রকার ফাটল নেই (৬৭ঃ৪)।

কুরআন বলছে জড় বস্তুর ইবাদত আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হবেনা (১৭ঃ৪৪)।

কুরআন বলছে এই পৃথিবীর বাহিরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে (৪২ঃ২৯)।

কুরআন বলছে আসমান যমীন অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এসেছে (২ঃ১১৭)।

কুরআন বলছে লোহা এই পৃথিবীর নিজস্ব পদার্থ নয় এটা মহা-আকাশের অন্য নক্ষত্র থেকে পৃথিবীতে আসে (৫৭ঃ২৫)।

কুরআন বলছে এই মহাবিশ্বের সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছে (৩১ঃ২৯)।

আমি এমন আরো অনেক উদাহরণ দিতে পারি যা বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতেই পারেনি। অথচ মহান আল্লাহ আমাদের তা জানিয়েছেন ১৪০০+ বছর আগেই।

নাস্তিকঃ তোমার উদাহরণ গুলো আমাকে অবাক করলো।

আমিঃ কুরআন আধুনিক বিজ্ঞানের চেয়েও অনেক Advanced. এটা ঐশীগ্রন্থ মহান আল্লাহর বাণী। আপনার উচিৎ এটা বুঝে পড়া।


✅✅✅


একদা কথার প্রসঙ্গে...

(আমি এবং একজন নৌ'সেনা) 

ক্যাপ্টেনঃ আধুনিক বিশ্বায়নে ক্ষেত্রে তোমাদের মুসলিমদের কোনো ভূমিকাই নেই।

আমিঃ আছে! আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

ক্যাপ্টেনঃ আধুনিক বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে তোমরা মুসলিমদের কি এমন ভূমিকা আছে বলো দেখি?

আমিঃ আপনি তো নৌ কমান্ডার! আপনার তো জানার কথা যে প্রাচীন কালের নৌকা (Boat) update হতে হতে আজকের এই আধুনিক জাহাজ (Ship) এ- রুপান্তর? 

ক্যাপ্টেনঃ হ্যাঁ! Right- এক সময়ের মাঝিমাল্লাদের নৌকাই আজকে আধুনিক জাহাজ। তবে এটা বলে তুমি আমাকে কি বোঝাতে চাচ্ছো? আমিতো এটা জানতে চাইনি? আমি চেয়েছি আধুনিক বিশ্বায়নে তোমাদের ভূমিকা কি?

আমিঃ হ্যাঁ- ক্যাপ্টেন আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি।

ক্যাপ্টেনঃ আচ্ছা বুঝাও দেখি!!

আমিঃ সেদিনের নৌকা যা আজকের update আধুনিক জাহাজ, এই জাহাজের কি বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা আছে?

ক্যাপ্টেনঃ অবশ্যই আছে! এই জাহাজ দিয়েই তো আমরা বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছি... আমাদের আছে সর্বাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ, কার্গো জাহাজ, ফিশিং জাহাজ, আছে ডুবো জাহাজ বা সাবমেরিন etc.

আমিঃ আপনি কি জানেন! যে নৌকার বদৌলতে/ফলস্রুতিতে আজকের এই জাহাজ! প্রাচীন কালের সেই নৌকা সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছিলেন? 

ক্যাপ্টেনঃ তাতো জানিনা।

আমিঃ সর্বপ্রথম নৌকা যিনি আবিষ্কার করেছিলেন তাঁর নাম নূহ আঃ। তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন নবী। তিনি ছিলেন মুসলিম।

ক্যাপ্টেনঃ বলো কি? এই মহা-মূল্যবান তথ্য তুমি কোথায় পেলে?

আমিঃ পবিত্র কুরআনের ১১ নাম্বার সূরা হূদ এর ৩৭ নাম্বার আয়াতের আছে

আল্লাহ বললেন:

হে নূহ! তুমি আমার তত্ত্বাবধানে নৌকা নির্মাণ করো। অতঃপর নবী নূহ আঃ আল্লাহর আদেশে সর্বপ্রথম নৌকা নির্মাণ করেন। যার update version আজকের নৌ-জাহাজ। 

ক্যাপ্টেনঃ ধন্যবাদ। আমি মেনে নিলাম, আধুনিক বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে মুসলিমদের ভূমিকা অপরিসীম।


✅✅✅


নাস্তিকঃ তুই আল্লাহকে বিশ্বাস করিস? 

আমিঃ হ্যাঁ- করি।

নাস্তিকঃ আমি তোর মতো অন্ধবিশ্বাসী নই রে!

আমিঃ অন্ধবিশ্বাসী মানে? 😇

নাস্তিকঃ আমি যা দেখিনা তা 'বিশ্বাস' করি না।

আমিঃ তুই তো অনেক কিছুই না দেখে বিশ্বাস করিস (মানে অন্ধবিশ্বাস)।

নাস্তিকঃ না! আমি কোনকিছু না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করি না!

আমিঃ কেন তুই তো অনেক কিছুই না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেই আসছিস! এমনকি আজ অবধি। 

নাস্তিকঃ না! আমি কোনকিছু না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে আসছি না।

আমিঃ আচ্ছা! আমি কি তোকে প্রমাণ দেবো?

নাস্তিকঃ পারলে দে!

আমিঃ আচ্ছা তোর বাবার নাম যেন কি?

নাস্তিকঃ অনীল। 

আমিঃ আর তোর মায়ের নাম?

নাস্তিকঃ অনীলা।

আমিঃ বাহ! বেশ মিল দেখছি তো!!

নাস্তিকঃ (মুচকি হেসে) হ্যাঁ-হ্যাঁ 😍 বুঝতে হবে 'বাব+মা' টা কার 😉

আমিঃ আচ্ছা এরাই যে তোর 'বাবা+মা' এ ব্যাপারে তোর বিশ্বাস কতো পারসেন্ট? 

নাস্তিকঃ বলিস কি! এ ব্যাপারে আমার বিশ্বাস ১০০% (কেননা তারাই তো আমাকে সেই ছোটবেলা থেকে লালনপালন করছেন, খাওয়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন)

আমিঃ আমি এসব জানতে চাইনি! আমি জানতে চেয়েছি তোর বিশ্বাস কতো পারসেন্ট? 

নাস্তিকঃ বললাম না! আমার বিশ্বাস ১০০%

আমিঃ এটাই তো তোর অন্ধবিশ্বাস!

নাস্তিকঃ অন্ধবিশ্বাস-কিভাবে?

আমিঃ আচ্ছা তোর বাবা যখন তোর মায়ের সাথে সঙ্গমে/সহবাসে মিলিত হয়েছিলো তা কি তুই দেখেছিস?

নাস্তিকঃ না! দেখিনি!!

আমিঃ তাহলে তুই কিভাবে বিশ্বাস করলি যে এরাই তোর বাবা+মা?

নাস্তিকঃ ইয়ে মানে...🤔😇

আমিঃ তাহলে তুইতো তোর 'বাবা+মাকে' অন্ধভাবেই বিশ্বাস করিস তাইনা?

নাস্তিকঃ তাইতো! এভাবে তো কোনদিন ভেবে দেখিনি। 🤔🤔


✅✅✅


আস্তিক: দোস্ত চল, নামাজ পড়ে আসি!

নাস্তিক: কেনো? 🤔

আস্তিক: কেনো আবার! মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।

নাস্তিক: ধ্যাত তোর আল্লাহ! যা দেখিনা তা মানি না। 😡

(কিছুক্ষণ পর আস্তিক নামাজ পড়ে ফিরছে...🏃)

নাস্তিক: দোস্ত চল, হাওয়া খেয়ে আসি!

আস্তিক: কেনো? 

নাস্তিক: যা গরম পড়েছে। 🥵

আস্তিক: ধ্যাত তোর হাওয়া! যা দেখিস না তা মানিস কেন? ক্যান মানিস?

নাস্তিক উত্তর দিতে না পেরে হতভম্ব। 🥴


✅✅✅


স্যার যখন বিপদে.....

(প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে)

ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কথা বলার প্রসঙ্গক্রমে

শিক্ষক গৌতম ভট্টাচার্য বললেন: আমাদের ধর্মশাস্ত্র একদম নির্ভুল এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেউ কোনো ভুল বেড় করতে পারবেনা, চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি! 🙄

আমি: স্যার! আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। ☺

হিন্দু শিক্ষক:  অন্যান্য সকল শিক্ষকের সামনে (আমার উপরে কিছুটা রেগে গিয়ে) আচ্ছা ভুল দেখাও দেখি? 😡

আমি: স্যার! শ্রীমৎ ভগবৎ গীতায় 'রাঁধার' নাম নেই কেন?

কেন ৪টি 'বেদের' কোনো একটিতেও 'ভগবান' শব্দটা নেই। ভগবান কি তার নিজের নামটাও উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলেন?

হিন্দু শিক্ষক: গৌতম ভট্টাচার্য (ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে) ইয়ে মানে! 🤔😇

{দ্বিতীয়ত}

-------------

স্যার আপনি বললেন: আধুনিক বিজ্ঞান বিরোধী কিছু নেই।

আচ্ছা তাহলে বলুন (হিন্দু ধর্মশাত্র অনুযায়ী)

''গলায় তুলসী পাতার মালা পড়লে''

১। মাথায় বজ্রপাত পড়বে না? ⚡

২। সর্প দংশন করবে না? 🐍 

৩। রোড এক্সিডেন্ট হবে না? 🚑

৪। প্যারালাইসিস হবে না। 🚑

স্যার! এই ৪টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিন? 🛰🛩

অত:পর হিন্দু শিক্ষক গৌতম ভট্টাচার্য একদম ভ্যাবাচেকা খেয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। 🤧🤧🤧

হিন্দু শিক্ষকঃ আমি এসবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারবো না, তবে আমি এটা বিশ্বাস করি যে, তুলসীপাতার সংস্পর্শে সর্পদংশন করে না।

আমিঃ স্যার! তাহলে 'বেহুলা-লক্ষ্মীন্দার' তুলসী তলায় সাপের 🐍 কামড় খেয়ে মরলো কেন?

এবার উপস্থিত সবাই হা হা হা 😂😂🤣🤣


✅✅✅


নাস্তিকঃ এটাই শতাব্দীর সেরা বই!

আমিঃ তা কি বই শুনি?

নাস্তিকঃ A brief history of universe from Big bang to Black hole.

আমিঃ ও এই বই!  হা হা- হাসালি।

নাস্তিকঃ হাসছিস যে, তুই বিশ্বাস করিস না?

আমিঃ হ্যাঁ করি, তবে এসব পুরনো তথ্য।

নাস্তিকঃ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যে তথ্য দিয়েছে সেটা পুরনো তথ্য মানে?

আমিঃ হ্যাঁ- ওসব পুরনো তথ্য!

নাস্তিকঃ বলিস কি! Black Hole এর তথ্যও তোদের কাছে পুরনো তথ্য- তা কি করে সম্ভব?

আমিঃ আচ্ছা ধর অন্য একটা বইয়ে এই তথ্য ১৪০০+ বছর আগেই দেয়া আছে, তাহলে কোনটা সেরা বই?

নাস্তিকঃ অবশ্যই ওটা, যেটাতে ১৪০০+ বছর আগেই দেয়া আছে। তবে ১৪০০+ বছর আগে এই তথ্য দেয়া কিভাবে সম্ভব যখন কম্পিউটার ছিলো না, টেলিস্কোপ ছিলো না?

আমিঃ হ্যাঁ সম্ভব - যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর কাছে সবই সম্ভব।

নাস্তিকঃ তুই কি বলতে চাচ্ছিস যে, এটা কুরআনে আছে?

আমিঃ yes! of course. 

নাস্তিকঃ প্রমাণ দে?

আমিঃ পবিত্র কুরআনে সূরা আল-ওকেয়ার ৭৫ নাম্বার আয়াত 

আমি শপথ করছি (Black Hole এর যেখানে) নক্ষত্রসমূহ নিঃশেষ হয়।*

*আরবি শব্দ مواقع শব্দটি موقع এর বহুবচন যার অর্থ, তারকা বা নক্ষত্রগুলো যেখানে গেলে নিঃশেষ হয়ে যায় (that means Black Hole)।

নাস্তিকঃ আরে আরে তাইতো দেখছি!!

আমিঃ তাহলে কোনটা সেরা বই?

নাস্তিকঃ আল-কুরআন।


✅✅✅


নাস্তিকঃ তা কি Mobile কিনলি, একটু দেখা তো দেখি!

আমিঃ এই নে- দেখ!

নাস্তিকঃ বাহ- দারুণ তো! দাম কতো?🤔

আমিঃ কিনিনি- আমিতো এটা সৌদি আরবের মরুভূমির বালির মধ্যে পেয়েছি!

নাস্তিকঃ 😂😂😂

আমিঃ হাসছিস যে?

নাস্তিকঃ হ্যাঁ মরুভূমির বালুর মধ্যে কি মোবাইল পাওয়া যায়?

আমিঃ কেন যাবে না?

নাস্তিকঃ আচ্ছা তাহলে বল, 'মোবাইলটা ওখানে কোত্থেকে এলো'? 

আমিঃ কেন এমনি-এমনি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে!! 

নাস্তিকঃ প্রাকৃতিকভাবে কি Android Mobile তৈরি হওয়া সম্ভব! কখনোই সম্ভব না- Impossible.

আমিঃ আচ্ছা বল, এই মোবাইলের Notch Display টা কেমন?

নাস্তিকঃ খুবই সুন্দর!

আমিঃ আচ্ছা Display টা কিসের তৈরী?

নাস্তিকঃ কেন- কাঁচের তৈরী!

আমিঃ আচ্ছা! কাঁচ তৈরী হয় কি দিয়ে জানিস তো?

নাস্তিকঃ হ্যাঁ জানি!

আমিঃ সিলিকন দিয়ে যা আমরা পাই বালির ভেতর!

নাস্তিকঃ তাইবলে এটা কি সম্ভব?

আমিঃ কেন মরুভূমির বালির সিলিকন থেকে কাঁচ হয়ে Notch Display এবং গ্লাসের Back part তৈরী হয়েছে, আর Function প্রাকৃতিকভাবে হাজার-হাজার বছর ধরে এমনিতেই তৈরী হয়েছে।

নাস্তিকঃ তা বুঝলাম! তবে Android Phone/ফাংশন/Programing/Camera একজন স্রষ্টা ছাড়া তৈরী হওয়া অসম্ভব!

আমিঃ প্রাকৃতিকভাবে যদি এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে, মহাকাশ হতে পারে, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য Auto Setup থাকতে পারে, তাহলে কেন সামান্য এই Android Mobile টা একজন স্রষ্টা ছাড়া তৈরী হওয়া সম্ভব না?

নাস্তিকঃ ইয়ে মানে...😇

আমিঃ ইয়ে মানে কিয়ে?...🤔

নাস্তিকঃ নিশ্চুপ! স্তব্ধ। 😞


✅✅✅


নাস্তিক: সত্যিই কি সূর্য একসময় আর আলো দেবে না? 🙄

আমি: হ্যাঁ!

নাস্তিক: বিশ্লেষণ করো! 🤔

আমি: ok, কুরআন বলছে

যখন সূর্য নিষ্প্রভ হবে।

(সূরা আত-তাকভীর, আয়াত ১)

নিষ্প্রভ অর্থাৎ নিভে যাবে। আমরা জানি সূর্য তার আপন শক্তিতে জ্বলছে...

যখন সূর্যের ☀ ভেতরের জ্বালানি (fuel) শেষ হয়ে যাবে তখন সূর্য নিষ্প্রভ হবে।

নাস্তিক: বিজ্ঞান কি বলে? 😡

আমি: আর আধুনিক বিজ্ঞানও এটাই বলে।

নাস্তিক: বুঝলাম না!😣

আমি: আচ্ছা আপনাকে ২/৩টি Example দিয়ে বুঝাচ্ছি। 

১। ধরুন আপনি একটি🕯মোমবাতি আগুনে প্রজ্জ্বলিত করলেন, এখন প্রশ্ন: এটা কতক্ষণ জ্বলবে?

নাস্তিক: উত্তর-  যতক্ষণ মোম আছে ততক্ষণ।

২। ধরুন আপনি একটা 🏆 প্রদীপ জ্বালালেন, প্রশ্ন: এটা কতক্ষণ জ্বলবে?

নাস্তিক: উত্তর- প্রদীপের তেল যতক্ষণ না শেষ হয় ততক্ষণ জ্বলবে।

৩। প্রশ্ন: আচ্ছা বলুন>

আপনার মোবাইল 📲

চার্জার ফ্যান 🔌

চার্জার লাইট🔦

Valve💡 কতক্ষণ চলে?

নাস্তিক: উত্তর- যতক্ষণনা (Battery🔋) ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়।

(আমি) এবার আসুন 

তাহলে আল্লাহ (ﷻ) কি বলেছেন দেখি:

-- - -- -- - - -- -- - - -- -- --- --------------------

When the Sun will be lusterless

🌒 যখন সূর্য নিষ্প্রভ হবে। 🌘

তাহলে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সৃষ্টির সময় (The Time of Big Bang) আল্লাহ সূর্যের ভেতর পরিমাণ মত (fuel) জ্বালানি দিয়ে রেখেছেন, আর তা ক্রমাগত নি:শেষ হচ্ছেই... অন্যকোথাও থেকে এর জ্বালানি Supply (সরবরাহ) করাও হচ্ছে না। আর Pipe Line লাগিয়ে তা করাও সম্ভব না।

তাহলে ফলাফল কি দাঁড়াচ্ছে?

''একসময় সূর্যও নিভে যাবে আর আলো দেবে না''

আমি: আমার কথাগুলি কি- Right?

নাস্তিক: হ্যাঁ- Right. 

আমি: রাসূল (ﷺ) বলেছেন কি বলেছেন জানেন?

নাস্তিক: কি?

আমি: সূর্য ও চন্দ্রকে গুটিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

নাস্তিক: কেনো?

আমি: যাতে সেই মুশরিকরা অধিকভাবে লাঞ্ছিত হয় যারা এ সবের পূজা করে।

অবশেষে ব্যাটা নাস্তিকটা স্তব্ধ 😑

দুচোখ 👀 চোখ বড়বড় করে হতাশার ঢোক গিলছে 🥴

কারণ ও ব্যাটা বুঝেছে সূর্য নিষ্প্রভ হলে কিয়ামত অনিবার্য 😇


✅✅✅


নাস্তিকঃ আচ্ছা বল! কেউ যদি তোদের মসজিদ ভাঙে তাহলে কি তোরা কষ্ট পাবি না, তোদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কি আঘাত লাগবে না?

আমিঃ অবশ্যই কষ্ট পাবো এবং আমাদের অনুভূতিতেও আঘাত লাগবে।

নাস্তিকঃ তুই ভেবেচিন্তে বলছিস তো? 😡

আমিঃ হ্যাঁ- আমি ভেবেচিন্তেই বলেছি।

নাস্তিকঃ তাহলে তোদের নবী ইব্রাহিম কেন মূর্তি ভেঙে তার সম্প্রদায়ের মানুষকে কষ্ট দিয়েছিলো? কেন তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কুঠার আঘাত হানলো?

আমিঃ না- নবী ইব্রাহিম আঃ কখোনোই এমনটি করেননি!! 

নাস্তিকঃ 😂😂 তোর মাথা ঠিক আছে তো?

আমিঃ হ্যাঁ- আমার মাথা ঠিকই আছে তবে তুই ভুল বুঝেছিস।

নাস্তিকঃ কেন? মূর্তি ভাঙার কথা তো 📖 কুরআনেই আছে।

আমিঃ হ্যাঁ আছে, তবে কেন ভেঙেছিলো সেটাও আছে!

নাস্তিকঃ তা কেন ভেঙেছিলো শুনি? সাম্প্রদায়িক শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অশান্তি কায়েম করতে? 😡

আমিঃ না- মোটেও এর জন্য নয়।

নাস্তিকঃ তাহলে? 🤔

আমিঃ শোন- নবী ইব্রাহিম আঃ কে তারা মূর্তি-পূজা করতে বাধ্য করায় তিনি তাদের থেকে এর পেছনের সবকিছু জানতে চান কিন্তু তারা মূর্তি-পূজার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে ব্যর্থ হয়।

নাস্তিকঃ যেমন? 😇

আমিঃ ইব্রাহিম আঃ তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলো 'এ মূর্তিগুলো কি যাদের পূজায় তোমরা রত আছো'? তারা উত্তর দিলো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের এদের পূজা করতে দেখেছি। ইব্রাহিম আঃ বললেন তোমাদের বাপ-দাদা ও তোমরা স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছো? (সূরা আম্বিয়া আয়াত ৫৪)

নাস্তিকঃ তারপর...? 😇

আমিঃ তারপর ইব্রাহিম আঃ তাদেরকে বলেনঃ তোমরা এদের পূজা কেন করো যারা দেখেনা, শোনেনা এবং তোমাদের কোন উপকারও করে না? তখন তারা ছিলো নিরুত্তর।🤢

নাস্তিকঃ আচ্ছা মূর্তিগুলো কে নির্মাণ করেছিলো? 

আমিঃ ইব্রাহিম আঃ এর বাপ (আযর)। 😳

নাস্তিকঃ তারপর...? 😇

আমিঃ তারপরও ইব্রাহিম আঃ যখন দেখলেন 'এই মূর্তিগুলোর কোন ক্ষমতা নেই' এটা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যেহেতু তার সম্প্রদায়ের লোকেরা মূর্তি-পূজা বর্জন করবে না তাই তিনি তার বাবার তৈরীকৃত মূর্তি গুলো ভাঙলো কেবলমাত্র বড় মূর্তিটি বাদে।

নাস্তিকঃ বড় মূর্তিটি বাদে কেন?🙄

আমিঃ এটাই তো Logical কারণ একটু পরেই তারা ছুটে এলো মন্দির ঘরে আর বললো 'আমাদের দেবতাদের মূর্তি গুলো কে ভেঙেছে'? তখন ইব্রাহিম আঃ বললেন 'ঐ বড় মূর্তি কে জিজ্ঞেস করো কারণ সে তো দেখেছে'।

তখন তাদের মাথা নিচু হয়ে গেলো 😔 একে অপরের দিকে তাকিয়ে লজ্জিত হলো 😒 আর উপলব্ধি করলো তাদে এসব মাবুদ/ইলাহ/উপাস্যদের কোনো ক্ষমতা নেই। কেননা তারা নিজেরাই নিজেদের ইব্রাহিমের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি 😪 তাই এদের পূজা করার অর্থ শয়তানের ইবাদত। 👹

নাস্তিকঃ ও বুঝেছি বুঝেছি!! 

আমিঃ তাহলে নবী ইব্রাহিম আঃ এর মূর্তি ভাঙা কি সঠিক ছিলো না ভুল ছিলো?

নাস্তিকঃ একাবারেই সঠিক ছিলো।


✅✅✅


নাস্তিকঃ আল্লার হুকুম ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়ে না! এই দেখ আমি ঝাকি দিয়ে গাছের পাতা নড়ালাম! 😊

আমিঃ হা হা 😂😂 তোর কু-বুদ্ধি আছে!!

নাস্তিকঃ কু-বুদ্ধি না! বল সু-বুদ্ধি। ☺

আমিঃ তা এতো কষ্ট করে ঝাকি দিয়ে গাছের পাতা নড়িয়ে কি লাভ?

নাস্তিকঃ প্রমাণ করলাম যে কুরআন ভুল! 😊

আমিঃ কে বলেছে যে আল্লার হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না?

নাস্তিকঃ শুনলাম! 🤔

আমিঃ যে বলেছে সে এক অজ্ঞ আর তুই দেখি আরেক অজ্ঞ।

নাস্তিকঃ কেন এটাতো কুরআনেই আছে!

আমিঃ তুই আমাকে কুরআন খুলে দেখাতে পারবি?

নাস্তিকঃ ইয়ে মানে!! 😇

আমিঃ শোন! এ কথা কুরআনে নেই।

নাস্তিকঃ বলিস কি! 🤔

আমিঃ হ্যাঁ- কুরআনে এ কথা নেই।

নাস্তিকঃ তাহলে কুরআনে কি আছে, বলতো? 🤔

আমিঃ কুরআনে আছে 

মহান আল্লাহ বলেনঃ

---------------------------

আর তাঁর (আল্লাহর) অজ্ঞাতসরে একটি পাতাও ঝড়ে পড়ে না।

(সূরা আন-আম, আয়াত ৫৯)

অর্থাৎ কোন পাতা আল্লাহর অজ্ঞাতসরে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে না। এখন সেটা বাতাসে পড়ুক বা তুই গাছে ঝাকি দিয়ে ফালা, কোনটা কিভাবে পড়লো সব আল্লাহ জানেন।

নাস্তিকঃ পুরাই টাসকি খেয়ে - হ্যাঁ- তাইতো! 🙄

ধ্যাৎ খামোখা গাছে উঠে কাপড়চোপড় ময়লা করলাম। 🥴


✅✅✅


নাস্তিকঃ আচ্ছা জান্নাত কি উপরে না নিচে?

আমিঃ উপরে।

নাস্তিকঃ তুই ভেবেচিন্তে বলছিস তো?

আমিঃ হ্যাঁ- কেন?

নাস্তিকঃ আচ্ছা তাহলে বল 'একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যদি ৭ তালা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে মাটিতে পড়ে' তাহলে তারা বেঁচে থাকবে না মরে যাবে?

আমিঃ নির্ঘাত মারা যাবে।

নাস্তিকঃ ঠিক বলছিস তো?

আমিঃ হ্যাঁ- অবশ্যই।

নাস্তিকঃ তাহলে 'আদম আর হাওয়া' ৭ আসমানের উপর থেকে পৃথিবীতে পড়ে মরলো না কেন? 😇

আমিঃ হা হা হা 😂😂😂

নাস্তিকঃ ঐ শালা! হাসিস না - হাসিস না, আগে উত্তর দে?

আমিঃ আদম & হাওয়া আ: তারা ৭ আসমানের উপর থেকে Direct মাটিতে পড়ছে এটা তোকে কে বললো?

নাস্তিকঃ কেন কুরআনেই তো আছে? 🤔

আমিঃ শোন! কুরআন আছে

আল্লাহ আদেশ করলেন, তাদের (আদম হাওয়া কে নিচের পৃথিবীতে) নামিয়ে দাও।

(সূরা আল-আরাফ, আয়াত ২৪)

এখন বল আল্লাহ কাদের আদেশ করেন?

নাস্তিকঃ কেন ফেরেশতাদের!!

আমিঃ তাহলে আল্লাহ যেহেতু ফেরেশতাদের আদেশ করলেন তাই তারাই এসে নামিয়ে দিয়ে গেছে।

নাস্তিকঃ পুরাই টাসকি! 🙄

আমিঃ আরো শুনে রাখ! এখানে আরবি শব্দ  (اہۡبِطُوۡا) মানে landing করানো বা নিচে নামিয়ে দেয়া। সমর্থক শব্দ sent down নিচে পাঠিয়ে দেয়া, বুঝেছিস?

নাস্তিকঃ (পরাস্ত হয়ে মুখ বাঁকা করে) হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি। 🥴🥴


✅✅✅


ইসলাম বিদ্বেষীঃ কিরে হজে গিয়ে শয়তানকে ঢিল ছুড়বি না? 😊

আমিঃ ইনশাআল্লাহ নিয়ত আছে।

ইসলাম বিদ্বেষীঃ আচ্ছা আরাফার দিবসে ওখানে (জামারায়) শয়তান থাকে জানলি কেমনে? আর শয়তান কি বোকা যে তোদের ঢিল খেতে ওখানে বসে থাকবে? 😂

আমিঃ আরে ওটা তো করি প্রতীকী অর্থে,, কেননা শয়তান আমাদের শত্রু। 

ইসলাম বিদ্বেষীঃ হা হা তোরা একেবারেই গর্দভ, কাণ্ডজ্ঞানহীন। 😂

আমিঃ কেন- তোরা কি খুবই বুদ্ধিমান? 

ইসলাম বিদ্বেষীঃ বুদ্ধিমান না হলে কি সৌদি যাই শয়তানকে ঢিল ছুড়তে?

আমিঃ না তা যাবি কেনো, তোরা তো যাবি ফাঁকা মাঠে।

ইসলাম বিদ্বেষীঃ না আমরা প্রতীকী অর্থে কোনোকিছু করিনা। 😡

আমিঃ তুই করছিস! তোর সমাজ করছে, তোর দেশ করে।

ইসলাম বিদ্বেষীঃ না না না! আমরা প্রতীকী অর্থে কোনোকিছু করিনা। 😡

আমিঃ প্রামাণ দেই?

ইসলাম বিদ্বেষীঃ পারলে দে, যে আমরা কি এমন প্রতীকী করি? 🤔

আমিঃ আচ্ছা! তোর পেশাটা যেন কি?

ইসলাম বিদ্বেষীঃ আমি একজন মুক্তমনা সেনাসদস্য। 

আমিঃ আচ্ছা! তোরা যে তোদের বিজয় দিবসে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে শত্রুকে লক্ষ্য করে আকাশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়িস, তা শত্রু কি আকাশে থাকে?

ইসলাম বিদ্বেষীঃ ইয়ে মানে....😇

আমিঃ ইয়ে মানে এটাইতো তোদের প্রতীকী 🤓 

সালা তোরা প্রতীকী অর্থে শত্রুকে লক্ষ্য করে আকাশে গুলি ছুড়লে জাত যায়না, আর আমরা শয়তানকে লক্ষ্য করে জামারায় পাথর ছুড়লে জাত যায় তাইনা?

ইসলাম বিদ্বেষীঃ (যুক্তিতে পরাস্ত হয়ে)  Sorry রে Sorry.. 🥴


✅✅✅


🤓 নাস্তিকের গায়েবী বিশ্বাস 🤓


(প্রথমত)

নাস্তিকঃ পারলে তুই আমাকে গায়েবের/অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস করা দেখি?

আমিঃ আচ্ছা তাইলে তুই ঐ বৈদ্যুতিক তারটা হাত দিয়ে ধর?

নাস্তিকঃ না-না! 😲

আমিঃ কেন ধরছিস না কেন?

নাস্তিকঃ তারে বিদ্যুৎ থাকতে পারে। 😳

আমিঃ বিদ্যুৎ কি দেখতে পাচ্ছিস?

নাস্তিকঃ না!

আমিঃ তাহলে এটাও তো একপ্রকার 'গায়েবের প্রতি বিশ্বাস তাইনা'? যার কারণে তুই শর্টসার্কিটের ভয়ে হাত দিয়ে তার ধরলি না। 🙄

নাস্তিকঃ ইয়ে মানে... 🤪

😂😂😂😂😂

[দ্বিতীয়ত]

আমিঃ চল আজ তোকে বিরিয়ানি খাওয়াবো। 

নাস্তিকঃ সত্যি। 😊

আমিঃ হ্যাঁ। 

(খেতে গিয়ে টেবিলে বসে অর্ডার দেয়ার পূর্বেই)

আমিঃ 🚶কিরে ওদিকে কই যাস?

নাস্তিকঃ কেন বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধুতে! 

আমিঃ কেন?

নাস্তিকঃ আরে হাতে ব্যাকটেরিয়া থাকে Bacteria, ডাক্তারেরা বলে জীবাণু-জীবাণু!! 

আমিঃ কেন তোর হাত তো পরিষ্কারই দেখছি!

নাস্তিকঃ আরে গাধা Bacteria অদৃশ্যে থাকে, যা চোখে দেখা যায়না। 

আমিঃ আচ্ছা! খালি চোখে না দেখেই Bacteria আছে বলে বিশ্বাস করাটা কি এক ধরণের 'গায়েবী বিশ্বাস না'? 🙄

নাস্তিকঃ ধ্যাৎ শালা! তুই খালি জ্ঞান দিস! যা তোর বিরিয়ানিই খামু না। 😡

আমিঃ না খাইলি যা ভাগ। 😂😂


✅✅✅


নাস্তিক কি জানে? 🙄

আমাদের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি.। 

🌍 পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা-যাওয়া করলে যে Distance হবে তার সমান। 🥺

আর DNA তে যে Information আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে 📚 প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্টা সংখ্যা হবে, 5 Hundred. 🥺

আমাদের দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন। লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন। দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭,০০০ কি.মি. লম্বা।

আপনি একটু চিন্তা করুন তো! 🤔

মাত্র ৩ ফিট লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও প্যাঁচ লাগে কিন্তু আপনার দেহের ৯৭০০০ কি.মি. ব্লাড ভেসেল কেনো প্যাঁচ লাগেনা? 😇

আল্লাহ (ﷻ) বলেনঃ

_________________


Indeed I have created man in the best of Stature.


নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।

(সূরা আত-তীন, আয়াত ৩)

আল্লাহ (ﷻ) আরো বলেনঃ

_______________________

এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা (Common  Sense কে কাজে লাগিয়ে) চিন্তাভাবনা করে।

[ সূরা ইউনুস, আয়াত ২৪ ]

=----> কি নাস্তিক ভাই মাথায় ঘিলু আছে তো? 🥴


✅✅✅


মহান আল্লাহ কি সত্যিই ব্যর্থ? 🙄

নাস্তিক: বৃষ্টি হচ্ছে দেখে আমি বৃষ্টি বন্ধের দোয়া করলাম কিন্তু আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করলেন না, তাহলে কি বৃষ্টি বন্ধ করতে আল্লাহ ব্যর্থ?

আমি: না- মহান আল্লাহ ব্যর্থ নন।

নাস্তিক: তাহলে বৃষ্টি বন্ধ করলেননা কেনো?

আমি: দেখ সবকিছুর একটা System আছে।

নাস্তিক: কি সিস্টেম?

আমি: দেখ তোকে আগে জানতে হবে 'দোয়া' জিনিসটা কি?

নাস্তিক: কি?

আমি: দোয়া হচ্ছে একপ্রকার আবেদন বা দরখাস্ত।

নাস্তিক: ও... তা কিরকম শুনি?

আমি: তুই নিশ্চয় আবেদনপত্র বা দরখাস্তের নিয়ম শিখেছিস?

নাস্তিক: হ্যাঁ শিখেছি, অনেক নিয়মনীতি ও শর্ত পূরণ করতে হয়।

আমি: আচ্ছা সব নিয়মনীতি ও শর্ত পূরণ করলেই কি তা মঞ্জুর হয়?

নাস্তিক: না ঠিক তা হয় না, কেননা এটা মঞ্জুর করা না করার বিষয়টা কর্তৃপক্ষের উপরেই ন্যস্ত।

আমি: আচ্ছা ধর তুই সব নিয়মনীতি পূরণ করেই দরখাস্ত দিলি কিন্তু কর্তৃপক্ষ তোরটা মঞ্জুর করলো না, বরং অন্যের দরখাস্তটা মঞ্জুর করলো, তাহলে কি তুই বলবি যে, এখানে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ?

নাস্তিক: না তারা ব্যর্থ হবে কেনো? এখানে কর্তৃপক্ষ কারটা করবে আর কারটা করবেনা এটা তাদের ব্যাপার, সো এখানে ব্যর্থতার প্রশ্নই আসবে না।

আমি: এইতো বুঝেছিস!!

নাস্তিক: বুঝেছি মানে?

আমি: শোন! আবেদনপত্র বা দরখাস্তের মতন মহান আল্লাহর কাছেও দোয়া করার একটা নিয়ম বা নীতিমালা আছে। আর যদি কেউ উক্ত নিয়মনীতি মেনে বৃষ্টি বন্ধের দোয়া করে তবে সেটা কবুল করবেন কি করবেননা সেটা তাঁর মানে আল্লাহর ব্যাপার। এবার বুঝেছিস?

নাস্তিক: ও বুঝেছি বুঝেছি...

আমি: হ্যাঁ তোরা বুঝিস তবে...(--?--)

নাস্তিক: তবে কি? 🤔

আমি: একটু লেটে।

নাস্তিক: 🤪🥴🤪🥴


✅✅✅


আজকে তোর আস্তিকগিরী ছুটামু  

_______________________________🙄

(দীপঙ্কর সদ্য নাস্তিক এসেই)

নাস্তিক: রাহাত কইরে...রাহাত...?

আমি: এইতো আমি! এভাবে চিল্লাস ক্যান?

নাস্তিক: আয় তোকে অজয়দা ডাকে! আজকে তোর আস্তিকগিরী ছুটামু।

আমি: শোন! আমি ওতে-ঘাতে বিতর্ক পছন্দ করিনা! তুই অজয়দাকে সবার সামনে এখানে আসতে বল।

(অতঃপর নিশাত, সাব্বির, ঈশা, ইমরান, শীমু, সালমান, ফারিহা, আলী, জান্নাত,  সাইম সহ সবাই এই-এই দীপঙ্কর! তুই এক কাজ কর অজয়দাকেই এখানে আসতে বল)

নাস্তিক: (পকেট থেকে ফোনটা বেড় করেই) অজয়দা তুমিই এখানে এসো তো!

অজয়দা: হ্যাঁ আসছি... দীপঙ্কর নাস্তিকটা মুচকি-মুচকি হাসছে আর বলছে আজকে তোর আস্তিকগিরী ছুটামুই।

উপস্থিত সবাই: দেখিস আবার তোদের নাস্তিকগিরী যেন ছুটে না যায়।

দীপঙ্কর: তোরা অজয়দাকে চিনিস? UK থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছে।

আমি: আরে আগে নাস্তিকদের গুরু অজয়দাকে আসতে দে, তারপর দেখ!!

(কিছু সময় পর... শ'শ করে অজয়দা এসেই)

আজয়দা: কিরে তা তোরা কেমন আছিস?

বন্ধুরা: ভালো- দাদা তুমি?

আজয়দা: হ্যাঁ আমিও ভালো।

নিশাত: দাদা হঠাৎ বিদেশ থেকে বাংলার মাটিতে পা?

অজয়দা: হ্যাঁ এসেছি মোল্লাদের বাড়া ভাতে ছাই দিতে, ১৪০০ বছর আগের সেকেলে ধর্মের ১২টা বাজাতে।

নিশাত: দাদা UK তেও ধর্ম চর্চা করো বুঝি?

অজয়দা: আগে গাধা ওখানে সবাই জ্ঞানী, সবাই নাস্তিক, ওখানে ধর্মের কোনো বালাই নেই। ওখানে না আছে হালাল আর না হারাম, আছে শুধুই আরাম।

দীপঙ্কর: হা হা হা,,  দাদা ওরা সবাই জ্ঞানী, উচ্চ শিক্ষিত তাইনা?

অজয়দা: হ্যাঁ, আর তা না হলে কি আমাদের মতন নাস্তিক হয়!!

দীপঙ্কর: বাহ! বেশ তো।

আজয়দা: কিরে 'রাহাত'! শুনলাম তুই নাকি আজকাল আস্তিকদের পক্ষে খুব ওকালতি করছিস?

আমি: হ্যাঁ দাদা তুমি ঠিকই শুনেছো!

আজয়দা: দেখ তোরা তো জানিস যে আমি সবকিছু Directly বলতেই পছন্দ করি।

আমরা: হ্যাঁ দাদা আমরা তা জানি। খেলায় গণ্ডগোল বাঁধলে তুমি যে সিদ্ধান্ত দিতে আমরা তা বিনা বাক্যে মেনে নিতাম। কারণ তুমি ছিলে আমাদের অনেক Senior.

আজয়দা: হ্যাঁ, তোরা আমাকে খুবই মান্য করতি, যদিও আমি সবসময় নিরপেক্ষ রায়'ই দিতাম। আচ্ছা সে যাইহোক এবার আসল কথায় আসি।

আচ্ছা রাহাত! তুই আমাকে বল,  'আল্লাহকে' কে সৃষ্টি করেছে?

আমি: তার আগে বলো তোমার গেঞ্জির উপর এই ছবিটা কে এঁকেছে?

অজয়দা: কেন? একজন চিত্রশিল্পী!!

আমি: তাহলে চিত্রশিল্পীকে কে এঁকেছে?

অজয়দা: এসব অবান্তর প্রশ্ন করিস না!  চিত্রশিল্পী অংকিত নয়, তাই কেউ তাকে অংকন করেনি।

আমি: তাহলে তুমি এসব অবান্তর প্রশ্ন করো কেনো?  আল্লাহ সৃষ্ট নয়, তাই তাকেও কেউ সৃষ্টি করেনি।

অজয়দা: শোন! বাপেরও কিন্তু বাপ আছে!

আমি: তোমার এই কথারও কোনো ভিত্তি নেই।

অজয়দা: মানে? 🤔

আমি: তুমি বললে বাপেরও বাপ আছে! তাহলে তুমিই বলো

প্রথম মানুষের বাপটা কে?

অজয়দা: ইয়ে মানে 😇

আমি: বলো 'গো-মাতা' আগে, না 'গো-পিতা' আগে?

আগে ডিম না মুরগী? কোনটা আগে দাদা?   কি! মাথা ঘুরছে?

অজয়দা: ইয়ে মানে ----- 😇😇----🤪🤪----🥴🥴

অবশেষে 'দীপঙ্কর আর অজয়দার' নাস্তিকগিরীই ছুটে গেলো

উপস্থিত সবাই 😂😂🤣


✅✅✅


নাস্তিক: আল্লাহই তো অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন সুতরাং আমরা ঈমান না আনলে দোষ তো আমাদের নয়, বরং দোষ তো আল্লাহর।

আমি: ভাই! আল্লাহ মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন কথাটা সত্য কিন্তু কেন মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন সেইটা শুনবি না?

নাস্তিক: বলতো একটু শুনি?

আমি: শোন! মহান আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন স্বচ্ছ অন্তঃকরণ। এখন কোন মানুষ যদি পাপ করে তখন পাপের অনুপাতে তাতে কালো দাগ পড়ে। আর যদি তওবা করে তবে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু মানুষ যখন ক্রমাগত পাপাচার করতেই থাকে আর তওবা করতে উদাসীন হয় তখন তার কৃত পাপের ফলশ্রুতিতে অন্তর মোহরাঙ্কিত হয়ে যায়। এবার বুঝেছিস?

নাস্তিক: হ্যাঁ অন্তরের ব্যাপারটা বুঝেছি! তবে আল্লাহ কেন এই কথা বললো যে

তাদের কানে মোহর মেরে দিয়েছি এবং তাদের চোখের উপরে রয়েছে আবরণ।

(সূরা আল-বাকারাহ আয়াত ৭)

নাস্তিক: এখানে আমার প্রশ্ন হলো, কানে আর চোখেও মোহর কেন?

আমি: চমৎকার প্রশ্ন! দেখ কানে আর চোখে এইজন্য যে আল্লাহ বলেন:

আর আমি তাদের দিয়েছি কান, চোখ ও অন্তর, কিন্ত তাদের কান, চোখ ও অন্তর (আমাকে চিনতে) তাদের কোন কাজে আসেনি।

(সূরা আল-আহকাফ, আয়াত ২৬)

অর্থাৎ এসকল মানুষ আল্লাহর দেয়া কান দিয়ে আল্লাহর কথা শ্রবণ করেনি, চোখ দিয়ে আল্লাহর বাণী কুরআন খুলে দেখেনি, আর আল্লাহর সৃষ্টি মহাবিশ্ব নিয়ে তাদের অন্তর দিয়ে অনুধাবনও করেনি!! আফসোস!! 

এখন ধর তুই একজনকে ইন্দ্রিয় হিসেবে চোখ দিলি তোকে দেখতে, কান দিলি শুনতে, অন্তর দিলি অনুধাবন করতে কিন্তু সে এসবের কোনোটাই করলো না। তাহলে তুই তাকে কি বলবি আমাকে বল?

নাস্তিক: আমি বলবো ও একটা বেইমান।

আমি: সেজন্যই তো আল্লাহর সাথে বেইমানী করার কারণে ওদের এসবে মোহর পড়ে গিয়েছে।

নাস্তিক: হ্যাঁ সেটাইতো প্রমাণিত হচ্ছে...

আমি: তাহলে কে দায়ী বলতো?

নাস্তিক: কেন? নিশ্চয় পাপী বেইমানেরা!!

আমি: হ্যাঁ, এইজন্যই আল্লাহ বলে দিয়েছেন: 

কখনো নয়, বরং পাপীদের কৃতকর্মের কারণেই তাদের অন্তর মোহরাঙ্কিত।

(সূরা মুতাফফিফীন, আয়াত ১৪)

আমি: কি এবার বুঝেছিস যে আসলে দোষটা কার?

নাস্তিক: দোষ তো আসলেই পাপী ব্যক্তির।


✅✅✅


দোআ কেন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়?

অবিশ্বাসী: ধ্যাত! আমার প্রতি আল্লাহর কোন অনুগ্রহ'ই নেই।

বিশ্বাসী: তোর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ অফুরন্ত।

অবিশ্বাসী: যেমন?

বিশ্বাসী: তুই যে শারীরিকভাবে সুস্থ আছিস এটা যে তোর প্রতি মহান আল্লাহর কতবড় অনুগ্রহ সেটা তুই কেবল তখন'ই উপলব্ধি করবি যখন তুই অসুস্থ।

অবিশ্বাসী: তোরা এতো Deeply ভাবিস?

বিশ্বাসী: দেখ আমরা আল্লাহর মহান সৃষ্টি। তাই আমরা যদি গভীরভাবে না চিন্তা করি তাহলে আর কারা করবে 'গরুছাগল'?

অবিশ্বাসী: তাহলে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করলেন না কেন?

বিশ্বাসী: দোয়া করলেই কবুল করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। দোয়া কবুলের কিছু System আছে।

অবিশ্বাসী: যেমন?

বিশ্বাসী: আমি তোকে ২ টি Example (উদাহরণ) দেই।

'তাৎক্ষণিক এবং অতাৎক্ষণিক'

[তাৎক্ষণিক]

১। ধর তুই বীজ বপন করেই দোয়া করলি হে আল্লাহ! আপনি এখনি তাতে ফল দিন। না এমনটা হবে না! কেননা তোকে আগে দোয়া করতে হবে, হে আল্লাহ! এই বীজতলকে অঙ্কুরিত করুন। তারপর তোকে যত্নের সহিত নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে, তাহলেই এটা সময়মত ফল দান করবে মহান আল্লাহর আদেশের প্রেক্ষিতে।  অতঃপর তুই ফল লাভ করবি। (সুতরাং এখানে তাৎক্ষণিক দোয়ার দ্বারা  হবে না, বরং পুরো প্রক্রিয়াটাই অতাৎক্ষণিক)

[তাৎক্ষণিক]

২। ধর তুই সমুদ্রে জাহাজে আছিস! হঠাৎ সেটা একটা আইসবার্গের সাথে ধাক্কা খেয়ে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে ডুবতে শুরু করলো, এমতাবস্থায় অনেকেই ডুবে মারা গেলো কিন্তু তুই একটা বড় কাঠের টুকরো ধরে ভেসে চলছিস...

এমতাবস্থায় তুই দোয়া করলি হে, আল্লাহ! আপনি এই সমুদ্রকে শুকিয়ে একদম সমতল মরুভূমি বানিয়ে দিন। (না! এখানে তোকে তাৎক্ষণিক সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার দোয়া করলে হবে না। বরং তোকে দোয়া করতে হবে, হে আল্লাহ! আমাকে এই দুর্যোগ মোকাবেলার শক্তি দান করুন। অথবা আমাকে সাহায্য করুন)

👉 সুতরাং ভুল পদ্ধতিতে দোয়া করলে দোয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট হবেই।

অবিশ্বাসী: বাহ! চমৎকার Example.


✅✅✅


আপনি ভ্রুক্ষেপ করেননা

-কি?

১ টি মৌজেজা বা Miracle যা আপনার চোখের সামনেই ঘটে।

-কোনটা? আমি তো দেখতে চাই! 

কুরআন বলছে:

আল্লাহ মৃত থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান আবার জীবন্তকে করেন মৃত।

(সূরা রূম আয়াত ১৯)

'আল্লাহ মৃত থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান আর জীবন্তকে করেন মৃত' 

👉 ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করুন।

প্রথমত: ''জীবিত থেকে মৃত''

যেমন ধরুন,

লোকটা জীবিত ছিলো মারা গেলো।☑

গাছটা জীবিত ছিলো শুকিয়ে মরে গেলো।☑

প্রাণীটা জীবিত ছিলো মারা গেলো। ☑

পক্ষান্তরে: ''মৃত থেকে জীবন্তের আবির্ভাব'

যেমন ধরুন,

আপনার বাড়ির পাশের নারিকেল গাছটি। প্রথমে গাছটি থেকে কুসী বেড় হয়, তারপর কুসী থেকে ফুল, তারপর ফুলগুলো একসময় ঢাবে পরিণত হলো, তারপর ডাব ধীরেধীরে নারিকেলে পরিণত হলো, তারপর এই নারিকেল একসময় বয়সের ভারে পেকে/শুকিয়ে এমনিতেই গাছ থেকে ঝড়ে পড়লো।

এখানে লক্ষণীয় যে, কুসী ছিলো জীবন্ত, ফুল ছিলো জীবন্ত, ডাব ছিলো জীবন্ত, কিন্তু নারিকেল যখনি পেকে শুকিয়ে গেলো তখন সেটা এমনিতেই মাটিতে পড়লো।

প্রশ্ন: এখানে গাছ থেকে পড়া শুকনো এই নারিকেলটা কি 'জীবন্ত না মৃত'?

উত্তর: এটা মৃত (কেননা তা শুকিয়ে নিষ্প্রাণ) 

Note: এখন এই মৃত নারিকেলটা নিয়ে কিছুদিন আদ্রতায় রেখে দিন, দেখবেন আল্লাহর তৈরিকৃত প্রকৃতিক আইন অনুযায়ী এই মৃত নারিকেল থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটবেই। (ইনশাআল্লাহ)। আর তখন মাটিতে পুঁতে দিলে তা থেকে আবার নারিকেল গাছ।

👉 Result: এভাবেও আল্লাহ মৃত থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান।


✅✅✅


হাদিস কি সত্যিই ভুল?

_______________________🙄

নাস্তিক: আজকেই প্রমাণ হবে বাপের ব্যাটা কে? তুই না আমি।

আমি: আচ্ছা নে Challenge.

নাস্তিক: নে Challenge.

আমি: Subject (বিষয়টা) কি বল?

নাস্তিক: Subject হচ্ছে আমি প্রমাণ করে দেবো 'হাদিস ভুল'।

আমি: কোন সহীহ হাদিসকেই তুই ভুল প্রমাণ করতে পারবি না (ইনশাল্লাহ)।

নাস্তিক: নে তাইলে Bet (বাজি) লাগি?

আমি: নে তোর সাথে Bet.

নাস্তিক: আচ্ছা রাহাত! আমি যদি যুক্তি ও বাস্তবতা দেখিয়ে প্রমাণ করে দেই যে 'হাদিস ভুল' তাহলে তো আর সমস্যা নেই?

আমি: আচ্ছা তুই প্রমাণ কর দেখি।

নাস্তিক: আচ্ছা বল, রমজান মাসেও মানুষ খারাপ কাজ করে কি করে না?

আমি: হ্যাঁ করে।

নাস্তিক: তাহলে বলতো এর দ্বারা কি প্রমাণিত হলো?

আমি: কি প্রমাণিত হলো?

নাস্তিক: দেখ সত্য লুকাবি না!!

আমি: আমি কোনো সত্য লুকাচ্ছি না।

নাস্তিক: এর দ্বারা প্রমাণিত হলো হাদিস মিথ্যা!!

আমি: কেন এর দ্বারা হাদিস মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে কেন?

নাস্তিক: কারণ হাদিসেই আছে

----''আল্লাহ রমজান মাসে শয়তানকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখেন''----

কিন্ত দেখ এই রমজান মাসেও ঐ লোক গুলো খারাপ কাজ করেই চলছে, তার মানে হাদিস মিথ্যা। হাদিস ভুল।

আমি: না হাদিস মিথ্যাও নয়, ভুলও নয়, বরং তুই বুঝতে ভুল করেছিস।

নাস্তিক: কি ভুল করেছি আমি?

আমি: আচ্ছা বলতো 'শয়তান' কতপ্রকার?

নাস্তিক: তাতো জানিনা!!

আমি: শয়তান প্রধানত দুই প্রকার।  ১> জিন শয়তান, ২> মানুষ শয়তান। আর হাদিসে বলা হয়েছে 'ইবলিশ শয়তানের কথা' মানুষ শয়তানের কথা নয়।

নাস্তিক: তা ইবলিশ যে মানুষের নয় জিনদের অন্তর্ভুক্ত এর প্রমাণ কি?

আমি: দেখ কুরআন ক্লিয়ার বলছে

ইবলিশ হচ্ছে জিনদের অন্তর্ভুক্ত।

(সূরা আল-কাহাফ আয়াত ৫০)

নাস্তিক: ওরে শালা! আমি তাইলে ভুলটা করেছি এই জায়গায়?

আমি: হ্যাঁ এই জায়গাতেই তোর বোঝার ভুল।

নাস্তিক: যা আমি মেনে নিলাম!

আমি: তাইলে এবার বল 'বাপের ব্যাটা' কে?

নাস্তিক: ইয়ে মানে 😑😑  🤪🤪  🥴🥴


✅✅✅


নাস্তিক: দেখ কুরআন অবৈজ্ঞানিক।

কেননা সুরা আল-বাকারার ২৯ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, আল্লাহ আগে পৃথিবী সৃষ্টি করেছে তারপর আকাশ।

হা, হা, হা ভুল ভুল ভুল! অবৈজ্ঞানিক।

কেননা আধুনিক বিজ্ঞান বলে আকাশের আগে পৃথিবী সৃষ্টি হতেই পারেনা।

আমি: আচ্ছা তুই আমাকে কুরআনটা খুলে দেখা!

নাস্তিক: এই নে দেখ, ভালো করে দেখ>

তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি 'আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন' এবং তাকে সাত আকাশে সুবিন্যস্ত করলেন।

নাস্তিক: কি দেখেছিস তো? ভালো করে দেখ, ভালো করে।

আমি: হ্যাঁ- দেখেছি! এবার তুই দেখ!

নাস্তিক: আমি কি দেখবো?

আমি: আকাশের আগে পৃথিবী সৃষ্টির কথা তো আল্লাহ বলেননি। বরং এটা তো তুই বললি!

নাস্তিক: কি? আমি বললাম মানে? 😇

আমি: হ্যাঁ তুই এই মিথ্যাচারটা করলি! একেবারে ডাহামিথ্যাচার!!

নাস্তিক: আমি মিথ্যাচার করলাম মানে? 🤔

আমি: দেখ আয়াতেই বলা আছে 'তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি ''আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন'' এবং তাকে সাত আকাশে সুবিন্যস্ত করলেন।

আল্লাহ বলেছেন 'মনোনিবেশের কথা' সৃষ্টির কথা নয়!

এখন সৃষ্টি আর মনোনিবেশ কি একই জিনিশ? না! অর্থাৎ তিনি পৃথিবী সৃষ্টির পর আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন, মানে 'আকাশ আগে থেকেই ছিলো'।

দেখ আমি যদি বলি যে, আমি বিল্ডিং এর সাদ তৈরির পরে Base/Foundation তথা ভিত্তির দিকে মনোনিবেশ করলাম। তারমানে কি আমি সাদ তৈরি আগে করেছি আর বিল্ডিং এর ভিত্তি স্থাপন করেছি পরে?

ভিত্তি ছাড়া কি সাদ দেয়া যায়? হা, হা, হা।

নাস্তিক: তাইতো! আচ্ছা তাহলে 'তখন আকাশের অবস্থা কেমন ছিলো'?

আমি: হ্যাঁ এইটা হচ্ছে আসল প্রশ্ন! 

আল্লাহ বলেছেন: 

তারপর যখন তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন তখন তা ছিলো ধোঁয়া।

(সূরা হা-মীম আস সাজদা, আয়াত ১১)

আরবি শব্দ  (دُخَانٌ) দুখান মানে বায়বীয়/গ্যাসীয়/ বা ধুম্রপুঞ্জ।

আর 'Big Bang' বা মহাবিস্ফোরণের থিয়োরি এটাই বলে যে, বিগ ব্যাঙ এর প্রাথমিক পর্যায়ে মহাকাশ ছিলো উত্তপ্ত গ্যাসীয় বা ধুম্রপুঞ্জ দ্বারা আচ্ছাদিত।

কি এবার মাথায় ঢুকেছে?

নাস্তিক: ইয়ে মানে----😇😇😇

আমি: ইয়ে মানে কিয়ে? কানের নিচে দিমু একটা?

 নাস্তিক: উত্তর শুনে স্তব্ধ 🥴🥴  🤪🤪


✅✅✅


বেয়াদবিটা যখন আল্লাহর সাথে

______________________________🙄

নাস্তিক: কিরে তোদের আল্লাহ নাকি মানুষকে ঘুমের মধ্যেও সাহায্য করে?

আমি: হ্যাঁ অবশ্যই।

নাস্তিক: ঘুমের মধ্যে তোদের আবার কিসের সাহার্য্যের দরকার হয়?

আমি: কেন বেঁচে থাকার।

নাস্তিক: বুঝলাম না! তোরা কি ঘুমের মধ্যে মরে যাস?

আমি: শোন! ঘুম হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Physiological Death.

নাস্তিক: আচ্ছা সেটা না হয় বুঝলাম! কিন্তু আল্লাহর সাহায্যটা কি?

আমি: সাহায্যটা হচ্ছে ঘুমের মধ্যেই আল্লাহ আমাদের ডানে-বামে পার্শ্ব পরিবর্তন করিয়ে দেন।

নাস্তিক: হা, হা, হা এইটা কোনো সাহায্য হলো?

আমি: আচ্ছা বল! কারো জীবন বাঁচানোর চাইতে বড় আর কোনো সাহায্য আছে কি?

নাস্তিক: না এরচেয়ে বড় আর কোন সাহায্য নেই।

আমি: আচ্ছা ধর কেউ তোর জীবন বাঁচালো আর কৃতজ্ঞতা সরূপ তুই তাকে অট্ট হাসি দিলি, তাহলে কি করা হলো?

নাস্তিক: চরম বেয়াদবি।

আমি: তাহলে তুইও চরম একটা বেয়াদবি করলি!!

নাস্তিক: কেন আমি কিসের বেয়াদবি করলাম?

আমি: শোন! আমরা যখন ঘুমাই তখন বিছানায় আমাদের দেহের যে অংশ লেগে থাকে সে অংশের রগ গুলো সরু হয়ে যায়। ফলে দেহে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয় আর অঙ্গ অবস হয়ে যায়। এমনকি কোনকোন গুরুত্বপূর্ণ রগ দিয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আর যে সকল রগ হার্টের সাথে Connected থাকে তা যদি মাত্র ৫ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা নিশ্চিত মারা যাবো ঘুমের মধ্যেই।

তাই আল্লাহ বলেন: 

আর (ঘুমের মধ্যে) আমি তাদের পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডানে এবং বামে।

(সূরা আল-কাহাফ, আয়াত ১৮)

তাহলে এর অর্থ কি দাঁড়ালো? মহান আল্লাহ ঘুমের মধ্যেও তোর জীবন বাঁচালেন আর তুই অবজ্ঞার স্বরে অট্ট হাসি দিলি? বেয়াদবি করলি?

নাস্তিক: Sorry রে Sorry 🥺


✅✅✅


নাস্তিক: গাছের পাতা নিয়ে কি ভাবছিস উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হবি না কি?

আমি: ভাবছি সেই মহান উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর কথা, যিনি এতো নিখুঁত করে এই সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের পাতা গুলো সৃষ্টি করেছেন।

নাস্তিক: আরে এসব তো প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্ট।

আমি: আচ্ছা তোর পকেটের কলমটা আর এই পাতাটা Compare করে দেখতো কোনটার ফাংশন (Function) জটিল?

নাস্তিক: আমার কলমের চেয়েতো দেখছি এই পাতার ফাংশন অনেক অনেক গুণ জটিল ও কঠিন।

আমি: আচ্ছা তোর কলমটা কি প্রাকৃতিকভাবে কোন স্রষ্টার হাত ছাড়া এমনি এমনিই সৃষ্টি হয়েছে?

নাস্তিক: না।

আমি: তাহলে তোর কলমের চেয়ে অনেক অনেক গুণ জটিল ও কঠিন ফাংশনের পাতাটা কি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হতে পারে, কোন স্রষ্টার হাত ছাড়া?

নাস্তিক: ইয়ে মানে......😇

আমি: শোন! নাস্তিকতা মানে অন্ধত্ব, নাস্তিকতা মানেই মূর্খামি।

নাস্তিক: দিলি তো মনটা খারাপ করে! 🥴

আমি: তাহলে গান শোন?

নাস্তিক: হা, হা, তুই গাইবি গান?

আমি: হ্যাঁ।

নাস্তিক: আচ্ছা গা, শুনি। 

আমি: 🎶

একটি পাতার কথা জানিনা যে হায়

তাঁর গুণ কিভাবে করি বর্ণন

আকাশ পৃথিবী যাঁর ইংগিতে হয়

অনন্ত অসীম তিনি দয়াময়।


👉   🌱 🌿 🍀 🍁 🍂 👈


নাস্তিক: পুরাই টাসকি 🥴🥴


✅✅✅


বিজ্ঞান যেখানে ব্যর্থ

___________________ 🙄

নাস্তিকদের বিশ্বাস সবকিছুর স্রষ্টা হচ্ছে 'প্রকৃতি'।

আমাদের বিশ্বাস সবকিছুর মতন প্রকৃতির স্রষ্টাও মহান আল্লাহ।

আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতি।

(সূরা রূম আয়াত ৩০)

আমি নাস্তিককে প্রশ্ন করেছিলাম যে, মানুষ মারা গেলে তার দেহ কি হয়?

নাস্তিক উত্তর দিলো, গলে পঁচে শেষ হয়ে যায়।

আমি: বললাম, তাহলে আজ থেকে আনুমানিকভাবে প্রায় ৩৫০০ বছর আগের মৃত ফেরাউনের ডেড বডি এখনো পঁচেনি কেন?

নাস্তিক: চোখ বড়-বড় করে মুখ হা করে রইলো!!

আমি: ইন্টারনেট থেকে তাকে বিস্তারিত দেখালাম। সবকিছু দেখে নাস্তিক হতভম্ব হয়ে একদম নিশ্চুপ।

আমি: বললাম প্রকৃতি কেন ফেরাউনকে ছেড়ে দিলো? ফেরাউনের ক্ষেত্রে প্রকৃতির আইন কেন বদলে গেলো?

নাস্তিক: নিরুত্তর। আমাকে বললো আচ্ছা এই বিষয়ে (Science) বিজ্ঞান কি বলে?

আমি: বললাম, ফ্রান্সের বিখ্যাত Surgeon শল্যবিদ ডক্টর মরিস বুকাইলি যখন ফেরাউনের মৃতদেহ মিশর থেকে ফ্রান্সে নিয়ে গবেষণা করেন তার কিছুদিন পরেই তিনি 'ইসলাম' গ্রহণ করেন।

নাস্তিক: কেন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন?

আমি: কারণ তিনি গবেষণা করে রিপোর্ট দেন ফেরাউনের মৃত্যু লোহিত সাগরের পানিতেই হয়েছে, কেননা তার শরীরে এখনো কিছু Salt বিদ্যমান। তখন অন্যান্য গবেষকেরা তাকে এই ফল প্রকাশ করতে নিষেধ করেন এই বলে যে, এটা মুসলিমদের মতের পক্ষে যাচ্ছে।

কিন্তু মরিস বুকাইলি তখন তাদের ধর্মগ্রন্থ Bible পড়ে এই সম্পর্কে শুধু এতটুকু পায় যে, মুসা আ: কে আক্রমণ করার পরে ফেরাউন তার সৈন্যবাহিনী সহ সাগরে ডুবে মরে। কিন্তু তারপর কি হয় তার কোন উল্লেখ নেই।

কিন্তু কুরআনের একটি আয়াত পড়ে তিনি বিস্মিত হন:

সুতরাং আজ আমি (আল্লাহ) তোমার (ফেরাউনের) দেহকে রক্ষা করবো, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল।

(সূরা ইউনুছ, আয়াত ৯২)

এরপর তিনি সৌদিআরবে ইসলামিক কনফারেন্সে ইসলাম গ্রহণ করেন ও বই লেখেন> বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান' আর এই বই পড়ে অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন।

১৯৯৮ সালে ফেরাউনের লাশ উদ্ধার হয়।

মরিস বুকাইলি বুঝেছিলেন ১৪০০+ বছর আগে আল কুরাআনে মহান আল্লাহ ছাড়া কেউ এই তথ্য দিতে পারেন না।

নাস্তিক: ফেরাউনের এই অবস্থা হলো কেন?

আমি: ফেরাউন নাস্তিক ছিলো এই জন্য।

নাস্তিক:  🥺🤯🥺🤯


✅✅✅


দাদাঃ কিরে '৭০টি হুর' দিয়ে কি করবি রে শুনি? 

আমিঃ (না জানার ভান করে) দাদা 'হুর' কি?

দাদাঃ কেন- তুই জানিস না! আল্লাহ তোদের জন্য জান্নাতে 'হুর' সৃষ্টি করেছেন?

আমিঃ ও দাদা এই প্রসঙ্গে বলছেন বুঝি? 

দাদাঃ হ্যাঁ রে, হ্যাঁ।

আমিঃ কিন্তু দাদা! 'হুর' তো সবাই পাবে না! পাবে কেবল শহীদগণ।

দাদাঃ হ্যাঁ- তোরা তো মানুষ মারলেও হুর পাস, হায়রে তোদের ধর্ম!

আমিঃ কেন দাদা! আপনারা কি তা পান না?

দাদাঃ না রে, আমরা তোদের মতো ধর্মের নামে মানুষ মারতে গিয়ে নিজে মরে শহীদ হয়ে 'হুর' পাওয়ার আশা'টাশা করি না।

আমিঃ দাদা এ কেমন কথা? আপনি কি আপনাদের ধর্মগ্রন্থ পড়েন নি?

দাদাঃ হ্যাঁ- আমি পড়েছি! বেশ ভালো করেই পড়েছি!

আমিঃ দাদা! তাহলে আপনি তো দেখছি একটা মিথ্যুক ও প্রতারক। 

দাদাঃ (ক্ষেপে গিয়ে) কি! কি বললি তুই?

আমিঃ হ্যাঁ দাদা! আপনি বলছেন ধর্মগ্রন্থ পড়েছেন অথচ?

দাদাঃ অথচ কি?

আমিঃ দাদা আপনাদের ধর্মগ্রন্থে আছে

''যারা ধর্ম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আত্মত্যাগ/ প্রাণ উৎসর্গ করবে তারা স্বর্গে এক হাজার স্বর্গীয় চিরো কুমারী পাবে''।

(মহাভারত, শান্তির পর্ব, অধ্যায় ১২, অনুচ্ছেদ ৯৮)

(মহাভারত, অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১৩, অনুচ্ছেদ ১০৬)

তাহলে দাদা ব্যাপারটা কেমন হলো না?

দাদাঃ ইয়ে মানে...ইয়ে..

আমিঃ দাদা শুনুন! 

দাদাঃ আচ্ছা তোর সাথে পরে কথা হবে, আমি এখন যাইরে...

আমিঃ দাদা! দাদা...! দাদা চলে গেলো আর ফিরে এলো না যে।


✅✅✅

Related Posts

: