সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দা দের সব সময় জংলী পশুদের আক্রমণের ভয় লেগেই থাকত। বিশেষ করে তাদের যারা ঘন জঙ্গলে কাঠ কাটতে যেত, তাদের উপর যে কোন সময় বাঘ হামলা করে দিত। সেই জন্য তারা খুব দ্রুত গাছে উঠা নামার প্রশিক্ষন নিত।
আর ঐ গ্রামেরই একজন বয়স্ক বাসিন্দা সবাই কে প্রশিক্ষণ দিত। তাকে সেই সময়ের এই গুনের জন্য মহারথী মানা হত। এবং আদর করে সবাই তাকে বাবা বলে ডাকত। বাবা কিছু মাস ধরে একদল যুবক কে খুব সুক্ষ ভাবে দ্রুত গতিতে গাছে উঠা নামার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। আর আজ তার শেষ দিন ছিল।
বাবা বলল আজ তোমাদের প্রশিক্ষণের শেষ দিন। আমি চাই যে তোমরা প্রত্যেকেই একবার করে এই লম্বা এবং পিছলানো গাছটি তে দ্রুত উঠে নেমে দেখাও।
সবাই নিজের নিজের কৌশল দেখানোর জন্য তৈরি হয়ে গেল।
প্রথম যুবক প্রচন্ড দ্রুত গতির সাথে গাছে উঠতে শুরু করল। এবং দেখতে দেখতে গাছের সবথেকে উঁচু শাখায় পৌঁছে গেল। তারপরই নামতে শুরু করল, আর যখন সে অর্ধেক নেমে পরল তখন বাবা বলল, সাবধানে..একটু সামলে..কোন হুড়াহুড়ি নেই..ভাল করে দেখে নাম। যুবক সাবধানের সাথে নিচে নেমে এল।
এই ভাবে প্রত্যেকেই গাছে উঠল এবং নামল। আর প্রতি বারই বাবা সবাই কে অর্ধেক নামার পর সাবধান হওয়ার জন্য বলল। এই কথাটা সবারই একটু অদ্ভুত লাগল, ওদের মধ্যেই একজন যুবক জিজ্ঞাসা করল -
বাবা আমরা একটা কথা বুঝতে পারলাম না, যে গাছের উপরের ধাপ টা ছিল সবথেকে কঠিন, যেখানে উঠা বা নামা দুটোই কষ্টকর ছিল। আপনি তখন আমাদের সাবধান হওয়ার জন্য বলেন নি, কিন্তু যখন আমরা গাছের অর্ধেক ভাগ নেমে চলে এসেছি, যেখান থেকে বাকি ভাগ টা নামা একদমই সহজ ছিল, আপনি তখন আমাদের সাবধান হওয়ার নির্দেশ দিলেন, কেন?
বাবা একটু গম্ভীর হয়ে বলল, 'পুত্র' এটাতো আমরা সবাই জানি যে গাছের উপরের ধাপ টা সবথেকে কঠিন হয়, সেই জন্য ওখানে আমরা সবাই নিজেই সতর্ক হয়ে যায়, আর সম্পূর্ণ সাবধানের সাথেই উঠা নামা করি। কিন্তু যখন আমরা লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তখন বাকিটা আমাদের একদম সহজ মনে হয়, এবং আমাদের জোশ এসে যায় আর আমরা অতি আত্মবিশ্বাসে ভরে যায়, আর এই সময়েই সবথেকে বেশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর এটাই কারণ যে আমি তোমাদের অর্ধেক নেমে আসার পর শেষ ধাপে সাবধান করেছি, যাতে তোমরা লক্ষ্যের নিকট এসে কোন ভুল না করে বস। যুবকরা বাবার কথা বুঝতে পেরে গেল। আজ ওরা একটা প্রচুর বড় শিক্ষা পেল।
Freinds:- সফল হওয়ার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী আর এটাও অতটাই জরুরী যে আমরা যখন লক্ষ্যের নিকট পৌঁছে যায়, যখন মন্জিল কে সামনে পায়, তখন তারাতারি না করে ধৈর্য্যের সাথে পা বাড়াতে হবে। অনেকেই লক্ষ্যের কাছে গিয়ে নিজের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে আর ভুল করে বসে। সেই জন্য লক্ষ্যের শেষ ধাপে পৌঁছে কোন রকম ধৈর্য্য হারালে হবে না সাবধানের সাথে পা বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে আর লক্ষ্য কে প্রাপ্ত করতে হবে।
All the best 👍
-------------------------------------
↪ related posts
↪
↪
↪
↪
আর ঐ গ্রামেরই একজন বয়স্ক বাসিন্দা সবাই কে প্রশিক্ষণ দিত। তাকে সেই সময়ের এই গুনের জন্য মহারথী মানা হত। এবং আদর করে সবাই তাকে বাবা বলে ডাকত। বাবা কিছু মাস ধরে একদল যুবক কে খুব সুক্ষ ভাবে দ্রুত গতিতে গাছে উঠা নামার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। আর আজ তার শেষ দিন ছিল।
বাবা বলল আজ তোমাদের প্রশিক্ষণের শেষ দিন। আমি চাই যে তোমরা প্রত্যেকেই একবার করে এই লম্বা এবং পিছলানো গাছটি তে দ্রুত উঠে নেমে দেখাও।
সবাই নিজের নিজের কৌশল দেখানোর জন্য তৈরি হয়ে গেল।
প্রথম যুবক প্রচন্ড দ্রুত গতির সাথে গাছে উঠতে শুরু করল। এবং দেখতে দেখতে গাছের সবথেকে উঁচু শাখায় পৌঁছে গেল। তারপরই নামতে শুরু করল, আর যখন সে অর্ধেক নেমে পরল তখন বাবা বলল, সাবধানে..একটু সামলে..কোন হুড়াহুড়ি নেই..ভাল করে দেখে নাম। যুবক সাবধানের সাথে নিচে নেমে এল।
এই ভাবে প্রত্যেকেই গাছে উঠল এবং নামল। আর প্রতি বারই বাবা সবাই কে অর্ধেক নামার পর সাবধান হওয়ার জন্য বলল। এই কথাটা সবারই একটু অদ্ভুত লাগল, ওদের মধ্যেই একজন যুবক জিজ্ঞাসা করল -
বাবা আমরা একটা কথা বুঝতে পারলাম না, যে গাছের উপরের ধাপ টা ছিল সবথেকে কঠিন, যেখানে উঠা বা নামা দুটোই কষ্টকর ছিল। আপনি তখন আমাদের সাবধান হওয়ার জন্য বলেন নি, কিন্তু যখন আমরা গাছের অর্ধেক ভাগ নেমে চলে এসেছি, যেখান থেকে বাকি ভাগ টা নামা একদমই সহজ ছিল, আপনি তখন আমাদের সাবধান হওয়ার নির্দেশ দিলেন, কেন?
বাবা একটু গম্ভীর হয়ে বলল, 'পুত্র' এটাতো আমরা সবাই জানি যে গাছের উপরের ধাপ টা সবথেকে কঠিন হয়, সেই জন্য ওখানে আমরা সবাই নিজেই সতর্ক হয়ে যায়, আর সম্পূর্ণ সাবধানের সাথেই উঠা নামা করি। কিন্তু যখন আমরা লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তখন বাকিটা আমাদের একদম সহজ মনে হয়, এবং আমাদের জোশ এসে যায় আর আমরা অতি আত্মবিশ্বাসে ভরে যায়, আর এই সময়েই সবথেকে বেশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর এটাই কারণ যে আমি তোমাদের অর্ধেক নেমে আসার পর শেষ ধাপে সাবধান করেছি, যাতে তোমরা লক্ষ্যের নিকট এসে কোন ভুল না করে বস। যুবকরা বাবার কথা বুঝতে পেরে গেল। আজ ওরা একটা প্রচুর বড় শিক্ষা পেল।
Freinds:- সফল হওয়ার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী আর এটাও অতটাই জরুরী যে আমরা যখন লক্ষ্যের নিকট পৌঁছে যায়, যখন মন্জিল কে সামনে পায়, তখন তারাতারি না করে ধৈর্য্যের সাথে পা বাড়াতে হবে। অনেকেই লক্ষ্যের কাছে গিয়ে নিজের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে আর ভুল করে বসে। সেই জন্য লক্ষ্যের শেষ ধাপে পৌঁছে কোন রকম ধৈর্য্য হারালে হবে না সাবধানের সাথে পা বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে আর লক্ষ্য কে প্রাপ্ত করতে হবে।
All the best 👍
-------------------------------------
↪ related posts
↪
↪
↪
↪


: